সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার আয়োজনে ঘরে-বাইরে হরেক রকম খাবারের পসরা বসে। ইফতার আয়োজনের সেই সব রকমারি খাবারের মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যা গ্রহণ করা মুস্তাহাব।
এ বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে— খেজুর দ্বারা ইফতার করা মুস্তাহাব। তারপর কোনো মিষ্টি জিনিস দ্বারা। তারপর পানি দ্বারা। (আবু দাউদ : হাদিস ২৩৫৫)
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال :كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يفطر على رطبات قبل أن يصلي، فإن لم يكن رطبات فتمرات،فإن لم يكن تمرات، حسا حسوات من ماء. رواه أحمد
আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের পূর্বে তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর না পাওয়া যেত তবে শুকনো খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি শুকনো খেজুর না পাওয়া যেত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন। (বর্ণনায় : আহমদ)
এ হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, ইফতারির আদব হল, মাগরিবের নামাজের পূর্বে ইফতার করা। তাজা খেজুর বা শুকনো খেজুর দ্বারা ইফতার করা। খেজুর দিয়ে ইফতার করার উপকারিতা হল, খেজুর সহজপ্রাপ্য। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে খাওয়ার পর যে সমস্যা হওয়ার কথা খেজুর খেলে তা হয় না। এ ছাড়াও খেজুর হালকা খাবারের একটি। পানি, খেজুর এগুলো দ্বারা ইফতার করলে আলস্য সৃষ্টি হয় না। দ্বিতীয়ত পেট পুরে পানাহার ইসলাম সমর্থন করে না।
রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন—
ما ملأ ابن آدم وعاء بطنه، بحسب ابن آدم لقيمات يقمن صلبه، فإن كان لا محالة فاعلا فثلث لطعامه، وثلث لشرابه، وثلث لنفسه. رواهالترمذي
মানুষ সে সকল পাত্র পূর্ণ করে তার মাঝে মানুষের পেট অপেক্ষা আর কোনো খারাপ পাত্র নেই। মানুষের কোমর সোজা রাখার জন্য কয়েকটি লোকমাই যথেষ্ট। এর থেকেও বেশি যদি প্রয়োজন হয়, তবে পেটের এক তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের জন্য রেখে দেয়া উচিত। (বর্ণনায় : তিরমিজি)