banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 102 বার পঠিত

প্লাষ্টিকে মুড়ানো নবজাতকের লাশ! অন্যদিকে অপারেশনের পর বাচ্চা নেই!!

প্রসব ব্যথায় হাসপাতালে নেয়া হয় রেবেকা বেগমকে। ভর্তির পর হলো অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানালেন, প্রসূতির পেটে সন্তান নেই। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে প্রসূতি রেবেকা হতবাক। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। আর হয়রানির ভয়ে হতাশ স্বজনরাও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকের এমন কথায় বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই।

এদিকে হাসপাতালের ১নং গেইটের পাশ থেকে গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিলনবজাতকটি।

এ ঘটনায় পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটির মৃতদেহটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলে জানায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

১৩ অক্টোবর রাতে অস্ত্রোপচার, পরদিন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো একটি নবজতকের লাশ উদ্ধার- এ দু’টি ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারো কারো মুখে শোনা গেছে, ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে হয়তো নবজাতকের মৃত্যু হওয়ায় তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের আসকর আলীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রেবেকা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে ১১ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ১৫নং ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হলেও পরে সেখান থেকে তৃতীয় তলার ১৪নং ওয়ার্ডে (গাইনী বিভাগে) স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা ১৩ অক্টোবর রেবেকা বেগমের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণের পর পরীক্ষা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। রাত ৮টায় রেবেকাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপরারেশন শুরু হয় রাত সাড়ে ১১টায়।

দীর্ঘ সময় ধরে চলে অস্ত্রোপচার। একপর্যায়ে চিকিৎসকসহ অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্টরা বাইরে এসে রেবেকার স্বজনদের জানান, সিজার করে সন্তান পাওয়া যায়নি!

এতে উপস্থিত লোকজনসহ রেবেকার স্বজনরা হতবাক হয়ে যান। এ ব্যাপারে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সুযোগ দেয়া হয়নি। এ নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মনে সন্দেহ দেখা দেয়।

এদিকে চিকিৎসকদের কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না রেবেকা। সন্তানের নড়াচড়া স্পষ্ট অনুভব করেছেন তিনি।

রেবেকা বেগমের স্বামী আসকর আলী গণমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচারের পর সন্তান পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসকরা জানান। চিকিৎসকদের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। খুবই রহস্যজনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments