banner

মঙ্গলবার, ১০ Jun ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 642 বার পঠিত

যৌতুকের বলি হল কোটচাঁদপুরের মুক্তা রায় মিতু

nnn

অপরাজিতাবিডি ডটকম : যৌতুকের বলি হল মুক্তা রায় (মিতু)। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার পায়তারা চালাচ্ছে স্বামী চিরঞ্জিত বিশ্বাস। মিতু কোটচাঁদপুর সলেমানপুরের ভজন রায়ের মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

মিতুর পিতা ভজন রায় জানান, ২০০৮ সালের দিকে যশোরের মনিরামপুর খেদাপাড়া গ্রামের চিত্ত বিশ্বাসের ছেলে চিরঞ্জিতের সাথে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় নগদ ৬০ হাজার টাকা, স্বর্ণাংলকার, কাপড়-চোপড়, ও আসবাবপত্র। বিয়ের প্রথম বছর তাদের সংসার জীবন ভালই কাটে। শুরু হয় জামাই চিরঞ্জিতের যৌতুক দাবী। মাঝে মধ্যে সে মেয়ে পাঠিয়ে কখনও ১০ হাজার, কখনও ২০ হাজার টাকার নিয়ে যেত। 

 

তবুও তাঁর যৌতুকের নেশা বন্ধ হয়। সে প্রায়ই মেয়েকে মারধর করত। গেল দুই বছর যাবৎ তাঁর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর তার বহির প্রকাশ ঘটে গত ৯ জুলাই তাঁর নিজ বাড়ি খেদাপাড়ায়। মিতুকে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী মিলে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আড়াই ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা আমাকে খবর দেয় তোমার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম মেয়ে মাটিতে শুয়ে আছে। বাড়িতে আর লোকজন নাই। তারা মেয়ে কে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এরমধ্যে এলাকায় একটা বিষয় চাউর হতে থাকে। সেটা হল তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। যেন তারা বিষয়টি নিয়ে ঘাটা ঘাটি না করে। এদিকে মিতুর মা তাঁর শোকে পাগল প্রায়। আর পিতা ভজন রায় বিচারের আশায় ছুটছে সাংবাদিক, সমাজপ্রতি ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে। কারন তার অঘাত টাকা নেয়। টাকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না। এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানায় অপমৃতুর মামলা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৭ জুলাই ২০১৪ ই.

Facebook Comments