অপরাজিতাবিডি ডটকম : ব্যালেরিনা স্যু গুলো বেশ কয়েকবছর ধরেই তরুণীদের পছন্দের তালিকা জুড়ে আছে। বেশ আরাম ও দেখতে অনেক ট্রেন্ডি বলে ব্যালেরিনার ফ্যাশনটা একটুও বিবর্ন হচ্ছে না। ব্যালেরিনাকে অনেকেই পাম্প স্যু ও বলে। তবে ব্যালেরিনার আসল নাম কোর্ট স্যু। পাশ্চাত্যে ব্যালে ডান্সের সময়ে ব্যালেরিনা স্যু এর ব্যবহার হত। সেই থেকে ব্যালেরিনা জুতো ফ্যাশনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।
নানান রকমের ব্যালেরিনা পাওয়া যায় মার্কেটে। হিল সহ, ফ্ল্যাট, ওয়েজ হিল, গ্লাস বা এক ইঞ্চির ছোট্ট হিল যুক্ত ব্যালেরিনা পাওয়া যায় ছোট বড় জুতার দোকান গুলোতে। ডিজাইনেও আছে নানান রকমের বৈচিত্র্য। কোনোটা সামনে কিছুটা খোলা আবার কোনোটা বন্ধ। ব্যালেরিনার সামনের দিকের আকারকে ওপেন টো, ক্লোজ টো, পয়েন্টি টো, রাউন্ড টোসহ নানান রকম নামে অভিহিত করা হয়। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মনে রেখে লাল, নীল, কালো, হলুদ, গাঢ় সবুজ, সাদা সহ আরো নানান রং এর ব্যালেরিনা পাওয়া যাচ্ছে। প্রিন্ট, মেটাল, পুঁতি, বিডস প্রভৃতি দ্বারা অলংকৃত করা হচ্ছে ব্যালেরিনাকে।
যে সব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবেঃ
জুতো কেনার সময়ে দেখে কিনুন আরামদায়ক কিনা। যাদের পা সামনের দিকে চওড়া তারা ব্যালেরিনা পরে সাধারণত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সামনের দিকে খোলা ব্যালেরিনা করলে অবশ্যই পায়ে নেইলপলিশ দিতে হবে। নাহলে জুতোর সৌন্দর্য পুরোই মাটি হয়ে যাবে। জমকালো পার্টি ছাড়া বেশি কাজ করা গর্জিয়াস ব্যালেরিনা না পরাই ভালো।
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে একটু চোখা আছে সামনে, এ ধরনের ব্যালেরিনা ভালো লাগে। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে কিটেন হিল ও সেমি ওয়েজেস ব্যালেরিনাও মানানসই হবে।
যেখানে পাবেনঃ
বসুন্ধরা সিটি, পিঙ্ক সিটি, মেট্রো শপিং মল, নাভানা টাওয়ার, উত্তরা আরএকে টাওয়ার, পলওয়েল কার্নেশন, অটোবি-ক্লোজেট(গুলশান শো-রুম), ক্যাটস আই, স্পোর্টস গিয়ার, বাটা( বড় শো-রুম গুলোতে), অ্যাপেক্স গ্যালারি, এছাড়া বিভিন্ন বড় শপিং-মলগুলোতে পেয়ে যাবেন এ ধরণের জুতা। এছাড়াও ফেসবুকে কিছু অনলাইন শপিং পেজ আছে যারা ঢাকা ও বাংলাদেশের মধ্যে ডেলিভারি করে।
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১৪ জুলাই ২০১৪ই.