দেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজেও পরীক্ষার সময় নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের চেহারা শনাক্তের জন্য আলাদা নারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট)-এও একই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা এই সময়োপযোগী ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, “নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তের ক্ষেত্রে আলাদা নারী শিক্ষক নিয়োগ একটি যৌক্তিক, শালীন ও ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল ব্যবস্থা। এটি নারীদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
প্রসঙ্গত, নিকাব পরিহিত অনেক ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে চেহারা শনাক্তের সময় নানা ধরনের বিড়ম্বনা বা হেনস্তার মুখে পড়েন। অথচ আলাদা নারী শিক্ষক থাকলে সেই প্রক্রিয়া সম্মানজনক ও স্বাচ্ছন্দ্যে সম্পন্ন হয়, যা পরীক্ষার্থীর জন্য মানসিক প্রশান্তি এবং শিক্ষা জীবনের স্বাভাবিকতাকে বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা আশা প্রকাশ করে যে, দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে পর্দানশীন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মানজনক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।