banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 242 বার পঠিত

 

ধর্ষণ চেষ্টার শাস্তি জুতাপেটা

ধর্ষণ চেষ্টার শাস্তি জুতাপেটা


নারী সংবাদ


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার শাস্তি হিসেবে দুই যুবককে জুতাপেটা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার সালিশ বৈঠকে হামিদ শেখ (১৯) ও হালিম শিকদার (১৮) নামে দুই যুবককে জুতাপেটা করা হয়।

হামিদ শেখ মান্দ্রা গ্রামের হাবিব শেখের ছেলে। অপরদিকে হালিম শিদকার একই গ্রামের আনিস শিকদারের ছেলে। এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় মান্দ্রা ইউনাইটেট ইনস্টিটিউশনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হামিদ শেখ ও হালিম শিকদার নামের দুই যুবক ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারের আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামিদ ও হালিম পালিয়ে যায়।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে মঙ্গলবার মান্দ্রা গ্রামের জনৈক আজাহার শেখের বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে হাবিব ডাক্তার, হামিম শেখ, সালাম দাড়িয়া, ইলিয়াছ শেখ, মামুন শেখ, হাসান মিয়া নামে এলাকার সালিশবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সালিশবর্গদের নির্দেশে মামুন শেখ ও হাসান মিয়া হামিদ এবং হালিমকে জুতাপেটা করে।

সালিশকারক হাবিব ডাক্তার বলেন, এলাকার শান্তির জন্য হামিদ ও হালিমকে জুতাপেটা করা হয়েছে। তবে ওই দুই যুবকের অভিভাবকরাই তাদের জুতাপেটা করেছে।

ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, এলাকার মুরব্বিদের অনুরোধে সালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। সালিশ বৈঠকে ওই দুই যুববকে জুতাপেটা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদা কাগজে একটি মিমাংসাপত্র লেখা হয়েছে। মিমাংসাপত্রটি সালিশকারক হামিম শেখের কাছে রয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাকারিয়া বলেন, এ ধরণের ঘটনায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে মিমাংসা করার আইনগত কোন বিধান নেই। ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

সুত্র: নয়া দিগন্ত।

Facebook Comments