banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1334 বার পঠিত

 

অবশেষে অভিনেত্রী বাঁধন তার মেয়ের অভিভাবকত্ব পেলেন

নারী সংবাদ


লাক্স তারকা ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অবশেষে আদালতের নির্দেশে মেয়ে সায়রার অভিভাবকত্ব পেলেন । ৩০ এপ্রিল রোজ সোমবার ঢাকার ১২তম সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মেয়েকে বাঁধনের অভিভাবকত্বে দেওয়ার আদেশ দেন।

বাঁধনের ভাষ্যমতে, ‘আজ ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ, দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত, (ঢাকা) যে আদেশ আমার মামলায় দিলেন, তা একটি যুগান্তকারী রায় এবং আদালত পাড়ায় মাইলফলক। আইনজীবীরা বললেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, এই উপমহাদেশ এটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

বিচারক তার আদেশে বলেন, কন্যা শিশুর অভিভাবক হচ্ছেন মা। কন্যার সর্বোত্তম মঙ্গলের জন্য মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বাবা মাসে কেবল দুই দিন মায়ের বাড়িতে গিয়ে মায়ের উপস্থিতিতে মেয়েকে দেখে আসবেন। কন্যা শিশুকে নিয়ে মা দেশের ভেতরে এবং বাইরে যেতে পারবেন, যেহেতু মা-ই কন্যাশিশুর অভিভাবক।

রায়ের পর বাঁধন বলেন, মেয়ের অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য গত নয় মাস আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। কিন্তু আজ আমি নিশ্চিন্ত। আদালত মেয়ের সম্পূর্ণ গার্ডিয়ানশিপ আমাকে দিয়েছেন।

মুলত ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে বাঁধনের বিয়ে হয়। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাঁধন আদালতে অভিযোগ করেন, ‘মেয়ে সায়রাকে তার প্রাক্তন স্বামী জোর করে নিয়ে যান। এরপর একরকম জোর করে তাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
মা হিসেবে মেয়ের অভিভাবকত্ব চেয়ে গত বছর ৩ আগস্ট মামলা করেছিলেন বাঁধন। আদালত সেই মামলার রায় দেন সোমবার (৩০ এপ্রিল)।

অভিনেত্রী বাঁধন তার অভিব্যপ্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন ‘সততাই যে সর্বোত্তম পন্থা সেটা আবারও প্রমাণ হলো। নিশ্চিত ছিলাম, সঠিকভাবে আইনকে উপস্থাপন করতে পারলে আইনের সুশাসন যে দেশে এখন আছে, সেটা প্রমাণ পাওয়া যায়’

বাঁধন আরও লিখেছেন, আমার জীবনের এই অংশটায় যারা যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে আমার গভীর কৃতজ্ঞতা। আপনাদের নাম নিতে চাই না, শুধু অনুরোধ করবো মেয়েকে যেন এভাবেই, আমার নিজের সামর্থ্যে, মানুষ হিসেবে বড় করতে পারি, সেই দোয়া করবেন।

Facebook Comments