banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: May 2025

 

রাতে ঘুমানোর আগের আমল

রাত ও দিন আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা দিনকে করেছেন হালাল রুটি-রুজি অর্জনের মাধ্যম এবং রাতকে করেছেন প্রশান্তি লাভের মাধ্যম। মানুষ সাধারণত রাতে ঘুমায়। আর রাতের এ ঘুমও আল্লাহর ইবাদতে পরিণত হয়, যদি তা হাদিস অনুযায়ী করা যায়।

সাওয়াব লাভের নিয়তে হাদিসের যাবতীয় হিকমাত ও উপদেশ গ্রহণ করা সবার জন্যই প্রয়োজন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে এমনই একটি আমলের কথা হাদিসে তুলে ধরেছেন।

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একবার গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাতে ফোস্কা পড়ে যায়। তখন তিনি একজন খাদেম চেয়ে নেয়ার উদ্দেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন কিন্তু তাকে পেলেন না।

তখন তিনি তাঁর আসার উদ্দেশ্যটি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জানালেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘরে আসলেন তখন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে বিষয়টি জানালেন।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট এমন সময় আসলেন যখন আমরা বিছানায় বিশ্রাম গ্রহণ করছি। তখন আমি উঠতে চাইলে তিনি বললেন, নিজ জায়গায়ই থাকো। তারপর আমাদের মাঝে তিনি এমনভাবে বসলেন যে, আমি তাঁর দু`পায়ের শীতল স্পর্শ আমার বুকে অনুভব করলাম।

তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের এমন একটি আমল বলে (শিখিয়ে) দেব না? যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি উত্তম।

(তখন তিনি বললেন) যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে (রাতের বেলায় ঘুমাতে) যাবে, তখন তোমরা আল্লাহু আকবার (اَللهُ اَكْبَر) ৩৩ বার; সুবহানাল্লাহ (سُبْحَانَ الله) ৩৩ বার; আলহামদুলিল্লাহ (اَلْحَمْدُ لِله) ৩৩ বার পড়বে।

এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চাইতেও অনেক বেশি মঙ্গলজনক। ইবনে শিরিন বলেন, তাসবিহ ৩৪ বার। (বুখারি)

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে ছোট্ট এ তাসবিহের আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

ইনডোর প্লান্টের যত্ন নেবেন যেভাবে

আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে যখন নিজেদের জন্য আমাদের কাছে সময় নেই তখন সবুজের কাছে নিজেকে সমার্পণ করার সময় কোথায়। তবুও আমাদের জীবন ধারণ থেকে শুরু করে যেকোনো কিছুতেই গাছের ছোঁয়া জরুরি। তাই আপনি চাইলে আপনার ঘরেই গড়ে তুলতে পারেন সবুজের ছোট্ট একটি আবাস্থল। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি এই সবুজের যত্ন নেবেন আর তাকে দেখে রাখবেন।

ইনডোর প্লান্ট বেশি বড় করবেন না, ঘর অন্ধকার দেখাবে। এ কারণে বাড়তি পাতা ছেঁটে রাখুন। এ ছাড়া শুকনো ফুল ও পাতা ছেঁটে দিন সপ্তাহে এক থেকে দুবার গাছ রোদে দিতে হবে। সকালের হালকা রোদই উপকারী। নিয়ম মেনে গাছে পানি দিন।

সাত থেকে ১০ দিন পরপর টবের মাটি ওলটপালট করে দিন, এতে গাছের মাটির নিচের ক্ষতিকর গ্যাস বের হয়ে যাবে। তবে খুবই সাবধানে কাজটি করতে হবে। যাতে গাছের শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়।

পচা পাতা গাছের কাছে জমিয়ে না রেখে দ্রুত ফেলে দিন। গাছের পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করলে গাছটিকে ঠাণ্ডা ও তাপ কম পৌঁছায় এমন স্থানে রাখুন। কারণ অতিরিক্ত তাপ লাগলে পাতা ও ফুলের রং হালকা হতে শুরু করে।

ফ্ল্যাট বাড়িতে কিংবা অফিসের ভেতর গাছ রাখার জন্য আমরা অনেকেই কারুকাজ সজ্জিত টব ব্যবহার করেন। কিন্তু যখনই দেখবেন গাছের শিকড় টবের নিচে থাকা ছিদ্রের দিকে বেড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই নতুন টবে গাছ সরিয়ে ফেলুন। পানি দেয়ার পর লক্ষ রাখুন যেন বাড়তি পানি টবের নিচের ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে না যায়। টবের নিচে মাটির থালা ব্যবহার করুন, তাতে পানিতে ঘর ময়লা হবে না।

গাছের পাতায় একটা সাদা ছোপ ছোপ দেখা যায়, এটা এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি মুছে ফেলুন, দেখবেন পাতা পরিষ্কার হয়ে গেছে। গাছের ধূলো পরিষ্কার করতে পালকের ডাস্টার ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের ডাস্টার থেকে ছোট ছোট পোকা গাছের পাতায় গিয়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। পানি দিয়ে গাছ পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।

 

ফুলদানিতে সাজবে ঘর

ঘরকে নিজের মনের মতো কে না সাজাতে চায়! আর এর জন্য ইন্টেরিয়র ডিজাইন থেকে শুরু করে নিজের মনের ইচ্ছা পর্যন্ত কোনো পথটিই বাকি থাকে না। তবে আপনার ঘরের এই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন খুব অল্প এবং ছোট কিছু ঘরে রাখার জিনিসের মাধ্যমে। যার মধ্যে আছে ফুলদানি। ঘরের কোণ, শোকেসের উপরে ফাঁকা জায়গা, টিভির উপর, ডেসিং টেবিলের উপর বা বেডসাইড টেবিলে রাখতে পারেন মনের মতো ডিজাইনের ফুলদানী। ফুলের ঘ্রাণ বেশি নিতে চাইলে বিছানার কাছেই রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, যেখানেই ফুলদানি রাখুন না কেন, ঠিক মানিয়ে যাবে।

ফুল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পুরোটাই আপনার। ঘ্রাণের কথা চিন্তা করলে সাদা ফুল বেশি প্রাধান্য পাবে। রং আর সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করলে বাহারি নানা জাতের ফুল প্রাধান্য পেতে পারে। শুধু ফুল রাখার পাত্র হিসেবেই নয়, শোপিস হিসেবেও ফুলদানির থাকে সমান কদর। তাই ফুলদানিতে শুধু তাজা ফুল প্রাধান্য পাবে তা নয়, রাখতে পারেন নানা রঙের কৃত্রিম ফুল। দেশি ফুলদানির পাশাপাশি চাইনিজ, জাপানিজ, থাই, ইরানি ও ইন্ডিয়ান ফুলদানিও জায়গা করে নিয়েছে।

বাজারে একটু ঘুরলে বাঁশ, কাঠ, বেত, মাটি থেকে শুরু করে সিরামিক, ক্রিস্টাল, কাচ, শক্ত প্লাস্টিক, ফাইবারসহ সব উপাদানের তৈরি কারুকার্যমণ্ডিত ফুলদানি পাওয়া যাবে। ছোট, মাঝারি কিংবা বড় তিন উচ্চতার ফুলদানি বাজারে পাবেন। ত্রিভুজ, চৌকোনা, সিলিন্ডার কিংবা ডিম্বাকৃতির ফুলদানি আছে রুচির ভিন্নতা দেখাতে। তবে অন্দর সজ্জার ক্ষেত্রে মেঝেতে ফুলদানি রাখলে সেটা বড় আকারের এবং টেবিলে রাখলে মাঝারি বা ছোট আকারের ফুলদানি হওয়া উচিৎ।

ঘরে দেশীয় আমেজ ধরে রাখতে আজকাল মাটির ফুলদানি বেশ ভালোই চোখে পড়ছে। কিছু ফুলদানিতে ঘড়ি কিংবা পেনহোল্ডার লাগানো, কোনোটা দেয়ালে ঝুলানো, আবার কোনোটা টেবিল ল্যাম্প সেট করা আছে। যা আপনার ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুণ। এটি কেবল নান্দনিকতারই পরিচয় বহন করে না, বরং আপনার রুচিশীলতার পরিচয়ও বহন করে।

 

কোন পোশাকে কেমন জুতা

প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে যে জিনিসটি আমাদের সঙ্গে থাকে তা হলো জুতা। যেখানেই থাকুন আর যে পরিবেশেই থাকুন পায়ে যদি আরামদায়ক জুতা না থাকে তবে আপনি কোথাও আরাম করে সময় কাটাতে পারবেন না। ক্লাস, ইন্টারভিউ, কোথাও ঘুরতে যাওয়া অথবা প্রতিদিনের অফিস- একেক জায়গায় আপনার পোশাক যেমন ভিন্ন তেমনই আপনার পায়ের জুতাজোড়াও হয়ে থাকে ভিন্ন। তাই যখনই জুতা পরবেন পোশাকের সাথে তা মানিয়ে নিন আগে।

টি-শার্ট, জিন্স বা ট্রাউজার পরলেন অথচ পায়ে থাকল চটি, বুট কিংবা কাবলি সু, তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য মানানসই হলো না। আবার হয়তো ঈদের অনুষ্ঠান কিংবা বাঙালি ঘরানার অনুষ্ঠান, সেখানে আপনার পরনে একেবারে খাঁটি বাঙালিয়ানার পোশাক, এখানে চটি কিংবা নাগরা জুতা ছাড়া আপনার সাজসজ্জাই মাটি হয়ে যাবে। মেয়েরাও যখন এসব জায়গায় যায় তখন পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতো পরতে হবে। যেমন শাড়ি পরে গেলে সেক্ষেত্রে চটি জুতাতেই ভালো লাগবে আপনাকে। আর সালোয়ার কামিজ কিংবা শার্ট-প্যান্ট কিংবা ফতুয়া পরলে সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের হিলই মানাবে।

হয়তো চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে সময় যখন আপনি শার্ট-প্যান্ট পরলেন সেখানে আপনার পুরো লুকটাইকে কিন্তু একটা স্মার্ট সমাধান দিতে পারে একমাত্র বুটজুতা। ইন্টারভিউর ক্ষেত্রে মেয়েরা সাধারণত শাড়ি পরেই যায়। তখন মেয়েদের অবশ্য শাড়ির সঙ্গে চটি জুতোই মানানসই। আবার অফিসের বড় কর্তা হয়ে মনে করলেন, যেকোনো সাজই আমার জন্য যথেষ্ট। এমনটা ভাববেন না এখানেও আপনার পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতা পরুন। শার্ট প্যান্ট ইন করলে অবশ্যই বুটজুতা পরবেন। পাঞ্জাবি পাজামার সাথে আবার বুট পরবেন না। এখানে মানানসই একজোড়া চটি জুতা পরুন।

অন্যদিকে হাওয়াই চপ্পলও কিন্তু বেশ আরামদায়ক। কিন্তু এ হাওয়াই চপ্পল কিছু সীমিত জায়গায় ব্যবহার উপযোগী। তাই হাওয়াই চপ্পল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রক্ষা করবেন। না বুঝেই যেকোনো কালারের জুতা কিনবেন না। ভেবে নিন কোন কোন রঙের জামার সাথে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই রঙ বুঝে জুতা কিনুন, যাতে একের বেশি পোশাকের সাথে তা বেমানান না হয়ে যায়।

 

যে কারণে ব্রোকলি খাবেন

ব্রোকলি সাধারণত সিদ্ধ কিংবা বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া হয়ে থাকে। অনেকে কাঁচাও খেয়ে থাকেন। এটি এমন একটি সবজি যাতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু ব্রোকলি ভিটামিন, মিনারেল আর ফাইবার এ পরিপূর্ণ। প্রত্যেকদিন খাবারে ব্রোকলি রাখলে তা আপনার সুস্বাস্থ্যের কারণ হতে পারে। এক কাপ রান্না করা ব্রোকলিতে একটি কমলা লেবুর সমপরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। তাছাড়া এটি বিটা ক্যারটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক।

ব্রোকলিতে রয়েছে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম, যা স্নায়ুতন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করে একে সুস্থ আর রোগমুক্ত রাখে। তাছাড়া আমাদের পেশির নিয়মিত বর্ধণকে ত্বরান্বিত করে। অপটিমাল ব্রেইন ফাংশন রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকাও অপরিসীম। এতে ম্যাগনেশিয়াম আর ক্যালশিয়ামও রয়েছে, যা সুন্দরভাবে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্রোকলিতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার আমাদের পরিপাকে কল্যাণকর ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ভিটামিন এ –এর ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি বর্ধণে ভিটামিন এ অতি জরুরী।

প্রতিদিন ব্রোকলি খেলে তা রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধণ করতে সহায়তা করবে। এতে প্রাপ্ত ভিটামিন বি৬ হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমায়।

ইনডোল-৩-কার্বিনোল নামে একটি অতি শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে এই ব্রোকলিতে, যা সার্ভিকল ও অগ্রগ্রন্থ্রির ক্যান্সার এবং লিভার ফাংশন এর উন্নতি সাধণ করে।

এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ব্রোকলি ন্যাচারাল ফরমে খেলে, অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রোদ আর দূষণের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হতে পারে, ব্রোকলি তা থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। তাছাড়া রিংকেল জনিত সমস্যা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে কোনো ধরনের ক্ষতি ছাড়াই।

 

ইলিশ মাছের ডিমের ঝুরি

ইলিশ অনেকেরই পছন্দের একটি মাছ। একই ইলিশের হাজার রকমের রান্না। সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ ডিমের রেসিপি।

উপকরণ : ইলিশ মাছের ডিম ১ কাপ, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, বেরেস্তা আধা কাপ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, সরিষা বাটা ১ টে চামচ, হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, এলাচ ২ টি , দারচিনি ১ পিস, রাঁধুনি গুঁড়ো আধা চা চামচ (ইচ্ছা), লবণ আধা চা চামচ বা পরিমান মতো, কাঁচা মরিচ ৪/৫ টি চিরে নেয়া, ধনে পাতা কুচি পরিমাণমতো বা ৪ টে চামচ, সরিষার তেল ৩ টে চামচ, সয়াবিন তেল ২ টে চামচ, পানি ১ কাপ

প্রণালি : ২ রকমের তেল মিশিয়ে গরম করে তেজপাতা ও গরম মসলা ফোড়ন দিন, এবার পিঁয়াজ সোনালি করে ভেজে বাটা ও গুঁড়ো মসলাগুলো দিয়ে কষিয়ে মাছের ডিম দিয়ে কষাতে হবে। কষানোর মাঝে একটু একটু করে পানি দিতে হবে। ১০ মিনিট অল্প আঁচে ডিম কষিয়ে বেরেস্তা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে আরো ৫ মিনিট রান্না করুন। ধনে পাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

পানি প্রবাহে অলৌকিক পাথরের উৎস

দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি নেয়ামত প্রাপ্ত জাতি হলো বনি ইসরাইল। তাদের মধ্যে একবার প্রচণ্ড পানি সংকটের অবস্থা বিরাজ করছিল। বনি ইসরাইলের ১২ জাতি/গোষ্ঠীর প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষ এ পানির কষ্টে পতিত হন। এ পাথরের উৎস কোথায়? কি এমন পাথর, যার মধ্যে আঘাত করলে পানির নহর প্রবাহিত হয়।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর উম্মতের জন্য পানির আবেদন করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে একটি পাথরে আঘাত করার জন্য নির্দেশ দেন।

হজরত মুসা আলাইহিস সালাম তাঁর জাতির জন্য আল্লাহর নির্দেশে যে পাথরকে আঘাত করেছেন, তা কি সাধারণ পাথর ছিল নাকি বিশেষ কোনো পাথর ছিল, এ ব্যাপারে একাধিক মতপার্থক্য রয়েছে। বিভিন্ন বর্ণনাগুলো হলো-

>> হজরত কাতাদাহ বর্ণনা করেন, পাথরটি ছিল তুর পাহাড়ের, বনি ইসরাইল তা সঙ্গে সঙ্গে রাখতো। যখন পানির প্রয়োজন হতো মুসা আলাইহিস সালাম স্বীয় লাঠি দ্বারা আঘাত করলে ১২টি নির্ঝর প্রবাহিত হতো এবং তা দিয়ে বনি ইসরাইলের ৬ লক্ষ মানুষ পানির প্রয়োজন পূরণ করতো। (তাফসিরে কবির)

>> এটি ছিল জান্নাতি পাথর। হজরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাত থেকে নিয়ে এসেছিলেন। আর লাঠিটিও ছিল জান্নাতি। এ দুটি নিজিস একের পর এক হাত বদল হতে হতে হজরত শোয়ায়েব আলাইহিস সালামের নিকট পৌঁছে। তিনি এগুলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে দান করেন। (তাফসিরে মাজহারি)

>> আল্লামা জমখশরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এটি ছিল সাধারণ পাথর, যা মুসা আলাইহিস সালামের ওপর আদেশ হয়েছিল যে কোনো পাথরের ওপর আঘাত করার জন্য। মুসা আলাইহিস সালাম তাই করেছিলেন।

>> মুফাসসিরিনে কেরামগণ মুসা আলাইহিস সালামের একটি ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, মুসা আলাইহিস সালাম কখনো প্রকাশ্যে গোসল করতেন না বা উলঙ্গ হতেন না। যার ফলে তার কাওমের লোকেরা মনে করতো মুসা আলাইহিস সালাম একশিরা (অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া) রোগে আক্রান্ত।

একবার তিনি গোসল করার জন্য প্রসবণে ঢুকেছেন। তার পরিধেয় কাপড় খুলে একটি সাধারণ পাথরের উপর রাখেন। তিনি গোসল করার পর পাথরের দিকে উদ্যত হতেই দেখেন, পাথরটি দ্রুত বেগে ছুটে চলেছে।

মুসা আলাইহিস সালামও পাথরের পিছনে ছুটলেন। পাথরটি এলাকাবাসীর কাচারীর সামনে এসে থেমে যায়। যেখানে এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিল। তার কাওমের লোকেরা তাঁকে দেখে তাদের অহেতুক ধারণা পাল্টে নিল।

তার পর নির্দেশ হলো পাথরটি সংরক্ষণের জন্য। যা পরবর্তীতে কাজে আসবে। পাথরটি ছিল নরম এবং সাদা। প্রায় এক হাত পরিমান চতুর্ভূজ। প্রতিটি কোনে তিনটি উঁচু প্রান্ত ছিল। যেগুলো থেকে ১২টি নির্ঝর প্রবাহিত হতো।

পানি প্রবাহদানকারী পাথরটি ছিল হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও বনি ইসরাইল জাতির জন্য আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত ও নেয়ামত। যা যুগে যুগে মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ তাআলার মহা ক্ষমতার প্রমাণ বহন করবে। স্বীকৃতি প্রদান করবে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব যুগের সব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

প্রশিক্ষণ বদলে দিল শীলা, কাকলী, সাবিকুন্নাহারদের জীবন

টিনের চালের খোলা বারান্দা। সেখানে রাখা একটি কাঠের টেবিলে নেটের থান কাটছেন এক নারী। তিনি শীলা রানী। সফল একজন উদ্যোক্তা। নেটের ব্যাগ বানান আর সেগুলোর বিপণন করেন। এই ব্যবসায় তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। শীলার সঙ্গে গ্রামের বেশ কয়েকজন নারীও কাজ করছেন। ৩২ বছর বয়সী এই নারীর জীবনের গল্প কিন্তু এমন ছিল না।
বিয়ের পর থেকেই শীলার সঙ্গী দারিদ্র্য আর স্বামীর নির্যাতন। স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে তাঁকেই সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়। তিনি গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেন। এ কাজ করতে গিয়ে তাঁকে মানুষের কটূক্তি, উত্ত্যক্ত আচরণ সহ্য করতে হয়েছে।
২০১৪ সালে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে শীলা জানতে পারেন ব্র্যাক দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। তিনি এই ‘ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর পুওর অ্যান্ড ভালনারেবল উইমেন ইন বাংলাদেশ (ইইপি)’ প্রকল্পের অধীনে সাত দিনের প্রশিক্ষণ নেন।
প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, নারায়ণগঞ্জের চারটি জায়গায় এ প্রকল্পে ৩ হাজার ৬০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁরা বিউটি পারলার, সবজি চাষ, মোমবাতি তৈরি, কাটিং ও সেলাই কাজ, নার্সারিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এ সময় জেন্ডার-বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতেও ৩ হাজার ২৬০ জন নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গোলাম মোস্তফা আরও বলছেন, প্রশিক্ষণ পাওয়া ৩ হাজার ৩৩৮ জন নারী সরাসরি আয় করছেন। আর তাঁদের মধ্যে ১১ জন নারী মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্প। শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই।
শিলা রানী বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নেওয়ার দুই দিন পরেই ৮০০ টাকা ধার করে ২০০ গজ নেটের থান আনি। নিজে কেটে নিজে সেলাই করি। সেই থেকে শুরু।’ শীলার স্বামী অসুস্থ কালিপদও এখন খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। শীলা সংসার চালায়, আমার চিকিৎসার খরচ দেয়।’
এমন আরেক সফল উদ্যোক্তা সাবিকুন্নাহার। রূপগঞ্জের জাঙ্গীর গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাঁচে মোমের দ্রবণ ঢালছেন। সাবিকুন্নাহারও ব্র্যাকের এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। গরমকালে আয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়, বলেন সাবিকুন্নাহার।
সাবিকুন্নাহার সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে গৃহনির্যাতন বন্ধে ঘরে ঘরে প্রচারণা ও পরিবারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পাশাপাশি তিনি গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। ব্র্যাকের এক গবেষণা জরিপে দেখা যায়, দরিদ্র নারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতামূলক কাজে সম্পৃক্ত করলে আয় দ্বিগুণ হয়। ২০১৪ সালে প্রশিক্ষিত নারীদের আয়মূলক কর্মকাণ্ড ছিল ৩২ শতাংশ। ২০১৫ সালে তাঁদের এ আয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬২ শতাংশে। ১ হাজার ৪০০ নারীর ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
এ গবেষণায় আরও দেখা যায়, অর্থনৈতিক সক্ষমতার পাশাপাশি তাঁদের সিদ্ধান্তগ্রহণ ও সংসার পরিচালনায়ও দক্ষতা বাড়ে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ার কারণে সমাজে তাঁদের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।
আরেক নারী উদ্যোক্তা কাকলী আক্তার। তিনি ওড়নায় কারচুপির কাজ করেন। ২৭ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর স্বামী সুতায় রং করছেন। কাকলীর স্বামী বলেন, আগে অন্য কাজ করতাম। আয় বেশি হওয়ায় দুজনেই এখন এ কাজ করি। কাকলী সফল উদ্যোক্তা হিসেবে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন।
তবে গ্রামের নারীদের এ কাজ করতে গিয়ে কম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। পরিবারই ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। প্রশিক্ষণ নিতে দিতেই রাজি ছিল না অনেক পরিবার। তখন সেই পরিবারের শাশুড়িকে প্রশিক্ষণে যুক্ত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের কর্মসূচি সমন্বয়কারী খালেদা খানম বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের জন্য দরকার আত্মবিশ্বাস ও জেন্ডার-বিষয়ক সচেতনতা। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যেমন অনেক নারী অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। আবার পেয়েছেন সামাজিক মর্যাদা। পাশাপাশি, তাঁরা অন্য নারীদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছেন। প্রকল্পের আওতায় নারীদের বাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক) সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁদের ঋণ নেওয়া, কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ সহজ হয়েছে।

 

দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক ধরে রাখার কৌশল

লিপস্টিক এর ব্যবহার যথার্থ হতে হবে। আপনার ত্বক, পোশাক, ব্যক্তিত্ব, দিনের সময়, চেহারা এই সবকিছু মাথায় রেখেই লিপস্টিক বেছে নিতে হবে। তবে অনেকেরই অভিযোগ হচ্ছে ঠোঁটে বেশিক্ষণ লিপস্টিক থাকেনা। আর একারণে বারবার লিপস্টিক ব্যবহার করতে হয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তাই চলুন জেনে নেই দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক ধরে রাখার উপায়।

প্রথমে লিপস্টিক লাগান। তার ওপরে পাউডার দিন। এবার হালকা করে টিস্যু পেপার দিয়ে দুই ঠোটেঁর মাঝে চাপা দিন।

যে লিপস্টিকই লাগান না কেন সরাসরি কখনো ঠোটেঁর ওপর লাগাবেন না। লিপব্রাশ দিয়ে হালকা ভাবে লাগাবেন।

লিপস্টিক লাগানোর আগে জিভ দিয়ে ঠোঁট সামান্য ভিজেয়ে নেবেন। লিপস্টিক ডানদিক থেকে বামদিকে লাগাবেন। ঠোটেঁর কোণের জন্য সামান্য ফাঁক রাখবেন।

যাদের ঠোঁট মোটা তারা লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের বাইরের অংশ কিছুটা ছেড়ে এঁকে নিন।

লিপ পেন্সিল লাইনারের বাইরের অংশ কভার স্টিক ফাউন্ডেশন ও পাউডার দিয়ে ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে দিনভর রাখতে পারেন। এরপর লিপ লাইন দিয়ে আঁকা ঠোঁটের ভেতরের অংশ ভরে দিন পছন্দসই বা মানানসই লিপস্টিক দিয়ে।

পাতলা ঠোঁট যাদের তারা ঠিক ঠোঁটের বর্ডার ধরে ভিতরটা রঙ করুন। যদি লিপস্টিক বর্ডার ছাপিয়ে বেরিয়েও যায় খুব একটা খারাপ লাগবে না।

 

ঘরেই গোলাপজল তৈরি করবেন যেভাবে

রূপচর্চায় গোলাপজলের ব্যবহার বেশ পুরানো। সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য রূপচর্চার অনন্য উপাদান হিসেবে নারীরা এর ওপর আস্থা রেখে আসছেন। তবে বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন। আর তার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। চলুন তবে শিখে নেই।

উপকরণ : গোলাপ ফুলের পাঁপড়ি, তাপ নিরোধোক কাঁচের পাত্র (ঢাকনা সহ), ঝর্ণার পানি (মিনারেল ওয়াটার হলেও হবে), ছাঁকনি।

প্রণালি : গোলাপের পাঁপড়ি নিন। নিজের বাগানের গোলাপ হলে সবচেয়ে ভালো, যদি না থাকে তবে দোকান থেকে কিনে নিতে হবে। কেনা গোলাপের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলোতে কেমিকেল না থাকে, তাই ভালো করে ধুয়ে নেবেন। গোলাপ ফুল থেকে পাঁপড়ি আলাদা করে এক কাপ পরিমাণের মতো নিন ও কাঁচের পাত্রটিতে রাখুন। এবার ২ কাপ পানি সেদ্ধ করুন এবং ঐ গরম পানি পাঁপড়ি সহ কাঁচের পাত্রটিতে ঢেলে দিন। ঢাকনা দিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর অন্য একটি পাত্রে ছাঁকনির সাহায্যে গোলাপের পাঁপড়িগুলো থেকে পানি আলাদা করে ফেলুন। সব শেষে বোতল ভরে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করুন।

এই গোলাপজলে কোনো প্রিজারভেটিভ নেই, তাই এটি সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মতো ভালো থাকবে, এক সপ্তাহ পর অবশিষ্ট গোলাপ জল ফেলে দিয়ে নতুন করে তৈরি করতে হবে।

 

ইলিশ মাছের সুস্বাদু কাটলেট

বাঙালির ভোজনবিলাসে ইলিশ না হলে যেন চলেই না। একই ইলিশের হাজার রকমের রান্না। সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের কাটলেট রেসিপি।

উপকরণ : ৪-৫ টুকরো ইলিশ মাছ, ৪ চা চামচ বেসন, ৫ টুকরা পাউরুটি দিয়ে তৈরি ব্রেড ক্রাম্বস, ১ কাপ তেল, ১টি মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ কুচি, ১ চা চামচ আদা রসুনের পেস্ট, ১/২ লেবুর রস, ২টি কাঁচা মরিচ কুচি, ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, লবণ স্বাদমতো, ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, ৫ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার।

প্রণালি : মাছ পানি এবং ভিনেগার দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার দিয়ে ধুলে মাছের গন্ধ দূর হয়ে যাবে। এবার মাছের টুকরোগুলো সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করা মাছগুলোর কাঁটা বেছে নিন। এবার মাছের সাথে বেসন, ধনে পাতা কুচি, আদা রসুনের পেস্ট, কাঁচা মরিচ, লাল মরিচের গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে লেবুর রস এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যানে তেল গরম করতে দিন। মাছের মিশ্রণটি নিজের পছন্দমতো সাইজ করে প্রথমে ব্রেড ক্রাম্বস, তারপর কর্ণ ফ্লাওয়ার মেশানো পানিতে এবং আবার ব্রেড ক্রাম্বসে চুবিয়ে তেলে দিয়ে দিন। সোনালি রং হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন। টমেটো সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফিশ কাটলেট।

 

অকালেই বৃদ্ধ করে যেসব খাবার

বয়স ধরে রাখার প্রচেষ্টা থাকে সবার। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চেহারায়ও তার ছাপ পড়ে। তবে এমনকিছু খাবার আছে যা খেলে বয়সের আগেই বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এবং সেসব খাবার কম খেলে অথবা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলেই অকালেই বুড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। চলুন জেনে নেই।

অকাল বার্ধক্যের পিছনে মিষ্টির ভূমিকা আছে। বাড়তি মিষ্টি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রডাক্ট তৈরি করে। এই গ্লাইকেশনের কারণেই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে।

বার্ধক্যের ব্যাপারে কফির ভূমিকা সকলেরই জানা। কফি ত্বকের অনেক রকম ক্ষতি করে। শরীরের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। শরীর রুক্ষ, শুষ্ক করে তোলে। অল্প বয়সেই দেখা দিতে থাকে বলিরেখা।

ভাত ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। ভাত ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে। চামড়া খুব তাড়াতাড়ি ঝুলতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেখা মেলে বলিরেখারও।

অনেকেই পাতের এক পাশে কাঁচা লবণ নিয়ে খেতে বসেন। রান্নাতেও অতিরিক্ত লবণ খান। এর ফলে শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায়। সেই পানি জমতে থাকে শরীরে। শরীর ফুলে যায়। দেখা দেয় বার্ধক্য।

লাবণ্য ধরে রাখতে রেড ওয়াইন যতটা ভালো, হোয়াইট ওয়াইন ততটাই খারাপ। ত্বক ক্ষতির পাশাপাশি হোয়াইট ওয়াইন দাঁতেরও ক্ষতি করে। হলদে করে দেয় দাঁত। তারপরই নড়বড় করতে শুরু করে।

অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। এবং সেই ক্ষতি ছাপ ফেলতে শুরু করে ত্বকে। মদের কারণে মুখে দেখা দিতে থাকে ব্রণ, ফুসকুড়ি। অকালে মাথা থেকে গুচ্ছগুচ্ছ চুল ঝরতে শুরু করে।

 

গ্রামীণ প্রেমের গল্পে জোভান-সাফা (ভিডিও)

জোভান-সাফা কবিরকে সবসময় শহুরে সাজে পাওয়া যায়। এবারই প্রথমবার তাদের পাওয়া গেল গ্রামীণ সাজে। তবে সেটা বাস্তবে নয়, ‘অক্ষর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। এটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ, গল্প ও চিত্রনাট্য তারই।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি গান ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। গানটির শিরোনাম ‘এই যে আমি’। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহামুদ হায়েৎ অর্পণ ও নাফিজা জাহান। সংগীত পরিচালনা করেছেন মাহামুদ হায়েৎ অর্পণ।

জোভান বলেন, ‘এই  প্রথমবার সাফার সঙ্গে স্বল্পদৈর্ঘ্যে জুটি বেঁধে স্বল্পদৈর্ঘ্যে কাজ করেছি। তাছাড়া ভিকি’র নির্মাণে এরআগে ‘মায়া’, ‘মোমেন্টস’এ কাজ করেছি। সেগুলো আমার ক্যারিয়ারের বিরাট সাফল্য বলা যায়। আশা করছি এই কাজটিও তেমন সাফল্য বয়ে আনবে।’

‘‘অক্ষর’ নাম শুনলেই বোঝা যাচ্ছে এখানে ভাষা সংক্রান্ত একটা ব্যাপার আছে। তবে শুধু ভাষা নয়, ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উভয়কেই উপজীব্য করে ‘অক্ষরে’র গল্প সাজানো হয়েছে। ‘অক্ষর’ হচ্ছে বিশুদ্ধ আবেগের গল্প। যে আবেগ মানুষকে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে প্রিয়জনকে জয় করার সাহস সঞ্চারণ করে’’, বললেন ভিকি জাহেদ।

জোভান-সাফা কবির ছাড়াও এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন তাহসিন অহনা। নির্মাতা ভিকি জানান, শিগগির অক্ষর স্বল্পদৈর্ঘ্যটি চলচ্চিত্রটি প্রকাশ করা হবে। আহমেদ প্রডাকশনস এর ব্যানারে শর্টফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন তাসনিয়া আতিক এবং সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছেন মিনহাজ আহমেদ।

 

অবৈধ কাজের আবেদন থেকে হেফাজত থাকার দোয়া

মানুষ অনেক বিষয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে। এমন অনেক দোয়া করে যে কাজ করা বৈধ নয়। যেমন- নিরাপদে চুরি বা ডাকাতি সম্পন্ন করার জন্য দোয়া, মানুষের সঙ্গে প্রতারণার নিয়তে কোনো কাজ করার শুরুতে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া ইত্যাদি।

এ ধরনের অন্যায় কাজ বা অন্যায় করে ফেললে তা থেকে মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা করে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক।

হজরত নুহ আলাইহিস সালামের ছেলে (কেনান) যখন তাঁর অবাধ্য হয়ে প্লাবনের সময় নৌকায় আরোহন করেনি। তখন প্লাবনের ঢেউ তাকে ডুবিয়ে দিলো।

হজরত নুহ আলাইহিস সালাম আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ! আমার পুত্রতো আমার পরিবারভূক্ত। তখন আল্লাহ বলেন, ‘নুহ যে তোমার কথা শোনে না, সে তোমার পরিবারভূক্ত নয়।

তখন নুহ আলাইহিস সালাম নিজের আবদার বা দোয়া যে সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি তা বুঝতে পেরে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়াটি কুরআনের কারিমে তুলে ধরেছেন। এ ধরনের কোনো অন্যায় করে ফেললে উক্ত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করা জরুরি। যা তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি আউজুবিকা আন্ আস্আলাকা মা-লাইসা লি বিহি ইলমুন; ওয়া ইল্লা তাগফিরলি ওয়া তারহামনি আকুম মিনাল খাসিরিন। (সুরা হুদ : আয়াত ৪৭)

অর্থ : হে প্রভু! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো, দয়া না করো তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরর্ভূক্ত হয়ে যাবো।

কুরআনের এ আয়াতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এবং কার্যকরী দোয়া। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে সব অবৈধ চাওয়া-পাওয়ার পাপ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

 

ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখার উপায়

দিনশেষে প্রিয় ঘরটিই আমাদের প্রশান্তির জায়গা। সারাদিন যত ব্যস্ততাই থাকুক, সবাই চাই নিজের ঘরে একটু স্বস্তির দেখা পেতে। কিন্তু সেই ঘরটিই যদি হয় অপরিষ্কার কিংবা ঘরের এখানে সেখানে যদি ধুলোবালি জমে থাকে, আপনার নিশ্চয়ই ঘরে থাকতে মন চাইবে না। আর প্রশান্তির দেখাও মিলবে না। এসময় বাতাসের প্রচুর ধুলোবালি ঘরে ঢুকে সবকিছু ময়লা করে ফেলে। তাই চলুন জেনে নেই কীভাবে প্রিয় ঘরটিকে ধুলোবালিমুক্ত রাখা যায়।

পরিষ্কার করে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকে না। ধুলোবালি আমাদের নিত্য সঙ্গী। ধুলোবালি কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে চায় না। আসুন ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার কতগুলো উপায় জেনে নিই।

ঘর পরিষ্কার রাখতে সবসময় ঘরের দরজা না খুলে রাখাই ভালো। বিশেষ করে আপনার ঘরটি যদি নিচতলায় হয়, বিনা কারণে দরজা খোলা রাখবেন না। কারণ যত বেশি সময় ধরে দরজা খোলা রাখবেন, ঘরে ততই বাইরের ধুলো-ময়লা এসে ঢুকবে। ঘরে মোটা পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে ধুলোবালি প্রতিরোধ করার জন্য। শুধু দরজাতেই নয়, জানালাতেও পর্দা ব্যবহার করলে একই সাথে যেমন ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন হবে তেমনি ধুলোবালি থেকে ঘরকে রক্ষাও করা যাবে।

ঘর সাজানোর জন্য যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোতে জমতে পারে ধুলো-ময়লা। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

ঘর মোছার কাপড়টি ভেজাতে হবে ডেটল কিংবা স্যাভলনযুক্ত পানিতে। এতে ঘরের মেঝে পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি জীবাণুমুক্তও হবে। ঘরে যদি কার্পেট থাকে তবে সেই কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেট পরিষ্কারের জন্য ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করলে ধুলো-ময়লা জমার সুযোগ পাবে না।

আসবাবপত্রে যেসব ধুলোবালি জমে সেগুলো অনেকেই ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে থাকেন, যেটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ভেজা কাপড় দিয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে গেলে সেগুলোর রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এমন কিছু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যাতে রঙের কোনো ক্ষতি না হয়। সেজন্যে মোরগের পালকের তৈরি ঝাড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে শক না লাগে। কারণ ধুলো-ময়লা জমে থাকা কোনো কোনো অংশ পরিষ্কার করতে গিয়ে ছিদ্র হয়ে থাকা তারের উপর হাত পড়তেই পারে।

 

ইলিশ মাছের কোফতা কারি

বাঙালির ভোজনবিলাসে ইলিশ না হলে যেন চলেই না। একই ইলিশের হাজার রকমের রান্না। সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের কোফতা রেসিপি।

উপকরণ :
১. ইলিশ মাছের পেটির অংশ ৪ টুকরা, হলুদ আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, আদা-রসুন বাটা আধা চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

২. আলু সিদ্ধ ৩টি, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা মিলিয়ে ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪টি, সরিষার তেল সিকি কাপ, ধনেপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ।

প্রণালি :
ইলিশ মাছ ধুয়ে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। ১ নম্বর ধাপের সব উপকরণের সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে মাছ সিদ্ধ করে নিন। এবার সিদ্ধ মাছের কাঁটা বেছে নিন। আলু সিদ্ধ করে ভালো করে কচলে নিন। এখন সব বেছে রাখা মাছ মিশিয়ে গোল গোল করে বল বানান। তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে ভাজুন। লালচে হলে তাতে আদা-রসুন বাটা ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মোট দুইবার কষিয়ে ভেজে রাখা কোফতা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। ধনেপাতা কুচি ও সবুজ মরিচ ফালি দিয়ে ২ মিনিট রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

রিমুভার ছাড়াই মেকআপ তোলার উপায়

উৎসব-আনন্দে সাজগোজ করাটা নারীর প্রিয় কাজ। আর এই সাজগোজ করতে গিয়ে নিজেকে একটু অনন্য উপায়ে তুলে ধরার জন্য মেকআপ করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু দিনশেষে সেই মেকআপ তুলে ফেলতে হয়। নয়তো ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবসময় হাতের কাছে মেকআপ রিমুভার নাও থাকতে পারে। এ অবস্থায় মেকআপ তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন আপনার হাতের কাছেই থাকে এমনি কিছু জিনিস দিয়ে। চলুন জেনে নিই।

খুব দ্রুত মেকআপ তোলার জন্য সারা মুখে আপনার প্রিয় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম অথবা লোশন মেখে নিন। এবার টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন সেটা। কয়েক সেকেন্ডেই মেকআপ উঠে আসবে।

মেকআপ তোলার জন্য দুধ ব্যবহার করা যায়। অল্প একটু দুধের সাথে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল। ব্যাস, একটা কটন বল দিয়ে এটাকে মুখে মাসাজ করে নিন। এরপর মুখ ধিয়ে নিলেই দেখবেন সব মেকআপ উঠে আসছে।

মেকআপ রিমুভার হিসেবেও নারিকেল তেল দারুণ। বেশ কিছুটা নারিকেল তেল মুখে মেখে নিন, মেকআপ গলে উঠে আসবে। এটা ওয়াটারপ্রুফ মাসকারার মতো কঠিন মেকআপ তুলতেও সহায়ক। এটা আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার কাজটাও করে থাকে। বেবি অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন একইভাবে।

শিশুর ডায়াপার পাল্টানোর সময়ে যে বেবি ওয়াইপ ব্যবহার করা হয় সেগুলোই আপনার মেকআপ তোলার জন্য কাজে আসবে। মেকআপ রিমুভার ওয়াইপও পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

 

খুসখুসে কাশি সারানোর উপায়

সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। একটানা খুসখুসে কাশি বিরক্তিকর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। একটু সচেতন হলে ওষুধ না খেয়েও এই খুসখুসে কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।

আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকরভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে যাবে।

এক কাপ পানিতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং মৌরি দিয়ে হারবাল চা বানিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে  চায়ের মতো দিনে দুইবার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিন ১-৩ বার  এক টেবিল চামুচ করে বিশুদ্ধ মধু গ্রহণ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

এক চা চামচ করে হলুদে এবং গোলমরিচের গুঁড়ো আধকাপ পানিতে জ্বাল দিন। কিছুক্ষণ পরে এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এ চা পান করুন।

রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামুচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।

 

শুভ বসন্ত

বছর ঘুরে আবারও ফাগুনের দেখা। ছয় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রং-তুলির আঁচরে শেষ হওয়া নয়। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতি প্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত নেই।

আজ পহেলা ফাল্গুন। প্রকৃতি সাজবে তার নতুর রূপে। গাছে গাছে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজস্ব রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে। বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিন-ক্ষণ গুনে গুনে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি।

কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।

বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও। তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়ে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চাইবে। অপরদিকে বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণেরা নিজেকে প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির মন কাড়তে চাইবে। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা।

বসন্ত উৎসব বলি আর বরণই বলি, এটি মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি-মানুষের সঙ্গে। শ্যামল বাংলার গাছ গাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও।

তবে বসন্ত উৎসব আজ গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিনভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোপা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসবে খাবারের মেলা। এ দিন দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না।

বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।

 

ক্ষমতাশীল ৬ নারীর ক্যারিয়ার পরামর্শ

নারীদের ক্যারিয়ার গড়া পুরুষের মতো সহজ হয়নি এখনো। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনে উদাহরণ হয়ে রয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোক্তা কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন নারী, যারা নিজের যোগ্যতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজেদের সাম্রাজ্য। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকজন নারীর পরামর্শ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
নিজে যা জানেন না, তা জেনে নিন
জেসিকা অ্যালবা জেসিকা অ্যালবা দ্য অনেস্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ক্রিয়েটিভ অফিসার। তিনি বলেন, ‘আপনার চারপাশে এমন সব মানুষদের একত্রিত করুন, যারা আপনার চেয়ে স্মার্ট। আপনার কখনোই কক্ষের সবচেয়ে স্মার্ট ব্যক্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং যদি তা হয়ে যান তাহলে চিন্তার বিষয়।’
কাজের প্রতি আকর্ষণ
মেগ হুইটম্যান বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপির সিইও মেগ হুইটম্যান। তিনি সম্প্রতি বলেন, ‘আমি আমার মায়ের কথার পুনরাবৃত্তি করতে পারি। তিনি বলেন, কাজের প্রতি আকর্ষণ থাকতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, হকি ও বাস্কেটবল কোচরা যেমন বলেন, আপনি যে শটটি নেননি তার মিস হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এ কারণে সাহস করে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে।
নেতৃত্ব হলো গ্রহণ করার ক্ষমতা
অ্যান ফিনুক্যান ব্যাংক অব আমেরিকার ভাইস চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল চিফ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার অ্যান ফিনুক্যান। তিনি ডারউইনের একটি প্রসঙ্গ টেনে নেতৃত্বকে গ্রহণ করার ক্ষমতা হিসেবেই তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ডারউইন বলেছিলেন, যারা টিকে থাকে তারা সবচেয়ে শক্তিশালী কিংবা সবচেয়ে বুদ্ধিমান নয়, এটা তারাই যারা পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারে। আমার মনে হয় আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এটি চিন্তা করেছিলাম যে আমি কখনোই সবচেয়ে শক্তিশালী কিংবা সবচেয়ে উজ্জ্বল হবো না। এক্ষেত্রে পরিবর্তন গ্রহণ করে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার অর্থ এই নয় যে, আপনার মূল্যবোধ নষ্ট করতে হবে। কিন্তু এটা আপনার চারপাশের পরিবেশ পরিবর্তন ও তা গ্রহণ করার বিষয়।’
সুযোগের জন্য প্রস্তুত থাকুন
ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্রেট নেত্রী ও মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্য ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেন, ‘প্রস্তুত থাকুন। শুধু প্রস্তুত থাকুন। আপনার হয়ত জানা নেই, কোনো সুযোগ অপেক্ষা করছে আপনার সামনে।’ তিনি জানান, তিনি কখনোই কংগ্রেসের জন্য দৌড়াননি। তিনি নেতৃত্বের জন্যও এগোননি। অন্যরাই তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
নিজের সঙ্গে সত্যবাদী
অ্যাঞ্জেলা অ্যারেন্ডটস বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অনলাইন স্টোরের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা অ্যারেন্ডটস। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, নিজের প্রতি সত্যবাদী থাকুন। আমাদের যা আছে তা নিয়েই আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। আপনার যা আছে তা দিয়েই যা করা সম্ভব করুন। নিজেকে জানুন আপনার নিজের মতো করে জীবনকে অনুভব করুন। জীবন নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কারণ আমার মনে হয় আমাদের সবারই এ বিষয়ে অপরাধবোধ রয়েছে।’
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে
গেইল কিংমিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও দ্য অপরাহ ম্যাগাজিনের একজন সম্পাদক গেইল কিং। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে রিল্যাক্স করতে বলি। সবকিছু নিজের মতো করে চলবে। আপনি যদি নিজের জীবনের দিকে দেখেন তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

 

প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলি হওয়ায় সৌদি নারী অ্যাথলেটের নাম প্রত্যাহার!

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জুডো প্রতিযোগির দ্বিতীয় রাউন্ডের ওই ম্যাচে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো ইসরাইলের প্রতিনিধি। তবে ইসরাইল ও সৌদির সংশ্লিষ্টদের দাবি, অন্য কারণে ফাহমি প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ফাহমির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য আবদুস সালাম হানিয়া ফাহমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার এ সিদ্ধান্ত নৈতিক অবস্থানের যথাযথ উপলব্ধি।

ইসরাইলের সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ফাহমি প্রথম রাউন্ডে মরিশাসের প্রতিযোগী ক্রিস্টাইন লেজেনটিলের বিরুদ্ধে জয়ী হলে পরবর্তী রাউন্ডে তাকে ইসরাইলি প্রতিযোগী গিলি কোহেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাদের দাবি, ইসরাইলকে এড়াতেই ফাহমি ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইসরাইলের এ দাবিকে নাকচ করে দিয়ে সৌদি অলিম্পিক ডেলিগেশন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা থেকে ফাহমির প্রত্যাহার ইনজুরির কারণে। অনুশীলন করার সময় ফাহমি আঘাত পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

সৌদি মেডিক্যাল টিম ফাহমিকে খেলায় অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও ওই টুইটে বলা হয়।

এদিকে সকল আরব ও মুসলিম ক্রীড়াবিদ ইসরাইলি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে। তারা মনে করছে, ইসরাইল একটি দখলদার রাষ্ট্র হওয়ায় এবং দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার অর্থ হচ্ছে ইসরাইলকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দান।

 

বেগম রোকেয়ার আদর্শ বনাম কথিত নারীবাদ

বেগম রোকেয়াকে বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বা বিশেষ করে মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত না বলে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলাই শ্রেয়।কারন তিনি বিশেষ কোন নারী জাতির কথা বলেননি।বরং তিনি পুরা নারীজাতির জাগরণের কথাই তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন।তিনি যেমন ভারতবর্ষের মুসলিম নারীদের দুর্বলতার কথা বলে গেছেন,তেমনি হিন্দু এবং পাশ্চাত্য সমাজের নারীদের দুর্বলতার কথাও বলে গেছেন।তিনি তার লেখায় পুরো নারী জাতির মানুষিক দাসত্বের কথাই তুলে ধরেছেন বেশি বেশি।তার লেখনির মুল কথা ছিল এই যে , নারী জাতিকে যে হাত, পা, নাক, কান চোখ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে যেন শুধু পুতুলের মত জীবন যাপন না করে, শুধু শুধু অনুর্বর না রেখে একে কাজে লাগানো হোক। অথচ আমাদের তথাকথিত নারীবাদী সমাজ বুঝল যে, শুধু পর্দা প্রথা ছিন্ন করে ঘরের বাইরে এসে স্বেচ্ছাচারিতা করে বেড়ালেই বেগম রোকেয়া হওয়া যায়!!
আমাদের এই নারীবাদী সমাজ তাকে শুধু পুরুষ বিদ্বেষী এবং ধর্ম বিদ্বেষী রুপেই উপস্থাপন করে রেখেছে।তার চিন্তা চেতনার মুল জায়গা থেকে তাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে রেখেছে।বেগম রোকেয়ার আদর্শের এই বিকৃত উপস্থাপনা এবং বর্তমান নারী সমাজের বেহায়াপনা দেখে কিছু মানুষ আবার বলে বসেন যে,নারীসমাজের এই যাবতীয় বেহায়াপনার নিমিত্তে যেই পাপ তা সব চাপবে এই  নারীর উপর যেহেতু তিনিই তাদেরকে এইভাবে ঘর থেকে বের করেছেন।

আমদের বর্তমান তথাকথিত নারীবাদী সমাজের মুল প্রতিমূর্তি হচ্ছে বয় কাট চুল,কপালে একটা বড় লাল অথবা কালো টিপ যা মুখটাকে গৌণ করে শুধু টিপটাকেই উপস্থাপন করে,স্লিভ্লেস ব্লাউজ আর গলায় ভর দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো!! যে যত বেশি এই রূপ ধারণ করতে পারবে সে তত বেশি নারিবাদি!!।অথচ তিনি যদি আজ এই নারী সমাজের মধ্যে আবির্ভূত হতেন, তাহলে নিশ্চয় সম্মার্জনী নিয়ে তাড়াতে তাড়াতে তাদের ঘরের মধ্যে ঢুকাতেন!!

এই অশ্লীল বেশধারিরা,এই স্বেচ্ছাচারী নারীরা বেগম রোকেয়ার কোন আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলেন তা বোধগম্য নয়। আজকের এই নারীবাদীরা যদি একটু ভালভাবে ওনার জীবন দর্শন করেন তাহলে নিশ্ছিতরূপেই দেখবেন যে,এই বেগম রোকেয়াই তাদের তথাকথিত প্রগতির চরম অন্তরায়।
আজকের নারীরা মনে করেন যে “পুরুষের সমান অধিকারই অর্থাৎ পুরুষকে যা দেয়া হচ্ছে নারিকেও তাই দেয়া হোক” এই মতবাদ প্রতিষ্ঠাই তার মুল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তিনি বলতেন যে,পুরুষের মাথার শিরস্ত্রাণ তৈরি করতে যতখানি যত্ন ও অর্থ ব্যয় করা হয়, নারীর মাথা ঠাকার ওড়না তৈরিতেও ততখানি যত্ন ও অর্থ ব্যয় করা হক। একটা ছেলের শিক্ষা দিক্ষার জন্য যতখানি অর্থ ব্যয় করা হয়,একজন নারীর জন্যও যেন ততখানিই করা হয়।একটা পুরুষকে কোন কাজের জন্য যতটুকু মজুরি দেয়া হয় নারীকেও তাই দেয়া হোক। একটা নারীর সালোয়ার কামিজ পুরুষকে পরিয়ে বা একটা পুরুষের প্যান্ট শার্ট নারীকে পরিয়ে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা নয়।যার যেখানে যততুকু প্রাপ্য তাকে তত্তটুকু দেয়াই সমানাধিকার। তিনি মনে করতেন যে শুধু ঘরের বাইরে চাকুরি করার জন্য না ,একজন সুগৃহিনী হবার জন্যও একটা নারীর সুশিক্ষা দরকার,একজন সুমাতা হবার জন্যও তাদের সুশিক্ষা দরকার।কারন একটা সন্তান মায়ের জ্ঞান বুদ্ধির অধিকারী হয়ে থাকে অনেকটা।আর তিনি শুধু চাকুরি লাভের জন্য শিক্ষা অর্জনের খুবই পরিপন্থি ছিলেন।

নারীদের স্বাধীনভাবে পেশা গ্রহনের ব্যাপারে তিনি বলেছেন যে নারীরাও জজ,ব্যারিস্টার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সবই হতে পারে।যে পরিশ্রম দ্বারা নারীরা ঘরে কাজ করে সেই পরিশ্রম দ্বারা নারী স্বাধীনভাবে ব্যাবসাও তো করতে পারে।কিন্তু তিনি বলেছেন যে,”কৃষক প্রজা থাকতে জমিদার কেন কাঁধে লাঙ্গল নিতে যাবেন”। অর্থাৎ যেই কাজ করার জন্য যথেষ্ট পুরুষ লোকবল আছে কেন সেই একই কাজ মেয়েরাও কেন করতে যাবে!!জগত সংসারটা হচ্ছে একটা জয়েন্ট ভেঞ্চার।সবাই এখানে একই কাজে পড়ে থাকলে কি এই জয়েন্ট ভেঞ্চার সাকসেস্ফুল হবে !! ডাক্তার বা টিচার হওয়া খুব মহৎ পেশা বলে সবাই যদি বলে যে, সবাই এই মহৎ পেশা গ্রহণ করবে তাহলে খাবার উৎপাদনই বা করবে কে,পরনের কাপড়ই বা বানাবে কে,ডাক্তারের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা তৈরি করবে কে!! আবার ডাক্তারকে দিয়ে যেমন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ হবে না তেমনি ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়েও ডাক্তারের কাজ হবে না।তেমনি নারীদের ব্যাপারেও তিনি একই মত পোষণ করতেন।নারীর কাজ পুরুষকে দিয়ে হবে না আর পুরুষের কাজও নারীকে দিয়ে হবে না।

 

মুসলিম নারীদের পর্দার ব্যাপারে তার মতামত ছিল এইরকম যে,”ধর্ম বন্ধন ছিন্ন করে আমি তাদের ঘরের বাইরে আনতে চাই না”।আসলে তিনি শুধু মুসলিম না,কোন ধর্মের নারীদেরই তিনি তাদের ধর্ম ত্যাগের ব্যাপারে অতি উতসাহিত করে কথা বলেননি। আমাদের বর্তমান নারীবাদীরা যেই ইসলামে নারী অধিকাররের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার,বেগম রোকেয়া কিন্তু ইসলামে নারীদের যেই অধিকার দেয়া হয়েছে সেটার সাথে বর্তমান নারী অধিকারের বৈপরীত্য দেখে খুবই মর্মাহত হতেন। মহানবী (সাঃ) ফাতিমাকে যেই আদর সোহাগ করতেন তা ভেবে তিনি জাতির কাছে প্রশ্ন করেন যে,”যদি ধরমগুরু মহানবী (সাঃ) জিজ্ঞাসা করেন যে তোমার কন্যার সাথে কিরুপ ব্যাবহার করেছিলে??তাহলে কি উত্তর দিবে?”।তিনি ইসলামকে কখনই নারী অধিকারের পরিপন্থি করে দেখেননি যেভাবে বর্তমানের নারীবাদীরা দেখে থাকেন।

 

স্মোকড ইলিশ তৈরির রেসিপি

ইলিশের সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। তার মধ্যে ব্যতিক্রম একটি রান্না স্মোকড ইলিশ। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে স্মোকড ইলিশ রান্নার রেসিপি।

উপকরণ : ইলিশ মাছ দেড় কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা আধা টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, ফিস সস আড়াই চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, সিরকা বা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লেমন রাইন্ড ১ চা-চামচ, আটা পরিমাণমতো।

প্রণালি : মাছের আঁশ ফেলে পেট পরিষ্কার করে ভালো করে ধুয়ে নিন। মাছ আস্ত থাকবে। মাছ সহজভাবে বসবে এমন একটি হাঁড়ি মাপমতো ঢাকনাসহ নিন। হাঁড়িতে মাছ বিছিয়ে আটা বাদে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে মেরিনেট করুন। ১৫ মিনিট পর মাছ ডুবিয়ে হাঁড়িতে পানি দিন। ঢেকে আটা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দিন। যেন ভেতরের বাষ্প কোনোক্রমেই বের হতে না পারে। এক ঘণ্টা মাঝারি আঁচে রেখে আঁচ একেবারে কমিয়ে চুলায় রাখুন। ছয়-সাত ঘণ্টা পর চুলা বন্ধ করে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর সাবধানে পরিবেশন পাত্রে মাছটি উঠিয়ে কোনাকুনি করে রাখুন। মাছ যেন ভেঙে না যায়। একপাশে লেটুস ও অন্য পাশে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। স্মোকড ইলিশের কাঁটা গলে যাবে। হাঁড়িতে যে গ্রেভি থাকবে, তা চুলায় দিয়ে ঘন করে মাছের ওপর ঢেলে দিতে হবে।

 

ফ্যাশনে বাহারি কোটি

ফ্যাশনের দিক থেকে মানুষ পছন্দ করে নতুনত্ব। কতটা নতুনভাবে নিজেকে সাজানো যায়। নিজেকে বাহ্যিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য করে সবার কাছে তুলে ধরা যায়। ফ্যাশনের নিজস্ব কোনো ভাষা নেই। আপনি ফ্যাশনকে যেভাবে ধারণ করবেন, সে আপনাকে সেভাবেই ফুটিয়ে তুলবে। ফ্যাশনের এই যোগসূত্রে বর্তমানে কোটি রয়েছে মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে।

ফোরটাচ, লং স্লিভ, আনারকলি অথবা সিম্পল কামিজের সাথেও ব্যবহার করা হচ্ছে কোটি।  তবে টিনএজ বয়সী মেয়েদের মধ্যে কোটির ব্যবহার বেশি। কোটির ডিজাইনে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। সামনে কাটা পুরনো ডিজাইনের কোটি যেমন রয়েছে তেমনি টিউনিকের মতো ডিজাইনও করা হচ্ছে। এগুলোতে সাধারণ এক সাথে দুটো জামা দিয়ে ডিজাইন করা হয়।

অন্যদিকে শর্ট কামিজের মতো ডিজাইন দিয়েও কোটি করা হচ্ছে, এই কোটিগুলো শাড়ির সাথে বেশি পরতে দেখা যাচ্ছে। কোটির লেন্থেও রয়েছে বৈচিত্র্য। কখনো মাঝারি, কখনো ছোট আবার কখনো লম্বা লেন্থে কোটি বা টিউনিকের ডিজাইন করতে দেখা যাচ্ছে। কখনো জামার সাথেই যুক্ত করে কোটির ব্যবহার করা হয়েছে।

কোটিগুলোতে কালার কন্ট্রাস্ট বেশ উল্লেখযোগ্য। সিঙ্গেল কালার কোটিতে বিভিন্ন কন্ট্রাস্ট কালারের পাড় ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোটিতে জারদৌসি বা জরির কাজও দেখা যাচ্ছে। আবার কোনোটিতে সিম্পল লেস দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। ব্রাশ পেইন্ট ও ব্লকের ব্যবহারও উল্লেখ করার মতো।

তাছাড়া ফ্যাশনে কোটি এখন বেশ জনপ্রিয়। শর্ট কামিজ, ফ্রক, ডিজাইন করা জামা বা লং স্কার্টের সাথে কোটি পরলে বেশ স্মার্ট দেখায়, স্বাচ্ছন্দ্য লাগে। কোটি আবার আমাদের ফ্যাশনে নতুন অবয়বে ফিরে এসেছে। শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদের মধ্যেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

 

উৎসবে চাই চুড়ি

সাজতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আয়নায় নিজেকে দীর্ঘ সময় দেখে নানাভাবে সাজিয়ে পছন্দের মানুষের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার আনন্দই অন্যরকম। সব কাজ একপাশে রেখে মানুষ তার সৌন্দর্যকে সাজের মাধ্যমে বাইরে নিয়ে আসে শুধুমাত্র প্রিয় মানুষটির চোখে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে। আর এই প্রিয় মানুষটির চোখে নিজেকে প্রিয়ার রূপে দেখতে সব মেয়েই ভালোবাসে। ফাল্গুনের আগমনকে আনন্দের সাথে বরণ করতে চলছে নানা প্রস্তুতি। কখনো শাড়ির সাথে টিপ, আবার কখনো মিলিয়ে খোঁপার ফুল আর তার সাথে চুড়ি।

চুড়ির ক্ষেত্রে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় থাকে কাঁচের চুড়ি। একরঙা কাঁচের চুড়ি কিংবা কয়েকটি রঙ মিলিয়ে হাত ভর্তি চুড়ি পরা। শাড়ির রঙ হোক কমলা কিংবা সবুজ কিংবা হলুদ চুড়ি কেউ পরে একরঙা আবার বাহারি রঙে রাঙায় হাত। এই চুড়িতে থাকে পুঁতির কাজ, স্টোনের কাজ আবার বিভিন্ন ধাতুর কাজ। চুড়ির ক্ষেত্রেও আছে ভিন্নতা। কাঁচের চুড়ির পাশাপাশি আছে কাঠের চুড়ি, স্টোনের চুড়ি, পুঁতির চুড়ি। তবে সবচেয়ে প্রাধান্য পায় হাতভর্তি একরঙা কাঁচের চুড়ি।

কাপড়ের তৈরি চুড়িও আছে। এই চুড়ির চাহিদাও আছে অনেক। এই চুড়িতে আছে লাল, সবুজ, নীল, হলুদ, কমলাসহ নানা রঙের ডিজাইন। কাঠের চুড়িতে আছে কাঠের খোঁদাই করা নানা কাজ। এছাড়া আছে রেশমি চুড়ি। এই রেশমি চুড়িতেও হাত সাজায় যে যার মনের মতো করে। এটি মূলত কাঁচ দিয়ে তৈরি চুড়ি। এছাড়া আসে দেবদাস চুড়ি। এই চুড়ির কদরও অনেক। এক সেটে ৪০ টি চুড়ি থাকে। ইদানিং আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বাহারি নকশা করা মাটি ও অন্যান্য আনঅর্থডক্স ম্যাটেরিয়ালের চুড়ি পাওয়া যাচ্ছে।

কোথায় পাবেন
চকবাজার, নিউমার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্ক, গ্রামীন চেক, বিবিয়ানা সহ আপনার আশেপাশে একটু দেখলে পেয়ে যাবেন আপনার মনের মতো চুড়ি।

দাম
রেশমি চুড়ি আপনি পাবেন ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। দেবদাস চুড়ি পাবেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া স্টোনের কাজ করা চুড়ি আপনি পাবেন ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। বৈশাখি চুড়ি পাবেন ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

 

কেমন হবে বইয়ের তাক

বই মানুষের সব সময়ের বন্ধু। আর এই বন্ধুকে খুব যত্নে রাখাও আপনার দায়িত্বের কাজ। আপনার কর্তব্য তাকে ভালো জায়গায় রাখা। আপনি যে জ্ঞান তার থেকে ধারণ করেছেন তা ঠিক মতো প্রকাশ করা। একটি বই হতে পারে আপনার সারা জীবনের বন্ধু আর বাড়াতে পারে আপনার ঘরের সৌন্দর্য। তাই নান্দনিকতার আলোকে আপনার ঘরে থাকা বইয়ের তাকটি হওয়া চাই  ঠিক আপনার মনের মতো।

ছোট বাড়ি  হলে
এরকম বাড়িতে দেয়ালই শেষ ভরসা। তবে বর্তমানে রেডিমেড বইয়ের তাক পাওয়া যায়। যা আপনি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে আপনি যদি মনের মতো করে বইয়ের তাক বানাতে চান তবে কারিগরের সাহায্য নিয়ে ডিজাইন করে নিতে পারেন। এছাড়া বাড়ির সিড়ির অপরদিকে কিংবা সিড়ির ফাঁকা জায়গাটিও আপনি আপনার বই রাখার তাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

হাতের কাছে রাখুন
খুব উঁচু করে কিংবা খুব নিচু জায়গা বইয়ের তাক বানানো কিংবা রাখার জন্য নির্বাচন করবেন না। আর অবশ্যই খেয়াল রাখুন যাতে আপনি তাতে পর্যাপ্ত বই রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি বই যেন পানি কিংবা দাহ্য কোন কিছুর সংস্পর্শে না আসে সেই স্থানটি নির্বাচন করুন।

বড় বাড়ি হলে
বড় বাড়ি হলে কোনো সমস্যা নেই। অনায়াসে একটি ঘর লাইব্রেরি বানিয়ে ফেলতে পারেন। পুরো ঘরজুড়েই করতে পারেন বই রাখার ব্যবস্থা। কিছু বই খোলা রাখলেন আবার কিছু বই বন্ধ আলমারিতে। চাইলে ক্যাটালগ করে রাখতে পারেন। এতে বই খুঁজে পেতে সুবিধে হবে।

একটু শৈল্পিকতা
এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার মনকে প্রাধান্য দিবেন। যে ডিজাইন আপনার ভালো লাগবে, আপনি সেভাবেই বানিয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের বইয়ের তাক। চাইলে প্রাচীন আমলের ডিজাইনগুলোও অনুসরণ করতে পারেন।

খরচাপাতি
কাঠের তাক বানাতে বা কিনতে চাইলে খরচ একটু বেশি পড়বে। ছোট মাপের বইয়ের তাকেরই দাম পড়বে প্রায় আট-নয় হাজার টাকার মতো। আর বড় মাপের বানাতে গেলে বার হাজার টাকার নিচে হবে না। তবে প্লাইউডের বানালে ছোট বইয়ের তাক তিন-চার হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। পছন্দ এবং স্থানভেদে এ খরচের তারতম্য হতে পারে।

 

পাকিস্তান জয়ে হৃত্বিক, ধাক্কা খেলেন শাহরুখ

‘রইস’ ও ‘কাবিল’ নিয়ে বলিউডের খ্যাতনামা দুই পরিবারে চলছে স্নায়ুবিক যুদ্ধ। খান ও রোশন পরিবারের সে কথার লড়াই এসেছে মিডিয়াতেও। বারবারই দুই রোশন- বাবা রাকেশ ও ছেলে হৃত্বিক অনুরোধ করেছেন খান সাহেব শাহরুখকে।

কিন্তু ব্যবসা ও সম্পর্ক আলাদা বিষয়বস্তু বলে একইদিনে ছবি মুক্তি দিয়েছেন শাহরুখ। তবে এবার কিং খান যেন একটু ধাক্কাই খেলেন। কারণ ভারত এবং বিদেশের মাটিতে সাফল্যের পর গত রবিবার পাকিস্তানে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শাহরুখ এবং পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান অভিনীত ‘রইস’। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের’ অভিযোগে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল ছবিটি। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই দেশটিতে মুক্তি পেয়েছে ‘কাবিল; ছবিটি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পাকিস্তানের সিনেমা হলে ‘রইস’ ছবির মুক্তি নিয়ে নানা গুজব রটেছিল। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবারই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দেয় পাকিস্তানে এই ছবির মুক্তি বন্ধ করা হয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত পাঞ্জাব সেন্সর বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, সেন্সরবোর্ডের বেশিরভাগ সদস্যই মনে করেন, ছবিতে ইসলামকে ‘নেতিবাচক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। মুসলিমদের ‘অপরাধী ও সন্ত্রাসী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাব সেন্সর বোর্ড মেনে নেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তবে সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ‘রইস’-এর এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মাহিরা। পাকিস্তানে এই ছবির মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাসও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার উচ্ছ্বাস খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এর কয়েকদিনের মধ্যেই বড় ধাক্কা খেল ‘রইস’।
এদিকে, বক্সঅফিস হিসাবে পাশাপাশিই চলছে ছবি দুটি। ১৩ দিনে ‘কাবিল’ ১২০ কোটি ও ‘রইস’ ১৫০কোটি রুপি তাদের ঘরে তুলেছে। ছবি দুটি ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে।

 

ইন্টারনেটের ব্যয়কে আয়ে রুপান্তর করেছেন কাজী আফিয়া

ঘরে বসে অনলাইনের অলিগলি ঘুরে আয় করে কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত “কাজী আফিয়া আহমেদ”। তাঁর পেজ ‘ত্রি নিতী’ দিয়ে ২০১০ সালে অনলাইন ব্যবসায় আফিয়ার যাত্রা শুরু। যা ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তার খাতায় নাম আছে।

শুরুটা জানতে চাইলে তিনি জানান, HSC এর পর  অবসর সময়ে তিনি প্রথমে ভাবতেন অযথা অনলাইনে সময় ব্যয় না করে কীভাবে তার এই অনলাইন জগতকে কাজে লাগানো যায়। ভাবলেন নিজের অনলাইনের বিলটি কীভাবে অনলাইন দিয়েই আয় করা যায়। সেই ভাবা অনুযায়ী  টুকটাক জুয়েলারি এবং মেকাপ সামগ্রী বিক্রি দিয়ে নিয়ে ‘ত্রি নীতি’ গ্রুপটির যাত্রা শুরু করেন, যার লাইকের সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়াও তিনি খেয়াল করলেন তার নিজের ডিজাইন করা পোশাকটি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এরপর তিনি কামিজ, নিজের পছন্দনীয় শাড়ি ডিজাইন শুরু করলেন, যাতে কখনো এমব্রয়ডারি বা কারচুপির কাজ থাকে এবং সেগুলো গ্রুপের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে লাগলেন ‘বেস্ট এমব্রয়ডারিজ ঢাকা বাই আফিয়া’, ‘ইম্পোর্টেড শাড়িস বাই আফিয়া’ ইত্যাদি গ্রুপের মাধ্যমে এবং আবারো সাড়া পেতে থাকলেন। বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে তিনি তার সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিতেন ক্রেতাদের দোরগোড়ায়।

শুধু নিজের ডিজাইন করা ড্রেসে আর সীমাবদ্ধ থাকেননি আফিয়া। তিনি দেখলেন বিভিন্ন তারকাদের রেপ্লিকা ড্রেস ভালোলাগে এবং এদেশে বেশ চাহিদাও রয়েছে। তাই দেশের বাইরে থেকে যেমন পাশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে শিপিং এর মাধ্যমে রেপ্লিকাসহ নানা ডিজাইনের বিভিন্ন ড্রেস আনতে লাগলেন এবং তার গ্রুপের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে লাগলেন। এভাবেই  তিনি ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী এবং নিজের চিন্তাধারা থেকে হরদম ইমপোর্ট করে যাচ্ছেন। সাথে নিজের ডিজাইন তো রয়েছেই। তার মাসিক আয় এখন ন্যূনতম ৩০০০০ টাকা। যা যেকোনো ছেলে বা মেয়ের বেকারত্ব ঘোচাতে পারে।

তার নির্ধারিত ড্রেস শোভা পেয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকার পরনেও। যেমনঃ মেহের আফরোজ শাওন, আলিফ আলাউদ্দিন, বেনজির ইসরাতসহ আরো অনেকের।

তার সামনের ইচ্ছা একটি শো-রুম খোলা কিন্তু পুরোটাই নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। ইন্টারনেটের অযথা ব্যয়কে আয়তে রুপান্তরের আহবান জানান কাজী আফিয়া। শুধু দরকার সততা, ধৈর্য এবং প্রবল মনোবল।

 

কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার

হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘যে ঘরের (পরিবারের) প্রথম সন্তান কন্যা হয়; সে ঘর হয় বরকতময়। বর্তমান সমাজে দেখা যায়, কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে অনেক নারীকে স্বামী পরিত্যাক্তা হতে হয়। কন্যা সন্তান জন্মের পরই শুরু হয় মা ও শিশুর প্রতি চরম অবহেলা।

কন্যা শিশু ও নারীর প্রতি চরম অবহেলা ও অবিচার হলো জাহেলী যুগের চরিত্র। যে সমাজে নারী কোনো মর্যাদা ছিল না। নারী ও কন্যাদেরকে ভোগ ও আনন্দ বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হতো। আজকের আধুনিক দুনিয়ায়ও জাহেলী যুগের প্রেতাত্মারা সজাগ। তাদের প্রতি কুরআন ও হাদিসে রয়েছে সতর্ক বাণী।

কন্যা সন্তান জন্ম হলে জাহেলী যুগের সমাজপতিরাও নাখোশ হতো। তাদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। কতই না নিকৃষ্ট ছিল তারা। আল্লাহ তাআলা তাদের বাস্তব অবস্থার কথা কুরআনে এভাবে তুলে ধরেছেন-

Konna

অর্থাৎ ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তাদের চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে (কন্যা সন্তানকে) রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!।’ (সুরা নহল : আয়াত ৫৮-৫৯)

কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার ও যথাযথ দায়িত্ব পালন করা বিশ্বনবির নির্দেশ। তিনি কন্যাদের প্রতি সুবিচার করতে বলেছেন। তাছাড়া কন্যা সন্তান মানুষের জান্নাত লাভেরও উপায়। হাদিসে এসেছে-

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আমার কাছে এক মহিলা এলো। তার সঙ্গে তার দুই মেয়ে ছিল। সে আমার কাছে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করল। আমার কাছ থেকে সে একটি খেজুর ছাড়া কিছুই পেল না। আমার কাছে থাকা খেজুরটি আমি তাকে দিয়ে দিলাম।

সে তা-ই গ্রহণ করল এবং তা (খেজুরটি) দুই টুকরো করে তার (ওই মহিলার) দুই মেয়ের মাঝে বণ্টন করে দিল। সে (মহিলা) তা থেকে কিছুই খেল না। তারপর সে (মহিলা) ও তার দুই মেয়ে উঠে পড়ল এবং চলে গেল।

এমন সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন। আমি তাঁর কাছে ওই মহিলার কথা বললাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যাকে কন্যা সন্তান দিয়ে কোনো কিছুর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়; আর ওই ব্যক্তি তাদের (কন্যা সন্তানের) প্রতি যথাযথ আচরণ করে, তবে তা তার জন্য (জাহান্নামের) আগুন থেকে রক্ষাকারী হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

পরিশেষে…
কন্যা সন্তানদের প্রতি অবিচারকারী বা অবহেলাকারীদের প্রতি কুরআনের এ আয়াতটিই যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন-

Konna

অর্থাৎ ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। (সুরা আশ-শুরা : আয়াত ৪৯-৫০)

সুতরাং সাবধান! কন্যা সন্তান জন্ম নিলেই কোনো নারীকে দোষারোপ করা ঠিক নয়; বরং কন্যা সন্তানের প্রতি সুবিচার করুন। ছেলে সন্তানের মতোই তাকে আদর-যত্নে, মায়া-মমতায় বেড়ে ওঠার সব দায়িত্ব পালন করুন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কন্যা সন্তান ও নারীদের প্রতি জাহেলী যুগের মতো আচরণ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। তাদের প্রতি সদ্বয় হওয়ার এবং যথাযথ দায়িত্ব পালন করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

জীবন-যাপনে মুসলমানের জন্য যা আবশ্যক

কুরআন-সুন্নাহর বিধান পুরোপুরি মেনে চলা মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষ সবার জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা মানুষকে এ বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষের অর্পিত এ দায়িত্ব হলো প্রথমে নিজেই কুরআন সুন্নাহর আনুগত্য মেনে নেয়া এবং পরবর্তীতে কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে অন্যকে দাওয়াত দেয়া। এ বিষয় দুটি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-

প্রথমত : কুরআন সুন্নাহর নির্দেশের আনুগত্য
কোনো শরিক ছাড়া একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগি করা এবং আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করা। এ ছাড়া আল্লাহর নির্দেশিত বিধানগুলো বাস্তবায়ন করা এবং নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ পরিহার করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য কর এবং (এ বিধান) শোনার পর কখনো তা থেকে বিমখু হয়ো না।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ২০)

দ্বিতীয় : কুরআন সুন্নাহর নির্দেশ মেনে চলার দাওয়াত প্রদান
আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করা, সৎ কাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার দাওয়াত দেয়া। সমাজে প্রচলিত অন্যায় ও গর্হিত কাজ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখার দায়িত্ব পালন করা প্রত্যেক মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা (মানুষকে) কল্যাণের দিকে ডাকবে, সত্য ও ন্যায়ের আদেশ দিবে আর অসত্য ও অন্যায় কাজ থেকে (মানুষকে) বিরত রাখবে; অতঃপর যারা এ দলে শামিল হবে, সত্যিকারার্থে তারাই সাফলতা লাভ করবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০৪)

কুরআন এবং সুন্নাহর আনুগত্যের পাশাপাশি এ নির্দেশ পালনের দাওয়াত প্রসঙ্গে বিশ্বনবির ঘোষণা-
Hadith

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ যদি কোনো ঘৃণ্য/নিন্দনীয়/অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখ;
তবে ওই ব্যক্তির কর্তব্য হলো- সম্ভব হলে (ওই মন্দ কাজ) হাত দ্বারা প্রতিহত বা মোকাবেলা করা;
আর যদি তা (হাত দ্বারা মোকাবেলা করা) অসম্ভব হয়, তবে মখু দ্বারা প্রতিবাদ করা;
আর যদি তাও (মুখে প্রতিবাদ করাও) অসম্ভব হয়, তবে মনে মনে ঘৃণা (নিরবে প্রতিবাদ) করা। আর এটাই ঈমানের দুর্বলতম অংশ। (মুসলিম)

নিরব প্রতিবাদ
সমাজে অন্যায় কাজ সংঘটিত হতে দেখলে হাত এবং মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করার সাহস ও সামর্থ্য না থাকলে মনে মনে ঘৃণা করলে অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধ হবে না। কিন্তু এ অন্যায় এবং অত্যাচার বন্ধ করার দায়িত্ব রয়েছে প্রত্যেক মুসলিম নারী ও পুরুষের ওপর।

এ দায়িত্ব পালনে প্রত্যেকেকেই নিরবে কাজ করে যেতে হবে। আর তা হলো- অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধে যেভাবে কাজ করলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হবে না; সেভাবে কৌশল ব্যবহার করে অন্যায় ও অত্যাচার বন্ধ করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই হলো নিরব প্রতিবাদ।

অন্যায় ও অত্যাচারকে মনে মনে ঘৃণা মানে শুধু ঘৃণা নয়, বরং নিরবে নিরবে এ ঘৃণ্য কাজ সমাজ থেকে স্বমূলে উৎপাটন করতে কাজ করে যাওয়াই ঈমানের দুর্বলতম অংশ।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী ও পুরুষকে উল্লেখিত ওয়াজিব কাজ সম্পাদনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার তাওফিক দান করুন।

কুরআন-সুন্নাহর অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নে কাজ করার তাওফিক দান করুন।

সর্বোপরি কুরআন-সুন্নাহর বিধান সমাজের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের জন্য নিরবে নিরবে ধীরে ধীরে দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

ইলিশ মাছের মালাইকারি

ইলিশের সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। তার মধ্যে ব্যতিক্রম একটি রান্না ইলিশ মাছের মালাইকারি। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে ইলিশ মাছের মালাইকারি রেসিপি।

উপকরণ : বড় ইলিশ মাছের ৮ টুকরা। পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা ১ টেবিল চামচ। জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ। শুকনা মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ পরিমাণমতো। তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, মশলার গুঁড়া আধা চা চামচ, চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি : কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে অর্ধেক বেরেস্তা উঠিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে বেরেস্তার ভেতর এক কাপ করে সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা কষিয়ে লবণ ও নারকেলের দুধ দিতে হবে। ফুটে উঠলে মাছ দিতে হবে, ঝোল কমে এলে নারকেলের মিষ্টি বুঝে চিনি দিতে হবে। বেরেস্তা হাতে ভেঙে গুঁড়ো করে দিতে হবে। তেঁতুলের মাড়, গরম মসলার গুঁড়ো, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে।

 

চুলের সাজে বাহারি খোঁপা

চুল লম্বা হোক কিংবা ছোট চুলের যে সাজটি আপনাকে অনন্য করে তুলতে পারে তা হচ্ছে খোঁপা। আপনার চেহারা থেকে শুরু করে এটি আপনার ব্যক্তিত্বেও আনে আলাদা গুরুত্ব। আপনি শুধুমাত্র বাহারি খোঁপার সাহায্যে নিজেকে একদম আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। তাই নিজেকে আলাদাভাবে সাজিয়ে তুলতে চাইলে চটপট বাহারি খোঁপায় নিজেকে বদলে নিন।

কার্ল আপডু
যাদের চুল কার্লি তাদের জন্য এটি একটি পারফেক্ট খোঁপা। মাঝারি থেকে বড় সাইজের চুলে এটি করা যায়। তবে যাদের চুল সোজা তারাও এটি করতে পারবেন। এটি এলোমেলো খোঁপা নামেও অনেকের কাছে পরিচিত।

গ্রেসিয়ান আপডু
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি গ্রিসের একটি জনপ্রিয় খোঁপা। তবে আমাদের দেশেও এটি এখন অনেক চলছে। শাড়ির সাথে দারুণ মানিয়ে যায় এ খোঁপাটি। তরুণী অথবা মধ্যবয়সী যে কোনো নারী এ খোঁপাটি করতে পারেন।

ভালেন্টাইন আপডু
খুবই সুন্দর একটি খোঁপা এটি। তরুণীরা লং ড্রেসের সাথে আনায়সে এটি ট্রাই করতে পারেন। অনেকে আবার এটির সাথে সামনের চুলগুলো কার্ল করে থাকেন। খোঁপার প্রতিটা অংশে স্টোন বা বিডস লাগাতে পারেন গরজিয়াস লুকের জন্য।

হাফ আপডু
যারা চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য খুব সিম্পল এ স্টাইলটি। সামনে দিয়ে চুল অনেক খানি টিজ করে উচু করা হয়। তারপর সফট কার্ল করে পেছনের চুল গুল ঘাড়ের কাছে এনে ছেড়ে রাখা হয়। এটি আসলে সত্তর দশকের খুব জনপ্রিয় একটি হেয়ার স্টাইল।

হাফ আপডু উইথ কার্ল
যারা গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে চান না তাদের জন্য এই হেয়ার স্টাইলটি। এটি উপরের হেয়ার ডু এর মতোই কিন্তু এখানে মাথার পেছনের চুলগুলো রোলার বা কার্লার দিয়ে কার্ল করা হয়। শাড়ি এবং কামিজ দুটোর সাথেই এটি ভালো যায়।

 

ঠোঁটের সাজে লিপস্টিক

সাজে পূর্ণতা আনতে যে প্রসাধনীটি না হলেই নয়, সেটি হচ্ছে লিপস্টিক। শুধু লিপস্টিক পরলেই সাজের অনেকটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এই লিপস্টিকের রয়েছে হাজারটা রঙ, হরেক ধরন। নারীরা সাজের জন্য সবার আগে লিপস্টিককেই বেছে নেন। কিন্তু লিপস্টিকের সঠিক ব্যবহার না জানায় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন লিপস্টিক লাগানোর আগে প্রথমে লিপব্রাশ দিয়ে ঠোঁটের মরা কোষ তুলে ফেলতে হয়।

যাদের ঠোঁট তৈলাক্ত তারা লিপস্টিক লাগানোর ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে ঠোঁটকে অনেক বেশি নান্দনিক করে তোলা যায়। তৈলাক্ত ঠোঁটে একবার লিপস্টিক লাগানোর পর পাউডার লাগিয়ে তারপর আরেকবার তা লাগাতে হয়। এতে লিপস্টিকের স্থায়ীত্বও বাড়বে।

শুষ্ক বা সাধারণ ঠোঁটের ক্ষেত্রে প্রথমে ভ্যাসলিন লাগিয়ে কিছু সময় রেখে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। এরপর লিপস্টিক লাগালে ঠোঁটের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। মনে রাখতে হবে, যে লিপস্টিকই লাগান না কেন সরাসরি ঠোঁটের ওপর না লাগিয়ে, লিপব্রাশ দিয়ে আলতোভাবে লাগানো উচিৎ।

যাদের ঠোঁট মোটা তারা লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের বাইরের কিছুটা অংশ এঁকে তারপর লিপস্টিক লাগান। আর যাদের ঠোঁট পাতলা তারা বর্ডার ধরে লিপিস্টিক লাগান। মনে রাখতে হবে, ঠোঁট থেকে লিপস্টিক ওঠানোর সময় ভেজা নরম সুতি কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়স ও স্থানকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। কর্মক্ষেত্রে হালকা রঙের লিপস্টিক দেয়া ভালো। পার্টিতে গাঢ় রঙের লিপস্টিক সাজের জমকালো ভাব এনে দেয়। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিকের রঙ নির্বাচন করাই ভালো। যাদের গায়ের রঙ কালো তারা গাঢ় রঙের লিপস্টিক নির্বাচন করতে পারেন।

 

কিভাবে মুসলিমরাই সত্যিকারের নারীবাদী

নারীবাদীরা কেমন হয়?  আমেরিকান নারী হিসাবে আমারা সবাই ধারণা করি যে নারীবাদী সাধারণত সেইসব ফ্রি ল্যান্সার নারী, পৃথিবীতে যারা সব ধরণের যৌন স্বাধীনতা ভোগ করার সাহস করে থাকে ।  কিন্তু আমেরিকান নারীবাদের সবচেয়ে বড় সমস্যাই এটা । এই ধরণের নারীবাদের সবটাই মূলত যৌন বিষয় এবং আমাদের দেহের স্বাধীনতা নিয়ে । বিশেষকরে গর্ভপাত এবং গর্ভনিরোধ করার স্বাধীনতা এই স্বাধীনতার একটা অংশ । কিন্তু বর্তমান সমাজে নারীদের নারীবাদের লড়াই অন্যদিকে মোড় নিয়েছে এবং তাতে একটা আলাদা ধরণের সূর ধ্বনিত হচ্ছে ।

যেমন স্তনের স্বাধীনতার বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে আমাদের নারী দেহের প্রতি অন্যদের অসম্মান সৃষ্টিতে কাজ করছে; এমনকি এই বিষয়কে আরও উৎসাহিত করছে । আমাদের চারপাশে যারা আছে তাদের মধ্যে আমাদের নারী দেহের প্রতি অসম্মানজনক সাধারণ আচরণ প্রদর্শনে আরও বেশি প্রভাবিত করে থাকে।

যদি আমরা নারী হিসাবে সম্মান ও শ্রদ্ধা পেতে চাই তাহলে নারীবাদের নতুন উৎসের প্রতি আমামদের খেয়াল করা উচিত । আর সেই নতুন উৎস হচ্ছে মুসলিম নারী । সত্যিকারের মুসলিম নারী ও পুরুষ প্রত্যেকের দেহকে পবিত্র উপাসনালয় হিসাবে বিবেচনা করে থাকে । বিশেষ করে নারী দেহকে আরও বেশি পবিত্র মনে করে  । সবার সম্মুখে নিজেকে উন্মুক্ত না করার মনোভাব তাদেরকে বিনম্রতা প্রদান করেছে ।

আমেরিকার খুব জনপ্রিয় ধ্যান- ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত বিষয় এই যে “ইসলামে নারীর ক্ষমতায়নের একটি অসাধারণ সংস্কৃতি এবং ইতিহাস আছে ।” কোরআনে ইহা সুস্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে যে নারী ও পুরুষ উভয়েই সমান গুরুত্বের অধিকারী তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং দায়িত্বের দিক থেকে ।  পরিবার, দানশীলতা, শিশু, যৌনতা এবং অন্যান্য কর্তব্যের দিক থেকে নারী ও পুরুষ উভয়েরই প্রায় একই ধরণের কর্তব্য রয়েছে এবং এই কর্তব্য সমূহ সোজা সাপটা পথে পরিচালিত হবে ।

ইসলামের শুরুর দিকে মহিলাদের মধ্যে এই বিশ্বাস সদা উদ্ভাসিত ছিল । এই হিসাবে প্রথম মুসলিম নারী হচ্ছেন খাদিজা, মুহাম্মদের স্ত্রী । তার প্রভাব ছাড়া হয়তো ইসলাম যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাও না হতে পারতো । খাদিজা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী নারী এবং আরব ভুমিতে একজন ভূস্বামী বা জমিদার স্বরূপ ছিলেন তিনি । যখন মুহাম্মদের উপর আয়াত নাজিল হতে থাকে তখন খাদিজাই প্রথম তাকে আস্বস্থ করেন যে তিনি মুহাম্মদ পাগল হচ্ছেন না । তিনি মুহাম্মদকে খুব পছন্দ করতেন এবং তাকে অনেক সাহস যোগাতেন ।খাদিজা  মুহাম্মদকে বলতেন প্রভু এবং তার পাঠানো ফেরেশতা যিনি প্রভু ও মুহাম্মদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছেন তার কথা শুনতে । খাদিজাই মুহাম্মদকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করতেন এবং তার মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সহায়তা করতেন যে মুহাম্মদই শেষ নবী ।

খাদিজা যিনি একজন নারী তার মাঝে এমন শক্তি ছিল যে তিনিই ইসলামকে স্বরূপে প্রস্ফুটিত হতে সহায়তা করেছেন । এই উদাহরণই আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে সত্যিকারের মুসলিম নারীরা আসলে কেমন? তারা, স্বচালিত, নিশ্চিত, সাহসী এবং একজন নারীবাদের সর্বচ্চো চুড়ায় অবস্থান করে ।

অতএব ইহা এখন বলার কোন অপেক্ষা রাখে না যে বর্তমানে মুসলিম নারীরা এই প্রখ্যাত নারীর পরে কিভাবে নিজেদেরকে সবার সামনে অনুকরণীয় আদর্শ হিসাবে উপস্থাপন করছে ।

মুসলিম নারীরা দিকনির্দেশনার জন্য শক্তির নিদর্শনের দিকে দৃষ্টিপাত করে থাকে । সত্যিকারের মুসলিম নারীরা হিজাব পরে থাকে ।হিজাব হচ্ছে এক ধরণের হেড স্কার্ফ যা  অধিকাংশ মুসলিম  নারী পরিধান করে থাকে । এবং ইহা মনে করার কোন অবকাশ নেই যে সত্যিকারের হিজাবধারীরা স্বামী বা বাবার চাপে হিজাব পরে । হিজাব পরা আর না পারার বিষয়টা মুসলিম নারী তার নিজস্ব রুচিবোধ অনুসারে করে থাকে ।

আমার মনে হয় আমেরিকান সমাজে নারীবাদ মূলত একটা দেখানোর বিষয়ে পরিণত হয়েছে । এখানে নারীকে এমনভাবে দেখা হয় নারী মানেই শারীরিক মোহ প্রদর্শন করে থাকবে, লম্বা চুল রাখবে, মুখের নিখুঁত সৌন্দর্য থাকবে, অসাধারণ দেহাবয়ব থাকবে । আর যখন এসব প্রদর্শনের স্বাধীনতা আমাদের নারীরা অর্জন করে থাকে তখন আমরা ভাবি যে নারী হিসাবে আমরা স্বাধীন । আমাদের চারপাশে যেসব লোক আছে তাদের চোখে আমাদের কেমন দেখাচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তায় মশগুল থাকার মাধ্যমে আমরা মূলত প্রাকৃতিক নারীত্বকে নষ্ট ও দমন করার চেষ্টা করছি । সমাজের সব সমালোচনা উপেক্ষা করে আমাদের এটা বলার সাহস নেই যে “ আমার দেহ প্রদর্শনের জন্য নয় ।”

কিন্তু আমি অনেক মুসলিম নারীকে দেখেছি তারা এই সৎ সাহস অর্জন করার চেষ্টা করেছে । এভাবে তারা প্রতিদিনের অযথা বাহ্যিক চাপ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করেছে ।প্রকৃত পক্ষে তাদের এটা বলার সৎ সাহস আছে যে “ হেই আমি কোন আনন্দের সামগ্রী নই, আমি একজন নারী । আমি কেমন দেখাচ্ছি তার ভিত্তিতে নয়; আমি আসলে কি এর ভিত্তিতে আমাকে সম্মান ও মূল্যায়ন করা উচিত । ”

নিজেদেরকে স্বাধীন করার এমন সাহস আমেরিকান সংস্কৃতি থেকে তাদেরকে  আলদাভাবে উপস্থাপন করেছে । প্রদর্শনের বাহানায় নারীরা যেসব চাপের মধ্যে থাকে সেই চাপ থেকে নিজেদেরকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন করার শক্তি মুসলিম নারীদের রয়েছে । তারা কখনও দেহ প্রদর্শনের কাজে মনোযোগ দেয় না বরং কিভাবে নিজের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা উপস্থাপন করা যায় সেদিকে মনোযোগ দেয় ।তারা সৌন্দর্য চর্চার পূজারী নয় । এর ফলে মুসলিম নারীরা সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্জন করে থাকে এবং তাদের কমিউনিটিতে তাদেরকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয় ।

নারীবাদ যা হওয়া উচিৎ ইহা কি আসলে তাই নয়? এইভাবেই কি নারীরা সত্যিকারের মর্যাদা অর্জন করে না ? এইভাবে কি আমাদের নারীদের দেহের প্রতি তাকিয়ে বাজে মন্তব্য না করে কেউ একজন নারীর কথা শুনে না ? আমি বিশ্বাস করি যে এর উত্তর হবে “হ্যাঁ” । মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটি এবং এমনকি বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের কিছু অংশে সভ্য নারী হিজাব পরুক বা হিজাব না পরুক সর্বদা শ্রদ্ধা অর্জন করে থাকে । এ ব্যাপারে আমাদের মূলধারার মিডিয়া আমাদের নানা কিছু উল্টা পাল্টা বুঝাক না কেন ।

কয়েক সপ্তাহ আগে আমি ইসলামে নারীবাদ বিষয়ে একটা লেকচার শুনতে গিয়েছিলাম ।এসব চিন্তাধারা আমার মাথার মধ্যে গুরপাক খেতে লাগলো । লেকচারার ছিলেন হিজাব পরা একজন মুসলিম নারী  । তিনি এতো সুন্দরভাবে কথা বলছিলেন যে সকলেই অভিভূত হয়ে তার বক্তব্যে মনোনিবেশ করেছিল ।বক্তব্য শুনার প্রায় দেড় ঘণ্টা খানেক পরে আমার মনে হতে লাগলো যে স্তন্য স্বাধীন করার নারীবাদ নিয়ে যারা ব্যস্ত আছে তারা কতটাই বস্তুবাদী ও পলকা বিষয় নিয়ে কাজ করছে । এই ধরণের বিষয় নিপাত যাওয়া উচিৎ । আমি ভাবতে থাকলাম আমরা কিভাবে বিশ্বাস করতাম যে আমেরিকান নারীরা স্বাধীন এবং মুসলিম নারীরা নিপীড়িত । এই বিষয়টা আমার কাছে উল্টে গেল ।আমি অবশেষে বুঝতে পারলাম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কারা স্বাধীন এবং কারা নির্যাতিত । নির্যাতিত মূলত আমরাই আমেরিকান নারীরা, মুসলিম নারীরা নয় । যে নারীরা হিজাব পরে তারা মূলত পুরুষ এবং সমাজের নারীর দেহ দর্শনের মাধ্যমে বিবেচনা করার দাসত্ব থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করেছে । বস্তুবাদী নারীবাদীরা যা পারেনি; এভাবে তারা পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বের গহীনে পতিত হয়ে গেছে এই বিশ্বাস নিয়ে যে তারা শ্রদ্ধা অর্জন করবে ।

তাই আমি বস্তবাদি চিন্তা ধারার তথা স্তনের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নারীবাদীদের বলতে চাই মুসলিম নারীদের দিকে দৃষ্টিপাত করুন । তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এমন এক নারীবাদের ধারা সৃষ্টি করুন যা সবাইকে শেখাবে যে নারীদেহ উপাসনালয়ের মতো, কোন খেলনা সামগ্রীর মতো নয় ।এখনই আমাদের নারীবাদকে অন্য দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ । বিনম্রতা এবং আমাদের অমিয় সুধা পানের সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় । বিশ্বের মুসলিম নারীবাদীদের আহবান করুন ।

 

ওভেন বেকড ইলিশ

ইলিশ খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইলিশ মাছ হিসেবে যেমন পুষ্টিকর তেমনি আমাদের দেশের অর্থনীতির সহায়ক শক্তিও। ইলিশের রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। হৃদরোগ, বাত, চোখের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, অবসাদ ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ইলিশের। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি আজ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। আজ থাকছে ওভেন বেকড ইলিশ রেসিপি।

উপকরণ : ইলিশ মাছ ১টা, লাল মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, টকদই ২ টেবিল-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, ভিনেগার ১ টেবিল-চামচ, সরিষার তেল ৩-৪ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ (চপ করা) ৩-৪টি, আদার রস ১ টেবিল-চামচ, তন্দুরি মসলা ১ চা-চামচ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল।

প্রণালি : আস্ত মাছকে ছুরি দিয়ে চিরে দিন, যাতে মসলা ভেতরে যেতে পারে। এবার লবণ মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিন। বাটিতে সব মসলা মাখিয়ে নিন। মাখানো মসলা মাছের দুই পাশে ভালোভাবে লাগিয়ে ফয়েলের উপর রেখে ফয়েলটি মুড়িয়ে নিন। আভেন ফ্রি হিট করে ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৩০-৪০ মিনিট বেক করে নামিয়ে নিন। লেবু চাক চাক করে কেটে, মাছের চিড়ে নেওয়া জায়গাগুলোতে ঢুকিয়ে পরিবেশন করুন।