banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

শীতকাল ইবাদতের জন্য বসন্তকাল

হেমন্তকাল পেরিয়ে শুরু হয়েছে শীতকাল। শীতের আবরনে আচ্ছাদিত হচ্ছে প্রকৃতি। আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণেই প্রকৃতির এ পরিবর্তণ ঘটিয়ে থাকেন। যাতে রয়েছে আল্লাহ তাআলার কুদরতের নির্দশন।

আল্লাহ তাআলা বান্দার উপকারেই দুনিয়ার সব উপকরণ সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র-সূর্য, আলো-বাতাস এমনকি রাত, দিন, ঋতু এবং কালের সৃষ্টিও বান্দার কল্যাণে করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ দিন ও রাত্রির পরিবর্তন ঘটান। এতে অর্ন্তদৃষ্টি-সম্পন্নগণের জন্যে চিন্তার উপকরণ রয়েছে।’ (সুরা নূর : আয়াত ৪৪)

বাংলাদেশ ৬ ঋতুর দেশ বলা হলেও এদেশে প্রায় ৩ থেকে চার মাসব্যাপী শীতের আবহ থাকে। তবে দিন দিন শীতকালের স্থায়ীত্ব হ্রাস পাচ্ছে। শীতকাল মুমিন বান্দার ইবাদত-বন্দেগির জন্য বসন্তকাল। তা মুমিন বান্দার জন্য গণীমত স্বরূপও বটে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শীতকাল মুমিনের জন্য গণীমতস্বরূপ। শীতকালীন রাত লম্বা হয়। তাতে মুমিন বান্দা (রাত জেগে) ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করতে পারে। আর দিন ছোট হয়; তাতে মুমিন বান্দা রোজা পালন করতে পারে।’  শীতের রাতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দিনের বেলা রোজা রাখা সহজ হয়।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতে মুহাম্মদিকে উদ্দেশ্য করে নসিহত স্বরূপ আরো বলেছেন, ‘শীতকালীন রাত লম্বা হয়, ঘুমিয়ে ইহাকে ছোট কর না। এবং দিন আলোকিত সুতরাং ইহাকে পাপ কার্যের দ্বারা অন্ধকার কর না।’

শীতকালে দিন ছোট হওয়ায় রোজা পালন করা সহজ। আবার রাত দীর্ঘ হওয়ায় নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াতসহ দীর্ঘ সময় ইবাদত-বন্দেগি করে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ঘুমানো যায়। যা মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহ তাআলার নিয়ামত।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য যে সব ঋতু দিয়েছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা, সবর করা এবং নিআমাত তথা গণীমত মনে করে তা গ্রহণ করা অনেক কল্যাণকর।

পরিশেষে…
যেহেতু মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, সেহেতু শীতকালের দীর্ঘ রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগি এবং দিনের স্বল্প সময়ে রোজা আদায় করা প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য আল্লাহ রহমতও বটে।

আল্লাহ তাআলা এ শীতকালকে রহমত হিসেবে গ্রহণ করে ইবাদত-বন্দেগি ও রোজা পালনের জন্য মুসলিম উম্মাহকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

কুশনে সাজুক ঘর

ঘরের সাজের বেলায় সবাই চায় তার ঘরকে একটু আলাদা ভাবে সাজাতে। কিছুটা রঙের ছোঁয়াতে কিছুটা আবার শিল্পীর তুলিতে। কখনো বাহারি আলোর আভা দিয়ে সাজানো হয় ঘর। আবার কখনো শোপিস দিয়ে সাজানো থাকে ঘরের এ কোণ সেই কোণ। তবে এসব ছাড়াও আপনার ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে পারে আরো একটি জিনিস। আর তা হচ্ছে কুশন। কুশনের কথা শুনলেই মাথায় যা প্রথমে আসে তা হচ্ছে বিছানার কথা। কিন্তু কুশন এখন কেবল বিছানাতেই আটকে নেই। এটি ব্যবহার হচ্ছে ঘর সাজাতেও। সোফা থেকে শুরু করে ডিভান সব জায়গাতে আছে এই কুশন। হেলান দিয়ে আরাম করে বসার ক্ষেত্রে কুশনের জুড়ি নেই।

কুশন আপনার শোবার ঘর ছাড়া থাকতে পারে বসার ঘরে। ড্রয়িং রুমে কুশন সোফা থেকে কিছুটা ছোট রাখার চেষ্টা করুন। এটি দেখতে সুন্দর লাগবে। দেয়ালের কালারের সাথে মিলিয়ে আপনি কুশনের রঙ নির্বাচন করতে পারেন। এই কুশনে থাকতে পারে এর পাশের অংশে পুঁতি বা ছোট পাথর বসানো কিংবা ঝুলানো নানা রঙের রেশমি কাপড়। এতে থাকতে পারে নানা ডিজাইন।

বড়দের ঘরের ক্ষেত্রে হালকা সবুজ, খয়েরি, বাদামি রঙ নির্বাচন করতে পারেন। এর পাশাপাশি সবুজের আভা ঘরে আনতে সবুজ রঙের কুশন ঘরে রাখতে পারেন। ছোটদের ক্ষেত্রে তাতে থাকতে পারে কার্টুন চরিত্র। কিংবা পুরো কুশনটিই হতে পারে কখনো মিকিমাউস আবার কখনো টম আবার জেরি। কখনো ফলের আকৃতি আবার কখনো হতে পারে টমেটো কিংবা পশুর ন্যায়। যা আপনার শিশুকে আনন্দ দেবে।

ঘরের কোণে থাকা ডিভানেও আপনি কুশন পিলো রাখতে পারেন। হেলান দিয়ে যাতে আরামে বসা যায় তার জন্য। এক্ষেত্রে কেনার সময় কাপড়ের দিকে লক্ষ রাখুন। আর বিছানাতেও রাখতে পারেন কুশুন। নানা রঙের কুশন আপনার ঘরকে উপস্থাপন করবে নান্দনিকতার সাথে।

 

খাবেন নাকি এফডিসির কালাভুনা?

শাকিব খান দুপুরে কী খান? কালাভুনা? প্রশ্নটি করা হলো সচীনকে। না, খেলোয়াড় শচীন নন, বাবুর্চি সচীনকে। এই সচীন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ও স্পটে খাবার সরবরাহ করেন। খানিক আগে তাঁর একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়েছেন। নাম-ঠিকানার মাঝে সেখানে লেখা, ‘এখানে নাটক, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্রসহ সকল প্রকার অর্ডারের খাবার সরবরাহ করা হয়’।
শাকিবের বেশি পছন্দ হলুদ ছাড়া দেশি মুরগি রান্না এবং চিংড়ি ও পাবদা মাছ। তবে এখন আর তিনি এখানকার খাবার খান না। বাড়ি থেকেই নাকি খাবার আসে। বলেন সচীন।
শুধু শাকিবই নন, সচীনের সব তারকার পছন্দের খাবারের তালিকাই মুখস্থ। শুধু বলে দিলেই হয় আজ শুটিং স্পটে কোন তারকা আছেন! ঠিকঠাক পছন্দের খাবার গিয়ে হাজির হয় ওই তারকার পাতে।
এসেছি ‘এফডিসির খাবার’ বলে যে খাবার খান রুপালি পর্দার মানুষেরা, তার খোঁজ করতে। কারওয়ান বাজার রেলগেট পার হয়ে এফডিসির আগে যেসব গাড়ির গ্যারেজ আছে, সেগুলোর ভেতর দিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ে তিনটি হোটেল। এখান থেকেই খাবার যায় এফডিসিসহ বিভিন্ন শুটিং স্পটে। ৫ ডিসেম্বর বিকেলে কথা হচ্ছিল এখানকার হোটেল মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে। তবে সব কথা ছাপিয়ে সবার আগে চলে এল বিখ্যাত সেই ‘গরুর মাংসের কালাভুনা’ প্রসঙ্গ।
সচীন বলেন, ‘১৮ বছর ধরে এফডিসিতে খাবার সাপ্লাই দিই। এর মধ্যে সবার পছন্দ ওই কালাভুনাই।’ সাধারণ গরুর মাংসকে কালাভুনায় রূপ দেওয়ার রহস্যটা কী?
‘কিছুই না। যেভাবে গরুর মাংস রান্না করা হয়, সেভাবেই রান্না করি আমরা। তবে মাটির চুলায় রান্না হয় বলেই সম্ভবত মাংসগুলো দ্রুত কালো হয়ে যায়।’ কিন্তু চট্টগ্রামের বিখ্যাত কালাভুনার সঙ্গে এর বেশ পার্থক্য রয়েছে বলে জানালেন পাশেই বসা আরেক খাবার সরবরাহকারী আবু সালেহ মুনশি। মসলা দেওয়ার মতো করে তিনি যোগ করলেন আরও এক তথ্য। ‘এটা বাবুর্চির একটা কেরামতি, সব কেরামতি কি আর কওন যায়?’
চলচ্চিত্রের বেশির ভাগ তারকাই কালাভুনা পছন্দ করেন। তালিকা করলে সেটা বেশ লম্বাই হবে। সচীন বলেন, ‘এমন কোনো তারকা নেই, যিনি কালাভুনা পছন্দ করেন না। তবে শরীর ঠিক রাখতে একটু কম খান, এই যা।’
এফডিসির লোক তো বটেই, বিশেষ কেরামতির এই কালাভুনার স্বাদ যে কেউ নিতে পারবেন। যেকোনো দিন দুপুরে কারওয়ান বাজার রেলগেটের কাছে এসে ‘এফডিসির খাবার কোথায় রান্না হয়’ বললেই দেখিয়ে দেবে স্থানীয় যে কেউ। তবে আসতে হবে শুধু দুপুরে। সকাল আর সন্ধ্যায় বন্ধ থাকে এই হোটেল। শুটিং স্পটের রাতের খাবারের অর্ডার থাকলেই খাবার রান্না করা হয় এখানে।
এখানে কালাভুনা, মুরগি, মাছের যেকোনো একটি এবং তিন পদের ভর্তা-ভাজি, পাতলা ডাল, ভাতসহ প্যাকেজ পড়বে ১০০ টাকা। একসঙ্গে বেশি অর্ডার হলে দামটা কমে আসে। তবে বাড়তি কিছু খেতে চাইলে আগাম অর্ডার দিতে হয়।
খাবারের এই তিনটি হোটেলই বেশ জমজমাট। ঢাকাসহ বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় খাবার সরবরাহে এগুলোর বেশ সুনাম আছে। এখানকার ভাই ভাই ক্যাটারিংয়ের (পরিচিতি পেয়েছে কালুর হোটেল নামে) ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বললেন, ‘সব সময়ই ঢাকার বাইরে আমাদের চার-পাঁচটা দল থাকে, যারা ওখানেই রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করে।’
ঢাকার মধ্যে বা বাইরে খাবারের দাম একই। শুধু পরিবহনের খরচটাই বাড়তি দিতে হবে। কথা শেষ করে ফেরার সময়ই অ্যালুমিনিয়ামের কলস, ডেকচি, টিফিন বাটিসহ খাবার বহনের বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে ফিরছিলেন কালুর হোটেলের কর্মী রায়হান মিয়া।
তিনি বলেন, শুধু এখানেই নয়, শুটিং স্পটে খাবার সরবরাহের জন্য বেগুনবাড়ী, তেজগাঁও এবং উত্তরার শুটিং বাড়ির আশপাশে বেশ কিছু খাবার সরবরাহকারী রয়েছেন।
তাঁর কথায় বোঝা গেল, যেখানে শুটিং থাকে, সেখানেই পৌঁছে যায় তাঁদের খাবার। চাইলে সেখানে থাকে সবার পছন্দের কালাভুনাও।

 

শীতে যা খেলে পাবেন ঝকমকে মুখ

শীতকালে অনেকের মুখের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক সতেজ করতে অনেকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তবে ত্বকে সজীবতার জন্য ভেতর থেকে শক্তি প্রয়োজন। শীতের মৌসুমে কিছু খাবার আছে, যা খেলে ত্বক ঝকমকে হয়ে উঠবে। জেনে নিন প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি খাবারের নাম।

কমলালেবু: শীতকালে লেবুজাতীয় ফল ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকর। এর মধ্যে কমলালেবু মুখের ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। ভিটামিন সি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

গাজর: সুন্দর ত্বকের জন্যও গাজর খেতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করবে। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত ভাঁজ পড়া, কালো দাগ দূর করে।

অ্যাভোক্যাডো: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকায় অ্যাভোক্যাডো আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।


তৈলাক্ত মাছ:
স্যামন, টুনা, সার্ডিনের মতো সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে এটি সাহায্য করে।


অলিভ ওয়েল:
প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব রাখে।


টমেটো:
ত্বকের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান টমেটো। যারা প্রতিদিন পাঁচ চা চামচ পরিমাণ টমেটো স্যুপ খায় এবং সঙ্গে এক চামচ করে অলিভ ওয়েল পান করে তাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় বেশি সজীব থাকে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি খুবই উপকারী। ঠান্ডা লাগার হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে গ্রিন টি। যারা দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের ত্বক বেশি মসৃণ ও নমনীয় হয়। এ ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।


তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

 

দুধের পাতিল কোলে ফিরে গেলেন গীতা

গীতা রানীর কোলের ওপর দুধের পাতিল। যে রিকশায় এসেছিলেন, সেই রিকশাতেই তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন ব্যবসায়ী। চায়ের দোকানে দুধ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু দোকানে চুলা জ্বালাতে পারলেন না।

পবার নওহাটা থেকে মুলা নিয়ে এসেছিলেন ব্যবসায়ী গোলাম রসুল। সকাল নয়টা বাজলেও তিনি বস্তার মুখ খুলতে পারেননি। দুপুর ১২টা বাজার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। সকালে রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার এলাকায় গিয়ে হরতালের এই চিত্র দেখা যায়।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে রাজশাহী নগরে অর্ধদিবস হরতাল চলছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বাড়ানো হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলসহ চার দফা দাবিতে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।

সকালে রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দু-একটা রিকশা ও অটোরিকশা চললেও নগরের আরডিএ মার্কেটের সামনে দিয়ে ব্যবসায়ীরা কোনো রিকশা পার হতে দিচ্ছেন না। মুলার ব্যবসায়ী গোলাম রসুল বলেন, ‘যে দলেরই হরতাল হোক মাস্টারপাড়ার এই রাস্তায় পাইকারি সবজি বিক্রি কোনো দিন বন্ধ থাকতে দেখিনি।’ এ জন্যই মুলা নিয়ে এসেছিলেন। এই প্রথম দেখলেন এই সড়ক ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
রাজশাহী নগরের আরডিএ মার্কেটের নির্মাণশ্রমিক এরফান আলী সকাল থেকে সাহেব বাজার কাঁচাবাজারের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো হরতালেই কাঁচাবাজার বন্ধ থাকতে দেখিনি। এ কোন হরতাল যে কাঁচাবাজারের গেটে তালা লাগাইয়া দিছে।’ সেখানেই একজন পিকেটার দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘চাচা, ১২টার পরে আসেন।’
নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় থাকেন রাজশাহী কলেজের ছাত্র সবুজ সরকার। তিনি বলেন, সাহেব বাজারের কাঁচাবাজার থেকে ফিরে গিয়ে নিউমার্কেটের কাছে অল্প করে খোলা একটা দোকান থেকে বেশি দামে সবজি কিনেছেন।
সংগ্রাম পরিষদের অন্য দাবিগুলো হলো—অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি বাতিল, আরোপিত সাইনবোর্ড ফি প্রত্যাহার এবং আরোপিত ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এনামুল হককে সকাল নয়টার দিকে নগরের সাহেব বাজার এলাকায় হরতালে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তিনি বললেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন বাসাবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে নগরবাসীর জন্য নতুন বিপদ ডেকে এনেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০-১২ গুণেরও বেশি এই ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। এতে নগরের বাসাবাড়ির মালিকেরাই শুধু নন, ভাড়া বাড়ানোর আশঙ্কায় ভাড়াটেরাও হুমকির মুখে পড়েছেন।
অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ও ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অটোরিকশা রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের এই হরতালে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ, মহানগর মেস মালিক সমিতি, হেরিটেজ রাজশাহী, আরডিএ মালিক সমিতি, নদী বাঁচাও আন্দোলনসহ আটটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে।