banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

শূন্য থেকে ফারজানা আখির সফলতার গল্প

পিছিয়ে থাকার সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাইতো শূন্য হাতে শুরু করে এখন সফল উদ্যোক্তা। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে শ্রম ও আনন্দ সুখের অনেক কাব্য। তাদেরই একজন বুটিক হাউস ‘আখি’স’এর স্বত্বাধিকারী ফারজানা আখি। তিনি জানিয়েছেন শখ নিয়ে সময় কাটানো থেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প।
৯৯ সালের কথা।

মাত্র আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আখি ঘরে বসেই নিজ হাতে হরেক ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ সেলাই করতে লাগলেন। বাজার থেকে শাড়ি কিনে তাতে হাতের কাজ করতেন। যারা তার ক্রেতা ছিলেন পোশাক পরার পর তারা তার প্রশংসা করতেন। ক্রেতাদের প্রশংসা তার মনোবল আরো বাড়িয়ে দেয়। সময়ের সাথে অর্ডার বাড়তে থাকে। কিন্তু পুজি না থাকায় আটকে যান।

কিন্তু থেমে থাকেননি। বন্ধুদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে থাকেন। অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে পরিচিতি। এরই মধ্যে বাটিক ও নকশার কাজ করা সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস, শাড়ি, বিছানার চাঁদর, কুশন কভার, শাল চাদরের ব্যাপক চাহিদা বাড়তে লাগল। পরিস্থিতি বলে দিল একটি দোকান ঘর নেবার। কিন্তু পুজি সংকটে ঘাবড়ে যান। সর্বশেষ দারস্থ হন ব্যাংকের। সেখানে থেকে প্রথমে মাত্র আড়াই লাখ টাকা ঋন নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি দোকান দেন। নাম দিলেন ‘আখি’স’ এরপর আর তাকে পেছন তাকাতে হয়নি।

আলাদীনের চেরাগের যাদুর মতো দ্রুত বদলে গেল সব। তার ডিজাইন করা কাপড়ের চাহিদা এমন বেড়ে গেল যে অর্ডার ডেলিভারি দিতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। আখি বলেন, অল্প দিনেই এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল ‘আখি’স’ এর পরিচিতি। তখন রাজধানীতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তিনি বলেন, ‘নিজেই ব্যবসাতে বসতাম। কাঁচামাল কিনতাম। নিজেই ব্যাংক করতাম। নিজেই পাইকারি অর্ডার নিতাম। একজন নারী হয়ে দোকানে বসে ক্রেতা সামলানোর বিষয়টি তখন অনেকেই ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু বাবা-ভাই-বোন উৎসাহ দিতেন। এসবের মধ্যে ভাগ্য খুলে যায়। ক্রেতাদের ভালবাসায় মাথায় ব্যবসার পোকা ঢুকে যায়। মনস্থির করি, আমাকে ব্যবসায় সফল হতে হবে। সেই যুদ্ধ শুরু। এরপর প্রায় শূন্য থেকে আজকের এই অবস্থান।

তিনি জানান, ব্যবসার পাশাপাশি সংসারের দেখভাল করতে হয়েছে। ফলে অবসর বলে কিছু ছিল না। তবে ব্যবসা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন, এমনটি কখনো মনে হয়নি। চেষ্টা থাকলে যেকোনো নারীই ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন।’ এসব কথা যখন বলছিলেন, তখন তার মুখে সাফল্যর তৃপ্তির হাসি। বললেন, ‘পরিচিত কোনো মেয়ে যখন চাকরি করার কথা বলেন, আমি তাঁদের উৎসাহ দিই ব্যবসা করো। কারণ, আমাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করব না, চাকরি দেব। তার মতে কেউ যদি শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করে, সাফল্য তার মুঠোবন্দী হতে বাধ্য।

 

ভ্রমণের সময় এই ৭টি গ্যাজেট সাথে রাখুন

ভ্রমণপিপাসুরা খুব বেশিদিন ভ্রমণ না করে থাকতে পারেন না। আজ পাহাড় তো কাল সমুদ্র, পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। দেশে কিংবা দেশের বাইরে আপনি যেখানেই যান না কেন ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে কিছু প্রস্তুতির। জামা কাপড়ের সাথে ভ্রমণে রাখুন কিছু গ্যাজেট। যা আপনার ভ্রমণ সহজ করার পাশাপাশি আপনাকে রক্ষা করবে অনেক বিপদের হাত থেকে।

১। পোর্টেবল ইউএসবি ব্যাটারি  

একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ পোর্টেবল ইউএসবি ব্যাটারি আপনার স্মার্টফোনটিকে দীর্ঘ সময় চার্জ দেবে। পাহাড়ে ট্র্যাকিং হোক কিংবা সমুদ্রে সারফিং করতে যান, আপনার ফোনটি যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইউএসবি ব্যাটারির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি চার্জ করে নিতে পারবেন যেকোন সময়ে।

২। সোলার ব্যাটারি চার্জার

আপনি মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য সবসময় বিদ্যুৎ পাবেন এমন কিন্তু নয়। জরুরি মুহুর্তে মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য সোলার ব্যাটারি চার্জার রাখুন। সোলার চার্জার সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে মোবাইল চার্জ করে, তাই বিদ্যুৎবিহীন স্থানেও ঘুরে আসতে পারবেন নির্ভাবনায়।

৩। ই-রিডার

বই পড়তে পছন্দ করেন? তাহলে ভ্রমণে সাথে রাখুন ই-রিডার। বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী আর একটিও নেই। ই-রিড়ার সঙ্গীর অভাব পূরণ করবে তারসাথে নিরানন্দ ভ্রমণকেও আনন্দময় করে তুলতে পারে ই-রিডার।

৪। ব্লুটুথ কি বোর্ড      

ল্যাগেজে ট্যাবটি রাখার সাথে সাথে একটি ব্লুটুথ কি বোর্ডও রাখুন। জরুরি প্রয়োজনে এই কি বোর্ডটি ট্যাব বা আই প্যাডের সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।

৫। স্ট্যান্ডিং কেস অফ ট্যাবলেট

দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে ট্যাবলেট রাখার জন্য স্ট্যান্ডিং কেস রাখুন। এটি আপনার ঘাড়কে আরাম দেওয়ার সাথে সাথে আপনার কাজকেও সহজ করবে।

৬। ব্যাকআপ ফোন

কোন কারণে আপনার স্মার্ট ফোনটি নষ্ট হয়ে গেল, তখন কী করবেন? এই সমস্যা সমাধানে সাথে একটি ব্যাকআপ ফোন রাখুন। বিপদের সময় এই ফোনটি হয়তো আপনার প্রাণ বাঁচাবে।

৭। ডিজিটাল ক্যামেরা

ভ্রমণের প্রতি মুহুর্ত ধরে রাখার জন্য সাথে রাখুন ভালো মানের কোন ডিজিটাল ক্যামেরা।

 

সেলস পার্সনদের জন্য বিক্রি বাড়ানোর ৫টি কৌশল

সময়ের মূল্য আপনার জন্য হিসেব হয় টাকায়। প্রতি মিনিটের হিসেব আপনাকে দিতে হয় কোম্পানিকে। কোম্পানির পণ্য বিক্রির জন্য যেমন নানান পরিকল্পনা আপনাকে করতে হয় তেমনি গ্রাহকের কাছে কীভাবে পণ্যকে তুলে ধরলে তা বিক্রি হবে সেই কৌশলও আপনাকে ঠিক করতে হয়। প্রতিমাসের টার্গেট নিশ্চিতভাবে পূরণের জন্য আপনি অনুসরণ করতে পারেন এই কৌশলগুলো-
 
কঠিন কাজগুলো আগে করুন
প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন কিছু কাজ থাকে যা সে কোনমতেই করতে পছন্দ করেন না। কেউ কেউ গ্রাহককে ফোন করে আপডেট দিতে অপছন্দ করেন। কেউ আবার মেইলের উত্তর দেওয়া বা মেইলে আলোচনা করা পছন্দ করেন না। কারও মিটিং ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে। কারও হয়ত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে এগুলো কঠিন কাজ। আর এগুলোর কারণেই হয়ত পরের কাজগুলো যা করা খুবই জরুরি সেগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
 
আপনি যদি সময় ব্যবস্থাপনায় মাস্টার হতে চান তাহলে ‘ইচ্ছে করে না’ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই কাজগুলোই আগে দ্রুত গতিতে করে ফেলুন যা আপনার মূল কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
 
মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
একজন মানুষ একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন এটাকে খুব গৌরবের মনে করি আমরা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার দক্ষতার পথকে আটকে দেয়। মনোযোগ ভাগ হয়ে গেলে আপনার কাজের গতিও ধীর হয়ে আসে। যে পার্ফরমেন্স আপনার একটি কাজে দেওয়ার কথা ছিল তা ভাগ হয়ে যায়।
 
আপনি যদি মনে করেন, এমন হয় না, আপনি সব কাজ সমান দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনি জানেন না আপনি আরো কত চমৎকারভাবে আপনার মেধার ব্যবহার করতে পারতেন যদি আপনি একটি কাজ করতেন! অন্য একটি কাজে হাত দেওয়ার আগে প্রথম কাজটি শেষ করুন। যখন যে কাজটি করবেন সে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিন। এতে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখুন
প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় শুধু কাজগুলোই করুন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করুন। এখন আমাদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন হওয়ায় এখন মেইল, ফেসবুক নোটিফিকেশন সব কিছুই প্রতিমুহুর্তে তাদের আগমন জানাতে থাকে। এতে তৈরি হয় মনোযোগের বিচ্ছিন্নতা। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ রাখুন, অন্তত মোবাইলে।
 
অনেক সেলস পার্সনই এই কাজ করতে ভয় পাবেন কারণ তাদের মনে হবে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন গ্রাহকের বার্তা আসতে পারে বা দরকারি কোনকিছু মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাই থাকবেন। দেখবেন অনেকটা সময় বেঁচে যাবে, একই সাথে পণ্যের বিক্রিও বাড়াতে পারবেন সানন্দে।
 
কার্যকরি কাজটি করুন
আজকের দিনে কোন ধরণের যোগাযোগটি বেশী কার্যকরি সেটি বেছে নিন। যেমন ইমেইলের চেয়ে এখন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ জনপ্রিয়। ফোনে কল করার চেয়ে ভাইবার বা হোয়াটস এপ্স এ ভিডিও কল বেশী স্মার্ট। তবে কোন কোন কোম্পানি পুরাতন যোগাযোগের ধরণকেই প্রফেশনাল মনে করতে পারেন। খেয়াল করুন কার জন্য কোনটা বেশী কার্যকরি।
 
একজন গ্রাহক যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তেমন অভ্যস্ত নন তাকে মেসেজ না দিয়ে কল করুন। যে গ্রাহক সারাক্ষণ মিটিং এ থাকেন, খুবই ব্যস্ত মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই নিয়মিত মেইল চেক করেন। তাকে কল করে বিরক্ত না করে মেইল করুন। এভাবে আপনার যোগাযোগের ধরণ গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার সন্তুষ্টি তৈরি করবে এবং তিনি আপনার সাথেই যোগাযোগে আগ্রহী হবেন সবসময়।
 
প্রতিদিনকার কাজে গুরুত্বের ক্রম তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনকার কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো লিখে ফেলুন এবং অবশ্যই গুরুত্ব অনুসারে লিখুন। সবচেয়ে দরকারি কাজটি আগে লিখুন। ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করুন। এটি করতে আপনার হয়ত প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজটি নিয়মিত করলে আপনি অপ্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ফলে আপনার পার্ফরমেন্স হবে দিনে দিনে দূর্দান্ত।

 

ঝটপট তৈরি করুন প্রন ফ্রিটার্স

বিকেলের নাস্তায় ঝাল ঝাল মুখরোচক হলে জমে বেশ। তৈরিতে সময় কম লাগে অথচ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর এমন খাবার তৈরিই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই বিকেলের নাস্তায় কিংবা অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করতে পারেন প্রন ফ্রিটার্স। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : চিংড়ি মাথা ও খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কাটা দেড় কাপ, ডিম ২টি, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, ময়দা আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার সিকি কাপ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লাইট সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল (ভাজার জন্য) ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি : চিংড়ি কুচি সয়াসস মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। ডিম, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ, লবণ একসঙ্গে মাখিয়ে অল্প অল্প করে মিশ্রিত ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে চিংড়ি দিয়ে মেশাতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়ার মতো অল্প অল্প করে চিংড়ির মিশ্রণ দিয়ে মচমচে করে ভেজে ওঠাতে হবে। প্রন ফির্টাস গারলিক সস, রেড চিলি সস অথবা টমেটো সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

 

কম খরচে ঘরকে করুন আলোকিত

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত শক্তির অপচয় রোধে কতকিছুই তো করছেন আপনি। কিন্তু একবারের জন্যেও ঘরের বাতিটির কথা ভাবছেন কি? আপনার ঘরের বাল্ব বা আলোর মাধ্যমটি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী? আচ্ছা, বিদ্যুৎ খরচের কথা নাহয় নাইবা ভাবলেন, একবার কি ভেবেছেন এই আলোর মাধ্যমটি পকেট সাশ্রয়ী কিনা? আপনার অনেকটা বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে না তো ভুল উপায়ে ঘরকে আলোকিত করতে গিয়ে? চলুন জেনে আসি কম খরচে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ঘরের আলোর মাধ্যম বেছে নেওয়ার কিছু পদ্ধতি।

১. সঠিক বাল্ব বেছে নেওয়া

বাজারে এখন অত্যন্ত কম দামে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব বা এনার্জী সেভিং বাল্ব কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো আপনার বাড়ির অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচকে যেমন থামিয়ে দেবে, তেমনি কমিয়ে দেবে পকেটের খরচাটাও। সাধারণত ঘরের আলোর পেছনে সাংসারিক খরচের ৫ শতাংশ টাকা চলে গেলেও এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োডস), সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প) বা হ্যালোজেন ইনক্যানডেসেন্টসহ বাজারে আসা উন্নতমানের বাল্ব কিনে সেই খরচটা কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। পুরোন ঘরানার বাল্বগুলোর ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ শক্তি তাপ হয়েই বেরিয়ে যেত। সেই পরিমাণটাকে কমিয়ে দেয় এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব। সেইসাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত মাত্রার আর রংয়ের আলো বেছে নেওয়ার সুযোটাও দেয়।

২. প্রাকৃতিক আলোর উপর নির্ভরতা বাড়ান

শক্তির বিনাশ নেই বটে। তবে সেটার পরিমাণ দেশভেদে ভিন্ন। নবায়নযোগ্য শক্তি আছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের উচিত সেইদিকে না তাকিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে যতটা সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করা যায় সেই চেষ্টা করা। আর তাই দিনের বেলায় ঘরের আলো যাতে না জ্বালানো থাকে সেটা খেয়াল করুন। কখনো কখনো দিনের বেলাতেও দুই-তিনটি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখেন অনেকে। হয়তো অনেকটা অসচেতনভাবেই। কিন্তু এবার থেকে সচেতন হয়ে উঠুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যারেজ আর সিড়ির লাইট বন্ধ করুন। ঘরের ক্ষেত্রেও যতটা সম্ভব লাইট না জ্বালানোর চেষ্টা করুন।

৩. আনুষঙ্গিক শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার

লাইটের সাথে ডিমার, ফটোসেল বা টাইমারের মতন যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো দরকার মতন আলোকে কমাতে বাড়াতে বা ব্যবহার না হলে বন্ধও করে দিতে পারে। তবে চেষ্টা করুন যে বাল্বটি ব্যবহার করছেন তার সাথে মানানসই কিছু একটা বেছে নেওয়ার।

তবে গ্যারেজ বা বাইরে খোলামেলা পরিবেশের জন্যে সেই সিএফএল বা এলইডি লাইটটি ব্যবহার করুন যেটা বাইরের পরিবেশের জন্যে মাননসই। বাজারে এমন কিছু সিএফএল ও এলইডি বাল্ব পাওয়া যায় যেগুলো বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম- সবকালেই থাকবে ঠিকঠাক। সেইসাথে কম খরচে চলবেও অনেকদিন। অসচেতন ব্যবহারে প্রতিদিন ঘরের আলোর পেছনে আমাদের যথেষ্ট বিদ্যুৎ আর টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই ঘরের আলো নির্ধারণের আগে এই সব ব্যাপারগুলো মাথায় রাখুন।

 

এই শীতে মিলিটারি হিজাব ট্রেন্ড

যারা নিত্যনতুন হিজাব স্টাইল পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর।এ সিজনে মিলিটারি হিজাব স্টাইল বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।খাকি এবং জলপাই কালারের জ্যাকেটে যেমন স্টাইল করা যায়, ঠিক তেমনি যেন এর মাধ্যমে এই সিজনকেও উপস্থাপন করা যায়। তবে শুধু জ্যাকেট নয় মিলিটারি খাকি হিজাব আরও অনেক উপায়েও করা যায়।

এই স্টাইলের জন্য বেছে নিতে পারেন খাকি মিলিটারি জ্যাকেট যা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া আরও রয়েছে বেইজ কিংবা খাকি ট্রেঞ্চ কোট এবং জলপাই জ্যাকেট। তবে শুধু জ্যাকেট আর কোট না, আরও আছে জলপাই কালারের টুনিকস, লং কারডিগান এবং অলিভ ম্যাক্সি ড্রেস।

মিলিটারি স্টাইলের জন্য ভারি কমব্যাট বুটস পরতে পারেন। তবে স্টাইলের জন্য মানানসই ওয়েজ হিলসও পরা যেতে পারে। হ্যান্ডব্যাগ হিসেবে বেছে নিতে পারেন কনিয়াক, বেইজ কিংবা কমলা রঙের হ্যান্ডব্যাগ। তবে পছন্দ মতো যে কোন রঙের মানানসই হ্যান্ডব্যাগ নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ডিজাইনাররা মিলিটারি স্টাইলকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং প্রায় সবাই একে পছন্দ করেন। ভাল লাগলে আপনিও ফ্যাশন আইডিয়া তৈরি করুন এবং শীতের প্রস্তুতি নিন।

লেখা- সুমাইয়া মারিয়া বিনতে শহীদ

সূত্র: জাস্ট ট্রেন্ডি গার্লস

 

দৃশ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘বাহুবলি-২’ এর গ্রাফিক ডিজাইনার গ্রেফতার

আগামী বছর এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলা ‘বাহুবলি-২’ ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফাঁসের পেছনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে সিনেমার গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বাহুবলি-২’-এর প্রযোজক গতকাল রাতে ছবির কিছুটা অংশের ভিডিও অনলাইনে দেখতে পান। এরপরই তিনি অন্যান্যদের ব্যাপারটি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। তাতে দেখা যায়, ৯ মিনিটের একটি ক্লিপিং অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এরপরই হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে প্রযোজক টিম।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিও-এ ‘বাহুবলি-২’-এর গ্রাফিক ডিজাইনিং-এর কাজ হয়। প্রযোজক টিম দেখেন, কৃষ্ণ দয়ানন্দ চৌধুরী নামে এক প্রশিক্ষণরত গ্রাফিক আর্টিস্ট স্টুডিও-র সার্ভার থেকে ছবির ক্লিপিংস চুরি করেছেন। পরে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, চুরি করা ভিডিওটি রয়েছে তার ল্যাপটপেই। শুধু তাই নয়, ক্লিপটি পাওয়া গেছে তার মোবাইল ফোনেও। দুই বন্ধুকে সেই ভিডিও পাঠিয়েছেন তিনি। তাই চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রযোজক টিম জানিয়েছে, ক্লিপিংসটি যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে নেওয়া হচ্ছে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। ভিডিওটিতে মূল দুই চরিত্র প্রভাস এবং আনুশকা শেঠির যুদ্ধের দৃশ্য ছিল বলে জানা গেছে। গত বছরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ব্যবসাসফল এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রানা ডাজ্ঞুবতি, তামান্না ভাটিয়া সহ অনেকে।

 

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর অলংকার পরিধানের বিধান

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার জন্য কি অলংকার পরা জায়েজ আছে? বিভিন্ন এলাকাতে এই সব নিয়ে বিভিন্ন কথার প্রচলন আছে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা- অবশ্যই এ সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে।

কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশ দিন অথবা গর্ভবতী হলে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়, এটা ইসলামের বিধান। এই সময়ে সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এমন কি নাক ফুলও ব্যবহার করতে পারবে না এবং চুল না আচড়ানোও উত্তম।

তবে বেশি খারাপ লাগলে এলোমেলো চুল ঠিক করতে পারবে। শরীআত কর্তৃক নির্ধরিত এই সময় পার হলে আগের মত সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী ২-৫৩৩]