banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কিনা?

অনেক স্বামী- স্ত্রী নিজেদের মাঝে অনেক ফ্রি। তাই একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করে থাকে। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে এই ভাবে একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

স্বামী স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতে পারবে এতো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু স্ত্রীর স্বামীর নাম ধরে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে এক প্রকার অসৌজন্যতা, তাই এমনটা করা মাকরূহ বা অনুচিত। [রহীমিয়া ২-৪১৩]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

ভয়ংকর সুন্দরের সঙ্গী হলো আরটিভি

অনিমেষ আইচের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ভয়ংকর সুন্দর’ আসছে ভালোবাসা দিবসের আগেই মুক্তি পাচ্ছে। সেই লক্ষে চলছে এর প্রচারণার কাজ।

এবার ‘ভয়ংকর সুন্দর’ দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে নতুন যাত্রা শুরু করলো। ‘ভয়ংকর সুন্দর’র প্রচারে সহযোগিতা করা ছাড়াও, ‘ভয়ংকর সুন্দর’র টেলিভিশন স্বত্ব লাভ করেছে আরটিভি।

এ উপলক্ষে আরটিভির অফিসে গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির পরিচালক অনিমেষ আইচ, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) হাবীব ভূঁইয়া, বার্তা প্রধান লুৎফর রহমান, বিক্রয় ও বিপণন প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ, সম্প্রচার প্রধান স্বপন ধর, আরটিভি অনলাইন প্রধান বার্তা সম্পাদক আনোয়ার হক, সহকারি মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) সৈয়দ সাবাব আলী আরজু প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, মতি নন্দীর ছোট গল্প ‘জলের ঘূর্ণি ও বক বক শব্দ’ অবলম্বনে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত ও বাংলাদেশের এ সময়ের সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী ভাবনাসহ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, লুৎফর রহমান জর্জ, ফারহানা মিঠু, ফারুক আহমেদ, সমাপ্তি মাসুক, দিহান, অ্যালের শুভ্র প্রমুখ।

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। চিত্রগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন খায়ের খন্দকার, নৃত্য পরিচালনায় সোহাগ, পোশাক পরিকল্পনায় চিন্ময়ী গুপ্তা কাজ করেছেন।

 

মনোবাসনা পূরণে আল্লাহর জিকির

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে এ নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ একটি। যার অর্থ হলো- ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

সংক্ষেপে এ গুণবাচক নাম (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ :

‘আল-খাফিদু’
অর্থ : ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

আল্লাহর ‍গুণবাচক নাম (اَلْبَاسِطُ)-এর আমল

ফজিলত
>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামটি মধ্য রাতে বা দ্বিপ্রহরের সময় ১০০ বার পাঠ করবে মহান আল্লাহ তাকে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে মনোনীত ও অর্থশালী করেন এবং মুখাপেক্ষীহীন করে দেন।

>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামের জিকির প্রতিদিন ৫০০ বার মনোযোগের সঙ্গে পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার মনোবাসনা পূরণ করেন।

পরিশেষে…
মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের জিকির করে দুনিয়ার মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্ত থেকে মনের একান্ত চাওয়াগুলো পূরণ করে নিতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত এ গুণবাচক নামের জিকির ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সেলস পার্সনদের জন্য বিক্রি বাড়ানোর ৫টি কৌশল

সময়ের মূল্য আপনার জন্য হিসেব হয় টাকায়। প্রতি মিনিটের হিসেব আপনাকে দিতে হয় কোম্পানিকে। কোম্পানির পণ্য বিক্রির জন্য যেমন নানান পরিকল্পনা আপনাকে করতে হয় তেমনি গ্রাহকের কাছে কীভাবে পণ্যকে তুলে ধরলে তা বিক্রি হবে সেই কৌশলও আপনাকে ঠিক করতে হয়। প্রতিমাসের টার্গেট নিশ্চিতভাবে পূরণের জন্য আপনি অনুসরণ করতে পারেন এই কৌশলগুলো-
কঠিন কাজগুলো আগে করুন
প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন কিছু কাজ থাকে যা সে কোনমতেই করতে পছন্দ করেন না। কেউ কেউ গ্রাহককে ফোন করে আপডেট দিতে অপছন্দ করেন। কেউ আবার মেইলের উত্তর দেওয়া বা মেইলে আলোচনা করা পছন্দ করেন না। কারও মিটিং ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে। কারও হয়ত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে এগুলো কঠিন কাজ। আর এগুলোর কারণেই হয়ত পরের কাজগুলো যা করা খুবই জরুরি সেগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আপনি যদি সময় ব্যবস্থাপনায় মাস্টার হতে চান তাহলে ‘ইচ্ছে করে না’ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই কাজগুলোই আগে দ্রুত গতিতে করে ফেলুন যা আপনার মূল কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
 
মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
একজন মানুষ একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন এটাকে খুব গৌরবের মনে করি আমরা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার দক্ষতার পথকে আটকে দেয়। মনোযোগ ভাগ হয়ে গেলে আপনার কাজের গতিও ধীর হয়ে আসে। যে পার্ফরমেন্স আপনার একটি কাজে দেওয়ার কথা ছিল তা ভাগ হয়ে যায়।
আপনি যদি মনে করেন, এমন হয় না, আপনি সব কাজ সমান দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনি জানেন না আপনি আরো কত চমৎকারভাবে আপনার মেধার ব্যবহার করতে পারতেন যদি আপনি একটি কাজ করতেন! অন্য একটি কাজে হাত দেওয়ার আগে প্রথম কাজটি শেষ করুন। যখন যে কাজটি করবেন সে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিন। এতে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখুন
প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় শুধু কাজগুলোই করুন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করুন। এখন আমাদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন হওয়ায় এখন মেইল, ফেসবুক নোটিফিকেশন সব কিছুই প্রতিমুহুর্তে তাদের আগমন জানাতে থাকে। এতে তৈরি হয় মনোযোগের বিচ্ছিন্নতা। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ রাখুন, অন্তত মোবাইলে।
অনেক সেলস পার্সনই এই কাজ করতে ভয় পাবেন কারণ তাদের মনে হবে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন গ্রাহকের বার্তা আসতে পারে বা দরকারি কোনকিছু মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাই থাকবেন। দেখবেন অনেকটা সময় বেঁচে যাবে, একই সাথে পণ্যের বিক্রিও বাড়াতে পারবেন সানন্দে।
কার্যকরি কাজটি করুন
আজকের দিনে কোন ধরণের যোগাযোগটি বেশী কার্যকরি সেটি বেছে নিন। যেমন ইমেইলের চেয়ে এখন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ জনপ্রিয়। ফোনে কল করার চেয়ে ভাইবার বা হোয়াটস এপ্স এ ভিডিও কল বেশী স্মার্ট। তবে কোন কোন কোম্পানি পুরাতন যোগাযোগের ধরণকেই প্রফেশনাল মনে করতে পারেন। খেয়াল করুন কার জন্য কোনটা বেশী কার্যকরি।
একজন গ্রাহক যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তেমন অভ্যস্ত নন তাকে মেসেজ না দিয়ে কল করুন। যে গ্রাহক সারাক্ষণ মিটিং এ থাকেন, খুবই ব্যস্ত মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই নিয়মিত মেইল চেক করেন। তাকে কল করে বিরক্ত না করে মেইল করুন। এভাবে আপনার যোগাযোগের ধরণ গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার সন্তুষ্টি তৈরি করবে এবং তিনি আপনার সাথেই যোগাযোগে আগ্রহী হবেন সবসময়।
 
প্রতিদিনকার কাজে গুরুত্বের ক্রম তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনকার কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো লিখে ফেলুন এবং অবশ্যই গুরুত্ব অনুসারে লিখুন। সবচেয়ে দরকারি কাজটি আগে লিখুন। ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করুন। এটি করতে আপনার হয়ত প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজটি নিয়মিত করলে আপনি অপ্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ফলে আপনার পার্ফরমেন্স হবে দিনে দিনে দূর্দান্ত।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই ফ্যাশন : বুবলি

শোবিজ দুনিয়ার নতুন মুখ বুবলি। বসগিরি ছবির মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু ঢালিউড আঙিনায়। প্রথম ছবিতেই প্রচুর সাড়া পেয়েছেন এই নবাগত নায়িকা। তাই তার ব্যস্ততার তালিকাও লম্বা। ফটোসেশন থেকে শুরু করে শুটিং- নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কাজের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। তবে এই ব্যস্ততার মাঝেও নিজের লাইফস্টাইন আর ফ্যাশনের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন জাগো নিউজের সাথে। জানান তার লাইফস্টাইল, আউটলুক আর ফ্যাশন সম্পর্কে নানা ভাবনাচিন্তার কথা। সঙ্গে ছিলেন ফারিন সুমাইয়া-

পরিবারের সাথে সময় কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বুবলি। এরপরেই তার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ঘুম। অবসর সময়ে তার প্রথম এবং প্রধান কাজ হয়ে থাকে এটি। সচারচর রাত ১ টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ বোলান সারাদিনের কাজের তালিকায়। সময়ের কাজ সময়ে করতেই পছন্দ করেন। তাই সিডিউলে থাকা কাজগুলোকে তিনি আগের থেকেই তালিকাবদ্ধ করে নেন। অন্যদিকে রুপচর্চার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। খুব বেশি হলে বাসায় বসে ভ্রু প্লাক আর আপার লিপ করে থাকেন। কিন্তু তিনি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। বাইরের খাবার এবং ভাজাপোড়া বুবলি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। আর সারাদিনে প্রচুর পানি পান করেন।

বুবলির পছন্দের খাবার ভাজা মাছ আর মায়ের হাতের রান্না করা যেকোনো খাবার। আর দিনের শুরুতে তিনি খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে থাকেন। এরপর সকালের নাস্তায় খান রুটি তার সাথে বিভিন্ন সবজি আর ডিম। তবে এই তালিকায় থেকে কিছু বাদ পরলেও ডিম থাকবেই। দুপুরের খাবারে থাকে মাছ, মাংস, ডাল, ভাত, ভাজি কিংবা ভর্তা। দুপুরের খাবারে কিছুটা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে মাছ আর মাংস। রাতের খাবারের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। রাতের মেনুতে থাকে ভাত সাথে মাছ নয়তো মাংস।

বুবলির পছন্দের অভিনেতা আফজাল হোসেন, শাকিব খান, টুম ক্রুজ। অভিনেত্রী শাবানা, ববিতা, শাবনূর আর মৌসুমী। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর প্রিয় গায়ক সুবীর নন্দী, ইমরান, শ্রীকান্ত, মিতালী মুখার্জি, এবং মিমি। প্রিয় জায়গা তার নিজের বাসা। তিনি নিজেকে ঘরকুনো বলে আখ্যা দেন। অবসর সময় পেলেই তিনি ঘুমান। তার সর্বোচ্চ ঘুমের রেকর্ড ১৫ ঘণ্টা। পছন্দের সিনেমা আগুনের পরশ মণি, জার্মান বিভিন্ন ফিল্ম, এবং সুইট নভেম্বর।

জুয়েলারির মধ্য বুবলির পছন্দ ঘড়ি। বিভিন্ন নামী দামী ব্যান্ডের ঘড়ি এবং সুগন্ধি ব্যবহার করেন বুবলি। ঘড়ির ক্ষেত্রে তার পছন্দের ব্যান্ড রেডো, টাইটানিক, রোলেক্স। আর সুগন্ধির ক্ষেত্রে লাবাম্বা, শ্যালিমার গার্লিয়ান এবং বিভিন্ন নামিদামী ব্যান্ডের ডিও ড্রেন। কাজল, মেকাপ, আইলাইনারের ক্ষেত্রে তার সারা জীবনের সঙ্গী ম্যাকের পন্য। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে থিসিমি, লরিয়াল এবং ডাভ ব্রান্ডের পণ্য ব্যবহার করেন তিনি। তবে পোশাক এবং জামার ক্ষেত্রে তিনি ব্যান্ডকে সেভাবে মাথায় রাখেন না। সেক্ষেত্রে তার মাথায় থাকে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ সেই জামা কিংবা জুতো জোড়ার সাথে।

বুবলির কাছে ফ্যাশন মানে কী জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন মানেই স্বাচ্ছন্দ্য। আপনি কতটা তা ধারণ করতে পারছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে তা মানাচ্ছে কী না। নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করতে জানাটাই বুবলির কাছে ফ্যাশন।

 

যেভাবে রাঁধবেন থাই চিকেন কারি

চিকেনের নানাপদ তো প্রায়ই খেয়ে থাকেন। স্বাদে একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চাইলে রাঁধতে পারেন থাই চিকেন কারি। ঝটপট রান্না করা যায় বলে ঝামেলাও কম। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : মুরগি ১ কেজি (ছোট ছোট টুকরো করা), মোটা করে কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, লম্বা করে কাটা থাই পাতা/লেমন গ্রাস ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৬/৭টি, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি : মুরগি কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, এবার মুরগিতে আদা-রসুন বাটা ও লবণ মাখিয়ে প্যানে পরিমাণমতো তেল দিয়ে হালকা লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন এবার ওই প্যানেই প্রয়োজনমতো আরো কিছু তেল দিন এবং সব সস দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে, ভাজা চিকেন, পেঁয়াজ ও থাই পাতা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন, একদম মাখা মাখা হলে কিছু কাঁচামরিচ চিরে অথবা আস্ত দিয়ে মিশিয়ে লবণ ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে রাইসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত এই ৫টি অ্যাপস

“অ্যাপস” স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য পরিচিত একটি নাম। দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অ্যাপস আবিষ্কার হচ্ছে। রঙ্গিন ছবি সাদাকালো করা কিংবা রাস্তার জ্যামের খবর অথবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খবর জানা যায় অ্যাপসের কল্যাণে। কিছু অ্যাপস আছে যা প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত। এই অ্যাপসগুলো নারীদের জীবন করে তুলবে আরও বেশি সহজ। নারীদের প্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপস নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। Clue   

পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ মনে রাখা নারীদের জন্য বেশ কঠিন একটি কাজ। আর তারিখ মনে না রাখার কারণে অনেক সময় সম্মুখীন হতে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। ক্লু অ্যাপটি আপনার পিরিয়ডের তারিখ মনে রাখবে।  শুধু তাই নয় তারিখ আসার আগে আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।

২। Noom Coach

ডায়েট করতে চাচ্ছেন, কিন্তু আলসেমির কারণে হয়ে উঠছে না? তাহলে আজই মোবাইলে ইনস্টল করে নিন নুম কোচ। কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করছেন, কী ডায়েট করবেন, কী ব্যায়াম করবেন সব জানতে পারবেন এইখান থেকে। এই অ্যাপসটিকে ভার্চুয়াল ফিটনেস প্রশিক্ষকও বলতে পারেন!

৩। Pinterest

পিন্টারেস্ট অ্যাপটি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি রান্না করতে পছন্দ করেন, নতুন নতুন খাবার রান্না করেন, তবে এটি আপনার জন্য। এইখানে নানান ধরণের ক্যাটাগরিতে নানান ছবি পিন করা থাকে। খাবারের ক্যাটাগরিতে কোন ছবি পছন্দ হয়ে গেলে  সেটাতে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন সেই খাবারের রেসিপি!

৪। MyPill

যারা নিয়মিত পিল গ্রহণ করে থাকেন, তারা জানেন পিল একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে গ্রহণ করতে হয়। পিল গ্রহণের ডেট মনে করিয়ে দেওয়াই মাই পিলের কাজ।

৫। Healthtap

রাতে হঠাৎ ডাক্তারের সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়লো, তখন কী করবেন? হেলেথ ট্যাপ অ্যাপটি আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার সমস্যার দ্রুত সমাধান পেয়ে যাবেন এই অ্যাপের কাছ থেকে। এমনকি আপনি রোগের ছবি অথবা ল্যাবের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

অল্প খরচে সাজিয়ে ফেলুন নিজের ঘরটি

ঘর শান্তির নীড়। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর ঘরে ফিরে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। তাই প্রত্যেক মানুষ চায় তার ঘরটি হোক সাজানো গোছানো ছিমছাম। এই ঘর সাজানোর জন্য কত কিছু না করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সব সময় সব কিছু করা হয়ে উঠে না। ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারা যায় না পছন্দের ঘর সাজানোর জিনিস। কিন্তু কিছু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব কম খরচে এবং নতুন আঙ্গিকে ঘরকে সাজানো যায়। এর জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশলের। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

১। রঙের পরিবর্তন

আপনার ঘরকে আকর্ষনীয় করে তুলতে রঙের ভূমিকা অনেক। ঘরের আকার দেখে রং পছন্দ করুন। হালকা রং ঘরকে বড় দেখায়। আর গাঢ় রংয়ে ঘরকে ছোট দেখায়। যদি নতুন করে রং করা সম্ভব না হয় তবে আগের রং ওপর নতুন এক কোট রং লাগিয়ে নিন দেখবেন ঘরের উজ্জলতা বেড়ে গেছে।

২। কুশন ব্যবহার

ঘরকে সাজাতে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় রঙিন কুশন ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনার সোফার রঙ খুব সাধারণ অনুজ্জ্বল হলেও তার সঙ্গে রঙিন কুশন মানিয়ে যাবে সহজেই। যে কোনো একটি উজ্জ্বল রঙের কুশন দিয়ে সোফা ও বিছানা ভরিয়ে তুলতে পারেন। আবার চার পাঁচটি রঙ এর কুশন কভারও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। সঠিক সোফা নির্বাচন করুন

সোফা আপনার ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক দামী কোন সোফা দিয়ে ঘর সজাতে হবে এমন কোন কথা নেই। আজকাল মেঝেতে বসার আয়োজন বা ফ্লোরিং বেশ জনপ্রিয়। ফ্লোরিং যদি পছন্দ না করেন তবে বাঁশ বা বেতের সোফা দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। অল্প খরচে অনেক সুন্দর কিছু বেতের সোফা কিনতে পারেন।

৪। গাছ ও ফুল

ফুল এবং গাছ অন্যান্য ঘর সাজানোর জিনিসের তুলনায় বেশ সস্তা। এই গাছ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার বাসাটি। গাছ ঘরকে রঙিন করে তুলবে। জানালার ধার ঘেঁষে লাগাতে পারেন লতানো গাছ। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস না থাকলে গাছের বদলে তাজা ফুলও রাখতে পারেন। ঘরের এক কোণে কয়েকটি তাজা ফুল রেখে দিলে নিমিষেই ঘর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

৫। রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনুন

সবসময় বড় দোকানগুলো থেকে যে শোপিস বা ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে হবে এমন তো নয়। অনেক সময় রাস্তার পাশেও পেতে পারেন দারুন কিছু ঘর সাজানোর জিনিস। পথে আসা যাওয়ার সময় খেয়াল করুন রাস্তার দোকানগুলোকে। পেয়ে যেতে পারেন আপানার পছন্দের কোন শোপিস।

৬। ল্যাম্প

অল্প খরচে ঘরে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ল্যাম্পের জুড়ি নেই। ঘরের কোণে একটি রঙিন ল্যাম্প রেখে দিন। সেটা হতে পারে হলুদ, লাল, নীল, কমলা কিংবা সবুজ। অথবা বেশ কিছু রঙের মিশ্রনে তৈরী ল্যাম্প ও পাওয়া যায় বাজারে। এছাড়া ঝুলানোর জন্য বিশেষ কিছু ল্যাম্প পাওয়া যায়। এর যেকোন একটা ল্যাম্প আপনি ঘরের কোণে রেখে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম