banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

সরাসরি না দেখে বেগানা নারীদের ছবি দেখলে পাপ হবে কিনা?

সরাসরি না দেখে মেয়েদের ফটো দেখা বিশেষ করে পত্র-পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে যাদের ফটো থাকে তাদের ফটো দেখা কেমন?

প্রথমে জানতে হবে যে বেগানা বরতে আসলে কি বুঝানো হয়েছে? বেগানা মানে হলো- যে নারীর সাথে পর্দা করা ফরজ, পর্দাহীনভাবে যে নারীকে দেখার অনুমতি ইসলামি শরীয়ত প্রদান করে না। এমন নারীকে বেগানা বলা হয়। বেগানা নারীদের সরাসরি দেখা যেমন না জায়েজ ঠিক তেমনই ভাবে তাদের ফটো দেখাও না জায়েজ ও হারাম। তাই বেগানা মেয়েদের ফটো দেখা কোনভাবেই জায়েয না। [হেদায়া: ৪-৪৫৮]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

পুরুষের লাল কাপড় পরা : কী বলে ইসলাম

কিন্তু আমার জানার বিষয় হচ্ছে পুরুষ যদি লাল রংয়ের কাপড় পরে তাহলে কি সেটা পরা তার জন্য জায়েয হবে? ইসলামী শরীয়ত এই বিষয়ে কি বলে?

সাদা, কালো, হলুদ ও লাল ইত্যাদি রোংয়ের কাপড় বাজারে পাওয়া যায়। আমর সাধারণত দেখি পুরুষরা লাল কাপড় পরে না। কিন্তু আমার জানার বিষয় হচ্ছে পুরুষ যদি লাল রংয়ের কাপড় পরে তাহলে কি সেটা পরা তার জন্য জায়েয হবে? ইসলামী শরীয়ত এই বিষয়ে কি বলে?

লাল কাপড় পরতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রকার বাধা নেই। তবে না পরাই ভালো। [আযীযুল ফাতাওয়া ৭৫১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

স্ট্রবেরির গুণাগুণ

মুখোরোচক এবং সুস্বাদু ফলের নাম হলো স্ট্রবেরি। আপনার ডায়েটের খাদ্য তালিকায় যাকে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে জায়গা দিতে পারেন। স্ট্রবেরিতে রয়েছে লো-ক্যালোরি, উচ্চ মাত্রার ফাইবার। এছাড়া এটি ফ্যাট মুক্ত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং শক্তি সরবারহ করে স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক এ ফলটির আরো কিছু গুণাবলি।

শক্তি সরবারহ করে
প্রতিদিনের খাবার তালিকা এমন হওয়া উচিৎ যাতে আমরা পর্যাপ্ত শক্তি পাই। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি হতে পারে উপযুক্ত খাবার। এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাপশক্তি সৃষ্টি করে যা সারাদিন কাজে মনোযোগী এবং কর্মদক্ষ বাড়ায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
একটি গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে যে, সপ্তাহে অন্তত একটি স্ট্রবেরি খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া যারা ডায়েট করছেন এমন ৯৩ হাজার নারীর উপর গবেষণা করে পাওয়া গেছে, তাদের ডায়েট চার্ট ২৫-৩০ শতাংশ কাজে আসে কেবল স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
স্ট্রবেরি কেবল শরীরের জন্যই ভালো তা নয়, এটি সমানভাবে মস্তিস্কের জন্যও উপকারি। অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড ক্যামিস্ট্রির জার্নালে প্রকাশ পায় যে, স্ট্রবেরিতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিজেন রয়েছে, যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে অনেক কিছু মনে রাখতে সাহায্য করে।

হাড়ের ক্ষয় রোধ
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় একটি অন্যতম রোগ। হাড়ের ক্ষয়ের সঙ্গে কখনো কখনো যুক্ত হয় ব্যথাও। আর এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন খেতে পারেন স্ট্রবেরি। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন সি হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করবে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি
স্ট্রবেরিতে থাকা ভিটামিন সি পাচন তন্ত্রের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে। হজম ক্রিয়াকে করে তোলে সক্রিয়। ফলে যাদের বদহজম আছে তারা স্ট্রবেরি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

 

হুমায়ূন আহমেদের গল্পের নায়ক হিরো বাঁধন

হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ উপন্যাস অবলম্বনে একটি ছবি নির্মাণ করবেন মেহের আফরোজ শাওন। সেই সিনেমার নায়ক হচ্ছেন বাঁধন। ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মেন চ্যানেল আই হিরো, পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ আর্মি’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মেন চ্যানেল আই হিরো, পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ আর্মি’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে বাঁধন পাচ্ছেন সিনেমায় কাজ করার সুযোগ।
কিংবদন্তি লেখকের গল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে করছেন বাঁধন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অসম্ভব খুশি। পাশাপাশি এ–ও বলতে চাই, ছবিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আমার ওপর যে বিশ্বাস রেখেছেন, আমি তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।’ গতকাল শনিবার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান।
পাঁচ শ তরুণের মধ্য থেকে চূড়ান্তপর্বে বেছে নেওয়া হয় সেরা পাঁচ প্রতিযোগীকে। সবাইকে পেছনে ফেলে ‘হিরো’ হন বাঁধন। পুরস্কার হিসেবে তিনি আরও পেয়েছেন একটি ব্র্যান্ড নিউ মিতসুবিসি গাড়ি ও এক লাখ টাকা। ছবিটি নিবেদন করবে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ও পরিবেশন করবে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম রানারআপ পূষণ দুই লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানারআপ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ টাকা। এ ছাড়া এক বছরের জন্য ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
পুরস্কার ঘোষণার সময় মঞ্চে ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাব্বির আহমেদ ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর জাভেদ আক্তার। প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও অভিনেত্রী ও নির্মাতা তানিয়া আহমেদ।

 

অফিস হোক স্ট্রেস ফ্রি কাজের জায়গা

অফিস মানেই কি স্ট্রেস? অনেক কাজের চাপ, বসের বকাঝকা, সহকর্মীদের সাথে প্রতিযোগিতা আর অফিস পলিটিক্সের নানান ঝামেলা- এই কি অফিস? না। কাজের জায়গা হলেও অফিসকে আপনি করে নিতে পারেন নিজের মনের মত! কাজ করতে করতেও থাকতে পারেন স্ট্রেসফ্রি। কীভাবে? আসুন জেনে নিই-
কলিগদের সাথে বন্ধুত্ব করুন
অফিস কাজের জায়গা। বন্ধুত্বের জায়গা নয়। ঠিক। কিন্তু কলিগ তো আপনার শত্রুও নয়, তাই না? সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসুন। এতে আপনারই স্ট্রেস কমবে। আপনার কাজ আপনি ঠিকমত করে যান। সবার সাথে মিশুন হাসিমুখে। অন্য কেউ যদি আপনার সাথে প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান তিনিও একসময় ক্লান্ত হয়ে যাবেন। ভাল ব্যবহার, মিষ্টি হাসি আপনাকে সবার বন্ধু করে তুলবে। এতে আপনার কাজ সহজ হবে। অনেক প্রয়োজনে সাহায্য যেমন পাবেন তেমনি অপ্রয়োজনীয় স্ট্রেস কমে আসবে।
সব কাজ ঠিকমত করুন
নিজের কাজ অবহেলা করে ফেলে রাখবেন না। কাজ ঠিকমত না করলে বসের রাগ তো সইতেই হবে, তাই না? তাই ঠিকমত নিজের দায়িত্ব পালন করুন সবার আগে। অফিসে এসে সময় নষ্ট করবেন না। সব কাজ গুছিয়ে করুন। চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন। আপনি যার অধীনে কাজ করছেন যে কোন ব্যপারে আগে তার সাথে কথা বলুন। তাকে এড়িয়ে উর্ধ্বতন কারও সাথে পরামর্শ করতে যাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। সমাধান হবে না।
মাঝে মাঝে ব্রেক নিন
একটানা কাজ যে কোন মানুষকে ক্লান্ত করে দেয়। কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিন। হাঁটাহাঁটি করুন। চা পান করুন। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন। এখন অফিসে প্রায় সব কাজই থাকে কম্পিউটারে। সারাক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা নার্ভে চাপ তৈরি করে। তাই কাজের ফাঁকে একটু হলেও ব্রেক নিন।
 
গান শুনুন
এমন কিছু কাজ থাকে যা একটু রিল্যাক্স মুডে করা যায়। সেই সব কাজের সময় গান শুনুন। সুর, ছন্দ আমাদের মস্তিষ্ককে একটা শান্তির আমেজ দেয়। আনন্দের বার্তা পাঠায়। এতে সে যা কাজ করে আনন্দের অংশ হিসেবেই করে। ফলে ওই কাজটুকু আপনার মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি করে না।
জীবনের সাথে তাল মেলান
কম বেতন, যাতায়াতের সমস্যা এগুলোও স্ট্রেস তৈরি করে। জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিন এগুলোকে। যা নেই তা তো বাড়তি টেনশন করলেও আসবে না, তাই না? তাই জীবনকেও ওইভাবেই সাজিয়ে নিন। অফিসের কাছে বাসা ভাড়া নিতে পারেন বা নিজের অপ্রয়োজনীয় কোন শখ আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন। এভাবে নিজেকে ভারমুক্ত করুন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব। তবে এই অমূল্য বস্তুও কখনো কখনো আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। যদি আপনার জীবনে সঠিক মানুষটি বন্ধু হয়ে না আসে তবে আপনার জীবন মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। আপনি মানসিক রোগীতেও পরিণত হতে পারেন। তাই বন্ধু নির্বাচনের সময় সতর্ক হোন। কাকে বন্ধু বানাচ্ছেন তা বানানোর আগে হাজারবার ভাবুন এর পরে হাতটি বাড়ান।

নিজস্ব সত্ত্বায় অটল থাকুন
আপনার নিজের কিছু ভালোলাগা খারাপলাগা আছে। আপনি হয়তো বন্ধুর জন্য অনেক কিছুই বিসর্জন দিয়েছেন এবং দেয়ার মনমানসিকতাও তৈরি করে রেখেছেন। তবে সেও যে আপনার জন্য একইরকম ভাবে চিন্তা করে তার কী প্রমাণ আছে আপনার কাছে। আর আপনি যখনই এমন কাছের বন্ধুর থেকে ধোঁকা খান, আপনি ভেঙ্গে পড়েন। তাই নতুনভাবে বন্ধু নির্বাচনের সময় এই ব্যপারগুলো মাথায় রাখুন। যাতে আপনার নিজস্ব স্বত্বা সব সময় অটুট থাকে। একে খুব সহজে বিলীন হতে দেবেন না।

পরিচিতি আগে গড়ুন
হুট করে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু যেমন টিকে থাকে না ঠিক বন্ধুত্বও টেকে না। তাই কারো সাথে দু-চার দিনের পরিচয়েই বন্ধুত্ব করবেন না। তাকে আগে চিনুন তার সাথে সময় কাটান, দেখুন সে আপনাকে কেমন বুঝছে আপনি তাকে কেমন বুঝছেন এবং একে অন্যর বিপদে কেমন আচরণ করছেন। কতটুকু সাহায্য করছেন। এসব দেখেশুনে তবেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ান।

প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রযুক্তি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রতিদিন আমাদের কতশত মানুষদের সাথে পরিচয় হয় এই প্রযুক্তির বদৌলতে। আর একটা সময় তাদের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে সৃষ্টি হয়ে যায় এক বন্ধুত্বের সম্পর্কে। তাই এসব ক্ষেত্রে একটু সজাগ থাকুন। দেখেশুনে পা বাড়ান। যাতে ভুল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব না হয়।

মুক্তমনা
মনের মাঝে কথা লুকিয়ে রাখে এমন মানুষ থেকে হাজার হাত দূরে থাকুন। কারণ এদের মনে এবং মস্তিস্কে কী ঘুরতে থাকে কেউ বলতে পারে না। তাই এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো আপনার জন্য। বন্ধুত্ব গড়ুন তার সাথেই যে মন খুলে আপনার সঙ্গে মিশতে পারে। আপনাকে তার সব কথা বলতে পারে।

 

ঝাল ঝাল সিজলিং বিফ

ঈদের পর অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে গরুর মাংস খাচ্ছেন না। অনেকে আবার ইচ্ছামতো খাচ্ছেন। তবে প্রতিদিন গরুর মাংস শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি খাদ্যাভাসেও একঘেয়েমী আনে। তবে একটু আলাদা করে স্বাদ বদল করে সিজলিং বিফ বোধ হয় খাওয়া যায়, এতে সবজিও খাওয়া হয়, মাংসও খাওয়া হয়। আজকের রান্না সিজলিং বিফ।

উপকরণ:

হাড় ছাড়া মাংস – ১/২ কেজি (জুলিয়ান কাট )

সয়া সস – ২ টেবিল চামচ(মেরিনেট করার সময় এক টেবিল চামচ বাকিটা পরে দিতে হবে।)

ওয়েস্টার সস – ১ টেবিল চামচ

রেড় গার্লিক সস ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা – ১ চা চামচ

রসুন বাটা – ১ চা চামচ

গোলমরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

লাল মরিচ গুঁড়া -১/২ চা চামচ

লবণ স্বাদ মতো

চিনি- ১/২ চা চামচ

ভিনেগার সস:  ভিনেগার ১ টেবিল চামচ+ শুকনা মরিচ কুচি দুটি + রসুন ছেচা কুচি ৫-৬ টি কোয়া সব এক সাথে মিক্স করে রাখুন

পেঁয়াজ- মোটা কুচি ১/২ কাপ

কাঁচামরিচ ফালি ৪-৫ টি(বিচি ফেলে দিতে হবে।)

ক্যাপসিকাম ১ টি- মোটা জুলিয়ান কাট

গাজর ১টি- জুলিয়ান কাট

পিয়াজঁ পাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ

কর্ণফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ

সয়াবিন তেল- ২ টেবিল চামচ

 পদ্ধতি:

১) প্রথমে বিফকে পাতলা জুলিয়ান শেইপে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

২) এবার বিফে লবণ পরিমাণ মতো ,আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, সয়াসস ও ওয়েস্টার দিয়ে মেখে কমপক্ষে ১ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।

৩) এখন বিফ গুলো একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় মিড়িয়াম আঁচে রান্না করতে হবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে । যেন তলায় লেগে না যায়। বিফে প্রয়োজনে এক কাপ পানি দিয়ে দিন। বিফ সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে আসলে নামিয়ে নিন।

৪) এখন সিজলিং এর পালা, সিজলিং প্যানটি গরম দিন। যাদের সিজলিং প্লেট নাই অসুবিধা নাই। তারা নরমাল প্লেটে সার্ভ করতে পারেন।

৫) অন্য একটি ননস্টিক প্যান চুলায় দিয়ে তেল গরম করে, ভিনেগার সসটি দিয়ে নাড়ুন কিছুক্ষণ। সুগন্ধি বের হলে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ও গাজর দিয়ে নাড়ুন এক মিনিট মতো। চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে।

৬) এবার রান্না করা বিফটি দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে। রেড গার্লিক সস ও এক টেবিল চামচ সয়াসস দিয়ে নেড়ে ভাজুন। চিনি ,কাঁচামরিচ  দিন নেড়ে মিশান। এক টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার +১/২ কাপ পানি দিয়ে গুলে বিফে দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশান। এবার পেঁয়াজ পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

৭) এবার গরম সিজলিং প্যানে বাটার দিয়ে বিফ ঢেলে নিন। উপরে পেঁয়াজ পাতা কুচি, পেঁয়াজ রিং ও কাঁচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

বাহারি ওড়নার খোঁজখবর

হালের ফ্যাশনে ওড়না এখন বিশেষভাবে সমাদৃত। একটি নজরকাড়া ওড়না পোশাকে এনে দেয় নতুনত্ব এবং ভিন্নতা। একসময় শুধু রঙটা মিলিয়ে পরে নিলেই শেষ হয়ে যেত ওড়নার প্রয়োজনীয়তা। এখন আর ব্যাপারটা তেমন নেই, ওড়না দিয়েই নিজেকে করে তোলা যায় ফ্যাশনেবল। ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে রঙ-বেরঙের ওড়না এখন খুব ব্যবহার হচ্ছে। নানা রঙের বাহার ওড়নায় তৈরি করে এক নান্দনিক সৌন্দর্য। যেকোনো সাদামাটা সাজে পরিপূর্ণতা এনে দিতে পারে রঙিন ওড়না।

একই ওড়নায় নানা রঙের ব্যবহার এখন বেশ জনপ্রিয়। কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে নয় বরং ওড়নার সঙ্গে মিলিয়ে কামিজ পরার চলটা ফিরে এসেছে। টাইডাই বাটিকের পাশাপাশি সুতি, খাদি, চুণ্ডি, সিল্ক, মসলিন, নানা রকমের জর্জেট সেই সঙ্গে তাঁতের ওড়না এখন বাজার জুড়ে বিস্তার।

নানা রঙের শেডের ওড়না যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে একই ওড়নায় মাল্টিকালারের সমাবেশ। এর সুবিধা হচ্ছে, একটি ওড়না দু-তিনটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় সহজেই। শেডের ওড়নার চাহিদাও রয়েছে বেশ।

এখন টাইডাই করা ওড়না ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়। দুই বা তিন রঙে টাইডাই করা হয়। জর্জেট ও সুতি দুটো কাপড়েই টাইডাই করা ওড়না হচ্ছে। এছাড়াও ওড়নায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেসের ব্যবহার। অনেকে চওড়া বা সরু লেস ডিজাইন করে ওড়নায় বসান। মসলিন ও জর্জেটের ওপর সাধারণত লেস লাগানো হয়। সাধারণত জমকালো পোশাকের সঙ্গে এই ওড়নাগুলো ব্যবহার করা হয়।

নানা রকমের পাড় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ওড়নায়। সুতি, কুরুশের কাজ, নেটের কাজ করা পাড়ও দেখা যায়। অ্যামব্রয়ডারি করা ওড়নাও পাওয়া যায়। জর্জেট ও সুতির ওড়নাতে অ্যামব্রয়ডারি বেশি দেখা যায়। একরঙা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে একটি কাতানের ওড়না পোশাকে যোগ করবে অভিনবত্ব।

বিভিন্ন মার্কেট ছাড়াও বড় বড় বুটিক হাউজগুলোতে রয়েছে ওড়নার বিশাল সম্ভার। কাপড় ও কারুকাজ অনুসারে ওড়নার দাম পড়বে। সুতি একরঙা ও হালকা কাজের ওড়না পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পাকিস্তানি জর্জেটের হাতের কাজের ওড়না ৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, খাদি ১২০ থেকে ৩০০ টাকা, হ্যান্ড প্রিন্ট ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বলাকা সিল্ক ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা, শার্টনি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, মসলিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিল্ক শিফন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্কের ছোট ওড়না ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সুতি স্কার্ফ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাফলার ওড়না ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, জুট কটন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্ক ৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, চিনন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ক্রেপ জর্জেট ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাটিক ১২০ থেকে ৪০০ টাকা, সুতি টাইডাই ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিল্ক টাইডাই ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, স্প্রে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, সিল্ক কোঁকড়ানো ওড়না ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, জামদানি ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

 

এটাই কি খাদিজার প্রতি বদরুলের ভালোবাসা?

‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়!/ সে কি কেবলই যাতনাময়।’—রবিঠাকুরের এই গানটি বর্তমানে খুব বেশি সময়োপযোগী। হয়তো তিনি তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ভালোবাসা নামক শব্দের বিপরীত দিকটা খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, তা না হলে এমন গান কি লেখা যায়?
ভালোবাসা যে সত্যি যাতনাময় সেটা আরও একবার প্রমাণ হলো বাংলার বুকে। এই বাংলার মাটিতেই ভালোবাসা নামক শব্দের বলি হলো খাদিজার মতো এক নিরীহ প্রাণ! এটাই কি খাদিজার প্রতি বদরুলের ভালোবাসা? এই ভালোবাসা বুকে নিয়েই কি বদরুল দিনের পর দিন খাদিজার জন্য প্রতীক্ষা করেছে? প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেই তাকে রক্তাক্ত করতে হবে, আছে কি কোনো গ্রন্থে লেখা?
বদরুল কি সত্যি খাদিজাকে ভালোবেসেছিল? ভালোবাসাতো কখনো কারও ক্ষতি করে না! ভালোবাসার মানুষের অমঙ্গল কেউ কখনো কামনা করতেই পারে না। তাহলে খাদিজাতো ভুল করেনি মানুষরূপী পশু বদরুলকে চিনতে। আর চিনতে পেরেছিল বলেই আজ তার এমন করুন দশা।

বদরুল ছাত্রলীগ না ছাত্রদল সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা হলো সে একজন মানুষ। আর মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্ব তৈরি হয় শৈশবে। যা হয়তো বদরুলের ভেতরে ছিল না। কবি ঠিকই বলেছিলেন, মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুর-অসুর। প্রতিটি মানুষের ভেতরেই একটা পশু ঘাপটি মেরে বসে থাকে। মানুষের বিবেক সেই পশুটাকে জাগ্রত হতে বাঁধা দেয়। কিন্তু বিবেক যেখানে অস্তিত্বহীন, মনুষ্যত্ব সেখানে অসহায়।
খাদিজা-রিসার মতো আরও অসংখ্য নারী দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কারও মুখ অ্যাসিড দিয়ে ঝলসানো হচ্ছে, কাউকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, কারও পেটে ছুরি ঢোকানো হচ্ছে আবার খাদিজার মতো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে।
প্রেম-ভালোবাসার নামে যে পৈশাচিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ভালোবাসা শব্দটির গভীরতা সম্বন্ধে ন্যূনতম ধারণা যাদের নেই শুধুমাত্র মোহের বসে তারা ফুলের মতো জীবনগুলো ধ্বংস করে চলেছে। এর কোনো প্রতিকার আজও আমাদের সমাজ করতে পারেনি। যদি শুরুতেই এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো তাহলে দিনে দুপুরে সবার সামনে খাদিজাকে এভাবে আক্রমণ করতে পারত না।
দূর প্রবাস থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, বদরুলের মতো নরপিশাচের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। পত্রিকার পাতায় আর কোনো খাদিজা-রিসা যেন হেডলাইন না হয়। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী সে দেশে সকল নারীর নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয়। আমরা প্রবাসীরা যেন মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারি।