banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

রোজার প্রয়োজনীয় বিশেষ ৫টি দোয়া!

রমজান মাসে এশার নামাজের পরে বিশ রাকাত তারাবি নামাজ পড়া হয়। বর্ণিত আছে যে, সাহাবায়ে কেরাম রা. তারাবি নামাজে চার রাকাত পরপর বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতেন। কোনো সাহাবারা এই দোয়াটিও পাঠ করতেন।

প্রস্তুতিমূলকভাবে রোজার মাসের জন্য নিচের ৫টি দোয়া এখনই মুখস্থ করে রাখা যেতে পারে।

প্রথম দোয়া : রোজার চাঁদ দেখার দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

তরজমা : হে আল্লাহ! এ চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত করো শান্তি, ঈমান এবং নিরাপত্তার জন্য। ইসলামের সঙ্গে। হে চাঁদ! আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ!

তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ রা.-এর বর্ণনায় নবিজি সা. নতুন চাঁদ দেখে এই দোয়া পড়তেন। (সুনানে দারেমী, হাদীস নং ১৬৮৮)

দ্বিতীয় দোয়া : রোজার নিয়ত

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম্ মিন্ শাহরি রমাদ্বা-নাল মুবা-রাকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া- আল্লাহু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস্ সামিউল আলিম।

তরজমা : হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমজানের ফরজ রোজা রাখার জন্য আমি নিয়ত করছি। তুমি তা আমার পক্ষ থেকে কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রেতা, সর্বজ্ঞানী। (জেনে রাখা ভালো, রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ। তবে মুখে আরবি উচ্চারণ করা জরুরি নয়। নিয়ত শব্দের অর্থ হলো অন্তরের ইচ্ছা। অন্তরের পরিকল্পনাই মূলত নিয়ত। কোনো ব্যক্তি রোজা রাখার নিয়তে যদি মনে মনে এই ভাবেন যে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আগামীকাল রোজা রাখব, তাহলে তার এই নিয়ত আদায় হয়ে যাবে।)

তৃতীয় দোয়া : ইফতারের দোয়া

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা- রিজক্বিকা আফত্বারতু বি-রাহমাতিকা ইয়া- আরহামার রাহিমিন।

তরজমা : হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রোজা রেখেছি এবং তোমার দেওয়া রিজিক থেকে ইফতার করছি হে পরম দয়ালু, দাতা!

চতুর্থ দোয়া : তারাবির নামাজের দোয়া
রমজান মাসে এশার নামাজের পরে বিশ রাকাত তারাবি নামাজ পড়া হয়। বর্ণিত আছে যে, সাহাবায়ে কেরাম রা. তারাবি নামাজে চার রাকাত পরপর বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতেন। কোনো সাহাবারা এই দোয়াটিও পাঠ করতেন।

উচ্চারণ : সুবহানা জিলমুলকি ওয়ালমালাকুতি সুবহানা জিল ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়ালহাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুত সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিলল্লাজি লা ইয়ানুমু ওয়া লা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুববুহুন কুদ্দুসুন রাববুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।

তরজমা : আল্লাহ পবিত্রময় সারাজ্য ও মহত্ত্বের মালিক। তিনি পবিত্রময় সম্মান মহত্ত্ব ও প্রতিপত্তিশালী সত্তা। ক্ষমতাবান, গৌরবময় ও প্রতাপশালী তিনি পবিত্রময় ও রাজাধিরাজ যিনি চিরঞ্জীব, কখনো ঘুমান না এবং চির মৃত্যুহীন সত্তা। তিনি পবিত্রময় ও বরকতময় আমাদের প্রতিপালক, ফেরেশতাকুল এবং জিবরাইল আ.-এর প্রতিপালক।

পঞ্চম দোয়া : ১টি দোয়ায় হাজার বছরের সওয়াব!

উচ্চারণ : জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুহ।

তরজমা : নবি করীম সা. বলেন, যে ব্যক্তি ১ বার এই দোয়া পাঠ করবে, ৭০ জন ফেরেশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে তার সওয়াব লিখতে থাকবেন। (মাজমাউয জাওয়ায়েদ হাদীস নং-১৭৩০৫) এটা রমজান মাস সেহেতু সকল ইবাদতের সওয়াব হবে ৭০ গুণ।

মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব
বিভাগীয় প্রধান, আমাদের অর্থনীতি

 

বিনা খরচায় বাড়িয়ে তুলুন নিজের যোগ্যতা

হাতে একদম টাকা নেই। নেই কোনরকম খরচ-খরচা করার ইচ্ছেও। তবে পরীক্ষার পর কিংবা বিশেষ কোন কারণে হঠাৎ পেয়ে বসা লম্বা ছুটিটাতে নিজেকে আরো বেশি যোগ্য করে তোলার ইচ্ছে আছে পুরোদমে। কিন্তু কোনরকম আর্থিক ঝামেলা ছাড়া কী করে কোন প্রশিক্ষণ পাওয়া যাবে? আর কেমনই বা সেই ব্যাপারগুলো যেগুলোর চাহিদা অনেক বেশি হলেও খরচটা বলতে গেলে একেবারেই নেই? চলুন তাহলে এক পলকে দেখে আসি এমন কিছু কাজকে যেগুলো আপনার যোগ্যতাকে বাড়িয়ে তুলবে অনেক বেশি, তাও আবার কোনরকম খরচ ছাড়াই!

১. জনসম্মুখে কথা বলা

সম্প্রতি স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিতে গিয়ে একটি বিশেষ যোগ্যতার দিকে বারবার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওয়ারেন বাফেট। আর সেটি হচ্ছে সবার সাথে যোগাযোগ করা ও জনসম্মুখে স্বতস্ফূর্তভাবে কথা বলতে পারার অভ্যাস। মূলত, এটি এমন একটি গুণ যেটি কিনা যে কোন স্থানে, যে কোন পর্যায়ে আপনার জন্যে হয়ে উঠবে সাহায্যকারী। আপনার অর্থনৈতিক, মানসিক, সামাজিক ও পেশাগত দিককে দ্রুত ইতিবাচক পথে নিয়ে যাবে এই যোগ্যতাটি।

যেখানে যাবেন- বিভিন্ন ধরনের ক্লাব ও গ্রুপ খুঁজে পাবেন আপনি আপনার চারপাশে, যারা অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের জনসম্মুখে কথা বলার অভ্যাসটিকেও রপ্ত করে নেয়। এর ভেতরে অন্যতম একটি ক্লাব হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল টোস্টমাস্টার অর্গানাইজেশন। খুঁজে দেখুন আপনার পাশেও হয়তো এমন একটা উপকারী কিছু খুঁজে পাবেন আপনি।

২. বিদেশী ভাষা শেখা

এটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে, আপনি যতগুলো নতুন ভাষা শিখবেন ঠিক ততগুলো নতুন নতুন দ্বার খুলে যাবে আপনার সামনে। আর এই দরজাগুলো হচ্ছে সাফল্যের, সামনে এগোবার। পেশাগত জীবনেও আপনাকে অনেক বেশি সুযোগ করে দিতে পারে নতুন কোন ভাষা। আর তাই যদি আপনি হাতে খানিকটা সময় পেয়েই যান তাহলে বিনা খরচেই বিভিন্নরকম মাধ্যমে শিখে নিন নতুন কোন ভাষা।

যেখানে যাবেন- ইউটিউবের নানারকম টিউটোরিয়াল তো আছেই, এছাড়া নানারকম অনলাইন সংস্থা ও গ্রুপ রয়েছে নতুন ভাষা শেখার। বিশেষ করে এক্ষেত্রে ডুয়োলিঙ্গোর সাহায্য নিতে পরেন আপনি। নিতে পারেন ভাষা শেখার ওয়েবসাইট রাইপের সাহায্যও, যেটা কিনা টানা ৭ দিন আর ২৪ ঘন্টাই নিজেদের সেবা দিয়ে থাকে।

৩. ওয়েব ডেভলপমেন্ট

বর্তমন সময়ে বেশ ভালোরকম চাহিদা আর অর্থসংযোগ রয়েছে যেই কাজটির সেটি হচ্ছে ওয়েব ডেভলপমেন্ট। ভাবছেন, এটা শিখতেতো বেশ ভালোরকমের টাকা খরচ হয়ে যাবে। তাহলে আপনাকেই বলছি, এদম না। বরং নিজের হাতে থাকা সময়টুকু দিয়ে নিজের মতন করেই কোডিং শিখতে পারেন আপনি।

যেখানে যাবেন- কোডিং শেখার জন্যে নানারকম প্রতিষ্ঠান আছে এটা ঠিক। তবে সেটা একটু খরচার। তারচাইতে কোডিং শিখে ওয়েব ডেভলপমেন্টে বেশ ভালো হাত পাকিয়ে ফেলতে পারেন আপনি কোড একাডেমি নামক এই ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে। এছাড়াও অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক জায়গা খুঁজে পাবেন আপনি যেগুলোতে কোডিং শেখায়।

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

ফিচার রাইটার

 

ঝটপট কিমা পরোটা

হরেক রকম ইফতারিতে ঝাল কিছু তো থাকা চাই-ই। সেখানে পছন্দের সসের সঙ্গে মুখরোচক কিমা পরোটা হলে তো কথায় নেই। তৃপ্তির ষোল আনা এখানেই হয়ে যায়। ইফতারিতে ভিন্নতার স্বাদ খুঁজে পেতে আজই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার কিমা পরোটা। রেস্টুরেন্টের মতো আপনার হাতের পরোটার স্বাদও হবে অসাধারণ। তাই ঝটপট দেখে নিন কিমা পরোটা বানানোর সহজ রেসিপি।

যা যা লাগবে

গরুর মাংসের মিহি কিমা ২ কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ৪টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ১ টেবিল চামচ।

খামির জন্য যা লাগবে

ময়দা ২ কাপ, লবণ স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, দুধ ২ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল।

যেভাবে করবেন

ডিম দুধ বাদে ময়দা চেলে খামির সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মেখে ময়ান করুন। এভাবে ২০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে।

এবার ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও কাঁচামরিচ দিয়ে অল্প ভাজতে হবে। এবারে একে একে কিমা, জিরা, গরম মসলা, গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। কিমার পানি শুকিয়ে গেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নামাতে হবে।

এবার ময়ান দেয়া আটা ভালো করে মেখে রুটি বানাতে হবে। একটি করে রুটি নিয়ে তাতে রান্না করা কিমা ছড়িয়ে দিয়ে উপরে আরেকটি রুটি বসিয়ে কিনারা ভালো করে জোড়া দিতে হবে। ছোট একটি বাটিতে ডিম ও দুধ এক সাথে মেশাতে হবে। পরোটা এর দুই পাশে ডিম-দুধের এর মিশ্রণ মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে প্রতিটি রুটি পছন্দ মত টুকরো করে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

ঈদ বাজারে সবার শীর্ষে সারারা

লম্বা ঝুলের কামিজ, তার সঙ্গে কটি। কোটিতে নানা ধরনের সুতা, চুমকি ও জরির জমকালো কারুকাজে তরুণীদের নজরকাড়া এ পোশাকটির নাম সারারা। বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্রকার করণ জোহরের ‘মেরে ইয়ার কি শাদি হ্যায়’ সিমেমার জনপ্রিয় গান ‘সারা-রা, সারা-রা, মে হু এক সারা-রা’ গানের সাথে যে ডিজাইনের পোশাক পরে দর্শকের মাতিয়ে তোলেছেন অভিনেত্রী সুস্মিতা শেঠি সেই পোশাক ‘সারারা’ এবার ঈদের বাজারে জায়গা করে নিয়েছে পছন্দের তালিকায় সবার শীর্ষে।

রাজধানীর অভিজাত শপিংমল গুলোতে বিশেষ জায়গা করে নেয়া ভারতীয় ডিজাইনের সুতা, রঙের বাহারে ঝলমলে ও নান্দনিক এ পোশাকটি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পযর্ন্ত।

জমকালো এ পোশাকটি জর্জেট আর সিল্কের ওপর জরি-চুমকি-পাথরের কটিওলা লং জামার সঙ্গে সালোয়ারেও রয়েছে প্রচুর কাজ। সঙ্গে হালকা কাজের চিকন পাড়ের ওড়না। বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদের বাজারে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে ‘সারারা’ নামের এ পোশাকটি। তবে শুধু বড় নয় ছোটদের জন্যও সারারা পাওয়া যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে।

বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের ‘বুটিকস’ শোরুমের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুটিকসের কালেশানের মধ্যে সারারা পোশাকটি পাওয়া যাবে ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে।

এবারের ঈদে সারারা একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেচা-বিক্রি এখনও তেমন জমে ওঠেনি তাই প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পোশাক। সারারার প্রায় ১০ ভাগের একভাগ বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য পোশাক।

এদিকে বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের ‘নামেসা’ বিপনী বিতানের বিক্রয় প্রতিনিধি রাসেল  জানান, সারারার এ পোশাকগুলো সাধারনত ফ্রি সাইজে থাকার কারণে মোটা-চিকন সবাই পরতে পারে। সাড়ে ৪ থেকে ৫ ফিটের নারীদের জন্য এ পোশাক। প্রয়োজনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ করে বডি ফিট করে নেওয়া যায়। টাকা দিলে আমরাও এটা করে দেই।

রাসেল জানায়, এখন বিক্রি তেমন হচ্ছে না। তবে ১০ রোজার পর থেকে বিক্রি বেড়ে যাবে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

একই মার্কেটের ‘দারুল জান্নাত’র শোরুম ঘুরে দেখা গেছে এ শোরুমের ‘সারারা’ পোশাকটি অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা এবং উন্নত মানের। এখানকার বিক্রয় প্রতিনিধি কাইয়ূম  বলেন, এখন পযর্ন্ত তাদের শোরুমে ৬০ হাজার টাকা দামের সারারা উঠানো হয়েছে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই ১ লাখ টাকা দামের সারারাও এখানে পাওয়া যাবে।

কাইয়ূম জানান, সারা-রা কামিজের ওপর যে কটি থাকছে তা মূলত ভেলভেট বা মখমলের তৈরি। এ কারণেই এ পোশাকের দামটা একটু বেশি।

এদিকে নিজের ও বোনের মেয়ে নিয়ে শপিং করতে ধানমণ্ডি থেকে এখানে আসছেন শিরিন আক্তার। তিনি  বলেন, আসলে ‘সারারা’ এখন মেয়েরা বেশি পছন্দ করছে। তবে এ সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারাও ইচ্ছে মতো দাম হাঁকছে। বলতে গেলে এটা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

এবারের ঈদে ‘সারারা’ পোশাক ছাড়াও তরুণীরা ঝুঁকছেন ‘বলিউড গাউন’র দিকে। এটি ‘ফ্লোর টাচ গাউন’ ও ব্রাইডাল গাউন হিসেবে পরিচিত। এই পোশাকগুলোও পছ্ন্দ করছেন অনেকে। এছাড়া পছন্দের তালিকায় আছে ভারতীয় সিরিয়ালের কিরনমালা, জরি ও সূতার কাজ করা বাহারি ডিজাইনের লং কামিজ। সিরিয়াল দেখেই পোশাক নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

বসুন্ধরা শপিং সেন্টার ছাড়াও অরচার্ট পয়েন্ট, নিউমার্কেট, পলওয়েল মার্কেট, মৌচাক মার্কেট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। সবখানে পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে সারারা। ঈদকে সামনে রেখে এটি সরাসরি ভারতের বোম্বে থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে জানানেল ব্যবসায়ীরা।

 

অ্যাপ বানিয়ে চমকে দিল ৯ বছরের অনবিতা

অনবিতা বিজয়। বয়স গুণে গুণে নয় বছর। এই বয়সে কী এমন করতে পারে শিশুরা? কিন্তু সে দেখিয়েছে। এই বয়সে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে চমকে দিয়েছে হাই টেক বিশ্বকে। এমনকী, অ্যাপলের ডব্লিউ ডব্লিউ ডিসি ২০১৬-র সবথেকে কনিষ্ঠ ডেভলপারও হতে চলেছে সে।

এই বয়সে কীভাবে শিখল এমন কঠিন কোড? প্রশ্ন করা হলে তার সাবলীল জবাব, ‘কোডিং আমার খুব ভাল লাগে। নতুন নতুন কোড শিখতে ইউটিউবে বিভিন্ন টিউটোরিয়ালস দেখি। সেখান থেকেই নতুন নতুন কোড শিখেছি।’

অনবিতা এই বয়সে দু’দুটো অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে। তার প্রথম অ্যাপ স্মার্টকিনস অ্যানিম্যালের দ্বারা যে কোনো শিশু অনায়াসে পশু পাখির নাম ও আওয়াজ শিখতে পারবে। আর দ্বিতীয় অ্যাপটি শেখাবে কীভাবে রঙ চিনবেন। এখানেই অনবিতা থেমে নেই। এখন সে আরও একটি নতুন অ্যাপ নিয়ে কাজ করছে। এই সব ক’টি অ্যাপই আইওএস (iOS) ফরম্যাটে সাপোর্ট করবে।

 

আস্থা আছে, তবে রাষ্ট্রের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের উপর আমরা যথেষ্ট আস্থা রাখি, কিন্তু রাষ্ট্রের ভূমিকায় আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমরা এই দেশে ধর্ম, বর্ণ, দলিত, হরিজন, নারী-পুরুষ, শিশুসহ সকলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।’

মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী, সম্প্রদায় ও ব্যক্তির উপর ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

আয়শা খানম বলেন, ‘এদেশে মুক্তমনা শিক্ষক, ব্লগারসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। যারা রাজনীতিকে পুঁজি করে সম্পদের মালিক হওয়ার চেষ্টায় একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছেন তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না।’

তনু হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের প্রতিবেদন আমাদের উদ্বিগ্ন করে।’ এসব হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সাধারণ নাগরিকসহ সকল সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বিচারহীনতাকে দায়ী করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। এর মূল কারণ অপরাধীর বিচার হচ্ছে না। তাই এই অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে।’

‘এখন শুধু সংখ্যালঘু নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে রাষ্ট্র। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই’- বলেন মালেকা বানু।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সকলকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করারও আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশের এই নিরাপত্তহীনতা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রশাসন ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ।

গত ১৭ মাসে এধরনের ২৯টি ঘটনা ঘটেছে- এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে মানবন্ধন থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এসব ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানায়। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্র, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আরও গভীর বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক কাজী সুফিয়া আখতার, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস প্রমুখ।