banner

রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 281 বার পঠিত

 

খাবারে রুচি নেই?

সামনে সাজানো অনেক মজার মজার খাবার। কিন্তু আপনার একটুও খেতে ইচ্ছে করছে না। আর সেজন্য হয়তো বকাও খাচ্ছেন, কেন খেতে ইচ্ছে করছে না, কেন খাচ্ছেন না। এজন্য হয়তো চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়েছেন, আর ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছে না। খাবার দেখলেই অনীহা চলে আসছে। পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়রাও কথা শোনাচ্ছে, কেন এমন পাঠকাঠির মতো দেখতে! খুব পরিচিত একটি মশলা, যা আমাদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়, তা দিয়েই দূর করা সম্ভব আপনার এই অরুচি। বলুন তো সেটি কী? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, সেটি হচ্ছে আদা।

আদার রসে রয়েছে জিনজেরল নামের রাসায়সিক উপাদান, যা দেহের সিমপ্যাথেটিক সিস্টেমে বিটা এগনিস্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ বন্ধ শ্বাসনালী খুলে দেয়, সাইনাসগুলোকে পরিষ্কার রাখে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে। হাঁপানি রোগে ব্যবহৃত বিটা এগনিস্ট ওষুধের প্রায় সমান কার্যকরী এই রস যা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

শোগাওল নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেন্দ্রের ওপর কাজ করে বমি ভাব বা বমি অনেকটাই কমাতে পারে।

Khabar

এন্টি ইনফ্লামেটেরি গুণ থাকায় বাত ব্যথার রোগীদেরও উপকারে আসে নিয়মিত আদা বা আদার রস সেবন। ফিলাডেলফিয়ায় এসিটামিনোফের বা প্যারাসিটামল ও আদার রস পাশাপাশি ব্যবহার করে ব্যথা-বেদনা কমাতে প্রায় সমান কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

যাত্রাকালীন অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কমানো এবং গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেসে দারুণ কাজে আসে আদার রস। এটি পেটের ব্যথা, গ্যাস কমায়, রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

khabar

আদা মাইগ্রেন রোগীদেরও আরাম দিতে পারে। আদার রস পাকস্থলীতে মিউকাস আবরণ তৈরিতে সাহায্য করে। এ কারণে ভারী খাবারের পর আদা চিবানো একটি প্রাচ্যদেশীয় অভ্যেস। এ ছাড়া এটি অন্ত্রে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাড়ায়।

তাই মুখের রুচি বাড়াতে আদা খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। কাঁচা খেতে ভালো না লাগলে আদা ধুয়ে কুচি করে রোদে শুকিয়ে বয়াম ভরে রাখতে পারেন। একটু একটু করে চুষে খেলেই রূচি আসতে বাধ্য। তবে আর দেরি কেন!

Facebook Comments