banner

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 753 বার পঠিত

 

‘আকর্ষণীয় কিছু খাবার’ যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে

ফাতেমা শাহরিন


পেস্ত বাদাম

পেস্ত বা কাজু বাদামের বাইরের আবরণে সাইটিক এসিড থাকে। এই সাইটিক এসিড বাদামের উপকার করে, তবে মানুষের ক্ষতি হয়, সাইটিক এসিডের গ্রহণ মানবশরীরে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা তৈরি করে। তাই খাওয়ার আগে বাদাম ভিজিয়ে রাখলে এই সাইটিক এসিড চলে যায়। পেস্তাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং পেস্তা বাদাম মানসিক চাপও কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া দাঁতের রোগ, মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।

সবুজ শাক-সবজি

মানসিক সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য সবুজ শাক-সবজি খাওয়া খুবই উপকারী। সম্প্রতি ক্যারেন তার ‘The Calendar Diet’ বইতে উল্লেখ করেছেন , ‘প্রতিদিনের খাবার তালিকায় সবুজ তাজা শাক-সবজি রাখলে তা ‘মানসিক চাপ’ কমাতে সাহায্য করে এবং নানান রকম হৃদরোগেট ঝুঁকিও কমাতে পারে।’

গাজর

গাজর আছে ভিটামিন ‘এ’, বেটা ক্যারোটিন, এন্টিওক্সিডেন্ট যা শরীর ও মনের নানান সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য ও ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, সপ্তাহে ৬টির বেশি গাজর খাচ্ছেন যারা তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অর্থাৎ মানসিক চাপ তুলনামূলক হারে কম যারা এর থেকে কম পরিমানে গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায়।

শিমের বীজ

শিমের বীজে থাকে প্রচুর আমিষ ও স্নেহজাতীয় পদার্থ যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। লিউকোরিয়াসহ মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূরীভূত করে।

চকলেট

চকোলেটের মূল উপাদান কোকো যাতে ফ্ল্যাভানল & ম্যাগনেশিয়াম নামে উপকারী পদার্থ থাকে যা শরীরে যথাযথ রক্ত সঞ্চালন, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করে। নিউট্রিশিওনাল নিউরোসায়েন্স নামের বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুযায়ী, চকোলেট খেলে মন ভাল হয়ে যায়। অবসাদ কমে।

মাখন

মাখন সাধারণত দুধ দিয়ে তৈরি হয়। মাখনে থাকে ভিটামিন, অ্যাক্টিভেটর এক্স নামের যৌগ উপাদান এবং আয়োডিন, সেলেনিয়াম, লেসিথিন ও লরিক এসিডের মতো কার্যকরী খনিজ উপাদান পাশাপাশি এরাকিডোনিক্স এসিডও থাকে। চোখের ছানির গতিরোধ, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃষ্টি, ত্বক মসৃণ ও সুন্দর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাখন খেলে নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আইসক্রিম

আইসক্রিম একটি জনপ্রিয় খাবার যাতে থাকে ‘টোনড মিল্ক’। আইসক্রিমের জন্মস্থান চীনে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কিডনির পাথর হওয়ার মাত্রা কমাতে আইসক্রিমের ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভালো কোম্পানির আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে ভেজিটেবল ওয়েল থাকে। যা শরীরের জন্য উপকারী। তাই এতে ওজন বাড়ে না।

তথ্যসুত্র: Karen Ansel, R.D. লেখকের বই The Calendar Diet মত অনুসারে লেখা এবং ইন্টারনেট।

Facebook Comments