banner

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 307 বার পঠিত

অপরাজিতা সেলিনা

কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ৩০ শতক জমির ওপর নয়ন সেলিনা গড়ে তুলেছেন পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম। মুরগি ও গরু প্রতিপালনের পাশাপাশি এর বিষ্ঠা এবং গোবরকেও তিনি কাজে লাগিয়েছেন। এ দিয়েই তিনি তৈরি করেছেন বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট। কক্সবাজারের প্রথম নারী উদ্যোক্তা সেলিনা বলেন, প্রথম অবস্থায় যতখানি গ্যাস উৎপাদন হতো তা দিয়ে আমার সংসারের পুরো মাসের জ্বালানির চাহিদা মিটে যেত। ভাবলাম প্রতিবেশীদের জন্যও এটা করা যেতে পারে। তাদেরও জ্বালানি সমস্যা থাকবে না। নিজ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করি। একটু একটু করে আমার স্বপ্নের পরিকল্পনাগুলো সত্যি হয়।
একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে সুনাম কুড়িয়েছেন সেলিনা। চারপাশের কোনো বাঁধাই তাকে দমাতে পারেনি। এখন তিনি কক্সবাজারে একজন মডেল নারী উদ্যোক্তা। তার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে ১০০ লেয়ার মুরগি দিয়ে। বর্তমানে তার পোলট্রি ফার্মে লেয়ার মুরগি ৬ হাজার, ব্রয়লার মুরগি রয়েছে ৪ হাজার, ডেইরি ফার্মে রয়েছে ১৮টি পিজিয়াম বিদেশী গাভী। গরু থেকে প্রতিদিন দুধ পান ৮০ লিটারের মতো। এই দুধ শহরবাসীর দুধের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই ব্যবসার পাশাপাশি তার ১০টি ছাগল, প্রায় ১০০ জোড়া কবুতরও রয়েছে। প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর এই কবুতর থেকে ২০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা পান। এ থেকে তার বছরে রোজগার হয় ২ লাখ টাকা।
সেলিনা বলেন, ব্যবসার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে। এই খামারে ৮ জন শ্রমিক নিয়মিত মাসিক বেতনে কাজ করছেন। ৬ হাজার লেয়ার মুরগি থেকে প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৫ হাজার ডিম উৎপাদন হয়। ব্রয়লার মুরগির অধিক পরিচর্যা আর যত্নের কারণে মাত্র ২৮ দিনে প্রতি মুরগির ওজন ২ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়ে। এ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কৃষি ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ আর্থিক ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা এখনও পাননি। তাই এই প্রকল্পের কাজ স্থগিত রয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেলেও কিছুটা এগুতে পারতাম। সরকারি সহযোগিতা পেলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হতো।
 
– সূত্রঃ সুরঞ্জনা।
Facebook Comments