banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

ভারি ঝুমকা পরে কান ব্যথা হলে করণীয়

যেকোনো অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ নারী শাড়ি, চুড়িদার, শালোয়ারের সাথে একটু ভারি ঝুমকা বা কানের দুল পরতে পছন্দ করেন। যা দেখতে খুবই সুন্দর। তবে এ কথাও সত্য যে, ভারি ঝুমকা বেশিক্ষণ পরে থাকলে কানে ব্যথা হতে পারে।

ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ভারি ঝুমকা পরতে চান না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এমন কিছু উপায় রয়েছে, যা সঠিকভাবে মেনে চললে কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে আসুন জেনে নেই সেসব উপায় সম্পর্কে-

ক্রিম বা তেল: ভারি ঝুমকা পরার আগে কানে ক্রিম বা তেল লাগাতে পারেন। এতে কানের ত্বক নরম হবে। ঝুমকা পরার কারণে কানে জ্বালা বা ব্যথা হবে না।

সব সময় পরবেন না: এখন বিয়ের মৌসুম চলছে। এক্ষেত্রে যদি পরপর সব অনুষ্ঠানে ভারি ঝুমকা পরেন, তাহলে কানের ব্যথা বাড়তে পারে। তাই সব অনুষ্ঠানে ভারি ঝুমকা না পরে হালকা কানের দুলও পরতে পারেন।

বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না: পুরো অনুষ্ঠানে ভারি ঝুমকা পরে থাকবেন না। ছবি তোলার পর বা অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি হালকা কানের দুল পরতে পারেন। এতে কানে খুব বেশি ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ভারি দুলের সঙ্গে চেন: ভারি কানের দুলের ওজন কমাতে দুলের সঙ্গে চেন ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার কানে ব্যথা হবে না। কারণ ওজনের কিছু অংশ চেনও বহন করতে পারবে।

 

‘ভোগ বাই প্রিন্স’ এখন কুমিল্লায়

‘দেশের টাকা দেশে রাখুন’ স্লোগান নিয়ে বিজয়ের মাসে কুমিল্লায় উদ্বোধন হলো ‘ভোগ বাই প্রিন্স’- এর ১৩ তম শাখার। ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার বাদুরতলায় প্রতিষ্ঠানটির ১৩তম শাখাটির উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহার, এম পি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল গ্রুপ ও আরটিভির পরিচালক ফিরোজ আলম, ভোগ বাই প্রিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম আক্তার, জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা তাহসিন বাহার সূচনা ও সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রাবণ্য তৌহিদা।

প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং শাকিল ইবনে সুলতান বলেন, ‘বাজারে বিদেশি পণ্যের রাজত্ব ঠেকিয়ে দেশের টাকা দেশে রাখতে সম্পূর্ণ দেশীয় নিজস্ব পণ্য নিয়ে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ইতিমধ্যে ঢাকার ১০টি শাখাসহ সারাদেশে মোট ১৩টি শাখায় ক্রেতা সাধারণের ব্যাপক সাড়া মেলেছে। কুমিল্লার এই শাখাটিও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলে আশা করি।’

জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটাতে দেশের মানুষকে দেশীয় তৈরি পণ্য ব্যবহার করার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।

এদিকে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ক্রেতা সাধারণকে ৪০% ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। এই শোরুমটিতে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, প্যান্ট, জুতা এবং মেয়েদের জন্য ব্যাগ, জুয়েলারি, থ্রি পিসসহ বাহারি পোশাকের সমাহার রয়েছে।

 

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতিকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক

গর্ভাবস্থায় অন্তঃসত্ত্বার চাই বাড়তি যত্ন। এ সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ মা যা কিছু খায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। তাই কোনো কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাবেন না-

১. গর্ভাবস্থায় জাঙ্ক ফুড খাওয়া উচিত নয়। জাঙ্ক ফুড খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওষুধ খেতে হবে, যার প্রভাব পড়বে গর্ভের শিশুর ওপর। তাই স্ট্রিট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাবেন না।

২. যদি প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করেন, তবে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধূমপান বা অ্যালকোহল কোনোটাই এ সময় নেয়া উচিত না। অতিরিক্ত ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ এই সময় শিশুর ক্ষতি করে।

৩. গর্ভবতী মায়েদের হাঙর, সওয়ার্ডফিশ, টুনা, কিং ম্যাকেরেল এবং টাইল ফিশ খাওয়া উচিত নয়।

৪. কাঁচা স্প্রাউটস খুব স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তবে রান্না না করা স্প্রাউটস গর্ভবতী নারীদের পক্ষে ভালো নয়। কাঁচা স্প্রাউটসে ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। রান্না করার পর এটি দূর হতে পারে।

৫. তৈলাক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে উচ্চ পরিমাণে লবণ, চিনি থাকে ও প্রচুর প্রিজারভেটিভ কেমিক্যালও উপস্থিত থাকে, যা গর্ভবতী নারী ও শিশুকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই টাটকা খাবার খাওয়া উচিত এবং ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বাড়ানো উচিত।

তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই

 

ঠোঁট ফাটা সারানোর ঘরোয়া উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

শীতে ঠোঁট ফাটা একটি কমন সমস্যা। সবাই কমবেশি এই সমস্যায় ভোগেন। কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজেই আপনি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

আসুন জেনে নিই ঠোঁট ফাটা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-

১. আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে মধু, অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষুণ। ঠোঁট ধুয়ে লিপবাম লাগান।

২. ১ চা চামচ নারিকেল তেল আর ১ চা চামচ চিনি দিয়ে বানিয়ে নিন লিপ স্ক্রাব। কয়েকবার ঠোঁট স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।

৩. নারিকেল দুধ আর গোলাপজল মিশিয়ে লিপ ক্লিনজার বানিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে এটি ব্যবহার করুন।

৪. কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা তিনেক। পাপড়িগুলোর পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. ২ চা চামচ দই আর ১ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে লিপ মাস্ক বানাতে পারেন।

 

ত্বক ভালো রাখবে যেসব খাবার

ত্বক ভালো রাখতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। কিছু ভিটামিনও ত্বক ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে, যা আপনি পাবেন খাবার থেকে।

আসুন জেনে নিই ত্বক ভালো রাখতে কী খাবেন-

১. শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘সি’ খুবই প্রয়োজন। এতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে সূর্যালোকের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করে ও রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

পালংশাক, টমেটো, লেবু, আঙুর, কমলা, ক্যাপসিকাম, পেঁপে ও লেবুতে পাবেন ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক উজ্জ্বল করে, রঙের ভারসাম্য বজায় রাখে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়, অকাল বলিরেখা ও মৃত কোষের সমস্যার সমাধান করে।

শক্তিশালী কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো– ক্যারোটিনয়েড যেমন- বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন, আইসোফ্লেভোন্স, রেসভারাট্রোল, আলফা লিপোইক অ্যাসিড, গ্লুটাথিওন ইত্যাদি।

ক্যারোটিনয়েড’য়ের ভালো উৎস হচ্ছে– গাজর, মিষ্টি আলু, হলুদ ক্যাপসিকাম, পালংশাক, কুমড়া ও ব্রকলি।

৩. ভিটামিন ‘ই’ খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বককে উন্মুক্ত রেডিকেল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এ ভিটামিন ত্বককে রোদ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে, কোলাজেনের ভাঙন রোধেও ভূমিকা রাখে।

বীজ ও বাদাম– আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ ও তিসির বীজে পাবেন ভিটামিন ই। এই ভিটামিন সূর্যালোক থেকে রক্ষা, আর্দ্রতা রক্ষা ও ত্বক মসৃণ রাখে।

৪. জিংক ত্বকের ক্ষত দূর করে ও নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। জিংকসমৃদ্ধ খাবার ত্বককে ব্রণ ও দাগ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ ও ব্রকলিতে পাবেন জিংক।

৫. ত্বক ভালো রাখে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে আর্দ্র রাখে ও ত্বকের সুরক্ষার স্তর নিশ্চিত করে। এর প্রদাহনাশক উপাদান ব্রণ, লালচেভাব ও এরিথিমা কমাতে সাহায্য করে।

ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন- স্যামন। এ ছাড়া তিসির বীজ ও অ্যাভোকাডো।

এসব খাবার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন। ফলে ত্বক দীর্ঘদিন সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ডা. লুবনা খন্দকার
সহযোগী অধ্যাপক
চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।