banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

অ্যাভোকাডো, শশা ,আর টমেটোর সালাদ

অ্যাভোকাডো, শশা ,আর টমেটোর সালাদ


ঘরকন্যা


সালাদ মানেই শশা টমেটো এবার মিশে গেলো অ্যাভোকাডো। শীতের সময়ে সালাদের নানান উপকরণ অনেক সহজলভ্য। তাই আসুন এই সময়ে আপনার খাবারে সালাদের ছোট রেসিপি। সহজে আর ঝটপট করে ফেলতে পারেন।

ছবিঃ অ্যাভোকাডো, শশা & টমেটো

উপকরণঃ

শশা – ২ টি (মাঝারি)
টমেটো -৩ টি (মাঝারি)
অ্যাভোকাডো -১ টি
পেয়াঁজ কুচি -১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি – ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি – ১ চা চামচ
লবন – স্বাদমতো
সরিষার তেল – সামান্য
লেবু- কেউ পছন্দ করলে ছোট ছোট লেবুও কেটে নিন।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

শশা, টমেটো এবং অ্যাভোকাডো কেটে নিন একই মত সাইজে। সালাদের সাইজ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। এর সাথে পেয়াঁজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুচি দিন। উপাদানগুলো ওল্টে-পাল্টে মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো লবন ও সামান্য সরিষার তেল দিন।

পরিবেশন
সুন্দর বাটিতে, মাখিয়ে খাবারের আগে পরিবেশন করুন।

 

‘অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অপমান!’

‘অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অপমান!’


আফরোজা হাসান


“ভালোবাসা সেটা গোপন হোক কিংবা প্রকাশ্য।
স্পষ্ট হোক কিংবা অস্পষ্ট। ভালো লাগার স্বীকৃতি দেয়াটা কঠিন হোক কিংবা সহজ। পরিস্থিতি অনুকূলে থাক কিংবা প্রতিকূলে।
সর্বাবস্থাতেই ভালোবাসা কল্ল্যাণকামী থাকে অপর জনের তরে।
তবে এটাও ঠিক যে ভালোবাসার মতোই ভালোবাসার ভাঁজে ভাঁজে, খাঁজে খাঁজে রাগ, অভিমান, অধিকারের অস্তিত্বও বিদ্যমান।
রাগ অভিমানের সংমিশ্রণে ভালোবাসার মানুষকে আঘাত করাটা তাই খুব স্বাভাবিক।
কষ্ট দেবার বদলে নিজেকেও কষ্ট অনুভব করতে হবে জানার পরেও ভালোবাসার মানুষটিকে কষ্ট দিয়ে বিমলানন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করাটাও খুব স্বাভাবিক।
কারো প্রতি ভালোবাসা আসলে সাথে করে তাকে ঘিরে সীমাহীন অধিকারও নিয়ে আসে।
সেই অধিকারের দাবীতেই আপনজনকে আনন্দ যেমন দেয়া যায়, বেদনাও দেয়া যায়। তার জন্য ত্যাগ যেমন করা যায়, কোন কিছু জোর করে আদায় করেও নেয়া যায়।
তাকে ঘিরে পছন্দ যেমন থাকে, অপছন্দও থাকে।
তাকে প্রশান্তি দিতে যেমন আকুল থাকে মন, অশান্তি দেবার সুযোগও হাতছাড়া করতে চায় না। তারজন্য বিনিদ্র রজনী কাটানোতেও সুখের দেখা মেলে, তাকে জেগে থাকতে বাধ্য করার মাঝেও মেলে সুখানন্দ।
যাকে ভালোবাসি তারসাথে আবার এত কিসের হিসেব নিকেষ?
যখন ইচ্ছে হয় হাসাবো, যখন ইচ্ছে হয় রাগাবো। কখনো তাকে নিয়ে মাইলের পর মাইল স্বপ্নের মহল গড়বো। কখনো পাথর ছুড়ে মেরে তার স্বপ্নের মহলকে ভেঙে গুঁড়া গুঁড়া করে দেবো। যা ইচ্ছে হয় তাই করবো। যখন ইচ্ছে হবে তখনই করবো। কারণ সব আবেগের প্রবেশাধিকার আছে ভালোবাসার জগতে। তবে হ্যা শুধু মাত্র একটি আবেগ ছাড়া।

”অসম্মান, অশ্রদ্ধা, অপমান! শব্দ তিনটি হলেও সমার্থক। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা ভালোবাসার মানুষকে ঘৃণাও করতে পারি। কিন্তু যাকে ভালোবাসি তাকে কখনোই অসম্মান, অশ্রদ্ধা কিংবা অপমান করতে পারিনা।

না নিজে, না অন্যের দ্বারা।

ভালোবাসা কষ্ট দিতে পারে কিন্তু কখনোই অসম্মান করতে পারে না। ভালোবাসা অশান্ত করতে পারে কিন্তু কখনোই অশ্রদ্ধা করতে পারে না। ভালোবাসা অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো কিছুই করতে পারে কিন্তু অপমান নয়। কখনোই নয়, কোন অবস্থাতেই নয়। ভালোবাসার মানুষের প্রতি সর্বপ্রথম হক সম্মানের। যে সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়, সে যোগ্যতাই রাখে না ভালোবাসার দাবী করার।

নিঃসংকোচে, দ্বিধাহীন ভাবে, আত্মবিশ্বাসের সাথে এমন কারো ভালোবাসাকেই সত্য বলা যায় যে ভালোবাসার মানুষের সম্মান রক্ষার তরে নিজে অন্যদের সম্মুখে অপমানিত হতেও প্রস্তুত থাকে। কিন্তু কেউ তার ভালোবাসার মানুষকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এই সুযোগ দেয় না। কখনোই না। যে বা যারা দেয় তাদের সাথে ভালোবাসার কোনই যোগসূত্র নেই”…..।

মুল গল্পঃ  ভালোবাসার সুতোয় গাঁথি সম্পর্কের মোতি…শেষ পর্বের একটি অংশ।