banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

বিতর্কের ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া সেই ‘বিরল মেধাবীর’ গল্প

বিতর্কের ভিডিওতে ভাইরাল হওয়া সেই ‘বিরল মেধাবীর’ গল্প


অন্যান্য


বক্তব্যটা একটা বিতর্ক অনুষ্ঠানের। চিকন মুখে লেগেই আছে মায়াবী হাসি। কণ্ঠে যেন ভায়োলিনের সুর। কী বলছেন ক্ষণিকের জন্য তা ভুলে যেতে হয়; কীভাবে তিনি বলছেন বরং সেটি প্লাবিত হয় হৃদয়ে। দুই দিন ধরে এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বক্তার খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল নাম তার রেবেকা শফী।-দেশ রুপান্তর

ঢাকার ধানমন্ডিতে জন্ম এবং সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাকে বলছেন ‘বিরল মেধাবী’। বিতর্ক অনুষ্ঠানের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি ছিল মূলত বিটিভি আয়োজিত স্কুলভিত্তিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল। ১৯৯৩-৯৪ সালের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

রেবেকার গোটা পরিবারই পদার্থ বিজ্ঞানের চর্চায় নিয়োজিত। তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপক আহমেদ শফি। মা প্রফেসর সুলতানা শফি। আহমেদ শফির বাবাও রীতিমতো বিখ্যাত এক নাম, আবদুস সালাম, ছিলেন ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক। রেবেকার বড় বোন ফারিয়াল শফিও পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী।

রেবেকা জেনেটিকসের একজন রিসার্চ ফেলো। ঘরে আছে এনডিমিয়া নামের এক ফুটফুটে সন্তান।

ঢাকার হলিক্রসের পাঠ চুকিয়ে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের পর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাস্ট্রোফিজিকস নিয়ে পিএইচডি করেন।

সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা শাব্বির আহসান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সেদিন পুরোনো এক টিভি ডিবেটের ভিডিও কে যেন পোস্ট করেছিল! এতই ভালো লাগল যে ভাবলাম ইনি কী করেন বা কোথায় আছেন দেখি!’

Physics Undergrad (GPA 4.00) – Cal Tech
Master’s Astrophysics – Harvard
PhD – Harvard (On Black hole Spin!)
Teaching Assistant, Post Doc RA, Swartz Fellow in Comp Neuroscience – Harvard Center of Brain Science
Post Doc Fellow – Broad Inst at MIT and Harvard
Post Doc Fellow – Harvard Med School
Winner of US$ 200,000 grant to study “Measure of Black hole Spin”
Best TV Debater – Bangladesh Television (I just saw her debate in a video, one of the best!)

পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত লিঙ্কডইন থেকে রেবেকা শফী সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানা গেছে। নিজের পরিচয় তিনি এভাবে দিয়েছেন, ‘আমি ফিজিকস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। কিন্তু সম্প্রতি বায়োলজিতে প্যাশন আবিষ্কার করেছি। এখন জেনেটিকস এবং নিউরোসায়েন্সের ইন্টারসেকশন নিয়ে কাজ করছি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে।’

ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে শুধু রেবেকাকে দেখা গেছে। কিন্তু বিতর্ক প্রতিযোগিতার ওই পর্বে আরও যারা ছিলেন, তারাও তুখোড় বিতার্কিক। সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এখন প্রতিষ্ঠিত।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ওই সময় নিয়মিত এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো। এখনো কালেভদ্রে হয়। তবে হতাশার কথা হল আগের সেই জৌলুস এখন আর নেই। বাংলাদেশের বিতর্ক চর্চায়ও পড়েছে ভাটা। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন (এনডিএফ) এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির মতো কয়েকটি সংগঠন নিজেদের লড়াইটা অবশ্য ধরে রেখেছে। তবে এই অঙ্গনের মানুষেরা সেটিকে যথেষ্ট বলে মনে করেন না।

সুত্রঃ আমাদের সময়।

 

দুবাইয়ের শাসকের বিরুদ্ধে পলাতক স্ত্রীর আইনি লড়াই

দুবাইয়ের শাসকের বিরুদ্ধে পলাতক স্ত্রীর আইনি লড়াই


নারী সংবাদ


দুবাইর শাসক শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম ও তার পালিয়ে যাওয়া এক স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইনের মধ্যে এক আইনি লড়াই লন্ডনের এক আদালতে শুরু হয়েছে।

শেখ মোহাম্মদ আল-মাখতুম মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী নেতাদের একজন। অন্যদিকে প্রিন্সেস হায়া জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন। তিনি পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের প্রাইভেট স্কুলে এবং ঘোড়দৌড়ে অলিম্পিকে অংশ নেয়া প্রতিযোগী।

প্রিন্সেস হায়া কয়েক মাস আগে দুবাই থেকে পালিয়ে আসেন। বলা হচ্ছে, প্রাণনাশের আশঙ্কায় তিনি এখন লন্ডনে লুকিয়ে আছেন।

মূলত সন্তানরা কার কাছে থাকবে, তা নিয়েই লন্ডনের আদালতে এই দুজনের মধ্যে আইনি লড়াই হচ্ছে।

প্রিন্সেস হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেন। তিনি হচ্ছেন শেখ মাখতুমের ছয় নম্বর স্ত্রী। শেখ মোহাম্মদের বয়স এখন ৭০। বিভিন্ন স্ত্রীর গর্ভে তার মোট ২৩ জন সন্তান।

শেখ মোহাম্মদেরও ঘোড় দৌড় নিয়ে আগ্রহ আছে। তিনি ব্রিটেনের নামকরা একটি ঘোড়ার আস্তাবল গোডোলফিন হর্স রেসিং স্ট্যাবলের মালিক।

প্রিন্সেস হায়া প্রথমে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে তিনি নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু এ মাসে জানা গেল যে তিনি এখন লন্ডনের কেনসিংটনে তার ১০ কোটি ডলারের বেশি দামের এক বাড়িতে থাকছেন ।

প্রিন্সেস হায়া এখন ব্রিটেনেই থাকতে চান বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু দুবাইর শাসক যদি এখন তার স্ত্রীকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান, সেটা ব্রিটেনের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্রুদ্ধ হয়ে একটি কবিতা লেখেন। সেখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে একজন নারীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেন। এই কবিতা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন।

প্রিন্সেস হায়া কেন পালিয়ে গেলেন
প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করছে, তিনি সম্প্রতি শেখ মোহাম্মদের এক কন্যা শেখ লতিফাকে রহস্যজনকভাবে যেভাবে দুবাই ফিরিয়ে আনা হয়, সে ব্যাপারে কিছু বিচলিত হওয়ার মতো তথ্য জানতে পেরেছেন। তারপরই তিনি নিজে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শেখ লতিফা এক ফরাসী পুরুষের সাহায্য নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন সমুদ্রপথে। কিন্তু ভারতের সশস্ত্র রক্ষীরা তাদের আটক করে আবার দুবাইর হাতে তুলে দেয়।

সেসময় এই ঘটনার সমালোচনা হলে প্রিন্সেস হায়া দুবাইর শাসকের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, শেখ লতিফা দুবাইতেই নিরাপদ। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন বলেছিল, শেখ লতিফাকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপহরণ করে দুবাইতে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

কিন্তু প্রিন্সেস হায়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এখন দাবি করছে, এঘটনার ব্যাপারে তিনি এখন নতুন কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এ কারণে তিনি তার স্বামীর পরিবারের দিকে থেকে প্রচন্ড চাপের মুখে ছিলেন।
সূত্র : বিবিসি