banner

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 450 বার পঠিত

 

কত ধর্ষিত শিশুর লাশ পেলে কতৃপক্ষ জেগে উঠবে

ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে খুনের সাত ঘন্টা পর উদ্ধার হয় কুমিল্লার চান্দিনায় শিশু কন্যা মীম। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওমর ফারুক (১৯) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক মোস্তফা কামালের ছেলে ওমর ফারুক চান্দিনা পৌরসভার বেলাশহর গ্রামে বাসিন্দা এবং মীমের প্রতিবেশী। ঘাতক পেশায় গাড়ি চালক।

রবিবার রাতে তাকে আটক করার পর গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় ম্যাজিস্ট্রেট বিপ্লব কুমার দেবনাথ এর আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় সে। তার জবানবন্দিতে জানা যায়, নিহত শিশু সুবর্ণা আক্তার মীমের পাশ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা গাড়ি চালক ওমর ফারুক।

ঘটনার দিন গত ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল থেকে ওমর ফারুক তার প্রাইভেটকারটি ওয়াশ করছিল। গাড়ি দেখে মীম এগিয়ে গেলে তাকে গাড়িতে চড়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পুকুর থেকে পানি সরবরাহ করিয়ে গাড়ি ওয়াশ করে চালক ওমর ফারুক। দুপুর ১২টার কিছু পর গাড়ি ওয়াশ শেষে ওমর ফারুক তার কথামত মীমকে গাড়িতে উঠিয়ে বেলাশহর আরএনআর ব্রিক্স ফিন্ড সংলগ্ন স্থানে এনে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় মীম চিৎকার করে অচেতন হয়ে পড়লে গাড়ি চালক ওমর ফারুক তাকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা শেষে গাড়ির পিছনের বক্সে লুকিয়ে রেখে গাড়িটি তার গ্যারেজে রেখে দেয়।

প্রায় সাত ঘন্টা শিশুটির মরদেহ গাড়িতে থাকার পর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টায় গাড়ি যোগে পাশ্ববর্তী থানগাঁও গ্রামের মাস্টার বাড়ি সংলগ্ন একটি খালপাড়ে শিশু মীম এর মরদেহ ফেলে আসে। বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে ওই গাড়ি চালক তার গোপন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে শিশু মীমের পিতা কোরবান আলীকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে মুহুর্তের মধ্যে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে সীম কার্ডটি ফেলে দেয়।

চান্দিনা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কল লিস্টের সুত্র ধরে চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) স্বপন কুমার সরকার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এস.আই) ডালিম কুমার মজুমদার সহ ‘টিম চান্দিনা’ অভিযান চালিয়ে উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের বদরপুর-মেহার গ্রাম থেকে তাকে আটক করার পর এ তথ্য উন্মোচিত হয়।

চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, মূলত যৌন তাড়নায় গাড়ি চালক ওমর ফারুক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এর আগে নিহতের মা খাদিজা আক্তার সিমু বাদী হয়ে মীম এর সৎ মা লাভলী আক্তার (৩৫) ও তার ছোট ভাই দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামের মোস্তফা সরকারের ছেলে সালাউদ্দিন সরকারকে (৩২) আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাদির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৎ মা ও মামাকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে শিশু মীমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পাশ্ববর্তী গ্রামের থানগাঁও ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শিশু মীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুত্র ও ছবি: ইন্টারনেট

Facebook Comments