banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 487 বার পঠিত

 

রঙের ছটায় বৈশাখী বসন

বর্ণিল পোশাকে হবে বর্ষবরণ, এটা এখন রীতি। এই একটা উৎসব, যা সবাই মিলে পালন করা হয়। উচ্ছ্বাস-আনন্দ তো থাকবেই। আর উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গ পোশাক বৈচিত্র্যময় না হলে ষোলো আনা তৃপ্তি থাকে না। কথাটি হাড়ে হাড়ে বোঝেন ফ্যাশন ডিজাইনাররাও। তাই পোশাকের ক্যানভাসে বাঙালি নানা মোটিফে আনে বৈচিত্র্যময় নকশা।
সাত-আট বছর পেছনে গেলে দেখা যাবে পয়লা বৈশাখের পোশাকে মোটিফ বলতে মুখোশ, হাতপাখা আর আলপনা। ধীরে ধীরে সেই ধারা ভেঙে পোশাকে এল পটচিত্র, নকশিকাঁথার ফোঁড়, ফুল, পাখি, কলস। এবার পোশাকের জমিনে মিলছে সাপলুডু, শখের হাঁড়ি, সন্দেশ, তাস, লক্ষ্মীপ্যাচা, মাছ, ফুলেল ছাপের মোটিফ। এ ছাড়া মেয়েদের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও পাঞ্জাবির জমিনে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশের কবিতার লাইন। গামছা দিয়েও কয়েকটি ফ্যাশন হাউস পোশাক তৈরি করেছে। এসব পোশাক পরতে আরাম আবার বাঙালিয়ানাও ফুটে ওঠে। অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে গামছার শাড়ি, ফতুয়া, সালোয়ার–কামিজ ও পাঞ্জাবি।
আর রং? সে তো প্রতিবারই নিরীক্ষার টেবিলে। ডিজাইনাররা পোশাকে রীতিমতো রং নিয়ে খেলছেন। লাল-সাদার আবেদন চিরন্তন—এই প্রথা ভাঙে কার সাধ্য! তাই বলে অন্য রং আসবে না? এমন দোটানায় গেল কয়েক বছর নীল, হলুদ, বেগুনি, গোলাপি, হালকা আকাশি, ঘিয়ে রঙে করা পোশাকও চলেছে বেশ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের পোশাকে নিরীক্ষাধর্মী কাজগুলো বেশি হয়েছে। তবে বরাবরের মতো উজ্জ্বল রং-ই রাজত্ব করছে এবার। এদিকে রং আর মোটিফে ভিন্নতা থাকলেও কাপড়ে চারদিকে সুতির জয়জয়কার। অবশ্য সংখ্যায় কম হলেও মসলিন, সিল্ক, পাতলা গরদও আছে।
চট্টগ্রামের ফ্যাশন হাউস শৈল্পিক, রওশনস, ডলস হাউস, আরিয়ন ফ্যাশন, শ্রেয়া, মুনমুনস, পিণন, ময়ূরাক্ষী, কৃষ্টি, মেঘ রোদ্দুর, মিয়াবিবি, মিরনস, ড্রিম ফ্যাশন হাউস, রমনীয়া, তুলিস ক্রিয়েশন প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় বৈশাখী পোশাক নিয়ে এসেছে।
ডলস হাউসের কর্ণধার আইভি হাসান বলেন, ‘পোশাকে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার হয়েছে বেশি। নকশা হয়েছে লোকজ বিভিন্ন মোটিফে। আমি এবার শাড়িতে জীবনানন্দ দাশের কবিতা তুলে ধরেছি।’
এদিকে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকেও নিত্য নতুন ডিজাইন আনা হয়েছে। মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে ফ্রক, সালোয়ার কামিজ, ফ্রক, পালাজ্জো ও শাড়ি। আর ছেলেদের জন্য নকশা করা পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও ফতুয়া। পোশাকের কাটছাঁটে তেমন পরিবর্তন হয়নি। বরাবরই মাথায় রাখা হয়েছে পোশাকটা যেন আরামদায়ক হয়।

Facebook Comments