banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 227 বার পঠিত

প্রশিক্ষণে মেয়েরাও পারে এগিয়ে যেতে

female pilotঅপরাজিতাবিডি ডটকম: এ যুগে মেয়েদেরও পড়াশোনার বিষয় পছন্দে উন্নত ক্যারিয়ার ও চাকরির বাজার বিবেচনায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে লেখাপড়া করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা উচিত যেন উচ্চডিগ্রিটি পুরো বিশ্বে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য হয়। অনেকেই চান লেখাপড়ার বিষয়টি যেন চাকরি প্রাপ্তির সম্ভাবনা বিশেষ করে সার্টিফিকেট পাওয়ার আগেই চাকরির অফার আসতে শুরু করুক এমন কোর্স করার কথা ভাবেন। মেয়েদের পছন্দের এই গুরুত্বের সাথে মিল রেখে ক্যারিয়ার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ আশা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স সমমান ডিগ্রি অর্জন করার।

এই মুহূর্তে এভিয়েশন সেক্টরে বিপুল দক্ষ লোকের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে জনবল সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এটাই আদর্শ সময়। আজকাল অভিভাবকরা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে হিমশিম খেয়ে যান। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে ৪ বছরে ১০-২০ লাখ টাকা দিয়ে পড়াশোনা করেও ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন, সেখানে এসএসসি/‘০’ লেভেলের পর ৪ বছরে অনার্স ডিগ্রি করতে পারেন কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে। এ ক্ষেত্রে ১৮ মাস লেভেল-৩ বা এ লেভেল, ১৮ মাস লেভেল-৫ এবং ১ বছর ইউকে’তে কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে টপ আপ বিএসসি করতে হবে। আর এসব ভিন্নমাত্রার পেশায় সফলতার হার অনেক বেশি। এভিয়েশন সেক্টরে রয়েছে চাকরির বিশাল সম্ভাবনা। সরকারি ও বেসরকারি দুই জায়গাতেই চাকরির ক্ষেত্র বিদ্যমান। এছাড়া বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্সে যোগ্যতা অনুযায়ী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তো রয়েছেই।

ছোটবেলা থেকেই মাহফুজার ইচ্ছা ছিল অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। ২০০৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হয়। এখান থেকে ২ বছর ব্যাচেলর ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর সে বর্তমানে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ইউএসএ’র বিখ্যাত উইশিটা ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে।

ডা. হাকিকুর রহমানের মেয়ে সাওসান রহমান ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হয়। এখান থেকে হায়ার ন্যাশনাল ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে সে বর্তমানে পর্তুগালের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েরা ইনটেরিয়রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করছে।

খরচ : এ ক্ষেত্রে ১৮ মাস লেভেল-৩ বা এ লেভেল করতে সর্বমোট খরচ পড়বে ৩,০০,০০০ টাকা, ১৮ মাস লেভেল-৫ করতে সর্বমোট খরচ পড়বে ৫,৫০,০০০ টাকা এবং ১ বছর ইউকে’তে কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে টপ আপ বিএসসি করতে কিংস্টন ইউনিভার্সিটির ১ বছরের টিউশন ফি দিতে হবে। তবে টিউশন ফি সেমিস্টার ওয়াইজ পে করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানতে— উত্তরা সেক্টর-১১, রোড-০২, বাড়ি-১৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ৮৯৯১৩৭১।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি অথবা ‘ও’ লেভেল পাস করার পর এইচএসসি অথবা ‘এ’ লেভেল পাস করতে ২ বছরের অধিক সময় লাগে। তারপর বুয়েট কিংবা অন্য কোথাও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কমপক্ষে ৪/৫ বছর লাগবে। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীকে সর্বমোট ৭/৮ বছর সময় দিতে হচ্ছে চাকরি পাওয়ার পূর্বেই এবং সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সেভাবে জব পাওয়া সহজলভ্য হয় না। অন্যদিকে একজন শিক্ষার্থী অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে থাকা (ফাইনাল ইয়ার) অবস্থাতেই চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে।


্রতিবেদক-অপরাজিতাবিডি ডটকম/২১জানুয়ারী২০১৪

Facebook Comments