banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: April 2024

 

গর্ভনিরোধক ওষুধ যেসব ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে

পরিকল্পনা ছাড়া সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক নারী ভরসা রাখেন গর্ভনিরোধক ওষুধের ওপর। পরিকল্পনা ছাড়া ঝুঁকি এড়ানোর জন্য অনেকে গর্ভনিরোধক ওষুধ উপযুক্ত মনে করলেও অত্যধিক হারে এই ওষুধ সেবনে শরীরে ক্ষতি করতে পারে। তাই এই ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সম্ভব্য কিছু ঝুঁকির কথা নিচে উল্লেখ করা হলো।

১) দীর্ঘদীন গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবনে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন।

২) অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ভনিরোধোক ওষুধ সেবন ঋতুস্রাব শুরুর আগে ‘স্পটিং’ সৃষ্টি করতে পারে। মাসিকের আগে রক্তপাত হওয়াকে ‘স্পটিং’ বলে।

ঋতুচক্রের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
৩) শরীরের ওজনও বাড়িয়ে দিতে পারে গর্ভনিরোধক ওষুধ। যারা আগে থেকেই ওজন বাড়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য বাড়তি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে অপরিকল্পিত জন্মনিয়ন্ত্রণের এই পদ্ধতি।

৪) গর্ভনিরোধক ওষুধ হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত করায় চোখের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৫) যাদের শরীরে উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে, তারা গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবন করলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এ ছাড়া স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

 

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মরিয়ম

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মরিয়ম নওয়াজ। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গতকাল সোমবার শপথ নেন তিনি। মরিয়ম পাকিস্তান মুসলিম লিগ—নওয়াজের (পিএমএল-এন) জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ভাতিজি।

গতকাল প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ২২০ ভোট পেয়ে জয়ী হন পিএমএল-এনের প্রার্থী মরিয়ম। অন্যদিকে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি) ভোট বয়কট করায় তাদের প্রার্থী রানা আফতাব আহমেদ কোনো ভোট পাননি। ভোটের ফল জানিয়ে মরিয়মকে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার মালিক আহমেদ খান। পরে তিনি মরিয়মকে পরিষদের নেতার আসনে বসার আহবান জানান।

এ সময় মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘একজন নারীর মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া প্রত্যেক মা, বোন ও কন্যার জন্য সম্মানের। আমি প্রার্থনা করি, প্রক্রিয়াটি যেন অব্যাহত থাকে এবং আরো নারীরা যেন পার্লামেন্টের নেতা হিসেবে আমার স্থান নিতে পারেন।’

 

কর্মব্যস্ত দিনেও যত্ন নিন দাম্পত্য জীবনের

 

প্রতিটি সম্পর্ক স্বাভাবিক ও সুন্দর রাখার জন্য  একে অপরকে  সময় দেওয়ার বিকল্প নেই। বর্তমানে আমরা নিজেদের নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে সম্পর্কে সময় দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে ওঠে না। আপনি যদি বিয়ে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোনো সম্পর্কে আবদ্ধ হোন এবং ব্যস্ততার কারণে সঙ্গীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারেন, তাহলে কিছু নিয়ম অনুসরণ করে এ ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করতে পারেন:

 

পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হন 

সংসারজীবনে ছোট–বড় অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে। হতে পারে মতানৈক্য। তাই বলে সেসব বিষয়কে ইস্যু করে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা নিছক নির্বুদ্ধিতা। রাগ না দেখিয়ে বরং নমনীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকে আলোচনা করলে সম্পর্ক সুখের হবে।

 

জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন

সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারাটা সম্পর্কের মূল ভিত্তি। বিভিন্ন প্রজন্মের দম্পতিরাও একে অপরের সঙ্গে ভালো যোগাযোগের সুফল ভোগ করেছেন। আমরা যত স্বাবলম্বীই হই না কেন, দিনশেষে আমাদের সবারই মন খুলে বলার জন্য কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ দম্পতিই দিনশেষে তাদের সঙ্গীকে মন খুলে কিছু বলতে পারার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান এবং স্বাভাবিকভাবেই তখন তা একসঙ্গে কাটানো সময় হয়ে উঠে।

 

বন্ধুভাবাপন্ন সম্পর্ক তৈরি করুন 

দাম্পত্য জীবনে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশেষ প্রয়োজন। এতে একজনের কাছে অন্যজন বিভিন্ন জটিলতা ও অসুবিধা সহজে শেয়ার করতে পারে। আর সেখান থেকে একটা সমাধান বের হয়ে আসে। তবে দাম্পত্যে যদি বন্ধুভাবাপন্ন সম্পর্ক না থাকে, তাহলে অনেক বিষয় অমীমাংসিত থেকে যায়, যা থেকে দূরত্বের সৃষ্টি হয়।

 

একে অপরের প্রশংসা করুন 

যেকোনো সাফল্য বা অর্জনে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে অভিবাদন জানাবে ও উৎসাহ দেবে। এতে দুজনের মধ্যে নির্ভরতা ও ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। প্রশংসা পেলে আরও ভালো কিছু করার প্রেরণা জন্মে।

 

কোলাহল থেকে দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন 

উপলক্ষ থাকুক বা না থাকুক দুজন মিলে মাঝে মাঝে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া জরুরি। বেড়ানো কিংবা একসঙ্গে বাইরে খাওয়া একঘেয়ে জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সাহায্য করে। তাই ব্যস্ততার ভেতরেও সময় বের করে মাঝে মাঝে ডেটিং করা দাম্পত্য জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 

শিশুর ওপর প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব

 

শিশু-কিশোরদের মধ্যে অধিক মাত্রায় ভিডিও গেম বা ফেসবুকের মতো ভার্চুয়াল লাইফে সংশ্লিষ্টতার কারণে ধীরে ধীরে তা আসক্তিতে পরিণত হয় – সংগৃহীত

নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিশ্বের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শীর্ষ অবস্থায় এবং এ উন্নয়নের পরশে মানুষের জীবনযাত্রায় হয়েছে লক্ষণীয় পরিবর্তন; এনেছে গতি ও শৌখিনতা। কিন্তু এর অপব্যবহারে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের ওপরও নানাভাবে এর কুপ্রভাব পড়ছে।

উন্নত বিশ্বের শিশুদের মতো বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের মধ্যেও প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আসক্তি বাড়ছে। আল্ট্রাপ্রযুক্তির বিভিন্ন উপকরণে আসক্তির কারণে শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তির প্রতি এ ক্রম-আসক্তি পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। পরিবারে মা ও শিশুর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। মায়ের জন্য তারা আলাদা সময় বের করতে পারছে না। যার ফলে পারিবারিক প্রথাগত শিক্ষা, শিষ্টাচার, ভ্যালুজ এডুকেশন তথা ধর্মীয় ও সামাজিক আচরণ অর্জন থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

অন্য দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দিন দিন শিশু ও কিশোররা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। অপরিণত বয়সেই বেশির ভাগের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ভিডিও গেম, মোবাইল, ল্যাপটপ ও বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরতা সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে শিশুসহ আবালবৃদ্ধবনিতা প্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ বেড়েই চলছে। ফলস্বরূপ পরিবার-পরিজনদের মধ্যে আন্তরিকতা কমে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের অজান্তেই সন্তান কাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখছে, তা জানারও সুযোগ থাকছে না।

শিশু-কিশোরদের মধ্যে অধিক মাত্রায় ভিডিও গেম বা ফেসবুকের মতো ভার্চুয়াল লাইফে সংশ্লিষ্টতার কারণে ধীরে ধীরে তা আসক্তিতে পরিণত হয়। বাড়ন্ত বয়সে এ অস্বাভাবিক আকর্ষণ ক্রমান্বয়ে নেশায় পরিণত হয়। রাতের পর রাত জেগে এসব কাজে মগ্ন থাকায় পরদিন সকালে ক্লাসে ভীষণ অমনোযোগী থাকে এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বাবা-মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। সে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে নিজেকে পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে।

বিরতিহীনভাবে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিশুদের চোখ ও মস্তিষ্কের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। রেডিয়েশনের প্রভাবে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কোনো কিছুতেই আগ্রহ থাকে না। কোনো কায়িক পরিশ্রম কিংবা খেলাধুলা তারা করতে চায় না। সারাক্ষণ আঙুল, চোখ ও মস্তিষ্ক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের মনের চাহিদা পূরণ করতে চায়।

অন্যদিকে বিরামহীনভাবে ভিডিও গেম খেলার কারণে কনভালশন তথা খিঁচুনি কিংবা মৃগীর মতো স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় শুয়ে অথবা বসে ভিডিও গেমস বা ফেসবুকিং করার ফলে হাঁটু ও কোমরে ব্যথা দেখা দেয়। কায়িক পরিশ্রমের খেলাধুলা না করায় অল্প বয়সে তাদের শরীরে চর্বি জমে যায়। এতে করে লিভার, কিডনিসহ হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশুরা এখন মা-বাবার মনোযোগ পেতে তাদের প্রিয় ডিভাইসগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শন পার্কার স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্ম আসক্তিপূর্ণ করে বানানো হয়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠার সময় তার কোনো ধারণা ছিল না যে তিনি কী করছেন। তিনি আরো বলেন, শুধু সৃষ্টিকর্তা জানেন, এটি আমাদের শিশুদের মস্তিষ্কের সাথে কী করছে?

ফেসবুক এমন প্রথম অ্যাপ্লিকেশন, যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো বানানোর পেছনে পুরো চিন্তাধারা ছিল, আমরা কিভাবে আপনার যতটা বেশি সম্ভব সময় ব্যয় করব এবং সচেতন মনোযোগ আকর্ষণ করব। আর এ জন্যই তিনি নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার থেকে বিরত রয়েছেন। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এতটা প্রযুক্তিপণ্যের ওপর আসক্তি এক ধরনের মানসিক রোগ। বিকারগ্রস্ত মানসিকতা নিয়ে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে এই শিশু-কিশোররাই বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। তাদের কচি মস্তিষ্কে বিভিন্ন ইনোভেটিভ ক্রাইমপ্ল্যান করে নানা ঘটনার সাথে যুক্ত হচ্ছে। যার ফলে আশঙ্কাজনকভাবে সমাজে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে।

আজকের শিশুই আগামীর ভবিষ্যৎ ও জাতির মেরুদণ্ড। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্নেই আমাদের বোধোদয় হওয়া উচিত। মূলত প্রযুক্তিপণ্য ও ফেসবুকই সব সমস্যা নয়, আমরা কিভাবে এগুলো ব্যবহার করছি, সেটাই অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। শিশুদের প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আসক্তি দূর করতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের যেমন দায়দায়িত্ব সন্তানেরা কী করছে সেদিকে নজর রাখা; তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটানো, সাহচর্য প্রদান; তাদের ভার্চুয়াল প্লেগ্রাউন্ডের পরিবর্তে খেলার মাঠের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। যাতে তাদের মানসিক বৃদ্ধির পাশাপাশি দৈহিক গঠন ও সামাজিক জ্ঞানে পরিপূর্ণতা আসে। তাদের বোঝানো যে আপনিই তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও হিতাকাক্সক্ষী। সব কিছু সব বয়সের জন্য নয়- এ বাস্তবতা তাদের নিকট খোলাসা করতে হবে। এ জন্য শিশু ও কিশোরদের সাথে নিয়মিত কাউন্সেলিং জরুরি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও মহান দায়িত্ব রয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল ও কুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মৌলিক ধারণা দিয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে। সেই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় দীক্ষিত করে সত্যিকারের মানুষ করে তুলতে হবে।

 

নারীর মর্যাদা বৃদ্ধিতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ জরুরি

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেছেন, উপার্জানমূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীর পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তৃণমূলের নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রায়েরবাজারস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদল সদস্যদের মধ্যে নগদ সহায়তা বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস-এর ঢাকা পূর্ব কেন্দ্রের সমন্বয়ক সেলিনা পারভীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সহকারী কমিশনার রুবানা তানজিন, বিএনপিএস-এর সমন্বয়কারী নাসরিন বেগম ও ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের সমন্বয়কারী মো. হেলাল উদ্দিন।

সভায় বলা হয়, সংবিধানে সব নাগরিককে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত হয়নি। অনেক সামাজিক সূচকে ভালো করলেও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান খুবই দুর্বল। এর অন্যতম কারণ আর্থিক অস্বচ্ছলতা।

আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নারীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
সভায় জানানো হয়, বিএনপিএস ১৯৮৬ সাল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের আলোকে পরিবার থেকে রাষ্ট্রে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নারী সদস্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির ব্যবসা বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এরপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২০ জনকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।

 

বর্ণাঢ্য উৎসবে হিজাব পরলেন তিন হাজার তরুণী

ইরাকের কুর্দিস্তানে বর্ণাঢ্য হিজাব উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাজধানী শহর ইরবিলে ‘গোল্ডেন ক্রাউন ফেস্টিভাল’ নামের উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন হাজারের বেশি মুসলিম তরুণী হিজাব পরেন। এ সময় উৎসবমুখর পরিবেশে তাঁদের মাথায় সোনালি মুকুট পরানো হয়।

জানা যায়, প্রতিবছর তরুণীদের হিজাব পরা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। টানা দশমবারের মতো গোল্ডেন ক্রাউন ফেস্টিভাল নামের এই উৎসবের আয়োজন করে কুর্দিস্তান স্টুডেন্টস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএসডিও)।

অনুষ্ঠানের আয়োজক কেএসডিও এক বিবৃতিতে জানায়, গোল্ডেন ক্রাউন ফেস্টিভাল প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম নারীর হিজাব যে তার জন্য মুকুটের সমতূল্য এ বিশ্বাস থেকেই বিশাল এই আয়োজন করা হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে তরুণীরা এ আয়োজনে অংশ নেন। এখানে হিজাব পরতে শুরু করেন কুর্দিস্তানসহ ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম তরুণীরা। হিজাবি তরুণীদের স্বাগত জানানো এবং সবার মধ্যে হিজাবের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। এর অর্থ আবরণ। যে অতিরিক্ত বড় কাপড় দিয়ে দেহ আচ্ছাদিত করা হয়। মুসলিম নারীদের জন্য শরিয়তসম্মত উপায়ে হিজাব পরা আবশ্যক।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের ওপর টেনে দেন। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৯)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মুমিন নারীদের বলে দিন যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে…আর যা সাধারণত প্রকাশ পায়, তা ছাড়া তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)

হিজাব পরায় ছাত্রীদের ঢুকতে দিলো না রাজস্থানের স্কুল

 

ভারতের রাজস্থানের পিপার শহরে একটি রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুল হিজাব পরার জন্য মুসলিম ছাত্রীদের ফিরিয়ে দিয়েছে। যা একটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হয়েছে এবং এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

হেট ডিটেক্টর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, হিজাব পরিহিত মেয়েদেরকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। এছাড়া তারা স্কুল প্রাঙ্গনে হিজাব পরা চালিয়ে গেলে তাদের গ্রেডকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়েছিল।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

অভিভাবকদের এক ভিডিওতে বলতে দেখা যায়, ‘এটা খুবই অনৈতিক যে আপনি শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে থাকলে তাদের নম্বর কমানোর হুমকি দিচ্ছেন।’

অন্য একটি ভিডিওতে স্কুল থেকে বের করে দেয়া মেয়েরা অভিযোগ করেছে, তাদের শিক্ষকরা হিজাব পরার জন্য তাদের ‘চাম্বল কে ডাকু’ বলে তিরস্কার করেছে।

তারা বলছে, ‘তারা আমাদের সতর্ক করে চলেছে যে স্কুলে হিজাব গ্রহণ করা হবে না।’

এদিকে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জনতাকে বলেন, তারা শুধুমাত্র মেয়েদের সরকারের নির্ধারিত স্কুল ড্রেস কোডে আসতে বলেছেন।

কয়েক দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ারও বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের সকল সরকারি স্কুলে একটি নির্ধারিত ড্রেস কোড রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নির্ধারিত ড্রেস কোডেই স্কুলে যেতে হবে।

 

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে যা করবেন

 

জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে, যার নাম প্যাপিলোমা ভাইরাস। সাধারণত এই ভাইরাসটি ছড়ায় ওই ভাইরাস আছে এমন কারও সাথে যৌন মিলনের ফলে। যৌন মিলনের সময় পুরুষদের কাছ থেকে নারীদের দেহে এই ভাইরাসটি ঢুকে যায়। তবে ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার হয় না। ক্যানসার হতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে।
আসুন জেনে নেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে যা করবেন-

নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতিবছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে হাজার হাজার নারী আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৮ সালের ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি অব রিসার্স অন ক্যানসার-এর (আইএআরসি) এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নারী মারা যান সার্ভিকাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসারে।
একটু সচেতন থাকলেই খুব সহজে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে চলুন জেনে নেই –

জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে, যার নাম প্যাপিলোমা ভাইরাস। সাধারণত এই ভাইরাসটি ছড়ায় ওই ভাইরাস আছে এমন কারও সাথে যৌন মিলনের ফলে। যৌন মিলনের সময় পুরুষদের কাছ থেকে নারীদের দেহে এই ভাইরাসটি ঢুকে যায়। তবে ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারহয় না। ক্যানসার হতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে।

জরায়ুমুখ ক্যানসারের মূল অসুবিধে হলো এটি শেষ পর্যায়ে গেলেই শুধু ব্যথা দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলোকে অনেকেই মাসিকের মেয়েলি সমস্যা বলে মনে করেন। ক্যানসার যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে যায় তখন রোগটা অনেকদূর ছড়িয়ে যায়।

যারা ঝুঁকিতে আছেন
১৬ বছর বয়সের আগে যৌন সঙ্গমের অভিজ্ঞতা থাকলে কিংবা পিরিয়ড শুরুর এক বছরের মধ্যে যৌনসঙ্গম শুরু করলে।
স্বামী বা যৌনসঙ্গীর শরীরে ভাইরাসটি থাকলে।
একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে।
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘদী, বিশেষ করে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পিল খেতে থাকলে।
শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলে।
যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে ছড়ায় এমন কোনো রোগ থাকলে যেমন এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি।

লক্ষণ
যৌন মিলনের পর যোনি পথে রক্ত পাত।
অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত রক্তপাত বা ২ মাসিকের মধ্যে রক্তপাত।
অতিরিক্ত সাদা স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব বা চাল ধোয়া পানির মতো স্রাব অথবা কোনো সময় রক্ত মিশ্রিত স্রাব যাওয়া।
মেনোপজ এরপর আবার রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, কাশি, কাঁশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে

প্রতিরোধ ব্যবস্থা
কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে না দেওয়া।
অধিক সন্তান ধারণা করা।
ধূমপান না করা।
যৌন-প্রজননস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
একাধিক যৌনসঙ্গী না রাখা।
৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধক টিকা গ্রহন করা।
৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত নারীদের প্রতি ৩ বছর পরপর ভায়া টেস্ট করা।
উপরের লক্ষণগুলোর কোনো একটি নিয়মিত হতে থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারী বন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া ঠেকাতে সুপারিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কারাগারগুলিতে থাকাকালীন নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন এবং কারাগারেই তাদের সন্তানরা জন্ম নিচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যগুলিতে কারাগারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে ‘অ্যামিকাস কিউরে’ বা আদালত বন্ধু হিসাবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ’র।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টকে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

তিনি বলেন, “রাজ্যের সংশোধনাগারগুলির (কারাগার) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে ছবি উঠে এসেছে সেটা উদ্বেগজনক। সংশোধনাগারে থাকাকালীন নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। ১৯৬ জন শিশু মায়ের সঙ্গে সংশোধনাগারে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সংখ্যাটা গত বছর পহেলা এপ্রিল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে ওই সংখ্যা হয়তো বেড়েছে বলেই আশঙ্কা করা যায়।”

কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন পেশ করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস গণনম। বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুন মাসে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর সি লাহোটি সুপ্রিম কোর্টকে একটি চিঠি দিয়ে দেশের কারাগারের করুণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।

সে সময় সর্বোচ্চ আদালতকে দেশের কারাগারগুলিতে বন্দিদের মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যা, অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ সেখানকার বেহাল পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছিল। রাজ্যগুলি যে বন্দিদের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না, সে বিষয়েও উল্লেখ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।

সে বছর জুলাই মাসে ওই চিঠি ‘জনস্বার্থ রিট পিটিশন’ হিসাবে দায়ের হয়।

“এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের হাইকোর্টগুলির প্রধান বিচারপতিদের নির্দেশ দেয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করতে এবং সংশোধনাগারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। হাই কোর্ট আমাকে নিয়োগ করে সংশোধনাগারের আবাসিকদের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য এবং রাজ্যের প্রতিটি জেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করতে,” বলেছেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ।

রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কোনও নির্দিষ্ট কারাগারের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে নিশ্চয়ই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

 

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

 

দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সম্প্রতি তিনি ভারতে বেসামরিক বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’-তে ভূষিত হয়েছেন। এবার দেশি একটি সংগঠন থেকে পাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য একটি আয়োজনের মাধ্যমে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবে ‘টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব)।

এ মুহূর্তে কলকাতা অবস্থান করছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, ‘নিশ্চয়ই যেকোনো পুরস্কার একজন শিল্পীর জন্য পরম আনন্দের, ভালোলাগার। যথারীতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন এই সম্মাননা আমি আনন্দের সাথেই গ্রহণ করবো। ধন্যবাদ আয়োজকদের যারা আমাকে এই সম্মাননার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছেন।’

অনুষ্ঠানের আয়োজন ট্রাব সভাপতি সালাম মাহমুদ বলেন, ‘বন্যা আপা আমাদের দেশের অত্যন্ত গুণী এবং প্রখ্যাত একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। তার কণ্ঠ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের খ্যাতি ছড়িয়েছে। তাকে আমরা তাই পরম শ্রদ্ধা নিয়ে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করতে যাচ্ছি।’

এদিকে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বন্যা দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত এ শিল্পী।

 

দুদকে প্রথম নারী সচিব হিসেবে নিয়োগ পেলেন খোরশেদা ইয়াসমীন

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খোরশেদা ইয়াসমীন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অতিরিক্ত সচিবকে বৃহস্পতিবার সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে দুদকে পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন দুদকের প্রথম নারী সচিব।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আলাদা প্রজ্ঞাপনে দুদকের বর্তমান সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চুক্তি ভিত্তিতে থাকা মো. এহছানে এলাহীর চুক্তি বাতিল করেছে সরকার।

 

কিচেন কেবিনেট পরিষ্কার রাখার টিপস

কিচেন কেবিনেট ব্যবহারের কারণে রান্নাঘর গোছানোও অনেক সহজ হয়ে পড়ে। তবে নিয়মিত পরিষ্কার না করা হলে কেবিনেটে পোকামাকড় বাসা বাঁধতে পারে।

আসুন জেনে নেইকিচেন কেবিনেট পরিষ্কার রাখতে পারেন-
যেসব স্থানে প্রতিদিন রান্নার উপকরণ রাখা হয় কিংবা যেসব কেবিনেট প্রতিদিনই খোলার প্রয়োজন পড়ে, সেসব নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কিচেন কেবিনেট দীর্ঘদিন আবদ্ধ থাকলে তাতে তেলাপোকাসহ অন্যান্য যে কোনো পোকামাকড় বাসা বাঁধতে পারে। মাসে অন্তত দুইবার চেষ্টা করুন কেবিনেট পরিষ্কার করার।

কিচেন কেবিনেট যদি রঙ করা থাকে, তবে সেখানকার দাগ পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা সবচেয়ে কার্যকরী।

একটি বাটিতে বেকিং সোডা আর পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার পেস্ট দাগের উপর রেখে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের কেবিনেটের জন্য যে সুতি কাপড় ব্যবহার করবেন খেয়াল রাখবেন সেটি যেন খুব ভেজা না হয়। এতে কাঠ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কেবিনেটে যদি কাঁচ থাকে তাহলে সুতি কাপড়ে গ্লাস ক্লিনার নিয়ে ভেতরে ও বাইরে দুই দিক থেকেই ক্লিন করুন। কেবিনেট যেমন রান্নাঘরের শোভা বাড়ায়, তেমনই এটি ক্লিন না রাখলে দেখতেও ভালো লাগে না। তাই কাঠের বা কাঁচের কেবিনেট যাই হোক না কেন, নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি।