banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

২৪ বছরে মৌসুমীর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার

ঢাকাই চিত্রনায়িকা হিসেবে মৌসুমীর ক্যারিয়ারের ২৪ বছর পূর্ণ হলো আজ (২৫ মার্চ)। ১৯৯৩ সালের আজকের এই তারিখে দর্শকেরা রূপালী পর্দায় নায়িকা মৌসুমীকে প্রথম দেখতে পান, সেটা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’  ছবির মাধ্যমে। তার সঙ্গে জুটি হয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই মৌসুমী দর্শকের মনে ঠাঁই পান। দুই যুগ পার হলেও আজও এক চিলতে ভাটা পড়েনি মৌসুমীর জনপ্রিয়তায়। এতগুলো বছরে অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও কোটি ভক্তের দেয়া উপাধি ‘প্রিয়দর্শিনী’।

এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘দেখতে দেখতে এতটা বছর পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে আমার আব্বুর কথা। তিনি আমাকে প্রেরণা না দিলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। তাছাড়া আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই যারা আমাকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আর যে মানুষটির ভালোবাসায় এবং সহযোগিতায় আমি পূর্ণতা পেয়েছি, সে আমার সকল সুখ-দুঃখের সঙ্গী, আমার স্বামী ওমর সানী। আমি, আমার পরিবার ও দুই সন্তান ফারদিন এবং ফাইজাহর জন্য দোয়া করবেন সবাই।’

mou

মৌসুমীর দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে তার স্বামী ওমর সানী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার শশুর-শাশুড়ি, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, সুকুমার দাদা (এমপি), চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং সিরাজ ভাইকে। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে। প্রিয়দর্শিনী মহারানী মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে আনার জন্য। চলচ্চিত্রে ২৪ বছর হলো তোমার মৌসুমী। আমি আরও কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে। দোয়া করি হাজার বছর বেঁচে থাকো বাঙালির মানষপটে।’

চিত্রনায়িকা পরিচয়ের বাইরে আদর্শ স্ত্রী,  মা ও গৃহিণী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মৌসুমী সফল হয়েছেন প্রযোজক হিসেবেও। পরিচালনায়ও দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। শুধু তাই নয়, অভিনয়-মডেলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও গান নিয়েও হাজির হয়েছেন মৌসুমী। বেশ কিছু চলচ্চিত্রে গেয়েছেন জনপ্রিয় অনেক গান। বর্তমানে তাকে চরিত্রভিত্তিক অভিনয়েই বেশি দেখা যায়। অভিনয় করছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনে।

দেশের শীর্ষ বিপণন প্রতিষ্ঠান আরএফএল এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া মৌসুমী বর্তমানে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ এবং এ কে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয় করছেন। আগামীতে আরও কিছু নাম চূড়ান্ত না হওয়া ছবিতে অভিনয় করার কথা রয়েছে তার।

 

স্বাধীনতার অহংকার

স্বাধীনতা একটি দেশ ও জাতির পরিচয় বহন করে। তাই স্বাধীনতা দিবস মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোর বিশেষ আয়োজনে পোশাকের রঙ ও মোটিফ সবকিছুতেই উঠে এসেছে স্বাধীনতার আবহ। প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। আর এ সবকিছুর মূলেই রয়েছে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত রাখা। জাতীয় চেতনাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে পোশাকও এখন অন্যতম একটি মাধ্যম। কয়েক বছর ধরে এ কাজটা খুবই আন্তরিকতার সাথে করে যাচ্ছেন আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাদের পোশাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে রঙ, ডিজাইন, কাটিংয়ের মতো বিষয়গুলো।

জীবনধারা বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা আজ আমাদের সাজে-কাজে, চলনে-বলনে। লাল-সবুজ ভালোবাসার সেই রঙ আজ উঠে এসেছে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ এবং সাজসজ্জায়। আর তাই এবারে পোশাকের ক্ষেত্রে দেশীয় বস্ত্রকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশির ভাগ ফ্যাশন হাউস ও নামকরা ডিজাইনাররা।

স্বাধীনতার রং বলতে লাল-সবুজকেই বোঝায়। আর তাই এ দিবসের ফ্যাশনের প্রাধান্য পায় লাল আর সবুজ এই দুটি রং। তাই পোশাকে লাল-সবুজের ছোঁয়া থাকতেই হবে। পোশাকে না হোক, ওড়না, ব্যাগ অথবা অলঙ্কারে থাকা চাই লাল-সবুজের ছোয়া। স্বাধীনতা দিবস এলেই দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো নিজেদের সাজিয়ে নেয় লাল-সবুজ নানা রঙের ও ঢঙের পোশাকে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট কিংবা শিশুদের জামার ডিজাইনে আনা হয় স্বাধীনতা আমেজ।

Sadinota

এখন মানুষের সৌখিনতা ও পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বেশ রুচিশীল ও উত্সব নির্ভর পোশাক তৈরি করছে। আবার অনেকেই নিজের সৃজনশীলতায় রাঙিয়ে তৈরি করে নিচ্ছেন নিজের একদম আলাদা একটি স্বাধীনতা দিবসের স্টাইল। নারীরা লাল-সবুজ শাড়ি পরতে পারেন লম্বা হাতার ব্লাউজ। লাল-সবুজ শাড়ি পরতে না চাইলেও এক রঙা শাড়ির সঙ্গে লাল-সবুজের সংমিশ্রণে ব্লাউজ পরুন। এক্ষেত্রে সাদা, ঘিয়া কিংবা কালো শাড়ির সঙ্গে মানানসই লাল কিংবা সবুজ ব্লাউজের হাতায় লেস বসানো হলে দেখতে আরও সুন্দর লাগবে আপনার স্বাধীনতা দিবসের পোশাক।

পুরুষদের ক্ষেত্রেও লাল-সবুজ রঙের পছন্দের পাঞ্জাবি বা ফতুয়াটি বেছে নিতে পারেন। এদিন শিশুদেরও লাল-সবুজের পোশাক পরতে দিতে পারেন। এতে তাদের মধ্যেও দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হবে। বছরের যে কদিন পোশাকে দেশকে উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া যায় তার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস একটি। এদিন আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরেছি। তাই উৎসবের আমেজে রঙের ছটায় স্বাধীনতা দিবস হয়ে উঠুক রঙিন।

 

খাবারে রুচি নেই?

সামনে সাজানো অনেক মজার মজার খাবার। কিন্তু আপনার একটুও খেতে ইচ্ছে করছে না। আর সেজন্য হয়তো বকাও খাচ্ছেন, কেন খেতে ইচ্ছে করছে না, কেন খাচ্ছেন না। এজন্য হয়তো চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়েছেন, আর ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছে না। খাবার দেখলেই অনীহা চলে আসছে। পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়রাও কথা শোনাচ্ছে, কেন এমন পাঠকাঠির মতো দেখতে! খুব পরিচিত একটি মশলা, যা আমাদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়, তা দিয়েই দূর করা সম্ভব আপনার এই অরুচি। বলুন তো সেটি কী? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, সেটি হচ্ছে আদা।

আদার রসে রয়েছে জিনজেরল নামের রাসায়সিক উপাদান, যা দেহের সিমপ্যাথেটিক সিস্টেমে বিটা এগনিস্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ বন্ধ শ্বাসনালী খুলে দেয়, সাইনাসগুলোকে পরিষ্কার রাখে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে। হাঁপানি রোগে ব্যবহৃত বিটা এগনিস্ট ওষুধের প্রায় সমান কার্যকরী এই রস যা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

শোগাওল নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেন্দ্রের ওপর কাজ করে বমি ভাব বা বমি অনেকটাই কমাতে পারে।

Khabar

এন্টি ইনফ্লামেটেরি গুণ থাকায় বাত ব্যথার রোগীদেরও উপকারে আসে নিয়মিত আদা বা আদার রস সেবন। ফিলাডেলফিয়ায় এসিটামিনোফের বা প্যারাসিটামল ও আদার রস পাশাপাশি ব্যবহার করে ব্যথা-বেদনা কমাতে প্রায় সমান কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

যাত্রাকালীন অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কমানো এবং গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেসে দারুণ কাজে আসে আদার রস। এটি পেটের ব্যথা, গ্যাস কমায়, রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

khabar

আদা মাইগ্রেন রোগীদেরও আরাম দিতে পারে। আদার রস পাকস্থলীতে মিউকাস আবরণ তৈরিতে সাহায্য করে। এ কারণে ভারী খাবারের পর আদা চিবানো একটি প্রাচ্যদেশীয় অভ্যেস। এ ছাড়া এটি অন্ত্রে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাড়ায়।

তাই মুখের রুচি বাড়াতে আদা খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। কাঁচা খেতে ভালো না লাগলে আদা ধুয়ে কুচি করে রোদে শুকিয়ে বয়াম ভরে রাখতে পারেন। একটু একটু করে চুষে খেলেই রূচি আসতে বাধ্য। তবে আর দেরি কেন!

 

মজাদার ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল তৈরি করবেন যেভাবে

খুব সহজেই নাস্তার কোনো পদ তৈরি করতে চান? তবে তৈরি করতে পারেন রোল। আর সবচেয়ে সহজে যে রোলটি আপনি তৈরি করতে পারবেন সেটি হলো ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল। সামান্যকিছু উপাদান দিয়ে ঝটপট তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু এই খাবারটি। চলুন তবে এখনই শিখে নেয়া যাক-

উপকরণ :

তাজা পাউরুটি, চিজ স্লাইস (পাউরুটির সমপরিমাণ। গ্রেট করা চিজ হলে আন্দাজমত দেবেন।), চিকেন সসেজ (সমপরিমাণ), গোল মরিচ গুঁড়ো এক চিমটি, রসুন কুচি ২ কোয়া, তেল পরিমাণ মতো, পার্সলে বা পুদিনা কুচি ইচ্ছামতো।

প্রণালি :
পাউরুটির বাদামি অংশ কেটে ফেলে দিন। এবার অল্প পানিয়ে রুটি ভিজিয়ে ভালো করে চিপে নিন দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে। রুটি মোটেও বেশি নরম হবে না কিংবা ভাঙবে না। কেবল হালকা একটু ভিজবে যেন ভাঁজ করা যায়। প্যানে তেল দিন অল্প, এতে রসুন কুচি দিয়ে দিন। একটু গন্ধ ছড়ালেই সসেজ গুলো দিয়ে দিন। রসুনের ফ্লেভারে সসেজ গুলো ভেজে নিন। পাউরুটির স্লাইস গুলো নিন। প্রত্যেক স্লাইসের ওপরে এক স্লাইস করে চিজ বা গ্রেট করা চিজ দিন। তারপর দিন ভাজা সসেজের কুচি। পুদিনা পাতা ও গোল মরিচ ছিটিয়ে নিন। তারপর সাবধানে রোল করে ফেলুন। রোলগুলো অল্প তেলে ভেজে নিন।

লক্ষ করুন :
যদি চান ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরে ভেজে খাবেন, সেক্ষেত্রে রোলগুলো ডিমের মাঝে চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়োতে গড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। আর বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এলে কিংবা বিকেলের নাস্তায় সময় নষ্ট না করেই ভেজে ফেলুন মজাদার ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল।