banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: May 2025

 

২৪ বছরে মৌসুমীর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার

ঢাকাই চিত্রনায়িকা হিসেবে মৌসুমীর ক্যারিয়ারের ২৪ বছর পূর্ণ হলো আজ (২৫ মার্চ)। ১৯৯৩ সালের আজকের এই তারিখে দর্শকেরা রূপালী পর্দায় নায়িকা মৌসুমীকে প্রথম দেখতে পান, সেটা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’  ছবির মাধ্যমে। তার সঙ্গে জুটি হয়েছিলেন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই মৌসুমী দর্শকের মনে ঠাঁই পান। দুই যুগ পার হলেও আজও এক চিলতে ভাটা পড়েনি মৌসুমীর জনপ্রিয়তায়। এতগুলো বছরে অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও কোটি ভক্তের দেয়া উপাধি ‘প্রিয়দর্শিনী’।

এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘দেখতে দেখতে এতটা বছর পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে আমার আব্বুর কথা। তিনি আমাকে প্রেরণা না দিলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। তাছাড়া আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই যারা আমাকে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আর যে মানুষটির ভালোবাসায় এবং সহযোগিতায় আমি পূর্ণতা পেয়েছি, সে আমার সকল সুখ-দুঃখের সঙ্গী, আমার স্বামী ওমর সানী। আমি, আমার পরিবার ও দুই সন্তান ফারদিন এবং ফাইজাহর জন্য দোয়া করবেন সবাই।’

mou

মৌসুমীর দীর্ঘ ক্যারিয়ার নিয়ে তার স্বামী ওমর সানী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার শশুর-শাশুড়ি, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, সুকুমার দাদা (এমপি), চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং সিরাজ ভাইকে। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে। প্রিয়দর্শিনী মহারানী মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে আনার জন্য। চলচ্চিত্রে ২৪ বছর হলো তোমার মৌসুমী। আমি আরও কৃতজ্ঞ দর্শকদের কাছে। দোয়া করি হাজার বছর বেঁচে থাকো বাঙালির মানষপটে।’

চিত্রনায়িকা পরিচয়ের বাইরে আদর্শ স্ত্রী,  মা ও গৃহিণী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মৌসুমী সফল হয়েছেন প্রযোজক হিসেবেও। পরিচালনায়ও দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। শুধু তাই নয়, অভিনয়-মডেলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও গান নিয়েও হাজির হয়েছেন মৌসুমী। বেশ কিছু চলচ্চিত্রে গেয়েছেন জনপ্রিয় অনেক গান। বর্তমানে তাকে চরিত্রভিত্তিক অভিনয়েই বেশি দেখা যায়। অভিনয় করছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনে।

দেশের শীর্ষ বিপণন প্রতিষ্ঠান আরএফএল এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া মৌসুমী বর্তমানে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ এবং এ কে সোহেলের ‘পবিত্র ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয় করছেন। আগামীতে আরও কিছু নাম চূড়ান্ত না হওয়া ছবিতে অভিনয় করার কথা রয়েছে তার।

 

স্বাধীনতার অহংকার

স্বাধীনতা একটি দেশ ও জাতির পরিচয় বহন করে। তাই স্বাধীনতা দিবস মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোর বিশেষ আয়োজনে পোশাকের রঙ ও মোটিফ সবকিছুতেই উঠে এসেছে স্বাধীনতার আবহ। প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় স্বাধীনতা দিবস। আর এ সবকিছুর মূলেই রয়েছে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত রাখা। জাতীয় চেতনাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে পোশাকও এখন অন্যতম একটি মাধ্যম। কয়েক বছর ধরে এ কাজটা খুবই আন্তরিকতার সাথে করে যাচ্ছেন আমাদের ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তাদের পোশাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে রঙ, ডিজাইন, কাটিংয়ের মতো বিষয়গুলো।

জীবনধারা বদলের সঙ্গে সঙ্গে স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা আজ আমাদের সাজে-কাজে, চলনে-বলনে। লাল-সবুজ ভালোবাসার সেই রঙ আজ উঠে এসেছে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ এবং সাজসজ্জায়। আর তাই এবারে পোশাকের ক্ষেত্রে দেশীয় বস্ত্রকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশির ভাগ ফ্যাশন হাউস ও নামকরা ডিজাইনাররা।

স্বাধীনতার রং বলতে লাল-সবুজকেই বোঝায়। আর তাই এ দিবসের ফ্যাশনের প্রাধান্য পায় লাল আর সবুজ এই দুটি রং। তাই পোশাকে লাল-সবুজের ছোঁয়া থাকতেই হবে। পোশাকে না হোক, ওড়না, ব্যাগ অথবা অলঙ্কারে থাকা চাই লাল-সবুজের ছোয়া। স্বাধীনতা দিবস এলেই দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো নিজেদের সাজিয়ে নেয় লাল-সবুজ নানা রঙের ও ঢঙের পোশাকে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট কিংবা শিশুদের জামার ডিজাইনে আনা হয় স্বাধীনতা আমেজ।

Sadinota

এখন মানুষের সৌখিনতা ও পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো বেশ রুচিশীল ও উত্সব নির্ভর পোশাক তৈরি করছে। আবার অনেকেই নিজের সৃজনশীলতায় রাঙিয়ে তৈরি করে নিচ্ছেন নিজের একদম আলাদা একটি স্বাধীনতা দিবসের স্টাইল। নারীরা লাল-সবুজ শাড়ি পরতে পারেন লম্বা হাতার ব্লাউজ। লাল-সবুজ শাড়ি পরতে না চাইলেও এক রঙা শাড়ির সঙ্গে লাল-সবুজের সংমিশ্রণে ব্লাউজ পরুন। এক্ষেত্রে সাদা, ঘিয়া কিংবা কালো শাড়ির সঙ্গে মানানসই লাল কিংবা সবুজ ব্লাউজের হাতায় লেস বসানো হলে দেখতে আরও সুন্দর লাগবে আপনার স্বাধীনতা দিবসের পোশাক।

পুরুষদের ক্ষেত্রেও লাল-সবুজ রঙের পছন্দের পাঞ্জাবি বা ফতুয়াটি বেছে নিতে পারেন। এদিন শিশুদেরও লাল-সবুজের পোশাক পরতে দিতে পারেন। এতে তাদের মধ্যেও দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হবে। বছরের যে কদিন পোশাকে দেশকে উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া যায় তার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস একটি। এদিন আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিতে পেরেছি। তাই উৎসবের আমেজে রঙের ছটায় স্বাধীনতা দিবস হয়ে উঠুক রঙিন।

 

খাবারে রুচি নেই?

সামনে সাজানো অনেক মজার মজার খাবার। কিন্তু আপনার একটুও খেতে ইচ্ছে করছে না। আর সেজন্য হয়তো বকাও খাচ্ছেন, কেন খেতে ইচ্ছে করছে না, কেন খাচ্ছেন না। এজন্য হয়তো চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়েছেন, আর ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছে না। খাবার দেখলেই অনীহা চলে আসছে। পাড়া-প্রতিবেশী আর আত্মীয়রাও কথা শোনাচ্ছে, কেন এমন পাঠকাঠির মতো দেখতে! খুব পরিচিত একটি মশলা, যা আমাদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়, তা দিয়েই দূর করা সম্ভব আপনার এই অরুচি। বলুন তো সেটি কী? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, সেটি হচ্ছে আদা।

আদার রসে রয়েছে জিনজেরল নামের রাসায়সিক উপাদান, যা দেহের সিমপ্যাথেটিক সিস্টেমে বিটা এগনিস্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ বন্ধ শ্বাসনালী খুলে দেয়, সাইনাসগুলোকে পরিষ্কার রাখে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে। হাঁপানি রোগে ব্যবহৃত বিটা এগনিস্ট ওষুধের প্রায় সমান কার্যকরী এই রস যা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

শোগাওল নামের উপাদান মস্তিষ্কের বিভিন্ন কেন্দ্রের ওপর কাজ করে বমি ভাব বা বমি অনেকটাই কমাতে পারে।

Khabar

এন্টি ইনফ্লামেটেরি গুণ থাকায় বাত ব্যথার রোগীদেরও উপকারে আসে নিয়মিত আদা বা আদার রস সেবন। ফিলাডেলফিয়ায় এসিটামিনোফের বা প্যারাসিটামল ও আদার রস পাশাপাশি ব্যবহার করে ব্যথা-বেদনা কমাতে প্রায় সমান কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

যাত্রাকালীন অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কমানো এবং গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেসে দারুণ কাজে আসে আদার রস। এটি পেটের ব্যথা, গ্যাস কমায়, রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।

khabar

আদা মাইগ্রেন রোগীদেরও আরাম দিতে পারে। আদার রস পাকস্থলীতে মিউকাস আবরণ তৈরিতে সাহায্য করে। এ কারণে ভারী খাবারের পর আদা চিবানো একটি প্রাচ্যদেশীয় অভ্যেস। এ ছাড়া এটি অন্ত্রে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের শোষণ বাড়ায়।

তাই মুখের রুচি বাড়াতে আদা খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। কাঁচা খেতে ভালো না লাগলে আদা ধুয়ে কুচি করে রোদে শুকিয়ে বয়াম ভরে রাখতে পারেন। একটু একটু করে চুষে খেলেই রূচি আসতে বাধ্য। তবে আর দেরি কেন!

 

মজাদার ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল তৈরি করবেন যেভাবে

খুব সহজেই নাস্তার কোনো পদ তৈরি করতে চান? তবে তৈরি করতে পারেন রোল। আর সবচেয়ে সহজে যে রোলটি আপনি তৈরি করতে পারবেন সেটি হলো ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল। সামান্যকিছু উপাদান দিয়ে ঝটপট তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু এই খাবারটি। চলুন তবে এখনই শিখে নেয়া যাক-

উপকরণ :

তাজা পাউরুটি, চিজ স্লাইস (পাউরুটির সমপরিমাণ। গ্রেট করা চিজ হলে আন্দাজমত দেবেন।), চিকেন সসেজ (সমপরিমাণ), গোল মরিচ গুঁড়ো এক চিমটি, রসুন কুচি ২ কোয়া, তেল পরিমাণ মতো, পার্সলে বা পুদিনা কুচি ইচ্ছামতো।

প্রণালি :
পাউরুটির বাদামি অংশ কেটে ফেলে দিন। এবার অল্প পানিয়ে রুটি ভিজিয়ে ভালো করে চিপে নিন দুই হাতের তালুর মাঝে রেখে। রুটি মোটেও বেশি নরম হবে না কিংবা ভাঙবে না। কেবল হালকা একটু ভিজবে যেন ভাঁজ করা যায়। প্যানে তেল দিন অল্প, এতে রসুন কুচি দিয়ে দিন। একটু গন্ধ ছড়ালেই সসেজ গুলো দিয়ে দিন। রসুনের ফ্লেভারে সসেজ গুলো ভেজে নিন। পাউরুটির স্লাইস গুলো নিন। প্রত্যেক স্লাইসের ওপরে এক স্লাইস করে চিজ বা গ্রেট করা চিজ দিন। তারপর দিন ভাজা সসেজের কুচি। পুদিনা পাতা ও গোল মরিচ ছিটিয়ে নিন। তারপর সাবধানে রোল করে ফেলুন। রোলগুলো অল্প তেলে ভেজে নিন।

লক্ষ করুন :
যদি চান ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরে ভেজে খাবেন, সেক্ষেত্রে রোলগুলো ডিমের মাঝে চুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়োতে গড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। আর বাড়িতে হঠাৎ অতিথি এলে কিংবা বিকেলের নাস্তায় সময় নষ্ট না করেই ভেজে ফেলুন মজাদার ব্রেড অ্যান্ড চিজ রোল।

 

চিকেন কারি উইথ টমেটো

আমাদের খাদ্যতালিকায় সপ্তাহে অন্তত তিনদিন মুরগির মাংস থাকেই। এটি আমাদের পুষ্টিচাহিদা পূরণ করতে কার্যকর। চিকেনের নানা মুখরোচক পদ অনেকেরই পছন্দ। প্রতিদিনকার থেকে একটু আলাদা করেই এই মুরগির মাংস রান্না করতে পারেন আপনি চাইলেই। তেমনই একটি পদ চিকেন কারি উইথ টমেটো।

উপকরণ : মুরগির মাংস (দেড় কেজি) বা ১ টি, তেল ১/২ কাপ, টুকরা করা টমেটো ১ টি, পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ, রসুন কুচি ১/২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ১/২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ কুচি ১/২ টেবিল চামচ, টমেটো পিউরি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ, ধনেপাতা, কুচি দেড় টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী।

গুঁড়া মশলার জন্য : ছোট এলাচ ২ টি, দাড়চিনি দেড় টুকরা, বড় এলাচ ১ টি, লবঙ্গ ১ টি, জায়ফল ১/৪ অংশ চা চামচ, জয়ত্রি ১/২ চা চামচ বা ছোট টুকরা।

প্রণালি : মশলা আলাদা টেলে গুঁড়া করে একত্রে রাখুন। মুরগির চামড়া ছাড়িয়ে নিন। হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে ছোট টুকরা করুন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন ভেজে টমেটো টুকরা করে দিন। নাড়তে থাকুন। টমেটো নরম হলে আদা, মরিচ ও লবণ দিয়ে টমেটো পিউরি ও চিনি দিন। ২ মিনিট নেড়ে মাংস দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজুন। ঢেকে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নাড়ুন। পানি টেনে আসলে মাংস নেড়ে নেড়ে ভাজুন। মাংস সিদ্ধ এবং ভাজা হলে গুঁড়া মশলা এবং ধনেপাতা দিয়ে ২-৩ মিনিট ভেজে নামান।

 

সর্দি-কাশি সারাতে যা খাবেন

ঠান্ডা, ধুলোবালি কিংবা এ্যালার্জিজনিত কারণে সর্দি-কাশি দেখা দেয় অনেকেরই। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার এই ইনফেকশনকে দূর করার জন্য অনেকে নিজে নিজেই ঔষধ গ্রহণ করেন, কেউ বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সাধারণ ঠান্ডা ও কাশি দূর করতে পারে কিছু আপনার ঘরে থাকা কিছু মশলা।

তীব্র কাশি ও ঠান্ডা এবং গলাব্যথা যাই হোকনা কেন রসুনের একটি কোয়া চিবানো প্রয়োজন আপনার। রসুনে অ্যালিসিন নামক ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে যা ঠান্ডা-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ১ টি টমাটো, ২ কোয়া রসুন ও লেবুর রস মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করে পান করলে ভালো ফল পাবেন।

দারুচিনিতে ভাইরাস নাশক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান আছে যা শুধু ভারাসের ইনফেকশন প্রতিরোধই করেনা বরং নিরাময়েও সাহায্য করে। ১ কাপ গরম পানিতে দারুচিনি গুঁড়া, ১ চিমটি মরিচের গুঁড়া এবং মধু মিশান। দিনে অন্তত দুই বার এটি পান করুন ভালো ফল পেতে।

ব্যাকটেরিয়ানাশক উপাদানে পরিপূর্ণ গোলমরিচ। গোলমরিচ শুধুমাত্র খাবারে উষ্ণ ও মসলাযুক্ত স্বাদই যুক্ত করেনা বরং কফ নরম করে ও নাকের সর্দি পরা বন্ধ করতে সাহায্য করে। গরম স্যুপের উপর গোলমরিচ ছিটিয়ে নিন অথবা ১ চামচ মধুর সাথে ১ চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা ও কাশি দূর হবে।

নিঃশ্বাসের সজীবতা দিতে পারে লবঙ্গ। প্রতি গ্রাম লবঙ্গে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আধা কাপ জামে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ঠিক সেই পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে আধা চামচ লবঙ্গে।

ঠান্ডা ও কাশি দূর করার জন্য সকালে ১ কাপ গরম আদা চা পান করুন। ১ কাপ পানিতে ১ চামচ আদা কুচি ও চা-পাতা ফুটিয়ে নিন। এর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে গলায় শীতল অনুভূতি পাবেন। আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শুধু লালা নিঃসরণকেই উৎসাহিত করেনা বরং মিউকাস নিঃসরণেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমেই কাশির উপসর্গ দূর হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশি দূর করার জন্য দাদী-নানীরা হলুধ-দুধ ব্যবহার করে আসছেন যা আসলেই অনেক কার্যকরী। হলুদ প্রদাহরোধী উপাদান, কারকিউমিন ও ভোলাটাইল অয়েলে পরিপূর্ণ। তাই হলুদ ঠান্ডা-কাশি ও গলাব্যথা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।

পরিপাক প্রক্রিয়াকে শান্ত করতে ও নিঃশ্বাসে সজীবতা আনতে সাহায্য করে মৌরি। পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ঠান্ডা ও কাশি দূর করতেও সাহায্য করে মৌরি।

 

ঘর সাজাতে কর্নার টেবিল

শিল্পচর্চার মাধ্যমে কখনো কখনো কুঁড়েঘরকেও নিজের মতো সাজিয়ে বিশাল অট্টালিকায় পরিবর্তিত করা যায়। ঘর যেমন সাজানো যায় নানা রঙের বাতি, ওয়ালমেট কিংবা ফুলের ঝাড় দিয়ে তেমনি সাজানো যায় সোপিস দিয়েও। আপনার ঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে সোপিসের তুলনা নেই। ঘরের একটি কোনায় থাকা সোপিসটি আপনার ঘরের সৌন্দর্য যেমন একদিকে বৃদ্ধি করছে তেমনি আপনার রুচিবোধের একটি ছাপ রেখে যাচ্ছে আপনার প্রতিটি কাজের মাধ্যমে।

তবে এই সোপিসের ক্ষেত্রেও আছে তারতম্য। সোপিস বলতেই আমরা কেবল ঘরের এক কোনে রাখা বা থাকা কাঁচের কিংবা মাটির অথবা চীনামাটির নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের মূর্তি কিংবা নানা ধরনের ঘর, পুতুল কিংবা নানা অবয়বকে বুঝি। তবে এর বাইরেও আছে আরো সোপিস। এগুলো হয়ে থাকে বিশাল বিশাল আকৃতির। এগুলোর মধ্যর কর্নারে থাকা পাতলা এবং দেখতে বেশ চিকুন আকৃতির টেবিল অন্যতম। এগুলো হয়ে থাকে অ্যান্টিক সোপিস। এগুলো কেবল আপনার ঘরের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না সাথে সাথে ঘরে আনে এক ভিন্ন ধারা আর আপনার রুচিবোধের মাঝে এক বিশাল পার্থক্য।

কর্নারে থাকা এই টেবিল গুলোর উপরে আপনি রাখতে পারেন সুন্দর একটি রিসিভার ফোন কিংবা কাঁচের একটি সুন্দর ফুলদানী। এই টেবিলের উপরে থাকে ছোট একটি গোলাকার কাঁচ আর নিচের পায়াটি থাকে বিশাল আকৃতির। তাতে খোঁদাই করে আঁকা থাকে নানা কারুকাজ।

এই সমস্ত টেবিলের উপর রাখতে পারেন বিশাল বিশাল আয়নাও। এই আয়নাতেও থাকে নানা কাজ, যেমন লতাপাতা, কিংবা কোনো গৃহবধূ, কাঁথার বুকে সুঁই আর সুতার সই পাতাতে থাকা গ্রামের ঘোমটা মাথায় দেওয়া বউ।

সোপিস টেবিলের যে জায়গাটিতে থাকে বসানো আয়নাটি তার ভিত্তি থাকে কখনো কাঠের অথবা কাঁচের। এর আয়তন হয়ে থাকে ছোট। তবে এর পায়াতে থাকে নানা কারুকাজ। কখনো এটি গাছের মূলের মতো বিশাল হয়ে ছড়িয়ে থাকে মেঝেতে বা কার্পেটে অথবা একটির উপর আরেকটি বেনির মতো পেঁচিয়ে থাকে। তাতে আবার রঙের সাহায্যে আনা হয় বৈচিত্র্য।

কোথায় পাবেন :  বিভিন্ন অ্যান্টিকের দোকানে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের এই অ্যান্টিক টেবিল সোপিসগুলো। এই অ্যান্টিক সোপিস টেবিলের দাম সাত হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

খাবার টেবিলে চামচ-ছুরির ব্যবহার

খাবার খেতে আমরা প্রায়শই রেস্টুরেন্টে যাই। আর সেখানে খাবার খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে চামচ আর ছুরি। খাবার খাওয়ার যেমন কিছু নিয়ম আছে এবং তার মাধ্যমে কিংবা আপনার আচরণের মাধ্যমেও যেমন অনেক না বলা কথা প্রকাশ পায়, তেমনি টেবিলে রাখা চামচ এবং ছুরিটিও টেবিলে রাখার মাধ্যমে অনেক না বলা কথা বলে। টেবিলে রাখা চামচ আর ছুরির মাধ্যমে অনেক কিছু প্রকাশ করা যায়।

ছুরি চামচ কোণ করে রাখলে :
ছুরি ও চামচ কোণ করে প্লেটের মাঝে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনি খাওয়ার ফাঁকে বিশ্রাম নিচ্ছেন। একটু পর আবার নতুন করে খাওয়া শুরু করবেন।

ছুরি চামচ যোগ চিহ্নের মতো করে রাখলে :
প্লেটের মাঝে ছুরি ও চামচ দিয়ে যোগ চিহ্নের মতো তৈরি করে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনি দ্বিতীয় প্লেট খাবার জন্য প্রস্তুত এবং সেই হিসেবে ওয়েটার আপনাকে খাবার সরহরাহ করুক।

ছুরি চামচ পাশাপাশি লম্বা করে রাখলে :
ছুরি চামচ পাশাপাশি লম্বা করে রাখার অর্থ হচ্ছে আপনার খাওয়া শেষ ওয়েটার টেবিল পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

ছুরি চামচ পাশাপাশি আড়াআড়ি করে রাখলে :
ছুরি চামচ পাশাপাশি আড়াআড়ি করে রাখার অর্থ আপনার খাওয়া শেষ এবং খাবার আপনার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে।

ছুরি চামচ একটির ভেতর অপরটি কোণ তৈরি করে রাখলে :
ছুরি চামচ একটির ভেতর অপরটি মূলত কাটা চামচের ভেতর ছুরি গেঁথে কোণ তৈরি করে রাখার অর্থ আপনার খাওয়া শেষ কিন্তু খাবার একেবারেই পছন্দ হয়নি আপনার।

ছুরি চামচের ব্যবহার সঠিক ব্যবহার :
খাওয়ার ছুরি কখনোই সাধারণ ছুরির মতো করে ধরবেন না। একবার টেবিল থেকে ছুরি চামচ তুলে তা আবার টেবিলে রাখবেন না। হাতে বা প্লেটে রাখুন।

চপস্টিকের ব্যবহার :
চপস্টিক খাবার বোল বা প্লেটের পাশে কখনোই রেখে দেবেন না। চপস্টিক রেস্টে রাখুন। খাবারে চপস্টিক খাড়া করে গেঁথে রাখা অভদ্রতা।

 

‘উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন’

কর্মক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা সকলে মিলে কর্মক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ, শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর ‘শান্তি বৃক্ষ’ সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি। গ্লোবাল জেন্ডার গেপ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় সকল দেশের ওপরে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিগত আট বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে এর বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন-১৯২৯ এর স্থলে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ পাশ করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা-২০১৩ ডিএনএ আইন-২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করা হয়েছে। ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কাঠামোতে প্রত্যক্ষ ভোটে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সকল কর্মকাণ্ডে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি সব পেশায় নারীরা নিয়োগে সমান সুযোগ পাচ্ছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে উন্নয়নের সক্রিয় অংশীদার করা হলে আমরা একটি সমতাভিত্তিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূতদের, যাদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠায় নারীর সমঅধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল হয়েছে তাদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোন যাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা- প্রধানমন্ত্রী তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

প্রতিবেদক:
অবনী আহমেদ

 

লা মেরিডিয়ানের বিশেষ আয়োজন

নারীদের গৌরব ও সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে লা মেরিডিয়ান বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে।

লা মেরিডিয়ান ঢাকার লেটেস্ট রেসিপি, মেডিটেরিয়ান রেস্টুরেন্ট ওলেয়া, ল্যাটিটিউড ২৩ ও ইটালিয়ান রেস্টুরেন্ট ফ্যাভোলাতে নারী অতিথিরা টেবিল বুকিং দিলেই উপভোগ করতে পারবেন ২০ শতাংশ ছাড়।

অতিথিরা ৮ মার্চ এ আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। নারীদের জন্য দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই লা মেরিডিয়ান ঢাকার এ আয়োজন।

বিশেষ এ আয়োজন সম্পর্কে লা মেরিডিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে লা মেরিডিয়ান ঢাকা মনে করে অতিথি সেবা খাতে নারীদের অবদান উল্লেখযোগ্য। তাদের সাফল্যও অনেক এবং তাদের এ সফলতা নতুনদের ক্যারিয়ার তৈরিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখছে।

ফুড়িয়ে যাবার আগেই টেবিল বুক করতে অথবা আরও বিস্তারিত জানতে- ০১৯৯০ ৯০০৯০০ অথবা ০১৭৬৬৬ ৬৭৩৪৪৩ এ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

 

এলাচি চা কেন খাবেন

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে পানীয়টি থাকা আবশ্যকীয় সেটি হলো চা। এই চায়েরই আছে নানা রকম। কারো পছন্দ রং চা আবার কারো পছন্দ দুধ চা। এর বাইরেও আছে নানা রকম চা। এলাচি চা তার ভেতরে উল্লেখযোগ্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এলাচি চা পান করেন তারা অন্যদের তুলনায় ফুরফুরে থাকেন এবং তাদের মনে বিষণ্ণতা ভর করতে পারে না। আপনার বিষণ্নতা অনেকটাই দূর করে দিতে পারে এই এলাচি চা। চলুন জেনে নেই কীভাবে এলাচি চা তৈরি করবেন।

উপকরণ : ২টি এলাচি, ১ চা চামচ মধু ও চা পাতা পরিমাণ মতো।

প্রণালি : এলাচি ও মধু দিয়ে পরিমাণমতো পানি সেদ্ধ করে তার মধ্যে চা পাতা ছেড়ে দিন। গরম গরম পান করুন এলাচি চা। ইচ্ছে করলে দুধ মিশিয়েও পান করতে পারেন।

 

মুসলিম পরিবারগুলোই আদর্শ ভারতের যে গ্রামে

বেআইনি হলে বিয়ের সময় যৌতুক নেয়া ভারতে অতি পরিচিত একটা ঘটনা। যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর ওপরে অত্যাচারের ঘটনা নিয়মিতই সেখানে শোনা যায়। কিন্তু সেদেশেরই একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এখন ঘটছে পুরো বিপরীত ঘটনা।

ঝাড়খন্ডকে মনে করা হয় ভারতের পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলোর একটি। কিন্তু সেই রাজ্যেরই একটা অঞ্চলে ঘটছে অভিনব এই ঘটনা। বিয়ের সময়ে যৌতুক হিসেবে যে অর্থ নিয়েছিল পাত্রপক্ষ, এখন সেই টাকাই তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে কনে পক্ষকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ চিত্র।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খন্ড রাজ্যের পালামৌতে এই প্রক্রিয়া বছরখানেক ধরে চলছে, এর মধ্যেই প্রায় আটশো মুসলমান পরিবার ছেলের বিয়ের সময়ে নেয়া যৌতুক ফিরিয়ে দিয়েছে। ফিরিয়ে দেয়া এই যৌতুকের পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি রুপি।

মুসলমান পরিবারগুলোকে দেখে ওই অঞ্চলের অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যৌতুক ফেরানো শুরু করেছেন।

এ বিষয়টি প্রথম শুরু হয় ঝাড়খন্ড রাজ্যের পোখারিটোলা গ্রামে। ছেলের বিয়ের সময়ে যে যৌতুক নিয়েছিল পোখারিটোলার মুসলমান পরিবারগুলো, সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে শুরু করে তারা।

গ্রামের বাসিন্দা হাজি মুমতাজ আনসারিই এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক লোক আমার কাছে এসে দুঃখ করতো যে মেয়ের বিয়ের পণ যোগাড় করতে গিয়ে কী অসুবিধায় পড়েছেন তারা। ধারদেনা তো বটেই, জমিও বিক্রি করতে হতো যৌতুকের টাকা যোগাড় করতে। সেই সব ঘটনা শুনেই আমার মনে হয় যে অনেক হয়েছে, আর না! বন্ধ করতে হবে এই পণ নেয়া। তখনই মানুষকে বোঝাতে শুরু করি বিষয়টা।’

এখনো পর্যন্ত ৮শ পরিবার যৌতুক ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। যারা এখনও ফিরিয়ে দেয়নি তারাও সবার সামনে অঙ্গীকার করছে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।

india

মুমতাজ আনসারির কথায়, ‘মুসলমান পরিবারগুলোকে দেখে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও এগিয়ে আসছেন। তারাও টাকা ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছেন।’

বিহার ঝাড়খন্ডে যৌতুকপ্রথা, বাল্যবিবাহ নিয়ে কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রেকথ্রু। সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহিনী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন পোখারিটোলা গ্রামের খবর তাদের কাছেও পৌঁছেছে।

তিনি বলছেন, ‘যিনিই এই অভিযানটা শুরু করে থাকুন না কেন, দারুণ কাজ করেছেন। যদি ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে বহু মেয়ে এই যৌতুকের অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাবে।’

পোখারিটোলার এই যৌতুকবিরোধী অভিযান এতটাই সমর্থন পেয়েছে যে, পালামৌ অঞ্চলে এখন আর মুসলিম পরিবারগুলোর কাছে কেউ যৌতুক চাইতেই সাহস করছেন না।

আর যদি বা পাত্র পক্ষ এবং কন্যা পক্ষ নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে যৌতুকের ব্যবস্থা করেও ফেলে, তাহলে সমাজের মাথারা গিয়ে সেটা আটকিয়ে দিচ্ছেন। এমন কী যৌতুক নেয়ার কথা কানে এলে কাজী সাহেব সেই বিয়ে দিতেও সরাসরি অস্বীকার করছেন।