banner

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

ক্ষমতাশীল ৬ নারীর ক্যারিয়ার পরামর্শ

নারীদের ক্যারিয়ার গড়া পুরুষের মতো সহজ হয়নি এখনো। আর এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনে উদাহরণ হয়ে রয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোক্তা কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে আসীন নারী, যারা নিজের যোগ্যতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজেদের সাম্রাজ্য। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকজন নারীর পরামর্শ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
নিজে যা জানেন না, তা জেনে নিন
জেসিকা অ্যালবা জেসিকা অ্যালবা দ্য অনেস্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ক্রিয়েটিভ অফিসার। তিনি বলেন, ‘আপনার চারপাশে এমন সব মানুষদের একত্রিত করুন, যারা আপনার চেয়ে স্মার্ট। আপনার কখনোই কক্ষের সবচেয়ে স্মার্ট ব্যক্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং যদি তা হয়ে যান তাহলে চিন্তার বিষয়।’
কাজের প্রতি আকর্ষণ
মেগ হুইটম্যান বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপির সিইও মেগ হুইটম্যান। তিনি সম্প্রতি বলেন, ‘আমি আমার মায়ের কথার পুনরাবৃত্তি করতে পারি। তিনি বলেন, কাজের প্রতি আকর্ষণ থাকতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, হকি ও বাস্কেটবল কোচরা যেমন বলেন, আপনি যে শটটি নেননি তার মিস হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এ কারণে সাহস করে চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে।
নেতৃত্ব হলো গ্রহণ করার ক্ষমতা
অ্যান ফিনুক্যান ব্যাংক অব আমেরিকার ভাইস চেয়ারম্যান ও গ্লোবাল চিফ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার অ্যান ফিনুক্যান। তিনি ডারউইনের একটি প্রসঙ্গ টেনে নেতৃত্বকে গ্রহণ করার ক্ষমতা হিসেবেই তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ডারউইন বলেছিলেন, যারা টিকে থাকে তারা সবচেয়ে শক্তিশালী কিংবা সবচেয়ে বুদ্ধিমান নয়, এটা তারাই যারা পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারে। আমার মনে হয় আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এটি চিন্তা করেছিলাম যে আমি কখনোই সবচেয়ে শক্তিশালী কিংবা সবচেয়ে উজ্জ্বল হবো না। এক্ষেত্রে পরিবর্তন গ্রহণ করে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার অর্থ এই নয় যে, আপনার মূল্যবোধ নষ্ট করতে হবে। কিন্তু এটা আপনার চারপাশের পরিবেশ পরিবর্তন ও তা গ্রহণ করার বিষয়।’
সুযোগের জন্য প্রস্তুত থাকুন
ন্যান্সি পেলোসি ডেমোক্রেট নেত্রী ও মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্য ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেন, ‘প্রস্তুত থাকুন। শুধু প্রস্তুত থাকুন। আপনার হয়ত জানা নেই, কোনো সুযোগ অপেক্ষা করছে আপনার সামনে।’ তিনি জানান, তিনি কখনোই কংগ্রেসের জন্য দৌড়াননি। তিনি নেতৃত্বের জন্যও এগোননি। অন্যরাই তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
নিজের সঙ্গে সত্যবাদী
অ্যাঞ্জেলা অ্যারেন্ডটস বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের অনলাইন স্টোরের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা অ্যারেন্ডটস। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, নিজের প্রতি সত্যবাদী থাকুন। আমাদের যা আছে তা নিয়েই আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। আপনার যা আছে তা দিয়েই যা করা সম্ভব করুন। নিজেকে জানুন আপনার নিজের মতো করে জীবনকে অনুভব করুন। জীবন নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কারণ আমার মনে হয় আমাদের সবারই এ বিষয়ে অপরাধবোধ রয়েছে।’
সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে
গেইল কিংমিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও দ্য অপরাহ ম্যাগাজিনের একজন সম্পাদক গেইল কিং। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে রিল্যাক্স করতে বলি। সবকিছু নিজের মতো করে চলবে। আপনি যদি নিজের জীবনের দিকে দেখেন তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

 

প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরাইলি হওয়ায় সৌদি নারী অ্যাথলেটের নাম প্রত্যাহার!

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জাওয়াদ ফাহমি (Jude Fahmy) নামে এক সৌদি নারী ক্রীড়াবিদ রিও অলিম্পিক গেমস থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জুডো প্রতিযোগির দ্বিতীয় রাউন্ডের ওই ম্যাচে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো ইসরাইলের প্রতিনিধি। তবে ইসরাইল ও সৌদির সংশ্লিষ্টদের দাবি, অন্য কারণে ফাহমি প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ফাহমির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য আবদুস সালাম হানিয়া ফাহমির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার এ সিদ্ধান্ত নৈতিক অবস্থানের যথাযথ উপলব্ধি।

ইসরাইলের সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ফাহমি প্রথম রাউন্ডে মরিশাসের প্রতিযোগী ক্রিস্টাইন লেজেনটিলের বিরুদ্ধে জয়ী হলে পরবর্তী রাউন্ডে তাকে ইসরাইলি প্রতিযোগী গিলি কোহেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাদের দাবি, ইসরাইলকে এড়াতেই ফাহমি ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

অন্যদিকে, ইসরাইলের এ দাবিকে নাকচ করে দিয়ে সৌদি অলিম্পিক ডেলিগেশন এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা থেকে ফাহমির প্রত্যাহার ইনজুরির কারণে। অনুশীলন করার সময় ফাহমি আঘাত পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

সৌদি মেডিক্যাল টিম ফাহমিকে খেলায় অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও ওই টুইটে বলা হয়।

এদিকে সকল আরব ও মুসলিম ক্রীড়াবিদ ইসরাইলি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে। তারা মনে করছে, ইসরাইল একটি দখলদার রাষ্ট্র হওয়ায় এবং দেশটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার অর্থ হচ্ছে ইসরাইলকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দান।

 

বেগম রোকেয়ার আদর্শ বনাম কথিত নারীবাদ

বেগম রোকেয়াকে বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বা বিশেষ করে মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত না বলে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলাই শ্রেয়।কারন তিনি বিশেষ কোন নারী জাতির কথা বলেননি।বরং তিনি পুরা নারীজাতির জাগরণের কথাই তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন।তিনি যেমন ভারতবর্ষের মুসলিম নারীদের দুর্বলতার কথা বলে গেছেন,তেমনি হিন্দু এবং পাশ্চাত্য সমাজের নারীদের দুর্বলতার কথাও বলে গেছেন।তিনি তার লেখায় পুরো নারী জাতির মানুষিক দাসত্বের কথাই তুলে ধরেছেন বেশি বেশি।তার লেখনির মুল কথা ছিল এই যে , নারী জাতিকে যে হাত, পা, নাক, কান চোখ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে যেন শুধু পুতুলের মত জীবন যাপন না করে, শুধু শুধু অনুর্বর না রেখে একে কাজে লাগানো হোক। অথচ আমাদের তথাকথিত নারীবাদী সমাজ বুঝল যে, শুধু পর্দা প্রথা ছিন্ন করে ঘরের বাইরে এসে স্বেচ্ছাচারিতা করে বেড়ালেই বেগম রোকেয়া হওয়া যায়!!
আমাদের এই নারীবাদী সমাজ তাকে শুধু পুরুষ বিদ্বেষী এবং ধর্ম বিদ্বেষী রুপেই উপস্থাপন করে রেখেছে।তার চিন্তা চেতনার মুল জায়গা থেকে তাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে রেখেছে।বেগম রোকেয়ার আদর্শের এই বিকৃত উপস্থাপনা এবং বর্তমান নারী সমাজের বেহায়াপনা দেখে কিছু মানুষ আবার বলে বসেন যে,নারীসমাজের এই যাবতীয় বেহায়াপনার নিমিত্তে যেই পাপ তা সব চাপবে এই  নারীর উপর যেহেতু তিনিই তাদেরকে এইভাবে ঘর থেকে বের করেছেন।

আমদের বর্তমান তথাকথিত নারীবাদী সমাজের মুল প্রতিমূর্তি হচ্ছে বয় কাট চুল,কপালে একটা বড় লাল অথবা কালো টিপ যা মুখটাকে গৌণ করে শুধু টিপটাকেই উপস্থাপন করে,স্লিভ্লেস ব্লাউজ আর গলায় ভর দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো!! যে যত বেশি এই রূপ ধারণ করতে পারবে সে তত বেশি নারিবাদি!!।অথচ তিনি যদি আজ এই নারী সমাজের মধ্যে আবির্ভূত হতেন, তাহলে নিশ্চয় সম্মার্জনী নিয়ে তাড়াতে তাড়াতে তাদের ঘরের মধ্যে ঢুকাতেন!!

এই অশ্লীল বেশধারিরা,এই স্বেচ্ছাচারী নারীরা বেগম রোকেয়ার কোন আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূত বলেন তা বোধগম্য নয়। আজকের এই নারীবাদীরা যদি একটু ভালভাবে ওনার জীবন দর্শন করেন তাহলে নিশ্ছিতরূপেই দেখবেন যে,এই বেগম রোকেয়াই তাদের তথাকথিত প্রগতির চরম অন্তরায়।
আজকের নারীরা মনে করেন যে “পুরুষের সমান অধিকারই অর্থাৎ পুরুষকে যা দেয়া হচ্ছে নারিকেও তাই দেয়া হোক” এই মতবাদ প্রতিষ্ঠাই তার মুল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তিনি বলতেন যে,পুরুষের মাথার শিরস্ত্রাণ তৈরি করতে যতখানি যত্ন ও অর্থ ব্যয় করা হয়, নারীর মাথা ঠাকার ওড়না তৈরিতেও ততখানি যত্ন ও অর্থ ব্যয় করা হক। একটা ছেলের শিক্ষা দিক্ষার জন্য যতখানি অর্থ ব্যয় করা হয়,একজন নারীর জন্যও যেন ততখানিই করা হয়।একটা পুরুষকে কোন কাজের জন্য যতটুকু মজুরি দেয়া হয় নারীকেও তাই দেয়া হোক। একটা নারীর সালোয়ার কামিজ পুরুষকে পরিয়ে বা একটা পুরুষের প্যান্ট শার্ট নারীকে পরিয়ে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা নয়।যার যেখানে যততুকু প্রাপ্য তাকে তত্তটুকু দেয়াই সমানাধিকার। তিনি মনে করতেন যে শুধু ঘরের বাইরে চাকুরি করার জন্য না ,একজন সুগৃহিনী হবার জন্যও একটা নারীর সুশিক্ষা দরকার,একজন সুমাতা হবার জন্যও তাদের সুশিক্ষা দরকার।কারন একটা সন্তান মায়ের জ্ঞান বুদ্ধির অধিকারী হয়ে থাকে অনেকটা।আর তিনি শুধু চাকুরি লাভের জন্য শিক্ষা অর্জনের খুবই পরিপন্থি ছিলেন।

নারীদের স্বাধীনভাবে পেশা গ্রহনের ব্যাপারে তিনি বলেছেন যে নারীরাও জজ,ব্যারিস্টার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সবই হতে পারে।যে পরিশ্রম দ্বারা নারীরা ঘরে কাজ করে সেই পরিশ্রম দ্বারা নারী স্বাধীনভাবে ব্যাবসাও তো করতে পারে।কিন্তু তিনি বলেছেন যে,”কৃষক প্রজা থাকতে জমিদার কেন কাঁধে লাঙ্গল নিতে যাবেন”। অর্থাৎ যেই কাজ করার জন্য যথেষ্ট পুরুষ লোকবল আছে কেন সেই একই কাজ মেয়েরাও কেন করতে যাবে!!জগত সংসারটা হচ্ছে একটা জয়েন্ট ভেঞ্চার।সবাই এখানে একই কাজে পড়ে থাকলে কি এই জয়েন্ট ভেঞ্চার সাকসেস্ফুল হবে !! ডাক্তার বা টিচার হওয়া খুব মহৎ পেশা বলে সবাই যদি বলে যে, সবাই এই মহৎ পেশা গ্রহণ করবে তাহলে খাবার উৎপাদনই বা করবে কে,পরনের কাপড়ই বা বানাবে কে,ডাক্তারের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা তৈরি করবে কে!! আবার ডাক্তারকে দিয়ে যেমন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ হবে না তেমনি ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়েও ডাক্তারের কাজ হবে না।তেমনি নারীদের ব্যাপারেও তিনি একই মত পোষণ করতেন।নারীর কাজ পুরুষকে দিয়ে হবে না আর পুরুষের কাজও নারীকে দিয়ে হবে না।

 

মুসলিম নারীদের পর্দার ব্যাপারে তার মতামত ছিল এইরকম যে,”ধর্ম বন্ধন ছিন্ন করে আমি তাদের ঘরের বাইরে আনতে চাই না”।আসলে তিনি শুধু মুসলিম না,কোন ধর্মের নারীদেরই তিনি তাদের ধর্ম ত্যাগের ব্যাপারে অতি উতসাহিত করে কথা বলেননি। আমাদের বর্তমান নারীবাদীরা যেই ইসলামে নারী অধিকাররের বিরুদ্ধে এত সোচ্চার,বেগম রোকেয়া কিন্তু ইসলামে নারীদের যেই অধিকার দেয়া হয়েছে সেটার সাথে বর্তমান নারী অধিকারের বৈপরীত্য দেখে খুবই মর্মাহত হতেন। মহানবী (সাঃ) ফাতিমাকে যেই আদর সোহাগ করতেন তা ভেবে তিনি জাতির কাছে প্রশ্ন করেন যে,”যদি ধরমগুরু মহানবী (সাঃ) জিজ্ঞাসা করেন যে তোমার কন্যার সাথে কিরুপ ব্যাবহার করেছিলে??তাহলে কি উত্তর দিবে?”।তিনি ইসলামকে কখনই নারী অধিকারের পরিপন্থি করে দেখেননি যেভাবে বর্তমানের নারীবাদীরা দেখে থাকেন।

 

স্মোকড ইলিশ তৈরির রেসিপি

ইলিশের সব রান্নাই সহজ এবং সুস্বাদু। তার মধ্যে ব্যতিক্রম একটি রান্না স্মোকড ইলিশ। ইলিশের ৩০ রেসিপি নামে ইলিশের সুস্বাদু ও ব্যতিক্রম সব রেসিপি প্রকাশ করা হচ্ছে জাগো নিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থাকছে স্মোকড ইলিশ রান্নার রেসিপি।

উপকরণ : ইলিশ মাছ দেড় কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা আধা টেবিল চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, ফিস সস আড়াই চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, সিরকা বা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লেমন রাইন্ড ১ চা-চামচ, আটা পরিমাণমতো।

প্রণালি : মাছের আঁশ ফেলে পেট পরিষ্কার করে ভালো করে ধুয়ে নিন। মাছ আস্ত থাকবে। মাছ সহজভাবে বসবে এমন একটি হাঁড়ি মাপমতো ঢাকনাসহ নিন। হাঁড়িতে মাছ বিছিয়ে আটা বাদে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে মেরিনেট করুন। ১৫ মিনিট পর মাছ ডুবিয়ে হাঁড়িতে পানি দিন। ঢেকে আটা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দিন। যেন ভেতরের বাষ্প কোনোক্রমেই বের হতে না পারে। এক ঘণ্টা মাঝারি আঁচে রেখে আঁচ একেবারে কমিয়ে চুলায় রাখুন। ছয়-সাত ঘণ্টা পর চুলা বন্ধ করে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর সাবধানে পরিবেশন পাত্রে মাছটি উঠিয়ে কোনাকুনি করে রাখুন। মাছ যেন ভেঙে না যায়। একপাশে লেটুস ও অন্য পাশে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। স্মোকড ইলিশের কাঁটা গলে যাবে। হাঁড়িতে যে গ্রেভি থাকবে, তা চুলায় দিয়ে ঘন করে মাছের ওপর ঢেলে দিতে হবে।

 

ফ্যাশনে বাহারি কোটি

ফ্যাশনের দিক থেকে মানুষ পছন্দ করে নতুনত্ব। কতটা নতুনভাবে নিজেকে সাজানো যায়। নিজেকে বাহ্যিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য করে সবার কাছে তুলে ধরা যায়। ফ্যাশনের নিজস্ব কোনো ভাষা নেই। আপনি ফ্যাশনকে যেভাবে ধারণ করবেন, সে আপনাকে সেভাবেই ফুটিয়ে তুলবে। ফ্যাশনের এই যোগসূত্রে বর্তমানে কোটি রয়েছে মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে।

ফোরটাচ, লং স্লিভ, আনারকলি অথবা সিম্পল কামিজের সাথেও ব্যবহার করা হচ্ছে কোটি।  তবে টিনএজ বয়সী মেয়েদের মধ্যে কোটির ব্যবহার বেশি। কোটির ডিজাইনে এসেছে বেশ বৈচিত্র্য। সামনে কাটা পুরনো ডিজাইনের কোটি যেমন রয়েছে তেমনি টিউনিকের মতো ডিজাইনও করা হচ্ছে। এগুলোতে সাধারণ এক সাথে দুটো জামা দিয়ে ডিজাইন করা হয়।

অন্যদিকে শর্ট কামিজের মতো ডিজাইন দিয়েও কোটি করা হচ্ছে, এই কোটিগুলো শাড়ির সাথে বেশি পরতে দেখা যাচ্ছে। কোটির লেন্থেও রয়েছে বৈচিত্র্য। কখনো মাঝারি, কখনো ছোট আবার কখনো লম্বা লেন্থে কোটি বা টিউনিকের ডিজাইন করতে দেখা যাচ্ছে। কখনো জামার সাথেই যুক্ত করে কোটির ব্যবহার করা হয়েছে।

কোটিগুলোতে কালার কন্ট্রাস্ট বেশ উল্লেখযোগ্য। সিঙ্গেল কালার কোটিতে বিভিন্ন কন্ট্রাস্ট কালারের পাড় ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনো কোটিতে জারদৌসি বা জরির কাজও দেখা যাচ্ছে। আবার কোনোটিতে সিম্পল লেস দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। ব্রাশ পেইন্ট ও ব্লকের ব্যবহারও উল্লেখ করার মতো।

তাছাড়া ফ্যাশনে কোটি এখন বেশ জনপ্রিয়। শর্ট কামিজ, ফ্রক, ডিজাইন করা জামা বা লং স্কার্টের সাথে কোটি পরলে বেশ স্মার্ট দেখায়, স্বাচ্ছন্দ্য লাগে। কোটি আবার আমাদের ফ্যাশনে নতুন অবয়বে ফিরে এসেছে। শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদের মধ্যেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।