banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

জুনে অমিতাভ রেজার নতুন ছবি

জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি গেল ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। তারপর চারদিকে জোয়ার ওঠে ‘আয়নাবাজি’র। রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে ছবিটি।

নতুন খবর হচ্ছে, নির্মাতা অমিতাভ রেজা ভাবছেন তার নতুন ছবি নির্মাণ নিয়ে।  তিনি বলেন, ‘আগামী জুন মাসেই নতুন ছবির ঘোষণা দেব। বর্তমানে কয়েকটি পাণ্ডুলিপির কাটাছেঁড়া করছি। এরমধ্য থেকেই গল্পের প্লট বের করছি।’

সে পর্যন্ত চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অপেক্ষা করতে বললেন নির্মাতা অমিতাভ। তবে তিনি জানান, নিজের দ্বিতীয় ছবিতে অনেক চমক থাকবে।

‘আয়নাবাজি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী ও নাবিলা।

 

পরকালের প্রথম মনজিল কবর

কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা সহজে এ মঞ্জিল থেকে মুক্তি লাভ করবে। তার জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। এ জন্য আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম, আওলিয়ায়ে কেরামগণ সব সময় কবরের যাবতীয় বিষয়াবলী থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট রোনাজারি করতেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কবরের সব ধরনের বিপদাপদ ও আজাব হতে আশ্রয় লাভের জন্য তাঁর উম্মতকে কুরআন-সুন্নাহর বিধান পালনের তাগিদ দিয়েছেন। দোয়া শিখিয়েছেন। আল্লাহর রহমত কামনা করতে বলেছেন।

হজরত বারা বিন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এক আনসারি সাহাবির জানাযায় অংশগ্রহণ করার জন্য বের হলাম।

তখনও ওই সাহাবার কবর খননের কাজ শেষ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে বসে পড়লেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম।

তাঁর হাতে ছিল একটি কাঠি। তা দিয়ে তিনি মাটিতে খুঁচাতে থাকলেন আবার আকাশের দিকে তাকাতে থাকলেন। একবার জমিনের দিকে আবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এভাবে তিনি তিনবার দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন।

অতঃপর সাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয়ের জন্য প্রার্থনা করো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাটি দুই বার অথবা তিনবার বললেন।

অতঃপর তিনি পরকালের প্রথম মনজিল কবরের আজাব থেকে রক্ষা পেতে এ দোয়াটি করলেন-
kabar
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ’জুবিকা মিন আ’জাবিল ক্ববরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।

পরিশেষে…
পরকালের প্রথম মঞ্জিল হলো কবর। কবরের সব বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকাই একজন মুমিনের জীবনের প্রথম চাওয়া-পাওয়া। যে ব্যক্তি কবরের প্রশ্ন ও সময় সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারবে। তার পরবর্তী সব কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের প্রথম মনজিল কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন। কুরআন সুন্নাহর বিধি-বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। চিরস্থায়ী জীবনকে সুখ-শান্তিময় করুন। আমিন।

 

বাসযাত্রীরাও শাহনাজের পরিবার

গত বছরের ৮ নভেম্বর ২০১৬, সন্ধ্যা ছয়টা। রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর পার হয়ে পূবালী ফিলিং স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাসটি। আর বাসের গেটে দাঁড়িয়ে একজন নারী অনবরত বলে চলছেন, ‘শুধু মহিলা! মিরপুর ১০, ১১, ১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া’।
এই কাজ যিনি করছেন, তিনি শাহনাজ পারভীন। পেশায় একজন বাস কন্ডাক্টর। আর বাসটি নারী যাত্রীদের জন্য। নারীদের যাতায়াত সেবা দিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ঢাকায় ১৫টি এবং চট্টগ্রামে ২টি বাস চালু রেখেছে। এই বাসগুলোর সব কন্ডাক্টরই নারী।
সাত বছর ধরে বিআরটিসির বাসে কন্ডাক্টরের কাজ করছেন শাহনাজ। যাত্রীদের বাসে ডেকে তোলা, নামানো, ভাড়া নেওয়া, চালককে সহায়তা করাসহ সব কাজই তাঁকে সামলাতে হয়। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ শুরুতেই তাঁকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রবি থেকে বৃহস্পতি—সপ্তাহের পাঁচ দিন তিনি এখানে কাজ করেন। বাসটি সকাল সাড়ে সাতটায় মিরপুর ১২ থেকে এবং সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় মতিঝিল থেকে ছাড়ে।
যাত্রী ডাকার ফাঁকে ফাঁকেই শাহনাজের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। এর মধ্যেই এক-দুজন করে যাত্রী এসে বসতে শুরু করেন। শাহনাজ বলেন, ‘বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসছি। একদিন আমার ভাই এসে বলে, বিআরটিসির মেয়েদের স্কুলবাসে চাকরি নিবি। আমি রাজি হই। সেই থেকে শুরু।’
বিআরটিসির মেয়েদের স্কুলবাসে পাঁচ বছর কাজ করার পর এখানে চাকরি নেন বরগুনার মেয়ে শাহনাজ। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয় তাঁর। এরপর আর পড়ালেখা এগোয়নি। জীবন নিয়ে শাহনাজের কোনো স্বপ্নও ছিল না।
শাহনাজ নিজ থেকেই বলেন, ‘মহিলা হয়েও এই কাজে আসার সাহস কী করে হলো, নিজেও জানি না। তবে আমি কাউরে ডরাই না। বাসের সবাইকে ফ্যামিলি মনে করি। সবাইকে লাইক করি। সবাই আমাকেও লাইক করে।’
তাঁর কথার সত্যতা মিলল প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের ধরন দেখে। বাসের যাত্রীদের বেশির ভাগই তাঁর পরিচিত। মূলত ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করা নারীরাই এ বাসের যাত্রী। মিরপুর থেকে মতিঝিলের ভাড়া ২৫ টাকা।
শাহনাজ পারভীন l ছবি: খালেদ সরকাররাস্তায় তেমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় না শাহনাজকে। তিনি বলেন, প্রায়ই পুরুষ যাত্রী বাসে উঠে পড়েন। তাঁদের হেসে বলি, এটা শুধু মেয়েদের বাস। তখন তাঁরা সরি বলে নেমে যান। পুলিশও কোনো ঝামেলা করে না। মাঝেমধ্যে অবশ্য অন্য বাসের সহকারী বা রাস্তাঘাটে কিছু পুরুষের টিটকারি শুনতে হয়। এসব তিনি খুব একটা আমলে নেন না। শাহনাজ বলেন, ‘ইচ্ছা থাকলে যেকোনো কাজই করা যায়। কাজের আবার নারী-পুরুষ কী! অবশ্য মানুষের কথা কানে নেওয়া যাবে না।’
তিন বছর ধরে এই বাসে যাতায়াত করেন ব্যাংকার তহমিনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘শাহনাজ আপা খুব সহযোগিতা করেন। তিনি যত্ন করে আমাদের নেওয়া-আনা করেন।’ এই বাসে নিয়মিত যাতায়াত করা সবার কাছে শাহনাজের মোবাইল নম্বর আছে। বাসটি কোথায় আছে জানতে তাঁরা যোগাযোগও করেন। অনেক সময় বাসটি দু-এক মিনিট যাত্রীদের জন্য দাঁড় করিয়েও রাখা হয়। রাস্তায় কোনো নারী যাত্রীকেই তিনি রেখে যেতে চান না। আবার অসুস্থ যাত্রীদের যত্নের সঙ্গে নামিয়ে দেন। নারীদের বাস হওয়ায় অনেক সময় স্বামী, ভাই বা বন্ধুকে রেখেই নারীকে বাসে তুলতে হয়। তখন একটু খারাপ লাগে শাহনাজের।
ফারজানা আলম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘মেয়েদের জন্য সব সময় লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাস দেয়। মাঝেমধ্যেই গাড়ি নষ্ট হয়। তখন খুব ঝামেলা হয়।’ এর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন অন্য যাত্রীরাও। এ কারণে আগের তুলনায় যাত্রী কিছুটা কমে গেছে বলে জানান শাহনাজ। সুফিয়া তরফদার বলেন, ‘নারীদের জন্য আরও বাস থাকা উচিত। এতে নারীরা নির্যাতনের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাবে।’
শাহনাজকে দেখা যায়, মজা করতে করতেই ভাড়া তুলছেন। যাত্রীরা তাঁদের খাবার দিচ্ছেন শাহনাজকে। বাসের ভেতরে মোটামুটি একটা পারিবারিক পরিবেশ। যানজটে কষ্ট হয় শাহনাজের। তিনি বলেন, ‘খালি মনে হয় আপাদের কখন বাসায় পৌঁছাই দেব।’
কাজ করলে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে নির্ধারিত বেতন শাহনাজের। বেতন নিয়মিত নয়—অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, ‘রোদ-বৃষ্টিতে ডিউটি করি, এখনো সাত-আট মাসের বেতন বকেয়া আছে।’ আর লাভ-লস যা-ই হোক, ভাড়া বাবদ দিন শেষে তাঁকে কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয় ১ হাজার ৩০০ টাকা। এর বেশি আয় হলে তা শাহনাজের।
এ বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান  বলেন, নারীদের যাতায়াত সেবা দিতে সাধারণ বাসের চেয়ে নারীদের বাস থেকে তুলনামূলক কম ভাড়া নেওয়া হয়।
৩৫ বছর বয়সী শাহনাজের প্রিয় নায়ক রঞ্জিত মল্লিক, সালমান খান। সাজগোজ করতে ভালোবাসেন। প্রিয় রং লাল। তাঁর দাদি আদর করে ডাকতেন লাল বুড়ি। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলেও আপাতত চালক হওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁর।
শাহনাজের দুই ছেলে। বড় ছেলে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষ আর ছোটটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। স্বামী ওমানপ্রবাসী। মিরপুরে স্বামীর ও নিজের জমানো টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেখানেই তিনি ছেলেদের নিয়ে থাকেন।
স্বামী ও ছেলেরা চান, তিনি কাজটি ছেড়ে দিন। কিন্তু তাঁর কথা, ‘এ গাড়ির যাত্রীরাও আমার পরিবার। তাঁদের না দেখে আমি থাকতে পারি না। আর আমি না থাকলে আপাদের কোনো সমস্যা হলে কে দেখবে!’ সব আপাকে ঘরে পৌঁছে দিয়েই তাঁর শান্তি। তাঁদের সেবা দেওয়ার মধ্যেই তাঁর সুখ।

 

চিলি বিফ উইথ ক্যাপসিকাম রাঁধবেন যেভাবে

চিলি বিফ উইথ ক্যাপসিকাম অনেকেরই পছন্দের খাবার। তবে এর জন্য রেস্টুরেন্টে না গিয়ে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন। আর তা খুব সহজেই সম্ভব যদি জানা থাকে এর রেসিপি। চলুন তবে জেনে নেই-

উপকরণ : গরুর মাংস ৫০০গ্রাম, হলুদ ক্যাপসিকাম ১টি, লাল ক্যাপসিকাম ১টি, গাজর ২টি, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, কর্ণফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১/২ চা চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫/৬ টি, গোলমরিচ পরিমাণমতো, বড় পেঁয়াজ ২টি, ডিম ১টি, ধনেপাতা পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস স্লাইস করে কেটে আদা, রসুন, গোলমরিচ, কর্ণফ্লাওয়ার ও ডিম দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। একটি ফ্রাই প্যানে তেল দিয়ে তা একটু গরম হলে তাতে মাখানো মাংস ভেজে নিতে হবে। আর একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে ২ রকম ক্যাপসিকাম, গাজর, টমেটো, কাঁচামরিচ হালকা ভেজে নিতে  হবে। এরপর এতে ভাজা মাংস আর ওয়েস্টার সস দিয়ে ১ মিনিট নাড়তে হবে। অল্প পানিতে কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে তা মাংসে ঢেলে ১ মিনিট নাড়তে হবে। সারভিং ডিশে নামিয়ে নিয়ে তার উপর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

নিপুনে ফাগুনের আয়োজন

শীত চলে যাচ্ছে, পাতাঝড়ার শব্দও শোনা যাচ্ছে। গাছের নতুন গজিয়ে ওঠা পাতা জানান দিচ্ছে ফাগুন এলো বলে। আর সেই সাথে রয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-ভালোবাসা দিবস। পরপর দুটি দিনে আনন্দ আর ভালোবাসায় মেতে থাকি আমরা সবাই। আর মনের আনন্দকে ভাগ করে নিতে শরীরে ওঠে ফাগুনের পোশাক।

ফাগুন এবং ভ্যালেন্টাইস ডে-র পোশাকের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে ফ্যাশন হাউজ নিপুন। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ফ্রক এবং শিশুদের পোশাক রয়েছে এ আয়োজনে। আর পোশাকগুলোতে রঙ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে বসন্তের রং হলুদ, সবুজ, কমলা, সরিষা হলুদ, অফ হোয়াইট এবং লাল। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং শিশুদের পোশাকে এসেছে নানা ফ্লোরাল মোটিভ। সুতি, হাফ সিল্ক, লিলেন এবং তাঁতের কাপড়ের এসব পোশাকে করা হয়েছে ব্লক, অ্যাম্ব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, হাতের কাজ, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ ইত্যাদি। পোশাকের দামটাও রয়েছে হাতের নাগালেই।

পোশাকগুলো পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর হোসেন প্লাজা, মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামের বিপরীত দিকে নিপুনের শোরুম, বসুন্ধরা দেশিদশ, সিলেট দেশিদশ, চট্রগ্রাম দেশিদশ এবং গুলশান দেশিদশের নিপুনের শোরুমে।

 

উপহার দেয়ার আগে যা খেয়াল রাখবেন

উৎসব-আনন্দে কিংবা নানা অনুষ্ঠানে সব জায়গাতেই যার দরকার পড়ে তা হলো উপহার। মেরেজ ডে থেকে শুরু করে জন্মদিন- ছোট ছোট এমন হাজারো অনুষ্ঠানে থাকে উপহার দেওয়ার বিষয়। আর এটিই আপনাকে নানাভাবে ভাবায়। কিভাবে উপহার দেবেন, কী ধরনের উপহার দেবেন, কোথা থেকে কিনবেন সবকিছু আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। আপনি নিজেও বুঝে উঠতে পারেন না যে কোন উপহারটি আপনার কাছের মানুষটির জন্য ভালো হবে। তাই উপহার ঠিক করার আগে ছোট ছোট কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ রাখুন। যা আপনাকে উপহার কিনতে ও তা নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

বাজেট
আপনি সবার আগে যা ঠিক করবেন তা হচ্ছে কত টাকার মধ্যে আপনি আপনার উপহারটি কিনতে চাচ্ছেন। তা কি আপনি আপনার সাধ্যর মধ্যে কিনতে পারবেন? এই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো উপহার কেনার আগে হিসাব করে নিন। এতে আপনার বাজেট এবং উপহার দুটিরই সমন্বয় থাকবে। তাই সবার আগে বাজেট ঠিক করে নিন।

অনুষ্ঠান বুঝে উপহার
আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে কোনো দিন উপলক্ষে উপহার দিচ্ছেন তা অবশ্যই মাথায় রাখুন। আপনাদের প্রথম দেখার দিন হলে এক রকম, আবার নিজেদের মধ্যকার আরো কোনো মধুর সময়ের দিন হলে সেই দিন হিসেব করে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিন।

রঙ
উপহার দেওয়ার সময় রঙের বিষয়টি অনেকেই খেয়াল করেন না। এটি আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি আপনার কাছের মানুষটিকে যখন কোনো উপহার দিতে যাচ্ছেন খেয়াল রাখুন তা যেন তার পছন্দের রঙের হয়। এতে গিফটের গুরুত্ব আর আপনার তার প্রতি ভালোবাসা আরো প্রকাশ পায়।

পছন্দ
কাউকে উপহার দিতে গেলে নিজের ইচ্ছার কথা না চিন্তা করে যাকে উপহার দিচ্ছেন তার কথা চিন্তা করুন। তার পছন্দের কথা মাথায় রেখে উপহার কিনতে যান। আর যাবার আগে যার জন্য উপহার কিনতে যাচ্ছেন তিনি কী পছন্দ করেন তা ভালো করে জেনে নিন। আপনার প্রিয় মানুষটির ছোট ছোট পছন্দের কথা মাথায় রেখে উপহার কিনুন। কারণ বড় বড় উপহার থেকে প্রিয় মানুষটি হয়তো আপনার দেওয়া ছোট ছোট উপহারেই বেশি খুশি হয়।