banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 4, 2025

 

সিল্ক শাড়ির যত্ন নেবেন যেভাবে

ফ্যাশন সচেতন নারীদের কাছে সিল্ক শাড়ি পছন্দের অপর নাম। শীতের সময়টা সিল্ক শাড়ি পড়ার জন্য উপযুক্ত সময়। কারণ এটি শুধু ফ্যাশনেবলই করে তোলে না, শীতের ছোঁয়া থেকেও দূরে রাখে। এই সিল্ক শাড়ি শুধু পরলেই হবে না, চাই বিশেষ যত্ন। নয়তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার সাধের সিল্ক শাড়িটি।

সিল্কের শাড়িতে কোনো দাগ লেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ড্রাই ক্লিন করে নিন। বাড়িতে দাগ তোলার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ পানি ব্যবহার করলে দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে।

বেশিক্ষণ সিল্কের শাড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না। একবার পানিতে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলুন।

খুব জোরে কাপড় কাচবেন না। ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। শুকাতে দেয়ার সময় হালকা করে পানি ঝরিয়ে ছায়ায় শুকাতে দিন।

সিল্কের শাড়ি বাড়িতে ইস্ত্রি করার চেষ্টা করুন। অথবা ভিজে থাকতে হাতের ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ইস্ত্রি করুন। খুব গরম করে ইস্ত্রি করবেন না। উল্টো দিক থেকে করতে পারলে ভালো। আঁচল ও পাড়ে ভারী নকশা থাকলে ওপরে নরম কাপড় রেখে উল্টো করে ইস্ত্রি করুন। প্লাস্টিকের প্যাকেটে সিল্কের শাড়ি রাখবেন না।

ভারী কাজ কিংবা এমব্রয়ডারি করা শাড়ি হ্যাঙ্গারে না ঝুলিয়ে ভাঁজ করে রাখুন।

সিল্কের শাড়ির মধ্যে ন্যাপথলিন বল রাখবেন না। এতে শাড়ি নষ্ট হতে পারে। এছাড়া কাপড়ে ন্যাপথলিনের গন্ধ রয়ে যাবে। তবে এর পরিবর্তে দারুচিনি, লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন।

মসলিনের কাপড়ে মুড়ে সিল্কের শাড়ি অন্ধকার জায়গায় রাখুন। কখনও ড্যাম্প জায়গায় শাড়ি স্টোর করবেন না।

শাড়িতে তেল মশলাযুক্ত দেয়া গ্রেভি বা তেলযুক্ত কোনো দাগ লেগে গেলে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে পারিষ্কার করুন।

কড়া রোদে সিল্কের শাড়ি শুকাতে দেবেন না। কারণ এর ফলে রং হালকা হয়ে যাবে।

 

ক্ষীরসা পাটিসাপটা তৈরি করবেন যেভাবে

শীত মানেই মজার সব পিঠাপুলি। খেজুর রসের ম ম ঘ্রাণ আর পিঠার স্বাদে হারিয়ে যাওয়া। শহুরে আবহাওয়ায় শীতও ঠিকভাবে আসতে পারে না আর শীতের পিঠার স্বাদও তেমনভাবে মেলে না। তবু একটু অবসরে ঘরেই তৈরি করে নেয়া যায় প্রিয়জনদের জন্য শীতের মজাদার পিঠা। আজ রইলো ক্ষীরসা পাটিসাপটা তৈরির রেসিপি-

যা লাগবে : পোলাও চালের গুঁড়া ২ কাপ, ময়দা কোয়ার্টার কাপ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, চিনি (বা খেজুর গুড়) কোয়ার্টার কাপ, লবণ ১ চিমটি, তেল (ফ্রাইপ্যানে ব্যবহারের জন্য) পরিমাণ মতো, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ।

ক্ষীরসা : দুধ ২ লিটার, পোলাও চালের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, মালাই আধা কাপ, চিনি ৩ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন : তেল ছাড়া সব উপকরণ পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মেখে রাখুন ২ ঘণ্টা। পাতলা গোলা হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। চালের গুঁড়া শুকনা খোলায় টেলে নিন। কিছু দুধ তুলে ঠান্ডা করে চালের গুঁড়া গুলিয়ে দুধে ঢেলে দিন। চাল সিদ্ধ হলে চিনি ও মালাই দিন। ঘন করে নামান। ফ্রাইপ্যানে তেল লাগিয়ে গরম হলে ডালের চামচে ২ চামচ গোলা দিয়ে ছড়িয়ে দিন রুটির মতো করে। রুটি শুকিয়ে এলে লম্বা করে ক্ষীরসা দিয়ে পাটির মতো মুড়ে নিন। ঠান্ডা অথবা গরম পরিবেশন করুন।

 

ঘর সাজাতে ফটোফ্রেম

নিজের ঘরকে ঘিরে সবারই থাকে এক একটি স্বপ্ন। কেউ চায় কর্নার টেবিল ধরে ঘরটাকে সাজাতে। আবার কেউ ডায়নিং স্পেস ধরে সোজা রুম ধরে বেলকনি সাজাতে চায়। তবে যে যেভাবেই সাজাক ঘরকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তোলাই থাকে মূল উদ্দেশ্য। এই ঘর সাজাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ছোট্ট একটি জিনিস। আর তা হচ্ছে ফটোফ্রেম। জিনিসটি খুব বড় না হলেও এটি খুব সহজে আপনার ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারে। তাই ঘর সাজাতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফটোফ্রেম।

বসার ঘর
বসার ঘরের প্রতি বাইরের মানুষের যেমন এক প্রকার আকর্ষণ থাকে ঠিক তেমনি তাকে ফুটিয়ে তুলতে থাকে ঘরের মানুষগুলোর প্রয়াস। এই বসার ঘর সাজাতে আপনি রাখতে পারেন ফটোফ্রেম। নানা পশুপাখির ছবি, কখনো আবার প্রকৃতির ছবি আবার ফ্যামিলির আদরের ছোট কোনো সদস্যর ছবি রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি টেবিলেও রাখতে পারেন ফটোফ্রেম।

দেয়াল
দেয়াল সাজাতে ফটোফ্রেমের জুড়ি নেই। সিঁড়ির পাশের দেয়াল কিংবা সদর দরজা দিয়ে ঢুকতেই যে দেয়াল চোখে পড়ে তা সাজাতে পারেন এই ফটোফ্রেম দিয়ে। সারি করে কিংবা গোলাকার ভাবে আবার কখনো ছোট ফ্রেম থেকে বড় ফ্রেম এভাবে সারি সারি করে সাজিয়ে আপনি আপনার দেয়াল যেমন সাজাতে পারেন ঠিক তেমনি পারেন আপনার ঘরকে সাজাতে।

শোবার ঘর
শোবার ঘরকে সাজাতে চাইলে আপনি সাজাতে পারেন ফটোফ্রেম দিয়ে। আপনার শোবার খাটের মাথার উপর রাখতে পারেন এই ফটোফ্রেমের তৈরি ঘড়ি দিয়ে। চারটি বড় ফটোফ্রেম আর আটটি ছোট ফটোফ্রেম দিয়ে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন এই ফটোফ্রেম ঘড়ি। এতে আপনি আপনার বাচ্চাদের আনন্দ এবং খুনশুটির মুহুর্ত যেমন আটকে রাখতে পারেন তেমনি পারেন আপনার এবং আপনার প্রিয় মানুষের ছবি দিয়েও এভাবে দেয়াল সাজাতে। আর ঘরকে ফটোফ্রেম দিয়ে সাজিয়েও তুলতে পারেন।

ঘর সাজাতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। আপনার রুচিশীলতা এবং আপনার পছন্দ এই দুই মিলিয়ে আপনি আপনার ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারেন। আর ঘর হালকা ভাবেই সাজালে ভালো লাগে। তাই ঘর সাজালে তার যতটা সম্ভব ছিমছামভাবেই সাজান।

 

আদর্শ মা-বাবা হবেন যেভাবে

মা-বাবা হওয়া জীবনের একইসঙ্গে সবচেয়ে সহজ এবং কঠিন কাজ। আপনার মমতা, স্নেহ এবং ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠা। আপনি কী ধরনের কাজ করছেন কিংবা আপনার আয় কেমন তা কখনই সম্পূর্ণভাবে আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে মূল কারণ নয়। অনেকেই মনে করেন শাসন করলে বা কোনো কিছু করতে মানা করলে সন্তান বিগড়ে যাবে। তাই সে ভয়ে সন্তানকে তারা কিছুই বলে না। একটি সময় সন্তান মা-বাবার কাছ থেকে দূরে যেতে থাকে। আর অনেকসময় তাতে সন্তান কেবল বিপথেই যায় না  সেইসাথে তাদের মা-বাবা সমাজের কাছে নানাভাবে হন অপমানিত, লজ্জিত।

সন্তানকে ভালোবাসা দিন
সন্তানকে কতখানি ভালোবাসেন তা মুখে ফুটে না বলাই ভালো। তাকে আপনার কাজ দিয়ে বোঝান। কৈশোরে মা-বাবার কাছে বকা খেয়ে অনেক সন্তানই খারাপ পথে চলে যায়। তাই এসময় একমাত্র কাজ হচ্ছে ভালোবাসা। তাকে ভালোবেসে, বুঝিয়ে বলুন। তবে তাকে লোভ দেখিয়ে কোনো ধরনের কাজ করাবেন না। এতে তার মধ্যে কাজের বিনিময়ে বড় ধরনের কিছু পাবার প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে।

পুরস্কৃত করুন
সন্তানকে সব সময় সব কাজে অনুপ্রাণিত করুন। অনেক সময় শুধু মুখের কথায় আর ভালোবাসায় অনেক কিছু হয় না। তাকে ছোট ছোট কাজে পুরস্কৃত করুন। সে যদি গণিত করতে অমনোযোগী হয় আর আপনি যদি তাকে বুঝিয়ে বলে কিংবা ভালোবেসে বলে করাতে পারেন। তাকে ছোট ছোট উপহার যেমন কালার পেন্সিল, কলম কিংবা তার পছন্দের রঙের খাতা উপহার দিন।

তুলনা
অনেক মা বাবাই আছেন যারা নিজের সন্তানের সাথে অন্যর সন্তানের তুলনা করেন। কোনো শিশু কোনো বিষয়ে সেরা হতে নাই পারে। এই বিষয়টি বেশি দেখা যায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে। সর্বদা ওই না পারা শিশুটিকে নানাভাবে অবহেলা আর হেয় চোখে দেখা হয়। তার মনের মধ্যে এই ব্যাপারটি সৃষ্টি করে দেওয়া হয় যে সে কিছুই পারে না। আর তাকে দিয়ে কিছু সম্ভব না। এমনটি কখনোই করা উচিত নয়।