banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

হলে মুক্তি পাবে শাহরুখের নতুন ছবির ট্রেলার

বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছবি ‌‌‘ডিয়ার জিন্দেগী’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। আলিয়া ভাটের সঙ্গে বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছে এটি। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় শাহরুখের নতুন ছবি ‘রইস’।

ছবিটি নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন নায়ক। এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত ছবিটির ট্রেলার মুক্তি নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিতে চান তিনি। ট্রেলার মুক্তির সময় এমন কিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।

জানা গেছে, ভারতের ৯টি শহরের সিনেমা হলে ট্রেলারটি মুক্তি দেয়া হবে। সেসব শহরের আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার প্রেক্ষাগৃহে ট্রেলারটি মুক্তি পাবে। শহরগুলো হচ্ছে- দিল্লি, ইন্দোর, আহমেদাবাদ, কলকাতা, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, জয়পুর, মুম্বাই ও পাঞ্জাবের মগা। এসব শহরে শাহরুখ-নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন রিতেশ সিদ্বানী ও ফারহান আখতার।

তবে একেবারে সশরীরে উপস্থিত হবেন না শাহরুখ ও অন্যরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাদের কথা শুনবেন।

 

তাওবার নিয়ামত অফুরন্ত

আল্লাহর কাছে তাওবা এক মহান ইবাদত। কুরআনের অনেক জায়গায় তাওবা সম্পর্কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন গোনাহগার বান্দা খাঁটি তাওবার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই আল্লাহর একান্ত আপনজনে পরিণত হন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাভিচারের অপরাধে তাওবা-সম্পর্কিত একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

Hadith

হজরত আবি নুজাইদ ইমরান ইবনে হোসাইন আল-খুযাঈ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জুহাইনা গোত্রের এক মহিলা ব্যাভিচারের মাধ্যমে গর্ভবতী হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি ব্যাভিচারের (জিনা) অপরাধ করেছি; আমাকে শাস্তি দিন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অভিভাবককে ডেকে বললেন, এর সঙ্গে সদাচরণ করবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমার কাছে নিয়ে আসবে। লোকটি (অভিভাবক) তা-ই করলো।

অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে (ওই মহিলাকে) ব্যাভিচারের শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিলেন। তার শরীরে ভালোভাবে কাপড় বেঁধে দেয়া হলো এবং নির্দেশমোতাবেক তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জানাজা নামাজও পড়ালেন।

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ মেয়েটি তো ব্যাভিচার (জিনা) করেছে। তবু আপনি এর জানাজার নামাজ পড়াচ্ছেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ মেয়েটি এমন তাওবা করেছে যে, তা ৪০ জন মদিনাবাসীর মধ্যে বণ্টন করে দিলেও সবার জন্য পর্যাপ্ত হয়ে যেতো।

যে মেয়েটি নিজের জীবনকে মহান আল্লাহর জন্য স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিতে পারে; তার এ তাওবার চেয়ে ভালো কোনো কাজ তোমার জানা আছে কি? (মুসলিম)।

অপরাধ যতো কঠিনই হোক না কেন; বান্দা যদি আল্লাহ তাআলার দরবারে একনিষ্ঠ মনে তাওবা করে তাঁর দিকে ফিরে আসে, আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। আর তাওবার ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে অফুরন্ত নিয়ামত দান করেন। যা তিনি ৪০ জন মদিনাবাসীকে দিয়েও শেষ করা যাবে না বলে উল্লেখ করে তাওবার অফুরন্ত নিয়ামতের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।

পরিশেষে…
যেহেতু মানুষ তাওবার মাধ্যমে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়; তাই তাওবার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসটি হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- ‘পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত (কিয়ামত না আসা পর্যন্ত) মহান আল্লাহ প্রতি রাতে তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকেন; যাতে দিনের গোনাহগার লোকেরা তাওবা করে নিতে পারে। আবার তিনি দিনের বেলা তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে থাকেন; যাতে করে রাতের গোনাহগার লোকেরা তাওবা করে নিতে পারে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে খাঁটি তাওবা করে তাঁর পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের পরিপূর্ণ কল্যাণ দান করুন। আমিন।

 

অনলাইন ব্যবসায় চাই স্মার্ট প্রচারণা কৌশল!

ব্যবসা অনলাইন হোক বা অফলাইন প্রচারণা খুবই জরুরি। তবে অফলাইনের চাইতে অনলাইন ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ অনেক বেশী। মার্কেটিং পলিসিতে একটু যদি অবহেলা করেছেন তবেই পড়ে যাবেন আরও অসংখ্য ব্যবসায়ীর পেছনে। প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। একইরকম পণ্যের রয়েছে অসংখ্য ওয়েবসাইট, তারও চেয়ে কয়েকগুণ বেশী অনলাইন পেজ। এরই মাঝে ক্রেতার নজর কাড়তে মেনে চলুন এই কৌশলগুলো-

টার্গেট ভোক্তার দিকে নজর দিন

সহজ হিসেব। আপনার বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা সবার জন্য নয়। কি পণ্য তৈরি করছেন আপনি, সেটা কোন বয়সের মানুষ ব্যবহার করবেন, পণ্যের মূল্য অনুযায়ী কোন শ্রেণীর মানুষ পণ্যটি ক্রয় করবেন, লিঙ্গভেদে তার ভোক্তা আলাদা হবে কিনা- এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে জানতে হবে। শুধু সেই সব ভোক্তার কাছেই পৌছতে হবে আপনাকে যাদেরকে আপনার প্রয়োজন। ভোক্তা নির্দিষ্ট করার পর দেখতে হবে সেই ভোক্তারা কী খুঁজছেন, তারা পণ্যের কেমন মান চাইছেন, কেমন ডিজাইন চাইছেন! বিজ্ঞাপণে তেমন ছবিই ব্যবহার করতে হবে আপনাকে, সেভাবেই তুলে ধরতে হবে পণ্যের নানান দিক।

ভোক্তার সাথে আন্তরিক সংযুক্তি
গুগলে বিজ্ঞাপন কেনা বা জটিল একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা দীর্ঘ সময় এবং খরচের ব্যাপার। তার পরিবর্তে একটা সিম্পল ব্লগ লিখুন নিজের ব্যবসার নানান দিক নিয়ে। একটা ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুক প্রোফাইল আপনার প্রচারণাকে আরো বেশী সহজ করতে পারে। নিয়ে যেতে পারে ভোক্তার হাতে হাতে। আপনার যোগাযোগের ধরণটি হতে পারে আন্তরিক, বন্ধুর মত। যাতে ভোক্তারা আরো বেশী সংযুক্ত বোধ করেন। এজন্য ছবি নয়, ছবির সাথে যুক্ত করুন কিছু বক্তব্য। যুক্ত করুন আপনার গল্প, পণ্যটির পেছনের শ্রমের গল্প, আবেগের গল্প।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
অনলাইনে ব্যবসা বাড়াতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সক্রিয় থাকা খুবই জরুরি। ওয়ার্ডপ্রেস এ চাইলেই কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন আপনি। কিন্তু ব্লগ বা এজাতীয় যে কোন প্রচারণাকে কার্যকর করতে অবশ্যই তাকে জুড়ে দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। ফেসবুক, লিঙ্ক ইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোনে নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে খুব সহজেই কিন্তু জানা যাবে আপনার ব্যবসার তথ্যটিও। একইসাথে একাউন্ট খুলতে পারেন পিন্টারেস্টে, ইন্সটাগ্রামে।

এসইও
গুগল এসইও একটি সামাজিক মাধ্যম যার কথা অনেকেই জানেন না। ভোক্তার সাথে যোগাযোগের জন্য এটি খুবই কার্যকরি একটি টুলস। সার্চ ইঞ্জিনে পণ্য খুজলে সহজেই চলে আসে কোন পণ্য বা ব্রান্ডগুলো? যাদের র‍্যাংকিং ভাল, সহজে ট্রাক করা যায়। গুগলে এসইও কৌশল ব্যবহার করে আপনিও আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংকিং বাড়াতে পারেন। তবে আপনাকে প্রতিনিয়ত নিজের সাইটে স্বক্রিয় থাকতে হবে। ছবি, ভিডিও আপলোড করা, পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। বর্ণনায় ব্যবহার করতে হবে জনপ্রিয় ‘কি ওয়ার্ড’ গুলো যা ব্যবহার করেই মানুষ এধরণের পণ্য খোঁজে। ছোট ছোট কৌশল, কিন্তু এগুলোই আপনার র‍্যংকিং বাড়াবে।

মোবাইল গ্রাহক
ডিজিটাল বিশ্ব এখন নিয়ন্ত্রিত হয় মোবাইল দ্বারা। এপ্রিল ২০১৬ এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল থেকে। আপনার মার্কেটিং তাই মোবাইল উপযোগী করে তৈরি করুন। এমন ছবি ব্যবহার করুন যা মোবাইলে ভাল দেখতে ভাল লাগে। ছবি সাইজও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। মোবাইলের গ্রাহকদের জন্য ভিন্ন ভাবেই সাজান আপনার মার্কেটিং কৌশল।

তথ্যসূত্র-
১। Life hack- 5 Marketing Tips for a Successful Online Business
২। CIO- 8 Expert Online Marketing Tips for Small Businesse
৩। Medianovak- Successful Internet Marketing Tips | 5 Small Business Internet Marketing Tips

 

বার্গার স্টেক তৈরি করবেন যেভাবে

ভোজনবিলাসীদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি খাবারের নাম বার্গার স্টেক। সাধারণত বিফ স্টেক দিয়ে এটি তৈরি করা হলেও আপনি চাইলে মাটনও ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকায় এটা অনেক প্রচলিত হলেও এখন আমাদের দেশেও অনেক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তবে দোকানে না গিয়ে বার্গার স্টেকের স্বাদ পেতে চাইলে ঝটপট শিখে নিন রেসিপিটি-

উপকরণ : গরু বা খাসির মাংস আধা কেজি, কাঁচামরিচ কুচি আধা টেবিল-চামচের একটু বেশি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা ৪-৫টা, গোলমরিচ ছেঁচা ২-৩টা, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি করা ১ কাপ, ডিম ১টা, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতা ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল-চামচ, ময়দা বা ব্রেডক্রাম ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : প্রথমে মাংস কিমা করে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার কিমা ৬ ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ নিয়ে বড় চ্যাপ্টা করে স্টেক তৈরি করতে হবে। পলিথিনের ভেতর তেল মাখিয়ে কিমা চেপে স্টেক করা যেতে পারে। এবার ফ্রাইপ্যানে ছ্যাঁকা তেলে ফ্রাই করতে হবে। ইচ্ছা করলে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ১৫ মিনিট বেক করা যাবে। বনরুটির ভেতর বিফস্টেক, বিভিন্ন রকমের পনির, সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

বিয়ের আগে কনের প্রস্তুতি

জীবনের অনেক আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিয়ের মুহূর্ত। আর বিয়েতে একটি মেয়ে যখন কনের সাজে সেজে ওঠে তখন নিজেকে তার কোনো রাজ্যের রানীর চেয়ে কম মনে হয় না! পারিবারিকভাবেই হোক কিংবা দীর্ঘ প্রেমের পরিণতি, সবকিছুর শেষ ঠিকানা হয় বিয়ে। এটি একদিকে যেমন মহাখুশির সংবাদ অপরদিকে একটু সামলে চলার সময়। মানুষের জীবনে জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী আরো অনেক কিছু ঘুরে-ফিরে এলেও বিয়ে একবারই আসে। তাই বিয়েতে কনে চায়, নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরী আর আলাদা দেখতে। আর এর জন্য চাই কিছু প্রস্তুতি। বিশেষ করে শীতের এই সময়টায় চারদিকে বিয়ের আয়োজন চোখে পড়ে। আপনিই যদি হয়ে থাকেন বিয়ের কনে, তবে এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকুন।

ত্বকের যত্ন
বেশি চা, কফি খাওয়া খেতে বিরত থাকুন। বেশি চা, কফি খেলে নার্ভ উত্তেজিত হয় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বেরিয়ে যায়। পারলে ফলের রস খান। প্রচুর পানি পান করুন; দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন এ ও ই সমৃদ্ধ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও পরিমিত খাবার খান।

বাসায় নিয়মিত কিছু ফেইস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যে কোনো দাগ দূর করার জন্য পাকা পেঁপের জুড়ি নেই। পাকা পেঁপে চটকে তাতে টকদই মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে উঠিয়ে ফেলুন। এরপর মুখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পাকা পেঁপে চটকে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে, গলা ও হাতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। চালের গুঁড়া, টকদই, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে এবং গলায় লাগান। এই প্যাক নিয়মিত লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

চুলের যত্ন
প্রতিদিন একটি করে ডিম মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অথবা তিনটা অ্যালোভেরার পাতা থেকে ভালো করে জেল বের করে নিয়ে এতে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে তিন মাস এভাবে পরিচর্যা করতে থাকুন।

চুলের রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে ৩ দিন চুলে তেল লাগিয়ে এ প্যাকটি ব্যবহার করুন। এক চামচ নারিকেল তেল, এক চামচ কাস্টার অয়েল, এক চামচ ভিনেগার, এক চামচ শ্যাম্পু, একটা পাকা কলা ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

পরিমিত ঘুম
বিয়েতে নিজেকে প্রাণবন্ত দেখাতে হলে আপনাকে পরিমিত ঘুমাতে হবে প্রতিদিন। শুধু বিয়ের আগে রাতে পরিমিত ঘুমালেই হবে না।
সবসময়ই চেষ্টা করতে হবে রাতে যেন একটানা ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন। এতে করে ত্বকের ক্লান্তিভাব কাটবে ও ত্বক আরো উজ্জ্বল লাগবে।

ঠোঁট
১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে প্রতিদিন ৩/৪ মিনিট ঠোঁটে হাল্কা করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের কালো দাগও উঠে যাবে ধীরে ধীরে।

বিয়েতে হাজার ঝামেলা থাকে। হাজারটা ব্যস্ততায় হয়তো নিজের প্রতি নজর দেয়ার সময়টাই থাকে না। তাই আগে থেকেই অল্প অল্প করে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকুন। আর জীবনসঙ্গীর চোখে সবচেয়ে সুন্দর মানবী হিসেবে ধরা দিন।

 

গর্ভবতী মায়ের জন্য ‘স্মার্ট চুড়ি’

গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রামীণ ইনটেল ‘স্মার্ট চুড়ি’ তৈরি করেছে। হাতে থাকলে এই চুড়ি গর্ভধারণের পুরো সময় মাকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা শোনাবে, তথ্য দেবে। ক্ষতিকর মাত্রার ধোঁয়ার ব্যাপারেও সতর্ক করবে এ চুড়ি।

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে গ্রামীণ ইনটেল সোশ্যাল বিজনেস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আগামী মার্চে এই চুড়ি বাংলাদেশের বাজারে আসবে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এ চুড়ি ১ হাজার ২০০ টাকার কমে কিনতে পাওয়া যাবে।

দশমিক ৮ ইঞ্চি চওড়া ও দশমিক ৩ ইঞ্চি পুরু প্লাস্টিকের এ চুড়িতে মাইক্রোচিপ, মেমোরি কার্ড, স্পিকার, ব্যাটারি, কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তের জন্য সেন্সর এবং এলইডি বাতি থাকবে। এই চুড়িতে আগে থেকে ধারণ করা (প্রি-রেকর্ডেড) গর্ভকালের ১০ মাসের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা আছে। কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যও আছে। সপ্তাহে এসব বার্তা মা দুবার শুনতে পাবেন। যেমন হাতের চুড়ি বলবে, ‘গর্ভকালে আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে অন্তত চারবার ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট দেওয়া হবে। নিজের ও শিশুর সুস্থতার জন্য এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে।’

চুড়ি সচল রাখতে ইন্টারনেট সংযোগের দরকার হবে না। গর্ভধারণের দিনের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তাগুলো সেট করে দেওয়া হবে। গর্ভকালের প্রতিটি সপ্তাহের উপযোগী করে বার্তাগুলো তৈরি। এতে মোট ৮০টি সতর্কতামূলক বার্তা আছে।

গ্রামীণ ইনটেলের উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভবতী মায়েদের জন্য যে করণীয় নির্ধারণ করেছে, তার ওপর ভিত্তি করে চুড়ির বার্তা তৈরি করা হয়েছে।

বার্তাগুলো তৈরি করেছে মোবাইল অ্যালায়েন্স ফর ম্যাটারনাল অ্যাকশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে এই চুড়ির কারিগরি দিক নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা হয়েছে।

এই চুড়ির ব্যাপারে জানতে চাইলে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রওশান আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অনেক গর্ভবতী ঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান না, সঠিক পরামর্শ পান না। গর্ভবতীকে সচেতন করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।

বাংলাদেশের নারীরা বিশেষ করে গ্রামের নারীরা ক্ষতিকর ধোঁয়ার মধ্যে থেকে রান্না করেন। ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই চুড়িতে থাকা সেন্সর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। রান্নাঘরে বা কোথাও ক্ষতিকর মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড থাকলে চুড়িতে থাকা এলইডি বাতি জ্বলে ওঠে। পাশাপাশি জানালা-দরজা খুলতে বলে এবং ব্যবহারকারীকে নির্মল বায়ু আছে এমন স্থানে যেতে অনুরোধ জানানো হতে থাকে।

এই চুড়ির ওজন প্রায় তিন ভরি। চুড়িতে থাকা ব্যাটারি রিচার্জের দরকার হয় না। পানিতে ভিজলে বা ১৫ ফুট পানির নিচে গেলেও এর কার্যকারিতা নষ্ট হবে না বলে গ্রামীণ ইনটেল দাবি করেছে।

 

যেমন পোশাক তেমন সাজ

পোশাক শুধু মানুষের রুচিবোধকেই প্রকাশ করে না, ব্যক্তিত্ব আর সাজেও তা যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জিনস-টপ বা পাশ্চাত্য ঘরানার যেকোনো পোশাক, যখন যা-ই পরা হোক না কেন, সঙ্গে সঙ্গেই সেই পোশাকের প্রভাবটা পড়ে সাজ আর ব্যক্তিত্বে। পুরো অবয়বটাই যেন বদলে যায়। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে বা বন্ধুদের আড্ডায় জিনস-কুর্তায় অভ্যস্ত মেয়েটি যখন শাড়িতে সেজে ওঠে, তখন তার পুরো অবয়বে আসে আমূল পরিবর্তন। অর্থাৎ পোশাক বদলের সঙ্গে সঙ্গে একটা পরিবর্তনের আঁচ লেগে যায় মনে।

এই যে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাজসজ্জায় এই পরিবর্তন, বিষয়টি কমবেশি সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তখন শুধু সাজেই নয়, ব্যক্তিত্বেও এর প্রভাব পড়ে। পশ্চিমা পোশাকে যেমন উজ্জলতা আসে, তেমনি শাড়ি ব্যক্তিত্বে যোগ করে স্নিগ্ধতার আবহ। মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ মনে করেন, মনে হয় প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব যেমন আলাদা, তেমনি এক একটি উপাদানের কাপড় এক একটি বৈশিষ্ট্য বহন করে। যেমন মসলিন, জামদানি, সিল্ক বা সাটিন, তাঁতের বোনা সুতি—প্রতিটি কাপড়ে তৈরি পোশাকেরই স্বকীয়তা রয়েছে। সাজ বা ব্যক্তিত্বে সেই ছাপটা না থাকলে বেমানান মনে হয়। র্যা ম্পে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ভিন্নধর্মী উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই জানালেন তিনি।
পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কোথায়, কোন পরিবেশে যাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন সব সময় পাশ্চাত্য ঘারানার পোশাকে অভ্যস্ত মডেল আঁখি আফরোজ। কিছুদিন আগে একটি পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে দেশীয় শাড়ি আর খোঁপায় জড়ানো বেলির মালায় সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিল সেদিন। আঁখি জানালেন, সব জায়গায় তো সব ধরনের পোশাক পরে যাওয়া যায় না। পুরস্কারের সেই অনুষ্ঠানে দেশের সব বরেণ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাই এ ধরনের সাজটাই উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল। শুধু স্থানভেদেই নয়, সময়ের পার্থক্যেও সাজপোশাকে আসে ভিন্নতা—বলছিলেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। দিনের বেলায় যে রঙের পোশাকটা মানানসই, রাতের বেলায় সেটাকে বিদায় জানাতে হয়। মেকআপ চুল বাঁধার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা।
ঐতিহ্যবাহী সিল্কের সঙ্গে এলো খোঁপাটা যেমন ভালো দেখায়, পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে সেটা একেবারেই বেমানান। তখন মুখের গড়ন, চুলের কাটছাঁটের সঙ্গে মিলিয়ে সাজতে হয়। নুজহাত খান বললেন, ‘সব শাড়িতেই যে একরকম সাজ ভালো লাগবে তা নয়। যেমন জামদানির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্য। তাই জামদানি গায়ে জড়ালেই একটা আভিজাত্য প্রকাশ পায়।

এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে বাদামি আর ব্রোঞ্জের সমন্বয়ে স্মোকি চোখের সাজটা দেখতে ভালো লাগে। জামদানির সঙ্গে খুব বেশি জমকালো গয়না না পরে হালকা গয়না পরলে জামদানির সৌন্দর্য অটুট থাকে। ব্লো ডাই করে ছেড়ে রাখা চুল সঙ্গে যোগ করে স্নিগ্ধতা। কামিজ বা আনারকলি ঘরানার পোশাকের সঙ্গে সাজটা নির্ভর করবে কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর। যদি কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান হয়, তবে চোখ না সাজানোই ভালো। তখন টেনে লাইনার দিলে ভালো দেখাবে। লিপস্টিকে থাকবে বাদামি, লাল—এ রকম রঙের শ্যাড। চুলটাকে বেণি বা টেনে খোঁপা বাঁধতে পারেন।
একই পোশাকে জমকালো অনুষ্ঠানে যেতে চাইছেন? তখন ভারী মেকআপ করে নিন, দেখুন মুহূর্তেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে আপনার পুরো সাজপোশাকে।
নুজহাত খান বললেন, পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক যখন পরছেন তখন দেখবেন একটা উচ্ছলতা, আরামদায়ক ভাব কাজ করছে মনের ভেতর। মেকআপটা এড়িয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চোখের আইলাইনারের চিকন রেখা টেনে ব্লেন্ড করে নিন, তবে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিকের ছোঁয়া দিতে পারেন। যেমন জিনস বা স্কার্ট-টপের সঙ্গে গাঢ় বাদামি, লাল লিপস্টিকগুলো বেশ ভালো দেখায়, আর ব্যক্তিত্বেও ফুটিয়ে তোলে উচ্ছলতার আমেজ। এদিকে মেসি করে ছেড়ে রাখা চুল বা উঁচু করে ভিক্টোরিয়ান আদলে বাঁধা খোঁপা মানিয়ে যাবে এ ধরনের পোশাকে।
স্থান-কাল বুঝে পোশাকের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে সাজাটা কঠিন কিছু নয়। পোশাক গায়ে জড়ালে মনের ভেতর যে আবহটা কাজ করে, শুধু সেই রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলুন।
দেখুন, আপনার সাজপোশাকের ছটা কেমন রাঙিয়ে দিচ্ছে অন্যকেও।
বিপিএল উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপক শিনা চৌহান। এক ফাঁকে নকশার ফটোশুটে অংশ নিলেন। পরলেন বাংলাদেশের জামদানিসহ আরও কিছু পোশাক। পোশাক ও গয়না: আড়ং, সাজ: নুজহাত খান,