banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ভ্রমণ করুন অপূর্ব হাইতি

হাইতি যেন এই পৃথিবীর বুকে ছোট্ট একটি স্বর্গ। এখানে টারকুইশ ঢেউয়েরা আছড়ে পড়ে সোনালী উপত্যকায়। মেঘ ছুঁয়ে যায় পর্বতের চূড়া। ঘন বনের সবুজ তার সাথে ঘটায় অপরূপ মিতালী। চোখ ধাঁধানো সূর্যাস্ত যে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারণা করে তার তুলনা হয় না বিশ্বের আর কোনকিছুর সাথে। বিশ্রাম নিতে চান অথবা নিতে চান নতুনের চমকপ্রদ স্বাদ, কোনকিছুতেই আপনাকে হতাশ করবে না হাইতি। আসুন জেনে নিই হাইতির প্রধাণ আকর্ষণগুলো কী কী।

সিতাডেল লাফেরিয়্যা

দূর্গটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়ায়। চারদিকে পাহাড়ের সবুজ, আকাশের মেঘ আর তার মাঝে প্রাচীন এই দূর্গটি এক মোহনীয় আবহের তৈরি করে। এটি নির্মাণের কারণ ছিল ফরাসী আগ্রাসন থেকে হাইতি অঞ্চলকে রক্ষা করা। হাইতির সেই সময়ের শক্তির পরিচায়ক দূর্গটি এখন হাজারো পর্যটকের আকর্ষণস্থলে পরিণত হয়েছে। রাতে দূর্গের আলোকসজ্জা ভিন্নভাবে আকর্ষণ করবে আপনাকে। এই দূর্গ ভ্রমণ একইসাথে আপনাকে ইতিহাস, রাজনীতি, প্রাচীন ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। সাথে দেবে প্রকৃতির অপার শান্তি।
বাসিন ব্লিউ
হাইতির জ্যাকমেল পাহাড়ের একটি জলপ্রপাতের নাম বাসিন ব্লিউ। প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ অপূর্ব একটি ট্রেইল ধরে আপনি পৌছে যাবেন বাসিন ব্লিউতে। সেখানে কাটিয়ে আসতে পারেন চমৎকার একটি দিন। জলপ্রপাতের জলধারা তৈরি করেছে একটি একটি ছোট্ট পুকুর। টারকুইশ নীল রঙ সেই পুকুরের। তার মাঝে সাঁতার কাটা, ভেসে বেড়ানোসহ সবই করতে পারবেন আপনি। জায়গাটি খুবই নিরাপদ। তাই নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবেন সবটুকু সৌন্দর্য্য, যেভাবে আপনি চান সেভাবেই।
ক্যাথেড্রাল নর্টে ডেম ডি কেপ হাইতিয়ান

ক্যাথলিক এই ক্যাথেড্রালটির অবস্থান কেপ হাইতিয়ানে। সুন্দর এবং শান্তিময় একটি জায়গা এটি। কলোনিয়ান শহরটি ঘুরে এসে বিশ্রাম নিতে পারেন এখানে। চার্চের সামনে ছোট্ট পার্কটিও প্রশান্তি দেবে আপনাকে। দালানটির সাদা দেয়াল যে বহু বছরের ইতিহাস তুলে ধরে। ঝকঝকে শান্তিময় চার্চটির নির্মাণশৈলীও প্রশংসার দাবি রাখে। ভেতরে এবং বাইরে উভয়দিকে চমৎকার কারুকার্য এবং সার্বিক কাঠামো যে কোন পর্যটককে বাধ্য করে একবার থমকে দাঁড়াতে।
লাবাদি
লাবাদি একটি বেসরকারি বন্দর। এর মালিক রয়াল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ কোম্পানি। সানন্দে এক সপ্তাহের ট্যুর পরিকল্পনা করে  বেড়িয়ে আসতে পারেন এখানে। শুভ্র বালির বিচ, স্ফটিক স্বচ্ছ পানি এই এলাকাকে করেছে মনোমুগ্ধকর। সমুদ্রকে উপভোগ করার সমস্ত আয়োজনই রয়েছে এখানে। বিশ্রাম নিতে পারবেন, ঘুরে বেড়াতে পারবেন, শপিং করতে পারবেন স্থানীয় নানান দ্রব্যাদি। আর নীল সমুদ্রে সাঁতরে বেড়ানো, ডাইভিং, প্যারাগ্লাইডিং তো থাকছেই।
সান সৌচির প্রাসাদ

রাজা হেনরি ক্রিসটোফের প্রাসাদ ছিল এটি। কথিত আছে তিনি দাস থেকে রাজা হয়েছিলেন। ১৮৪২ সাথে ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে যায় কিছুটা। ঐতিহাসিক ভবনটি প্রাচীন সৌন্দর্য এবং জ্ঞানের ভান্ডার। একে প্রায়ই তুলনা করা হয় ফ্রান্সের ভার্সাইলিস প্রাসাদের সাথে। প্রাচীন এই ভবনটির বিস্তৃত সিঁড়ি শুরুতেই মুগ্ধ অভিভাদন জানাবে আপনাকে। এরপর এর বিশাল জানালা, অভ্যন্তরীণ সজ্জা, ভবনের সামনে বিস্তৃত বাগান সবকিছুই আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে রাজার রুচিবোধের সাথে। প্রাসদটির সামনেই রয়েছে বড় একটি ফোয়ারা। আর স্থির মূর্তিগুলো যেন প্রাসাদকে পাহারা দিতে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

 

হাইতির প্রধাণ আকর্ষণ এর সমুদ্র। পাহাড়, জলপ্রপাত সবকিছুই হাইতিকে দিয়েছে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক অবয়ব। ইতিহাস যুক্ত হয়ে যেন পূর্ণতা পেয়েছে হাইতি। ছোট্ট দ্বীপটি তাই বছরের পর বছর আকর্ষণ করে চলেছে পর্যটকদের।

 

আবারো বিজ্ঞাপনে কেয়া

দীর্ঘদিন পর বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। তাকে এবার দেখা যাবে কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট`র নতুন বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে।

কাজী ইলিয়াস কল্লোলের পরিচালনায় আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বিজ্ঞাপনটির শুটিং শুরু হয়েছে উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে।

নতুন বিজ্ঞাপন নিয়ে কেয়া বললেন, ‘বিজ্ঞাপনটির চিত্রনাট্য খুব সুন্দর। তাই কাজটি করতে রাজি হয়েছি। আর কল্লোল ভাইয়ের সঙ্গে আমি এর আগেও অনেক কাজ করেছি। যে কারণে তার সাথে আমার বোঝাপড়াটাও ভালো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটি বিজ্ঞাপন হতে যাচ্ছে বলে আশা করি।’

জানা গেছে, কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট’র এই নতুন বিজ্ঞাপনটির প্রচার এই মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমদিকে শুরু হবে।

এদিকে সম্প্রতি ‘শিরোনামে তুমি’ নামের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কেয়া। এখানে তিনি চিত্রনায়ক সাইমনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন।

 

ইসলামে বাড়াবাড়ি করার প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা

হিজরি সালের ৬ষ্ঠ বৎসরের জিলকদ মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় রওয়ানা হন। ওই সময় মক্কা ছিল কাফেরদের দখলে। ফলে তারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীদেরকে মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করেন। যা ছিল অত্যন্ত বাড়াবাড়ি।

পরে অনেক আলাচনার পর সন্ধি হলো- পরবর্তী বছর সপ্তম হিজরিতে এসে তারা ওমরা পালন করবেন। সে অনুযায়ী সপ্তম হিজরিতে বিশ্বনবি ও তাঁর সাথীগণ ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু সাহাবাদের আশংকা হলো যে, মক্কার মুশরিকরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আক্রমণ চালায়; সে সময় নীরবতা পালন করা মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর হবে না।

যেহেতু জিলকদ মাস যুদ্ধবিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার চার মাসের মধ্যে একটি। সেহেতু মুসলমানগণ অত্যন্ত বিচলিত ছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৯০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন যে, কেবল ওই সব কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে; যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে উদ্যত হয়। আর কোনোভাবেই বাড়াবাড়ি করা চলবে না। অর্থাৎ এ যুদ্ধে নারী, শিশু এবং এমন বৃদ্ধকে হত্যা করো না; যে যুদ্ধে কোনো প্রকার অংশ গ্রহণ করেনি।

অনুরূপভাবে গাছপালা বা ফসলাদি জালিয়ে দেয়া এবং কোনো লক্ষ্য ছাড়াই পশু হত্যা করাও বাড়াবাড়ি বলে গণ্য হবে। যা থেকে বিরত থাকতেই আল্লাহ তাআলা বিধি আরোপ করেছেন। (ইবনে কাসির)
তাছাড়া ইসলামে যুদ্ধের হুকুম হলো- ইসলাম শুধু ওই সব মানুষের সঙ্গে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। আর যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে না বা সাধারণ জনগণ, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

নিরাপরাধ মানুষের ওপর বোমাঘাত, নিরাপদ শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং তাদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস ও অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করার বিধান মানবতা ও ইসলামী যুদ্ধ নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে জনপদ ধ্বংসের মতো বাড়াবাড়ি করতে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ যাদেরকে পছন্দ করেন না, তাদের পরিণাম ভয়াবহ। (মাজহারি)

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীগণের ওমরা পালনের সময় যারা তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে; তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা ছিল এ আয়াতে। নিজেদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো ও বাড়াবাড়ি করার নিষেধাজ্ঞাও ছিল এ আয়াতে।

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াত-

পরিষেশে…
সর্বোপরি কথা হলো- আল্লাহর কাজে যারা পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন-ব্যবস্থার সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের প্রতিরোধ করা ইসলামে সুস্পষ্ট নির্দেশ। আর দুনিয়ার বস্তুগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বা বাড়াবাড়ি করা যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে অযথা কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ির শিক্ষা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর জমিনে তাঁর বিধান কায়েমের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সাধনা করার এবং সমাজে তা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শীতের আগে পরিবর্তিত খাদ্য তালিকা

শীতের হাওয়ার লাগলো নাচন, আমলকির ঐ ডালে ডালে। শীতের আগাম বার্তা চলে এসেছে আমাদের সবার কাছে। এক পা দু পা করে চলে এসেছে শীত। তার সাথে সাথে রুক্ষতা আর শুষ্কতা। তবে এতো কিছুর মাঝেও আছে মজার মজার পিঠা আর রঙিন শাক-সবজি। বছরের এই সময়টাতেই পাওয়া যায় নানারকম শাকসবজি। তাই যারা ডায়েটে থাকতে চান তাদের জন্য এই সময়ের চেয়ে মোক্ষম সময় আর কোনোটাই হতে পারে না। তার সাথে সাথে খাদ্য তালিকায়ও আসে কিছু পরিবর্তন। চলুন জেনে নেই সেসব পরিবর্তন।

ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ভরে গেছে বাজার। আর এসব সবজিতে আছে ভিটামিন সি, ডি, কে ক্যালসিয়াম এবং লৌহ। এগুলো কিডনি রোগিদের জন্য বিশেষ উপকারী খাবার। তবে রান্নার ক্ষেত্রে এগুলোকে বেশি রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই একটু ভাপে রান্না করে পরিবেশন করুন।

এর সাথে সাথে আছে গাজর। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি ত্বক ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন সি, সাইকোপিন, লুটিনসহ আরো অনেক কিছু।

বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে টমেটো কাঁচা খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ফলিক এসিড লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম ও আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ। তাই খাবার তালিকায় টমেটো রাখুন

এই সময়ের আরো একটি খাবারের নাম মুলা। এটি আপনার শরীরের পটাসিয়ামের যোগানদার। ভিটামিন সি এবং কে ছাড়া এতে আছে অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব সবজি রাখা উচিৎ। এসব সবজি মৌসুমি হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই খাদ্য তালিয়ার এসব সবজি রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।

 

চিকেন বারবিকিউ তৈরি করবেন যেভাবে

হালকা শীতের এই সময়টাতে বাড়ির ছাদে অনেকেই করে থাকেন বারবিকিউ পার্টি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি মুখরোচক এমন খাবার, আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। চলুন জেনে নেই বারবিকিউ চিকেন তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ১২ টুকরো মুরগির মাংস, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ৩টা আস্ত লেবুর রস, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মশলা গুঁড়া পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস ছাড়া সব উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো মশলার সঙ্গে মুরগির টুকরোগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এভাবে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কয়লার চুলোয় ২৫-৩০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর মাংসের টুকরোগুলো উল্টিয়ে দিন। পরিবেশন ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন

রূপের এক অবারিত লীলাভূমি কাশ্মীর। এটি ভারতের একটি রাজ্য। যেহেতু কাশ্মীর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত সেহেতু এটি একটি শীতপ্রধান দেশ। কাশ্মীরেরে শাল পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার শীতের সঙ্গে এই অঞ্চলে অবস্থান করা মানুষেরা মানিয়ে নিয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও তাদের পোশাকে আছে নানা বৈচিত্র্য। এক এক স্থানের মানুষের চলাফেরা, পোশাক আর তাদের ফ্যাশনে রয়েছে পার্থক্য। যা তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করছে, তেমনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেও। চলুন জেনে নেই এসব পোশাক এবং এদের ফ্যাশন সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ফিরানা
এটি একটি বিশেষ পোশাক। যা কাশ্মীরী মেয়েরা বিয়েতে পরে থাকে। এটি তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি বাহারি রঙের হয়ে থাকে এবং লম্বায় প্রায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত। এটিতে থাকে জরির কাজ, সঙ্গে এম্ব্রয়ডারি এবং লেসের কাজ। পোশাকটিতে রাখা হয় একের অধিক পকেট।

তারাঙ্গা
এই পোশাকটিতে মাথা, কান এবং সারা শরীর আবৃত করা থাকে। এটি বছরের যে কোনো সময় পরা যায়। মাথার পাতলা কাপড়ের অংশটিকে বলা হয় স্কার্ফ এবং তার ওপরে থাকে নানা রঙের মিশ্রনে তৈরি টুপি। যা পেছনের দিকে কিছুটা হেলানো থাকে। এটি শরীরের আকৃতি নিয়ে থাকে। তবে এই পোশাকটি সব সময় পরা গেলেও এটিকে বেশি দেখা যায় হিন্দু বিয়েতে।

ডিজহারুস
এটি মূলত তাদের সাজের একটি নাম। দু’হাতে নানা রঙের চুড়ি এবং সঙ্গে আঙুলে বাহারি রঙের আংটি আর তার সঙ্গে গলায় নানা রঙের গয়না। আর হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের গলায় থাকে স্বর্ণের মঙ্গলসূত্র। যা থাকে স্বর্ণের চেইনের মাঝে। এটি হিন্দু মহিলাদের স্বামীর দেয়া প্রতীক।

বিশেষ পাগড়ি
এটি একটি বিশেষ পাগড়ি। এটি তাদের পূর্বপুরুষের সম্মান বহন করে। এই পাগড়ি পরা হয় রেশমি কাশ্মীরী শালের সঙ্গে। এই পাগড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলিমরা পরে থাকে। তবে ফ্যাশনের কারণে হিন্দু, মুসলিম সবার কাছেই এটি জনপ্রিয়। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও এটি তারা মাথায় পরে থাকেন। এটি তাদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এটি শুধু পুরুষেরা পরে থাকেন।

গুরগাবিস
এটি বিশেষ ধরনের জুতা। ঠাণ্ডায় এটি তাদের পা যেমন রক্ষা করে তেমনই ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও এর জুড়ি নেই। এটি তারা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও পরে থাকে। এটি বিশেষ কাপড়ের সংমিশ্রণে তৈরি জুতা। এটি কাশ্মীরের মানুষদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

 

সুপারমুনে মগ্ন বিশ্ব

১৯৪৮ সালের পর আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল উজ্জ্বলতম চাঁদ। এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্বের কোটি কোটি চন্দ্রপিপাসু মানুষ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সোমবার পূর্ণিমার রাতে কাছাকাছি এসেছে চাঁদ ও পৃথিবী। সৌর জগতের গ্রহ পৃথিবী ও পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের গড় দূরত্ব তিন লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। আজ সেই দূরত্ব ২৭ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার কমে হয় তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১১ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, কোনো পূর্ণিমার দিনে পৃথিবী ও চাঁদকে এত কাছে শেষ দেখা গিয়েছিল; প্রায় ৬৯ বছর আগে। সেসময় উভয়ের মধ্যে একটু বেশি দূরত্ব কমেছিল; ২৭ হাজার ৯৩৮ কিলোমিটার। পুনরায় এটি দেখা যাবে ৩০৩৪ সালে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যাওয়া সুপারমুনের ছবি…

supermoon
চন্দ্র চলে এসেছে পৃথিবীর কাছাকাছি। ফের এমন দৃশ্য দেখতে হলে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে চন্দ্র পিপাসুদের। তাইতো আনন্দে বুনো উল্লাস দুই চন্দ্র প্রেমিকের।

supermoon
কাজাখস্তানের বাইকোনুরে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ভাস্কর্যের সামনের এই দৃশ্য ধারণ করেছেন এক চন্দ্রপ্রেমিক।

Save

Save

 

সাইকেলে চেপে স্কুলে যাই

শিক্ষকেরা বলেন, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের বারান্দায় যত সাইকেল, সব মেয়েদের। দেখানোর জন্য প্রধান শিক্ষক যাদের সাইকেল আছে, তাদের সাইকেল নিয়ে বের হতে বললেন। বিদ্যালয়ের মাঠে রীতিমতো লম্বা সারি হয়ে গেল। কারও মধ্যে কোনো জড়তা নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্ত-স্বচ্ছন্দ। সাইকেলের সঙ্গে আরও একটি জিনিস বেড়েছে, সেটা হচ্ছে স্কুলব্যাগ। কয়েক বছর আগেও মেয়েরা হাতে করেই বই নিয়ে আসত। বেশির ভাগ মেয়ের সাইকেলে ক্যারিয়ার রয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সময় বইয়ের ব্যাগটা থাকে ক্যারিয়ারে। আবার কেউ ব্যাগ ঘাড়ে নিয়েও সাইকেল চালিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সকালে বিদ্যালয়ের রাস্তায় দেখা গেল এক সাইকেলে দুজন করেও উঠেছে। পথে হয়তো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার সাইকেল নেই। তাকে ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছে।

কথা হয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি খাতুনের সঙ্গে। দরিদ্র পরিবার। বাবা বেঁচে নেই। মা অভিভাবক। মা তাকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন। মুক্তি জানায়, কিছু টাকা কম পড়েছিল, তার মামা দিয়েছেন। সে বলে, ‘হেঁটে আসতে হলে অনেক সময় লাগে। কোনো দিন প্রথম ক্লাস ধরাই যেত না। আবার ভ্যানে আসতে হলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হতো। সময়মতো ভ্যান পাওয়াও যায় না। এখন কোনো ঝামেলা নেই। নিজের খুশিমতো আসতে পারছি।’

একই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির সান্তা খাতুনেরও একই কথা। স্বাধীনমতো চলাফেরা করতে পারছে। সকালে প্রাইভেট পড়ে আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারছে। কোনো দেরি হচ্ছে না। একই রকম বক্তব্য অষ্টম শ্রেণির নীলা রানি, চাঁদনী খাতুন ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুনের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আগে মেয়েরা অনেক দূর থেকে হেঁটে কষ্ট করে আসত। তখন রাস্তাঘাটও ছিল না। যখন রাস্তাঘাট হলো, আমরাও মেয়েদের বাইসাইকেল নিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করেছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বেড়েছে। এটা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে।’

পার্শ্ববর্তী বাউসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন ছাত্রী বাইসাইকেলে চড়ে আসে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বলেন, অভিভাবকেরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। মেয়েরা যে ছেলেদের মতো সব কাজই করতে পারবে, এই আত্মবিশ্বাসটা এই এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

 

আছি অনলাইনে রং নিয়ে

রংই তাদের আনন্দ। রঙের মাঝেই বসবাস। নেশাটাই যখন পেশায় পরিণত হয়, জীবনের আনন্দ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে এই শিল্পীদের খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যানভাসে ছবি আঁকা ছাড়াও রং করছেন টি-শার্টে, ফোনের কাভারে, কুর্তায় এমনকি জুতার ওপরেও। অনলাইন, প্রদর্শনীর মাধ্যমেই বিক্রি করছেন এসব পণ্য। ভিন্ন এই পেশায় মেয়েরা বেশ দাপটের সঙ্গেই এগিয়ে আছেন। তেমনই তিনজন নারীর গল্প নিয়ে লিখেছেন রয়া মুনতাসীর

 

অনিন্দ্য ফয়সল খান

সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। সকালে তাই একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠা হয়েছে। হাজির হলাম জাকিয়া বিনতে ওয়াহাবের বাসায়। সাদা শার্টের সঙ্গে জিনস পরা। রঙের ব্যবহার যে সুযোগ পেলেই করেন শার্টটা দেখে বোঝা গেল। তুলির রং মোছার জন্য শার্টটা ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ফলাফল বেশ ফ্যাশনেবলভাবেই এসেছে। যে টেবিলটায় বসে কাজ করেন তার পাশের দেয়ালটাও পুরোটাই আঁকা। কোথাও লেখা মনের কথা, কোথাও আঁকা পছন্দের নানা কিছু। কোনো এক রাতে বসে বসে এঁকেছেন। পড়ছেন শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে। আঁকাআঁকির প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মানুষের পছন্দ নিয়ে কাজ করি। আমার পছন্দমতো রং করা কোনো কিছু যে আরেকজন পছন্দ করবে এমন নয়। আমি হয়তো দুই পায়ে জুতার দুই পাটিতে দুই রকম নকশা করি, অনেকে অবাক হয়ে যায়। আমাকে কেউ যখন কাজের ফরমাশ দেয়, তাদের পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে কাজটা করে দিই।’
জাকিয়া প্রথম থেকেই গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করতে চেয়েছেন। মুঠোফোনের কাভারে ক্রেতার পছন্দমাফিক ছবি আঁকা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য জিনিসের ওপরে করা কাজও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তালিকায় আছে হেলমেট, দোতারা, দেয়াল, ফ্যান, সিডি ইত্যাদি। ক্যানভাস তো আছেই। রঙের এই যাত্রায় কাজ শিখতে হয়েছে অনেক। প্রথম দিকে তো রংগুলো বসতেই চাচ্ছিল না। ধীরে ধীরে রং টেকসই করার পদ্ধতি বুঝে গেছেন। অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। জাকিয়া মনে করেন রঙের ব্যবহারটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। একটা রঙের সঙ্গে আরেকটা রং মেশানো, নতুন রং পাওয়া খুব ভালো লাগে তাঁর। ফেসবুকের হিজিবিজি পেজে তার আঁকা জিনিসগুলো পেয়ে যাবেন। এই নামটার পেছনের কারণটাও যথার্থ। জাকিয়া একটু এলোমেলোভাবে থাকতেই পছন্দ করেন। কষ্ট হলেও একাই নিজের কাজটা করতে চান। ছোটবেলা থেকে বাবার চাকরির সুবাদে ঘোরা হয়েছে অনেক। ঘুরতে এখনো অনেক পছন্দ করেন। নানা জায়গা, নানা মানুষ, তাদের চরিত্রগুলো নতুন গল্প আঁকার প্রেরণা দেয়।

সারিয়া সাওয়ারো

 

 

প্রিটি শিটির সারিয়া
অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন সারিয়া সাওয়ারো। হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলেন অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহারের কারণে ত্বকে সমস্যা হচ্ছে। তাই বলে তো আর রং করা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। বেছে নিলেন জলরং ও গোয়াশ পেইন্ট। রং করার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই। মাঝে বেশ কিছু বছর রংতুলির ছোঁয়া থেকে একটু দূরেই ছিলেন। গণমাধ্যমে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাজ্যের লা কর্ডন ব্লু প্রতিষ্ঠান থেকে পেসট্রির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। দ্য ফ্লাওয়ারিস্ট নামে একটি বেকারি দোকানও আছে তাঁর। তবে এখন আঁকার ওপরই যেন বেশি ঝোঁক পেয়ে বসেছে। কাজ প্রসঙ্গে সারিয়া বলেন, ‘আমার কাজে পপ কালচার, বিজ্ঞাপন, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো, মানুষের প্রতি আমাদের যে ধারণা বা উপলব্ধি তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।’ সারিয়ার কাজগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে প্রিটি শিটি আর্টের অনলাইন পেজে। এ পর্যন্ত তিনটা একক প্রদর্শনী করেছেন। একটি যৌথভাবে। প্রতিষ্ঠানের নামটা কি একটু অদ্ভুত লাগছে? হেসে জানালেন, প্রথম দিকে করা কাজে রংগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল, তাই প্রিটি। কাজের মধ্যে কিছুটা ভুলভালও ছিল, তাই শিটি। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড লিডার এস বেবিস সিরিজ নিয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি মজা করেই ক্যানভাসে আঁকছেন।
সারিয়ার আঁকার কোনো নির্দিষ্ট স্টাইল নেই। এটাই তাঁর স্টাইল। ২০১৪-এ প্রথম প্রদর্শনী করেন। ঢাকাতেই হয়েছিল। এই মুহূর্তে ‘মাই পেট প্রজেক্ট’ নামের ব্যানারের মাধ্যমে টাকা তুলছেন। কেউ চাইলেই তাদের পোষা প্রাণীটির ছবি আঁকিয়ে নিতে পারবেন সারিয়াকে দিয়ে। তাঁর বদলে সারিয়া ডোনেশন চাচ্ছেন। যেটা সরাসরি চলে যাবে ঢাকার বিভিন্ন প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে। অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যেই কিছু টাকা জমা করতে পেরেছেন।
ছবি আঁকার জন্য ব্যবহার করেছেন টোট ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, জুতা, টি-শার্ট, কোস্টার, পোস্টার, গ্রিটিং কার্ড ইত্যাদি। যেগুলো আগে কখনো ভাবেননি সেগুলোই এখন করছেন। প্রিন্ট মেকিং, কাঠ কেটে ব্লক তৈরি করেছেন। অনলাইন ও প্রদর্শনী এই দুই জায়গা থেকেই ক্রেতারা জিনিস কিনতে পারবেন। তবে কারও ফরমাশ অনুযায়ী কাজ করা হয় না প্রিটি শিটি আর্টে।
অনিন্দ্যর ট্রাঙ্ক
বাবা চাইতেন মেয়ে মেডিকেলে পড়বে। ডাক্তার হবে। অনিন্দ্য ফয়সল খান সেই পথেই হেঁটেছেন। তবে মনটা কিন্তু রঙের কাছেই পড়ে থাকত। ছোটবেলায় দু বছর আঁকার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। বাবা তখন অনুমতি দিয়েছিলেন মেডিকেলে ছবি আঁকার প্রয়োজনেই। পড়াশোনার চাপে এর মধ্যে আর ওপথে যাওয়া হয়নি। বাড়িতেই টুকটাক জিনিসে রং করতেন। কখনো চাদরে, কখনো আবার ফতুয়ায়, কখনো পটারিতে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে বেশ সহায়তা পেয়েছেন। এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেছেন। বর্তমানে নিপসমে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়ছেন। থিসিস করার মাঝে মাঝে একটু ফাঁক পেলেই আঁকতে বসে যান। শুক্রবারটা এই কাজ করেই কাটিয়ে দেন। পুরো সপ্তাহের পড়াশোনার জন্য শক্তি পেয়ে যান। মাধুবানী পেইন্টিং, মেক্সিকান ফোক আর্ট পছন্দ করেন। বেশির ভাগ কাজে সেটারই প্রভাব দেখতে পেলাম। ফেসবুকে ট্রাঙ্ক নামে একটি পেজের মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকেন। তবে পড়াশোনার কারণে অনেক কাজ করা হয়ে ওঠে না।

এ বছর এপ্রিল থেকেই ট্রাঙ্কের যাত্রা শুরু। অনিন্দ্য ফয়সল খান ও লি শান্তা এর উদ্যোক্তা। অনিন্দ্য আঁকেন আর শান্তা নকশার দিকটি দেখেন। অনিন্দ্য বলেন, ‘আমাদের কাজগুলো সম্পূর্ণ হাতের এবং একটু ভিন্ন হওয়ায় দামটা হয়তো বেশি।’ ব্লাউজ, কুর্তা, ক্লিপ ফাইল ইত্যাদির ওপর কাজ করছে ট্রাঙ্ক।

 

সূত্রঃ প্রথম আলো

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save