banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

অবৈধ উপায়ে সম্পদ লাভে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা

আল্লাহ তাআলা রোজার বিধান প্রবর্তন করেছেন আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের জন্য। আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের পর আল্লাহ তাআলা মানুষের অর্থসম্পদের পবিত্রকরণ সম্পর্কে বিধান জারি করেছেন। রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় যেমন পানাহার করা হারাম। ঠিক তেমনি হারাম মাল জীবনে কখনো খাওয়া যাবে না। এমনকি হারাম সম্পদ খাওয়ার কোনো সময়সীমা নেই। তাছাড়া চুরি, খেয়ানত, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, জুয়াসহ কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেনই করা যাবে না। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা হারাম ভক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ

সুরা বাকারার ১৮৮নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা অর্থসম্পদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এ আয়াতে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যার কাছে অপরের কোনো প্রাপ্য থাকে; কিন্তু প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য অধিকারের (সম্পদের) কোনো প্রমাণ থাকে না।’

ফলে এ দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে ওই ব্যক্তি আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচারকের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ফায়সালা সাব্যস্ত করে এবং এভাবে সে প্রাপকের অধিকার হরণ করে নেয়।

এভাবে সম্পদ ভোগ করা জুলুম ও হারাম। এ কথা সর্বজন বিদিত, আদালতের ফয়সালা জুলুম ও হারামকে বৈধ এবং হালাল করতে পারবে না। এ অত্যাচারী ব্যক্তিরা আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। (ইবনে কাসির)

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৭নং আয়াত

পরিষেশে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবৈধ উপায় অবলম্বন না করে বৈধভাবে সম্পদ লাভ এবং জীবন-যাপন করার পাশাপাশি অন্যায়, অত্যাচার, সুদ-ঘুষ, চুরি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

গাজরের হালুয়া তৈরির সহজ উপায়

গাজরের হালুয়া অনেকেরই পছন্দের খাবার। বাজারে এখন গাজরের দেখা মিলছে বেশ। কাঁচা গাজর কিংবা রান্না করে তো খাওয়াই হয়, চাইলে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন গাজরের সুস্বাদু হালুয়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : গাজর-দেড় কেজি (কুচি বা গ্রেট করা), চিনি- দুই কাপ, দুধ- ২ লিটার, এলাচ- ৩/৪ টা, দারচিনি- ২/৩ টা, কাজুবাদাম- ১০-১২টা, ঘি- ৩-৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি : প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিতে হবে। গ্রেট করা গাজর দুধের মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। মধ্যম আঁচে চুলায় নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গাজর নরম হয়। এবার চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ুন। দুধ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। দুধ শুকিয়ে আসলে অল্প আঁচে ঘি দিয়ে একবার নেড়ে দিন। হালুয়া পাত্রের সাইডে যখন আর লাগবেনা আর সোনালি বাদামি রং হবে তখন নামিয়ে নিয়ে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

স্মৃতি বন্দি ফটোফ্রেমে

স্মৃতি বড় মধুর। তবে এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে চাই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড়ে পালানো স্মৃতিকে লাগাম লাগাতে চাইলে বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে। ইদানিং হাতের মুঠোয় থাকা মুঠোফোনে তোলা আপনার ছবি বা সেলফিগুলো সংরক্ষণের বিষয়টিকে করতে পারেন আরো উন্নত। বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে।

জানা যায়, মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস ১৮৩৯ সালে নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। কিন্তু এ যুগে সেলফি বলতে যা বোঝায় সেই ‘সেলফি’ শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। এরপর থেকে বিষয়টির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, স্থান পায় অক্সফোর্ড অভিধানে এবং ২০১৩ সালে বর্ষসেরা শব্দের খেতাবও অর্জন করে ‘সেলফি’।

তবে ছবির প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি মোটেও। নিজের ছবি হোক কিংবা প্রিয়জনের তা দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। আর এই ছবি দিয়ে ঘর সাজাতে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফটোফ্রেম। তবে ফটোফ্রেমের উপর নির্ভর করে আপনার ছবিটি কতটুকু ফুটে ওঠবে। কোন রুমে কি রঙের ফটোফ্রেম ভালো মানায় তা জানাটাও জরুরি। বড় রুমের ক্ষেত্রে কিংবা শোবার রুমের ক্ষেত্রে আপনি নীল, ধূসর, সবুজ রঙ পছন্দ করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ এবং পর্দার রঙের দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি।

ঐতিহ্যবাহী আদলের একটি ঘরে পশ্চিমা ধাঁচের ফটোফ্রেম মোটেও মানানসই নয়। বাড়ির ধরনের উপর নির্ভর করে ফটোফ্রেম পছন্দ করতে হয়। আর বাড়িতে ফটোফ্রেম রাখতে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সামনে কোন জায়গাটি পড়ছে। লম্বা বারান্দা থাকলে তাতে সারিবদ্ধভাবে রাখতে পারেন পছন্দের ফটোফ্রেম। এক্ষেত্রে ছোট ছোট অনেকগুলো ফ্রেম একসঙ্গে রাখতে পারেন কিংবা চার কোনাকৃত্রির লোহার, মেটালের, কাঠের, বাশের, কাগজের, সিরামিক, কাচ, হার্ডবোর্ডের ফটোফ্রেমও ভালো মানাবে।

দামদর
সব ধরনের ফটোফ্রেমের দাম পড়বে ৬০ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর্চিসে কিছু স্টিলের এবং পাথরের কাজ করা ফটোফ্রেম পাওয়া যায়। দাম ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মতো। এছাড়া মিডিয়াম মাপের ফটো অ্যালবাম পাওয়া যাবে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, একটু বড় সাইজ হলে দাম পড়বে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

রেক্সিনের বাঁধাই করা অ্যালবামের দাম পড়বে ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়া প্লাস্টিকের ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। কাচের ভেতরে সিঙ্গেল সাধারণ ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৩০০ টাকা আর ডাবলগুলো দাম ৫০০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া পাথর বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কাচের ওপর স্টিল বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আর ডিজিটাল লাইটিং সিস্টেম ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১ হাজার টাকার মধ্যে।

 

কখন কোন রঙের পোশাক

পোশাকের বেলায় সবার মাথাতেই থাকে রঙের বৈচিত্রের বিষয়। কোন রঙটি বেশি মানাচ্ছে কিংবা যেখানে যাচ্ছে সেই স্থানে ওই রঙে মানাবে কিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে থাকে নানা ভাবনা। আর কেনাকাটার সময় শপিংমলসহ নানা জায়গায় একসঙ্গে অনেক রঙে কাপড় আরো বিপদে ফেলে দেয়। তাই জেনে নিন কোথায় কেমন রঙে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

অফিসের জন্য সাদা, ক্রিম, ধূসর, হালকা গোলাপি, স্কাই ব্লু রঙ বেছে নিতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে বেছে নিতে পারেন হালকা রঙের পোশাক। এছাড়া হালকা রঙে গাঢ় প্রিন্টও পড়তে পারেন।

উপলক্ষ যদি হয় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটানো, তাহলে পড়তে পারেন সাদা, হালকা সবুজ, হলুদ, ক্রিম কালার কিংবা লাল রঙের কোনও শেড। জাকজমকপূর্ণ পার্টির জন্য হালকা মেরুন, গাঢ় ধূসর, ম্যাজেন্টা, সিলভার, বটল গ্রিন, গ্রাঢ় গোলাপি রঙ ভালো মানাবে।

শীতকালে বেছে নিতে পারেন লাল, হলুদ, উজ্জ্বল সবুজ অথবা নীল রঙ। গরমকালে হালকা রঙটাই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। বেছে নিতে পারেন হালকার মধ্যে যে কোন রঙ। যেমন- গোলাপি বা আকাশি।

বর্ষার সময় যে কোন গাঢ় রঙ বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বসন্তে বেছে নিতে পারেন গোলাপি, হলুদ, আকাশি বা সবুজ রঙের পোশাক। রাতে যদি কোনো অনুষ্ঠান হয় তাহলে গাঢ় রঙ ভালো মানাবে। গ্লিটার দেওয়া পোশাকও বেছে নিতে পারেন। আর দিনের কোন অনুষ্ঠানে পড়তে পারেন হালকা রঙের পোশাক। সবচেয়ে ভালো মানায় হলুদ, আকাশি, হালকা কমলা কিংবা হালকা গোলাপি রঙের পোশাক।