banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নায়ক নিয়ে আইসল্যান্ডে ববি

চিত্রনায়িকা ববি এখন বরফের দেশ আইসল্যান্ডে। এ কোনো ব্যক্তিগত সফর নয়। নিজের প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘বিজলী’ ছবির গানের শুটিং করতে ইউরোপের চমৎকার এই দেশটির বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ববি। সঙ্গে রয়েছেন তার হিরো কলকাতার রনবীর। ফুরফুরে মেজাজে সেখানে চলছে ছবিটির গানের শুটিং।

‘বিজলী’ পরিচালনা করছেন নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী। আইসল্যান্ড থেকে ফেসবুকে ‘অগ্নি’ ছবির এই নির্মাতা জানান, ‘খুব ভালো শুটিং চলছে। তবে এখানে তাপমাত্রা অনেক কম। সেকারণে বেশ ঠান্ডায় হ্যানস্তা হতে হচ্ছে। দু’টো গানের শুটিং করছি এখানে। চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরবো।’

‘বিজলী’ ছবিতে ববি-রনবীর ছাড়াও অভিনয় করেছেন শতাব্দী রায়, ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ রুবেল, জাহিদ হাসান, দিলারা জামান, শিমুল খান প্রমুখ।

ববস্টার ফিল্মের ব্যানারে নির্মিত ‘বিজলী’ ছবির নির্মাণ কাজ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ডের বিভিন্ন লোকেশনে। আগামী বছরের শুরুতেই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা যায়।

 

হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে নারীদের জন্য সময় নির্ধারণ

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে সৌদি শুরা অধিবেশনে। দিনের তিনটি সময়ে ২ ঘণ্টা করে ৬ ঘণ্টা নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। খবর সৌদি গ্যাজেট।

হজের সময় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের একটি অংশ হলো হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন করতে না পারলে তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার প্রবল আশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষ সবারই।

হজ ও ওমরা পালনের সময় পুরুষদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেও নারীরা হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে চেষ্টা করে, যা তাদের খুবই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের কথা চিন্তা করেই সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে তাদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে।

সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের ইসলামিক বিষয়ের প্রধান ড. মুযি দাগিসার জানান, নারীদের হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের সুবিধার্থে আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে শুরা কমিটি।

নারীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সৌদি আরবের শুরা কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

হাজরে আসওয়াদ পবিত্র কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত, যা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে স্থাপন করেছিলেন এবং এ পাথরে চুম্বন করেছিলেন।

হাজরে আসওয়াদটি ভেঙে সাত বা আট টুকরায় পরিণত হয়। পরে এটাকে বিশেষভাবে বাঁধানো হয়, যা একটি রুপালি ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত। এ কালো পাথরটি ব্যাস হলো ৭.৯ ইঞ্চি এবং ৬.৩ ইঞ্চি।

নারীদের জন্য এ প্রস্তাবটি যুগোপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। প্রস্তাবটি পাস হলে নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তারা তাদের হৃদয়ের আকুতি সম্পন্নে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে পারবে। হৃদয়ের গভীরে অনুভূত হবে সীমাহীন স্বর্গীয় আত্মতৃপ্তি।

 

স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে স্বামীর দোয়া

বিবাহের পর স্বামীর জন্য করণীয় হলো- বাসরের সময় বা তার আগে স্বামী তার উভয় হাত স্ত্রীর মাথার সামনের দিকে (কপালে) রাখবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে উভয়ের জন্য বরকতের দোয়া করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা বর্ণনা করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে। আর সে যেন বলে-

Doa

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নববিবাহিত স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের মাথায় হাত রেখে এ দোয়ার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শিশুর মানসিক বিকাশে প্রযুক্তির প্রভাব

প্রযুক্তি ছাড়া আমরা অচল। সারাদিনের সব কাজে আমরা প্রযুক্তির কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সঙ্গেই এর সম্পর্ক অতি নিবিড়। কাজের জন্য আমাদের প্রতিদিন একটি দীর্ঘ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। তবে এই প্রযুক্তির আশীর্বাদ আমাদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসতে পারে খুব জলদি। কারণ বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এই প্রযুক্তির কাছে বন্দি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা তাদের সময় ব্যয় করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। সময়ের চাহিদা তাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেললেও পরিবারের উচিৎ তাদের এই সমস্যা থেকে বের করে আনা।

প্রযুক্তি শিশুর জন্য কতটা উপকারী :
প্রযুক্তি আমাদের কাছে আশীর্বাদ। আমরা খুব সহজেই এবং খুব কম সময়েই হাতের নাগালে পাচ্ছি সব তথ্য। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এখন তথ্য-নির্ভরশীলতার জন্য প্রযুক্তি শেষ সম্বল। তারা ক্লাসের পড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রজেক্টর কাজের জন্য তথ্য জোগাড় করে প্রযুক্তি থেকে।

শিশুর একাকিত্বের সঙ্গী প্রযুক্তি। বাইরে যখন খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই তখন এই কম্পিউটার তাদের সম্বল। তাছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি নানাভাবে সাহায্য করে। সে তার পড়ার ক্ষেত্রে ট্যাবের সাহায্যে পড়া পড়তে পারে। অক্ষর একা একা চিনতে পারে। খেলার ছলে বাসায় বসে নিজের পড়া শেষ করতে পারে।

সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট শিশুকে সাহায্য করে নানাভাবে। বাইরের দেশগুলোয় কী হচ্ছে -তা সে জানতে পারে। শিশুকে সামাজিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।

শিশুর বিকাশে প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব :
প্রযুক্তি যেমন বিজ্ঞানের একটি অবিস্মরণীয় আবিষ্কার তেমনি এর ঝুঁকিও অনেক। আর তা যদি হয় শিশুর ক্ষেত্রে, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। একটি শিশু যখন খুব সহজেই হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন পেয়ে যায় তখনই সে নানা খারাপ সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে থাকে। যা তাকে ধীরে ধীরে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।

ইন্টারনেটে অবাধ আনাগোনা তাকে নানা খারাপ সাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়। যাতে তার কোমল মনে শুরু থেকে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে গেম খেলা তাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

দীর্ঘ সময় প্রযুক্তির ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে আনে অনেক সময়। যার ফলে খুব কম বয়সে চোখে কম দেখা শুরু হয়। তাই শিশুকে উচিৎ প্রযুক্তি থেকে দূরে রেখে বই কিংবা পরিবারে সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত করা।

 

ঘর সাজাতে ফুল আর গাছ

ঘরের ভেতর বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট, ফুল এবং আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে পাল্টে দিতে পারেন আপনার ঘরের শোভা ও সৌন্দর্য। তবে যে ঘরের যেমন জায়গা সে অনুযায়ী বাড়িঘর সাজানো উচিত। চার দেয়ালের মাঝে বসবাস করতে গিয়ে সবুজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেকাংশে কমে গেছে। অনেকে আবার শখ করে ছাদে বাগান করে থাকে। আবার বিভিন্ন কারণে হয়তো ছাদেও বাগান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ঘরের ভেতর যদি গাছ ও ফুল দিয়ে সাজানো যায় তবে একটি পরিবেশবান্ধব রূপ ফুটে উঠবে ঘরজুড়ে।

ঘরের ভেতর সবুজের কিংবা প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চাইলে নানারকম ফুল, গাছ, পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। গাছ-ফুল-পাতা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য কোনোভাবেই ফুটে ওঠে না। যেমন ড্রইং রুমের কোনা বা টেবিল ইনডোর প্লান্ট দিয়ে নানা বৈচিত্র্যে ও স্টাইলে সাজানো যেতে পারে। এরসঙ্গে ল্যাম্পশেডও ব্যবহার করতে পারেন।

যেকোনো ঘরের ভেতরে শান্তির পরশ পেতে চাইলে ইনডোর প্লান্টের জুড়ি নেই। আর ঘরের ভেতর রাখা সবুজের ছায়া দেখে মনের ভেতর প্রকৃতির নান্দনিক রূপ যে ফুটে ওঠে এতে নিশ্চয়ই মন যত খারাবই থাকুক, ভালো হয় উঠবেই।

বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এ ধরনের ফুলগুলো দেখতে একেবারেই ন্যাচারাল ফুলের মতো। এখন সব মার্কেটে বড় বড় শপিংমলে আর্টিফিশিয়াল ফুল পাওয়া যায়। তবে গাদাগাদি করে ফুলদানিতে রাখলেই হবে না। সাজাতে হবে ডিফারেন্ট লুক এবং বিভিন্ন স্টাইলে।

৫টা স্টিক এদের ছোট-বড় করে কেটে ফুলদানিতে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে। বিভিন্ন স্টাইলে বিভিন্ন ফুলদানি যেমন রড আয়রনের র্যাক বানিয়ে নিয়ে রাখতে পারেন আবার সিলেটের তৈরি বাঁশের ও শোপিস মার্কেটে পাওয়া যায়। এছাড়া ইচ্ছা করলে আপনি কাঠ দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন ফুলদানি।

ঘর সাজাতে ইনডোর প্লান্ট ও ফুলের কোনো বিকল্প নেই। এটা একদিকে যেমন ঘরের শোভাবর্ধন করে অন্যদিকে আবহাওয়াটাও ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে আর তৈরি হয় একটি মনোরম স্নিগ্ধ পরিবেশ। তাই গাছ, ফুল-লতাপাতা দিয়ে আপনি সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার সুখের ও শান্তির নীড়।

 

এয়ার ফ্রেশনারের খোঁজ-খবর

দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা যে দুটি জায়গায় কাটাই, তা হচ্ছে বাড়ি এবং অফিস। নিজে সতেজ থাকার পাশাপাশি অফিস বা বাড়ির সর্বত্র থাকা চাই সতেজ ও সজীব। আপনার চারপাশ সুগন্ধিত রাখতে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার ফ্রেশনার। এ সব ফ্রেশনার ব্যবহারে ঘর থাকবে সারাক্ষণ ফ্রেশ। যা আপনার মনকে যেমন সতেজ করবে, তেমনি কাজেও আনবে গতি। এসব এয়ার ফ্রেশনার পাবেন বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সের কসমেটিক্সের দোকানে। সুপার শপগুলোতে পাবেন প্রায় সব ধরনের ব্র্যান্ডের এ পণ্য। দরদামও হাতের নাগালের মধ্যেই।

দরদাম : ফে এয়ার ফ্রেশনার সি মিনারেলস ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রজনীগন্ধা প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার ফুল ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড ফ্লোরাল ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, এটিএম হাজার রোম ফ্রেশনার অর্কিড ৭০ গ্রাম ৭২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লাভেন্ডার ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ওজেনিল নিউ হ্যাকার জেসমিন ৫০ গ্রাম ৭০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রোজ প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা।

এয়ার উইক স্টিকআপস ফ্রেশনার সিবি টু ইউনিটস ২৭৫ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার সিট্রাস ব্রুস্ট ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ওডোনিল নিউ এয়ার ফ্রেশ অর্কিড ডিউ ৫০ গ্রাম ৪০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার অরেঞ্জ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ব্ল- ওশান ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ব্রিজ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার মেরিন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, এয়ার উইক এয়ার ফ্রেশনার এল ফিল্ডস ৩০০ মিলি ২২০ টাকা, কনকর্ড এয়ার ফ্রেশনার লাভেন্ডার ৩০০ মিলি ১৮২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লেমন ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার এন্টি টোবাকো ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, প্যারিস এয়ার ফ্রেশনার ৪০০ মিলি ২৬৫ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড লাইট ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার লিলি ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার লেমন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

 

বাড়িতেই তৈরি করুন চিকেন ফ্রাইড রাইস

ফ্রাইড রাইস বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এটি বেশ খুশিমনে খায়। আর তার সঙ্গে একটু বাড়তি স্বাদ আর পুষ্টি যোগ করতে মিশিয়ে নিন চিকেনও। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে চিকেন ফ্রাইড রাইস। সবসময় রেস্টুরেন্টের ওপর নির্ভর না করে বাড়িতেই ঝটপট তৈরি করে নিতে পারেন এই সুস্বাদু রেসিপিটি-

উপকরণ : পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, চিকেন কুচি ১ কাপ, গাজর, মটরশুটি, বরবটি কুচি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, ফুলকপি কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা-রসুন কুচি ১ চা চামচ, দারুচিনি-এলাচ ২-৩ টুকরা, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ডিম ২টি, তেল-বাটার আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল দিন। চাল হাল্কা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভাত যেন শক্ত থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মাংসের কিমা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে হাল্কা ভাপ দিয়ে নিন। ডিম ফেটে গরম তেলে ঝুরি ভেজে নিন। এবার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা-রসুন হাল্কা বাদামি করে ভেজে মাংসে কিমা দিয়ে নেড়ে কষাতে থাকুন। সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ভাজা ভজা হলে রান্না করা ভাত ও সেদ্ধ করা সবজি, কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ২-৩ মিনিট ভেজে সয়াসস, ওয়েস্টার সস, পেঁয়াজপাতা, ডিম ঝুরি ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মজাদার চিকেন ফ্রাইড রাইস।

 

জুতার অদ্ভুত সব ফ্যাশন

জুতার ব্যবহার সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই। তখন মানুষ তাদের পা বাইরের পাথর, কাটা, ময়লা-আবর্জনা থেকে বাঁচাতে গাছের গুঁড়ির কিংবা পাতা দিয়ে পায়ে একটি আবরণ তৈরি করতো। যা নানা অবস্থার ভেতর দিয়ে এসে রূপ নিয়েছে বর্তমানের জুতায়। এখন অবশ্য শুধু পদযুগলকে সুরক্ষা করতেই নয়, ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও জুতার তুলনা নেই। তবে এই ফ্যাশনেও আছে নানা ধরন। স্বাভাবিকভাবে নানা ফ্যাশন থাকলেও এতো কিছুর ভিড়ে আছে অদ্ভুত কিছু ফ্যাশন।

হ্যামবার্গার নাইকি স্নিকার শু : হ্যামবার্গার নাম শুনলেই মাথায় ঘুরতে থাকে চিজ, মাংশ আর রুটির এক অপরূপ সংমিশ্রণ। কিন্তু কখনো কি জুতার কথা মাথায় আসবে? তবে এমন জুতাও আছে। যদিও এর নাম শুনে এবং দেখলে আমার খেতে ইচ্ছে করবে কিন্তু এটি খাওয়া অসম্ভব।

রিভার্জ হিল শু : নিজেকে কিছুটা লম্বা দেখতে কিংবা শাড়ির সাথে হিল পড়তেই হয়। তাই বলে উল্টো হিল? হিল পুরোনো ফ্যাশন হলেও এই দিক থেকে এটি একদম নতুন।

লেগিন্স শু : লেগিন্স নাম শুনলেই আপনার মাথায় প্রথমে যা ঘুরবে তা হচ্ছে জামার সাথে পরিধেয় পাজামা ধরনের একটি অংশ। তবে কি এই জুতা লেগিন্স দিয়ে বানানো? না তবে এটি লেগিন্সের সাথে সংযুক্ত। যার কারণে আপনি জুতা এবং লেগিন্স এক সাথে পরতে পারবেন।

গ্যাজেট শু :  গ্যাজেট শব্দটি শুনলেই মাথায় আসে নানা ইলেকট্রনিক সামগ্রি তথা। তবে এটি এসব দিয়ে তৈরি না হলেও এতে আছে এ্যালার্ম, ঘড়ি এবং ডিজিটাল ক্লক এর সুবিধা। যা আপনাকে নানা ভাবে সাহায্য করবে।

ব্যানানা শু : হাজারজোড়া পায়ের মাঝে দুটি কলা। দেখতে অদ্ভুত হলেও দিব্যি মানিয়ে যাবে ফ্যাশনপ্রেমীদের পায়ে। ঠিক কলার মতো দেখতে এবং রঙের দিক থেকে একই ধরনের এই জুতাব্যানানা শু নামেই সুপরিচিত।

 

সাহসী এক শারমিনের কথা

‘সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিউরে উঠি। বয়স কম হলেও এটুকু বুঝতে পারছিলাম, আমার ওপর যা হচ্ছে তা পুরোপুরি অন্যায়। আমার মায়ের ইচ্ছায়, পৃষ্ঠপোষকতায় সেই অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। একে তো আমার বিয়ের বয়স হয়নি। হঠাৎ মা একদিন বললেন, “এই ছেলে তোর স্বামী, এখন থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে তোকে!” নিছক কৌতুক করে তিনি এটা বলেননি। সত্যি সত্যিই বলেছিলেন। সে মতো কাজও করলেন। আমাকে ওই ছেলের সঙ্গে একটি ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেন। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে আটকেও রাখলেন। কিন্তু আমার তো বিয়ে হয়নি। বিয়ের বয়সও হয়নি। বিয়ের আয়োজন হয়নি, কবুল বলিনি, কোনো কাগজে সইও করিনি। কীভাবে এটা হলো। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।’ কথাগুলো শারমিন আক্তারের, যার বয়স মাত্র ১৪। সে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
৭ নভেম্বর যখন কথা হচ্ছিল শারমিনের সঙ্গে, তখন তার এই অভিজ্ঞতার কথা যেন থামে না। সে বলে, ‘আমি বিয়ের ব্যাপারে শুরুতেই মাকে না করে দিই। কিন্তু মা কিছুতেই এটা মানেননি বরং চাপ প্রয়োগ করেছেন। শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি কী করব, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাবা বিদেশে থাকেন। কার কাছে যাব, কী করব, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। একবার চিন্তা করি আত্মহনন করে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্ত হব। আবার ভাবি, এটাও হবে হেরে যাওয়া।’
কিন্তু হেরে গেলে তো চলবে না। তাই এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে শারমিন। ‘সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক আমাকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরপর নিজে থেকেই সাহসী হলাম। একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানাই। এরপর চলে যাই সরাসরি থানায়। মা আর ওই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে শারমিন। মা গোলেনূর বেগম। কবির হোসেন সৌদিপ্রবাসী হওয়ায় শারমিনকে নিয়ে তার মা গোলেনূর রাজাপুর শহরের থানা সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসের কথা। শারমিন তখন রাজাপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মা গোলেনূর এই বয়সেই শারমিনের বিয়ে ঠিক করেন প্রতিবেশী স্বপন খলিফার (৩২) সঙ্গে। শারমিন মায়ের এই সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এতেও টলেনি সে। পরে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। এতেও রাজি না হওয়ায় একদিন ওই ছেলেকে (স্বপন) বাড়িতে এনে শারমিনকে তার মা বলে দেন, ‘এই ছেলে তোর স্বামী। ওর সঙ্গে তোর বিয়ে হয়েছে। এখন ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে।’ মায়ের কথা শুনে শারমিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। স্কুলে আসা বন্ধ করে বাসার মধ্যে আটকে রাখা হলো তাকে। বাইরে গেলেও ছিল কড়া নজরদারি।
২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। শারমিনকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তার মা খুলনায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে তোলেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্বপন। রাতে শারমিনকে ওই বাসায় স্বপন খলিফার সঙ্গে এক কক্ষে থাকার জন্য তার মা চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে সম্মত না হওয়ায় মারধর করে তাকে (শারমিন) জোর করে স্বপনের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ৭ আগস্ট সকালে শারমিন ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনের পিছু নেন। পিরোজপুরে এসে কথিত স্বামী স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনকে ধরে ফেলেন এবং বাস থেকে নামিয়ে রাজাপুরে নিয়ে যান। এখানে এনে শারমিনদের থানা সড়কের বাড়িতে আটকে রাখেন।
১৬ আগস্ট এই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে সহপাঠী নাদিরা আক্তারের বাড়িতে যায় এবং সব খুলে বলে। এরপর দুজনে মিলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় সরাসরি ওই দিন রাতে রাজাপুর থানায় হাজির হয়। মা ও কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরে পুলিশ শারমিনের মা গোলেনূর বেগম ও কথিত স্বামী স্বপন খলিফাকে গ্রেপ্তার করে। আর তাকে ঝালকাঠির জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শফিকুল করিম তার দাদি দেলোয়ারা বেগমের জিম্মায় দেন। এরপর থেকে সে দাদির কাছে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। শারমিনের এই সাহসিকতার জন্য স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে তাকে স্বর্ণকিশোরী পুরস্কার দেয়।
এখন লক্ষ্য কী? শারমিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলে, ‘আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা আছে। আর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে চাই।’
তার দাদি দেলোয়ারা বেগম এখন শারমিনকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকেন। সবুজ ছায়াঘেরা সত্যনগর গ্রামে তাদের বাড়িটা বেশ নির্জন-নিরিবিলি। দেলোয়ারা বেগম বললেন, ‘ওরে নিয়া খুব চিন্তা আমার। প্রতিদিন স্কুলে নিয়া যাই, আবার সঙ্গে নিয়া আসি। বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে যাই। ওর জীবনটা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল ওর মা। খুব সাহস করে একাই এর প্রতিবাদ করেছে। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এখন সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করে। আমরাও গর্বিত।’
শারমিনকে সাহায্য করেছিল সহপাঠী নাদিরা আক্তার। সে বলল, ‘ভালো লাগছে ওর দুঃসময়ে আমি পাশে ছিলাম।’
সত্যনগর গ্রামের ছোট্ট খালের পাড় ধরে ফেরার সময় পশ্চিমাকাশে গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ছিল। কুয়াশায় ধূসর হয়ে উঠছিল সবুজ গ্রাম। তখনো কানে বাজছিল শারমিনের সাহসিকতার গল্প।