banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নারীর নাক, কান ছিদ্র করা : কী বলে ইসলাম

নারীদের নাক ও কানে অলংকার পরা হাতে চুরি পরা ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের বিধান কী বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো

নারীদের জন্য পায়ে বাজনাদার অলংকার (নুপুর, ঝুমকা ইত্যাদি) পরা না জায়েজ। এছাড়া শরীরের অন্য কোন অঙ্গে বাজনাদার অলংকার না পরা উচিৎ। আর কানে দুল পরা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। এর মাধ্যমে কান ফুটানোর বিষয়টাও প্রমণিত হয়। নাকে নাকফুল পরা এবং এর জন্য নাক ফুটানো অনেক স্কলার নিকট না জায়েজ। তবে এই বিষয়ে শরীয়তে কোন প্রকার নিষেধ নেই। নারীদের হাতে চুরি হিসেবে কাঁচ, পাথর ও রূপাসহ সব ধরনের অলংকার পরা জায়েজ আছে। [ আযীযুল ফাতাওয়া ৭৭১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শিশুর মেধাবিকাশে মা-বাবার করণীয়

নতুন একটি শিশু যখন পৃথিবীতে আসে, সবকিছুই থাকে তার অচেনা। সে তাই শেখে, যা সে দেখে। তাই প্রথম সবকিছুই শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কিছু বছরের কার্যকলাপের উপরে ভিত্তি করেই শিশুর পরবর্তী জীবনের বুদ্ধিমত্তা নির্ধারণ হয়। অনেকে হয়তো ভেবে থাকেন, এই সময় শিশুর মেধাবিকাশের জন্য তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটু অবহেলাই শিশুর পরবর্তী জীবনের বড় কোনো মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই শিশুর প্রথম বছরে বাবা-মা তার বিকাশে কীভাবে অবদান রাখতে পারেন-

*শিশুর সাথে প্রতিদিন অনেকটা সময় জুড়ে বারবার কথা বলুন, গল্প করুন। শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।

*শিশুকে বিভিন্ন রকমের গল্পের বই পড়ে শোনান, ছড়া পড়ে শোনান।

*শিশুর নাম ধরে বারবার ডাকুন। তাকে বিভিন্ন সাধারণ কথায় অভ্যস্ত করে তুলুন। এতে শিশু মূল ব্যবহৃত শব্দগুলো সহজেই অতিদ্রুত আয়ত্ব করতে পারে।

*যদি দেখা যায় যে আপনার সন্তান কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বারবার আনন্দিত হচ্ছে কিংবা নিজের উৎফুল্লতা প্রকাশ করছে তবে নিয়ে শিশুর সাথে কথা বলুন বারবার। যেমন অনেক সময় শিশুরা নির্দিষ্ট কোন খেলনা, কোন মিউজিক বা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেখলে আনন্দ পায়। এর প্রক্রিয়া যাতে সবসময় আপনার সন্তানের সাথে ঘটে সেদিকে নজর দিন।

*শিশু কী বলতে বা কী বোঝাতে চাইছে তা যথেষ্ঠ সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না বলে অযথা রাগ করবেন না বা ধৈর্য্য হারাবেন না। এতে শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

*শিশুর চোখের সামনে সবকিছু রঙিন রাখতে চেষ্টা করুন। রঙ্গিন কাগজ, রঙ্গিন খেলনা এসব শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে বেশ সাহায্য করে।

 

একসঙ্গে গাইবেন আসিফ-মোনালি

প্রথমবার একসঙ্গে গাইবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর এবং ভারতের মোনালি ঠাকুর। তারা দুজনে একসঙ্গে গাইবেন ‘দোস্ত দুশমন’ ছবিতে। ছবিটি নির্মাণ করছেন বি কে আজাদ।

‘দোস্ত দুশমন’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন জয় চৌধুরী এবং রোমান নীর। আসিফ-মোনালির গান গাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন জয় চৌধুরী নিজেই।

তিনি জানান, সম্প্রতি তাদের গাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। খুব শিগগির রেকর্ডিং হবে।

বিগ বাজেটে নির্মিত হবে ‘দোস্ত দুশমন’। ছবিতে জয়-নীর ছাড়াও অভিনয় করবেন ভারত-বাংলাদেশের অনেক বড় মাপের তারকা। বাংলাদেশের এ. কে প্রোডাকশন ও কলকাতার জুপিটার ফিল্মস যৌথভাবে বিগ বাজেটে ‘দোস্ত দুশমন’ ছবিটি নির্মাণ করছে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় ছবিটির শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন জয় চৌধুরী।

 

৫টি অভ্যাস কর্মক্ষেত্রে আপনার দুরাবস্থার কারণ

কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে আমাদের অনেকেরই খুব সমস্যা হয়। সারাদিন হয়ত কাজ করছেন আপনি ঠিকই, তবু কাজের সাথে কোন সংযোগ অনুভব করছেন না। প্রশ্ন করলে আপনি হয়ত অফিসের কাজের পরিবেশকে দোষারোপ করছেন। অথবা বসের রূঢ়তার প্রসংগ তুলছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর কোনটাই সমস্যা নয়। সমস্যা হল আপনারই কিছু অভ্যাস যা আপনার অজান্তেই আপনার দুরাবস্থার কারণ। মিলিয়ে নিন অভ্যাসগুলো-
তুলনা করার মানসিকতা
আপনি সবসময় নিজের সাথে অন্যদের তুলনা করেন। বন্ধুদের তুলনায় নিজের অবস্থান আপনার কাছে ক্ষুদ্র লাগে, আবার যোগ্যতার দিক থেকে আপনার মনে হয় তাদের চেয়ে আপনি অনেক এগিয়ে। অফিসের কলিগদেরকেও কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ মনে করেন আপনি। কাজ করার সময় আপনার মনে হতে থাকে অন্যদের তুলনায় বেশী কাজ করতে হচ্ছে আপনাকে।
 
বসকে শ্রদ্ধা না করা
আপনার বস যদি মাদার তেরেসার মত উদার না হন, আব্রাহাম লিঙ্কনের মত নেতা না হন আর স্টিভ জবস এর মত জিনিয়াস না হন তাহলে আপনার মনে হতে থাকে তিনি কোনদিক থেকে বস হওয়ারই যোগ্যতাই রাখেন না। তার অনুগত হয়ে কাজ করতে আপনার ভাল লাগে না। তাহলে অফিসের কাজ আপনার কিভাবে ভাল লাগবে বলুন তো!
 
কলিগদের অপদার্থ মনে করা
আপনার কলিগদেরকেও অপছন্দ করেন আপনি। যোগ্যাতায় তারা আপনার সমান বা বেশী হলেও আপনি তাদের কোন ভাল কাজ দেখতে পান না, দেখতে পান না কোন গুণ। ফলে তাদের সাথে কাজ করে আপনি শান্তি পান না। আপনি তাদের কোন পরামর্শ গ্রহণ করেন না। কোন টিমওয়ার্ক তৈরি হয় না। ফলে আপনার কাজের সম্পূর্ণ চাপ আপনাকে নিতে হয় এবং একই সাথে অফিসে দীর্ঘসময় নিজের মত থাকা আপনার মাঝে বিষণ্ণতা তৈরি করে।
যারা চাকরি অপছন্দ করেন তারাই আপনার বন্ধু
আপনি যখন খাবার খেতে বসেন তখন তাদের সাথেই বসেন যারা আপনার মতই চাকরিটিকে অপছন্দ করেন। ফলে সবাই মিলে আপনারা চর্চা করেন নেতিবাচকতার। একটি আড্ডা সেটি যদি সম্পূর্ণই হতাশাকেন্দ্রিক হয়, তা আপনার মানসিকতাকেও হতাশ করে দেয়। আপনি একটা কৌতুক শোনালে যেমন বন্ধুদের পুরো দলটি হেসে উঠতে পারে তেমনি আপনার বলা একটা দুঃসংবাদই যথেষ্ট এক দল মানুষের মাঝে দুঃখবোধ ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই আপনি যদি দল বেঁধে অপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে আক্ষেপ বেড়ে যাওয়া ছাড়া কিছু কিন্তু হবে না।
সবসময় প্রশংসার অপেক্ষা করা
আপনি যে কাজটিই করুন না কেন আপনার মনে হতে থাকে কোম্পানিতে এত ভাল কাজ আগে কেউ কখনো করেন নি। অথবা আপনার কাজটি এতই বিশেষ যে এটি প্রশংসার দাবিদার। আমাদের প্রতিটি শ্রমই প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু সব সময় আমরা আশানুরূপ প্রশংসা পাই না। কারণ অন্যদের কাজ আমাদের চেয়ে ভালও হতে পারে। আবার বসের আপনার প্রশংসা করা ব্যাতিত আরও অন্য কাজ থাকতে পারে। তাই কাজ করে যান, সেটাকে হাইলাইট করুন। অবশ্যই আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

কর্ন মাঞ্চুরিয়ান ফ্রাইড রাইস

ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ভাত দিয়ে সহজেই ভাত ভাজা করে ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়া যায়। তবে এর সাথে থাকতে হয় কোনো না কোনো পদ। সেটা হোক ডিমভাজি অথবা সবজি। চাইনিজ ধাঁচের ফ্রাইড রাইসের সাথে মানানসই, হালকা ও স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে তৈরি করতে পারেন কর্ন মাঞ্চুরিয়ান ফ্রাইড রাইস। এর সাথে দরকার হবে না কোনো আনুষঙ্গিক সবজি বা তরকারি।
কোটাবাছার সময়: ২০ মিনিট
রান্নার সময়: ৩০ মিনিট
পরিবেশন: ৪ জন
উপকরণ
কর্ন মাঞ্চুরিয়ানের জন্য
– সোয়া এক কাপ সুইট কর্ন গ্রেট করা
– ২ টেবিল চামচ ময়দা
– ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
– ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
– ১টা বড় কাঁচামরিচ কুচি
– ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
– লবণ স্বাদমতো
– ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
ফ্রাইড রাইসের জন্য
– সোয়া এক কাপ ভাত
– ৩টি পিঁয়াজকলি কুচি
– ১টি ছোট গাজর মিহি কুচি
– ১টি ছোট ক্যাপসিকাম মিহি কুচি
– ৩ কোয়া রসুন মিহি কুচি
– ২টি শুকনো মরিচ, ভেঙ্গে নেওয়া
– আধা চা চামচ সয়া সস
– ১ চা চামচ ভিনেগার
– আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
– লবণ স্বাদ মতো
– ১ টেবিল চামচ তেল
প্রণালী
১) মাঞ্চুরিয়ান ভাজার জন্য কড়াইতে তেল গরম হতে দিন। এই সময়ের মাঝে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন সুইট কর্ন, কাঁচামরিচ, আদা-রসুন বাটা, ধনেপাতা, লবণ, ময়দা এবং কর্ন ফ্লাওয়ার। ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। সোনালি করে ভেজে তুলুন। তেল ঝরিয়ে রাখুন।
২) অন্য একটি পাত্রে ফ্রাইড রাইসের জন্য তেল গরম করে নিন। এতে রসুন দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে নিন। এরপর এতে শুকনো মরিচ এবং পিঁয়াজকলির সাদা অংশটি দিন। বেশি আঁচে টস করে ভেজে নিন এগুলো। ভাজা ভাজা হয়ে এলে এতে গাজর এবং ক্যাপসিকাম দিন। ৭-৮ মিনিট ভেজে নিন। ক্রমাগত নাড়ুন যাতে পুড়ে না যায়। এরপর লবণ, ভিনেগার, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩) এতে কর্ন মাঞ্চুরিয়ান দিয়ে দিন। টস করে মাখিয়ে নিন। সবশেষে ভাত দিয়ে দিন এতে। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে পুরো ভাতে মশলা ও মাঞ্চুরিয়ান মিশে যায়। লবণ চাখুন ও দরকার হলে আরেকটু দিন। আঁচ বন্ধ করে ফেলুন।
এবার ওপরে পিঁয়াজকলির সবুজ অংশ দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস
– ফ্রিজে রাখা বাসি ভাত ব্যবহার করতে পারেন
– এতে কুচি করা সিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি দিতে পারেন পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য

 

বাজারে এল নানান ব্র্যান্ডের নতুন হ্যান্ডব্যাগ কালেকশন

হ্যান্ডব্যাগ এখন নারীদের কাছে অন্যতম একটি ফ্যাশন আইটেম। অনেকের কাছে এটি আবার বেশ শৌখিনও বটে। নিজের আউটফিটকে সম্পূর্ণ করতে কিংবা নিজেকে হাইলাইট করতেও হ্যান্ডব্যাগের ভুমিকা অনেক। বড় কোন অনুষ্ঠান কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় হ্যান্ডব্যাগ যথেষ্ট ক্লাসিক হওয়া চাই।

তবে যতই ফ্যাশনের আইটেম বলা হোক না কেন, বিভিন্ন কাজের জন্য এই হ্যান্ডব্যাগ নারীদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণও বটে। সুতরাং কাজের ধরণ এবং ফ্যাশন আইটেম হিসেবে যথাযথ হ্যান্ডব্যাগ বেছে নেওয়াটাও জরুরি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এই ফ্যাশন আইটেমটি।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ
ক্লাসিক স্টাইল হিসেবে শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ সবার হাতেই বেশ ভাল মানায়। যখনই আপনি শ্যানেলের কোন হ্যান্ডব্যাগ দেখেন কিংবা আপনি আপনার জন্মদিনে উপহার হিসেবে এটি পান তখনই আপনার মুখে স্বভাবতই একটি খুশি খুশি ভাব চলে আসে। কারণ আর কিছু নয়, এটি সবার হাতেই ভাল মানায়।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ বাজারে এসেছে একশ বছরেরও আগে। কিন্তু এটা কখনও ফ্যাশনের বাইরে চলে যায়নি। শ্যানেলের ফ্যাশন ডিজাইনাররা প্রায় সময়েই নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করছেন। কিন্তু তারা তাদের মূল ডিজাইনটি বজায় রেখেছেন। এছাড়া এই ব্যাগগুলো ক্যাজুয়্যাল কিংবা ক্লাসিক সব স্টাইলের জন্যই মানানসই।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগগুলো অনেক ক্লাসিক এবং অনেক রকমের আকর্ষণীয় উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। এছাড়া একই রকমের ব্যাগ বিভিন্ন স্টাইল ও সাইজে পাওয়া যায়। ব্যাগগুলো ক্যাজ্যুয়্যাল লুকের জন্য এবং সন্ধ্যার পার্টির জন্য বেশ উপযুক্ত। তরুণী ও রমণীদের জন্য মানানসই।

ওয়াইএসএল হ্যান্ডব্যাগ
ইফস সেইন্ট লরেন্ট (সংক্ষেপে ওয়াইএসএল) ব্র্যান্ডটির নতুন চেইনের হ্যান্ডব্যাগগুলো নারীদের জন্য সবচেয়ে ক্লাসিক। এ ব্যাগগুলো নিয়ে যেতে পারবেন যে কোন ইভেন্ট কিংবা অফিসে। জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্লগারদের কাছেও প্রিয় এই হ্যান্ডব্যাগটি। কারণ এটি চাইলে যে কোন আউটফিটের সাথেই মানিয়ে পরতে পারবেন। এছাড়া এই হ্যান্ডব্যাগ আপনার সম্পূর্ণ গেটআপকে করবে আরও আকর্ষণীয় এবং স্টাইলিশ।

ওয়াইএসএল তাদের হ্যান্ডব্যাগগুলো বিভিন্ন কালার এবং সাইজে নিয়ে এসেছে। যেমনঃ সাদা, ব্লাশ পিংক, কালো, ধূসর এবং বারগান্ডি কালারে এটি পাওয়া যাবে। এতে করে বিভিন্ন রঙের পোশাকের সাথেও মানিয়ে পরতে পারবেন। যেমনঃ সাদা কটন শার্ট, ডেনিম জিন্স এবং ক্লাসিক হিলসের সাথে এই ব্যাগ নিয়ে আপনি যে কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য খুব দ্রুত প্রস্তুত হয়ে যেতে পারবেন।

জিভেনচি হ্যান্ডব্যাগ
সব সময়ের জনপ্রিয় এই হ্যান্ডব্যাগটি আপনি প্রায় সব রকম পোশাকের সাথেই নিয়ে বের হতে পারবেন। বর্তমান সিজনে বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে এই হ্যান্ডব্যাগটি। এছাড়া ফ্যাশন ব্লগারদের কাছেও এটি এখন বেশ প্রিয়।

ক্যাজুয়াল স্পোর্টি লুকের জন্য পরতে পারেন সাদা বাটন ডাউন শার্টের ওপর বেইজ অথবা ধূসর রঙের ট্রেঞ্চ কোট এবং এর সাথে কালো ট্রাউজারস অথবা এডিডাস সুপারস্টার। এমন আউটফিটের সাথে বেছে নিতে পারেন কালো জিভেনচি হ্যান্ডব্যাগ। তবে শুধু কালোই নয়, বিভিন্ন রঙে পাওয়া যাবে জিভেনচির নতুন এই হ্যান্ডব্যাগ কালেকশনটি। এর মধ্যে আছে কালো, বেইজ, নুডস, ট্যান এবং প্যাস্টেল।

প্রাডা হ্যান্ডব্যাগ
বিখ্যাত ইতালিয়ান ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রাডা ফ্যাশন বিশ্বে তাদের যাত্রা শুরু করে একশ বছরেরও আগে এবং এখন পর্যন্ত তারা বিশ্বজুড়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রেখেছে। প্রাডা’র হ্যান্ডব্যাগগুলো প্রাডা’স ফ্যাশন হাউজে তৈরি অন্যতম সেরা আইটেমগুলোর মধ্যে একটি। অন্যান্য ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর সাথে প্রতিযোগিতার জন্য প্রত্যেক সিজনের জন্যই তাদের ফ্যাশনেবল কালেকশন আছে।

অন্যান্য সবসময়ের মতো এবারও তাদের হ্যান্ডব্যাগগুলোর ডিজাইন বেশ মার্জিত এবং স্টাইলিশ। বিভিন্ন আউটফিটের সাথে এগুলো নেওয়া যাবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। যেমনঃ প্রাডা’র ছোট সাইজের কালো, সিলভার ও বেইজ কালারের হ্যান্ডব্যাগগুলো সন্ধ্যার পার্টির জন্য ভাল মানানসই। আবার বড় সাইজের হ্যান্ডব্যাগগুলো সারা দিনের কাজের জন্য উপযুক্ত।
প্রাডা’র বড় সাইজের হ্যান্ডব্যাগগুলো তরুণীদের কাছে বেশি প্রিয়। কারণ এগুলো সাইজে বড়, অনেক রকমের কালারে পাওয়া যায় এবং এগুলো চাইলে হাতে অথবা কাঁধেও বহন করা যাবে।

গুচি ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ
কিছু দিন পরপর সম্পূর্ণ নতুন এবং অপ্রত্যাশিত আইটেম বাজারে নিয়ে আসার জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছে বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুচি। তাদের সংগ্রহে এবার যোগ হল ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ। এক এক রকম শোল্ডার ব্যাগ এক এক রকম কাজের জন্য বিশেষভাবে মানানসই। নিচে এর কয়েকটির বিবরণ দেওয়া হল।

‘ডায়োনাইসিস জিজি সুপ্রিম ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ’ বর্তমান সিজনের ফ্যাশন ট্রেন্ডগুলোর একটি। এটা একই সাথে ক্যাজুয়াল এবং ক্লাসিক। ব্যাগটি নিয়ে আপনি এক মিনিটেই চলে যেতে পারবেন স্মার্ট ক্যাজুয়াল লুকে।

‘বস্টন গুচি হ্যান্ডব্যাগ’ যেন কখনও পূর্ণ হয় না। আপনি আপনার দরকারি জিনিসপত্র সবসময় এতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। কারণ এতে রয়েছে এর জন্য যথেষ্ট জায়গা।

‘গুচি নুড স্টুডিও ক্রস-বডি ব্যাগ’ একটি ক্লাসিক এবং স্টাইলিশ ব্যাগ। যে কোন সময় আপনি এই ব্যাগ নিয়ে বের হতে হতে পারেন যখন আপনার খুব বেশি জিনিসপত্র সাথে না রাখলেও চলে।

ব্যাগটি কয়েক কালারে পাওয়া যায়, যেমনঃ জিজি ব্ল্যাক, জিজি নুড এবং গুচির নিজস্ব স্টাইলে।
‘গুচি মনোগ্রামড ক্যানভাস লেদার ট্রাভেল ব্যাগ’ যে কোন জায়গায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং ভ্রমনের জন্য একটি স্টাইলিশ আইটেম।

Save

Save

 

নারী হয়ে আমরা উদ্বিগ্ন !

নিস্তব্ধ শহর। মিটিমিটিয়ে তারারা জ্বলছে। সবাই ঘুমের ঘরে। আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না। বার বার চেষ্টা করেও না। চিন্তিত মন, উদ্বিগ্ন ভাবনা। কত সস্তা মানুষের জীবন। কত সহজ এক মানুষের উপর অন্য মানুষের বর্বরতা চালানো। কত সহজ হত্যা চেষ্টা করা, হত্যা করা!

সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ব্লগে ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাস বা ছবি কারও অপছন্দ হলেই শুরু হয় অশ্লীল মন্তব্য করা। হুমকি দেওয়া, হত্যা করার হুমকি! এমনকি চাপাতির আঘাতে হত্যার ষড়যন্ত্রও…! নাম-ঠিকানা ধরে ধরে হত্যা।

কখনও রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যা। কখনও ধর্মের ফতোয়া দিয়ে লেখক-ব্লগার, শিক্ষক, পুরোহিতকে হত্যা। কখনও গাড়ির চালকের অবহেলায় সড়কে হত্যা। কখনও ছেলের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে বাবা’র গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা। কখনও বাবা-মা’র পরকীয়ার টানে নিজ সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা। আবার কখনও তনু-মিতুর জীবন কেড়ে নেয় পরিকল্পিতভাবে হত্যার মাধ্যমে।

রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ওবায়দুল নামের এক বখাটে। পরবর্তীতে তার উদ্দেশ্য সফল হয়, কারণ ছোট্ট রিশা এই বর্বর সমাজের কিছু বর্বর মানুষদের হাত থেকে বাঁচার জন্য অন্য জীবনে চলে যায়। বহু স্বপ্ন নিয়ে আসা রিশার মৃত্যু হয়। ‘আমি রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলাম; কিন্তু সে আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তাই তাকে ছুরিকাঘাত করি’ এই স্বীকারোক্তি করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে রিশার হত্যাকারী ওবায়দুল।

এদিকে সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আড়াই শ’ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনে কলেজ চত্বরে সকল বন্ধুদের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে জঙ্গি মনমানসিকতা নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বদরুল আলম নামের আরেক বর্বর। এখানেও প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সে খাদিজাকে কুপিয়েছে মর্মে আদালতে স্বীকার করে।

হত্যাগুলো কত অদ্ভুত আর কত সহজ। মতের অমিল হলেই ব্লগারদের হত্যা! বিশ্বাসের অমিল হলেই ধর্মগুরু কিংবা বিদেশিদের হত্যা! রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে সাধারণ জনগণকে হত্যা! ব্যক্তিগত রাগ-আক্রোশ থাকলেই তনু-মিতুদের হত্যা! প্রেমে সাড়া না দিলেই রিশা-খাদিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপানো এবং হত্যা!

একেকটি হত্যার ধরন একেক রকম। সাজাও একেক রকম। এখানে সাধারণ পরিবারের সন্তান অপরাধী হলে বিচার অত্যন্ত কঠোর এবং দৃষ্টান্ত হয়। কিন্তু অসাধারণ পরিবারের সন্তানদের বিচারগুলোও অসাধারণ রকমের হয়। ওবায়দুল-বদরুলরা অনায়াসেই তাদের অপরাধ স্বীকার করে। কী কারণে এবং কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, কয়টা কোপ দিয়েছে, কোথায়-কোথায় আঘাত করেছে পুলিশকে হয়রানি না করেই খুব সহজেই বর্ণনা দিয়ে দেয়।

কিন্তু অসাধারণ পরিবারের সন্তানগুলো তাদের অপরাধ কখনও স্বীকার করেছে বলে অন্যদের হয়ত মনে করতেও কষ্ট হবে। তনু হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল হওয়ার পরও শেষ ভরসা আল্লাহ’র উপর ছেড়ে দেওয়া। মিতু হত্যার পরও দেশের মানুষের আবেগ-বিবেক যখন মিতু ও তার সন্তানের প্রতি, তখনও বিচারের ভার চলে যায় অদৃশ্যতার মাঝে।

গুলশান হামলায় একে একে ২০টি তাজাপ্রাণকে নিষ্প্রাণ করার পরও যখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ও বাঙালি নিয়ে নানান সমালোচনা শুরু, ভিডিও ফুটেজ আর স্থিরচিত্র নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সাধারণ অ্যাক্টিভিস্টরা যখন সাধারণভাবে নিজেদের চিন্তা-চেতনা আর ভাইরাল হওয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তাহমিদ-হাসানাতকে অপরাধী বা অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়, তখন আমাদের তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা সেই অপরাধের সঙ্গে তাদের কোনোও ধরনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ খুঁজে পায় না।

মনের অজান্তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি আমার সোনামণির কথা চিন্তা করে। এই তো ছোট্ট বয়স চলছে। আর ক’টা বছর গেলেই রিশার মতন হবে। দৌড়ে কলেজে যাবে খাদিজার মতন। তখন…, তখন তাকেও যদি কেউ প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেও যদি রিশা-খাদিজার মতন বখাটে-বর্বরদের প্রত্যাখ্যান করে। তাহলে আমার মা-মণিও কী রিশার মতন হত্যা হবে? খাদিজার মতন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে। আমার মেয়েটিও কী ওপারে চলে যাবে আমাকে ছেড়ে?

সমাজ-সংসার যদি সচেতন হয়। শিক্ষা-সভ্যতায় যদি দেশের নাগরিকদের গড়ে তুলতে পারি। রাষ্ট্র যদি কঠোর-কঠিন হয়। বিচার ব্যবস্থায় যদি সাধারণ-অসাধারণের বৈষম্য দূর হয়। তনু-মিতু হত্যাকারীদের যদি সুষ্ঠুবিচার ও দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমরা ও আমাদের সোনামণিরাও বখাটে-বর্বরদের হাত থেকে নিরাপদে থাকতে পারব।

কবীর চৌধুরী তন্ময়, সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।