banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

মৃতব্যক্তির বারবার জানাজার নামাজ পরার বিধান

আমাদের দেশে বিশেষত রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মৃত্যুবোরণ করলে আমরা দেখতে পাই তাদের জানাযার নামাজ একাধিকবার পড়া হয়। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে বারবার জানাযা নামাজ পরা কি জায়েয আছে?

কোন মৃত ব্যক্তির জানাযা যদি তার অভিভাবক ব্যতীত অন্যেরা পড়ে নেয় এবং জানাযা পড়া যদি অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া হয় তাহলে স্বয়ং অভিভাবক ইচ্ছা করলে দ্বিতীয়বার জানাযা পড়তে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার জানাযা পড়া ওয়াজিব নয় বরং প্রথমবার পড়ার মাধ্যমে ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। তাহতাবী-৩২৪

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

৩টি ভয় আপনার ব্যর্থতার কারণ

সফল হতে কে না চায়? কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জীবনে সফলতা যেন সোনার হরিণ। যে কাজেই হাত দেন তারা, ব্যর্থ হন। না তাদের দিয়ে ব্যবসা হয়, না টেকে কোন চাকরি। চতুর্দিক থেকে ব্যর্থতার ধিক্কার তাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে।
কিন্তু এর মানে কি এই যে, তাদের মেধা নেই? মেধা সব মানুষেরই আছে। কেউ তা কাজে লাগাতে পারেন আর কেউ পারেন না। আপনি নিজেই হয়তো নিজেকে পেছনে টানছেন, এগিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। অবাক হচ্ছেন? জেনে নিন, কীভাবে আপনি নিজেই নিজের সফলতাকে বাঁধাপ্রাপ্ত করছেন-
ব্যর্থতার ভয়
আপনি যদি সারাক্ষণ ভয়েই থাকেন যে আপনি ব্যর্থ হবেন তাহলে আপনি এগোতে পারবেন না। আপনাকে সাহস করে ঝুঁকি নিতে হবে। নাহলে যেমন ব্যবসা করা যাবে না তেমনি করা যাবে না চাকরিও। অনেকে মনে করেন, চাকরিতে কোন ঝুঁকি নেই। আসলে তা নয়। চাকরিক্ষেত্রেও নিজেকে প্রমাণ করতে অনেক কাজ নিজেই সাহসের সাথে এগিয়ে করতে হয়। নাহলে থমকে থাকে ক্যারিয়ার। অনেক সময় হতে হয় চাকরিচ্যুত।
সময় চলে যাওয়ার ভয়
আপনার মাঝে সব সময় একটা তাড়া কাজ করে। আপনি ভাবেন এক্ষুনি কাজটা না করলে হয়ত আর করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনি পরিস্থিতিকে বিবেচনা করতে ভুলে যান। আপনার আভ্যন্তরীন গতি সময়কে অতিক্রম করে যায়। শান্ত হন। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
পরিবর্তনের ভয়
আপনি অবাক হবেন এটা জেনে যে আপনি নিজেই চান না সফল হতে। আপনার মাঝে পরিবর্তনের ভয় কাজ করে। সফল হতে হলে আপনাকে নিজের জীবনের অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হবে। অনেক অনিয়ম ত্যাগ করতে হবে। আপনি এই বদল মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু শ্রম না দিলে, কাজ অনুযায়ী পাল্টে না গেলে কি করে আসবে সফলতা?
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

এবারের পূজায় রঙ জুনিয়র

সময়কে রাঙানোর ঐকান্তিক ব্রতে রঙ থেকেই আজকের রঙ বাংলাদেশ। সেই মানসেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের জনাদৃত এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড। পোশাক আর অনুষঙ্গে রাঙাচ্ছে বয়সীদের। শিশুতোষ লাইন নিয়ে রঙ বাংলাদেশ-এর সাব ব্র্যান্ড রঙ জুনিয়র এই প্রয়াসেই নামান্তর। রঙ বাংলাদেশ-এর ব্র্যান্ড ইমেজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রঙ জুনিয়রের শারদ আয়োজন বাজারে আনা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনভাবে মাথায় রাখা হয়েছে সববয়সী বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকবান্ধব পোশাক উপহার দেয়ার বিষয়টি। এর সঙ্গে আরো নিশ্চিত করা হয়েছে কাপড় ও ব্যবহৃত উপকরণের গুণগতমান, আরাম ও সহজ ব্যবহার উপযোগীতা। শিশুদের জন্যই বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে রঙ জুনিয়র-এর কালেকশন। প্রতিটি পোশাক তাই দৃষ্টিনন্দন, সময়োপযোগী আর ফ্যাশনেবল। আসছে পূজার জন্যই বিশেষ কিছু মোটিফকে নিয়ে নকশা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পদ্ম, শংখ, এিশূল, চক্র, ওম ও বেলপাতা।

পুরো কালেকশনই করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের সুতি কাপড়ে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট, মেশিন ও হ্যান্ড এম্বয়ডারিসহ অন্যান্য ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়া। লাল, সাদা আর অফহোয়াইট এই তিন রঙের সঙ্গে সহকারী রঙ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে হলুদ, গেরুয়া, কমলা, ম্যাজেন্টা ও স্বর্ণালি হলুদ।

রঙ জুনিয়র-এর সম্ভারে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে ফ্রক, থ্রি-পিস,শাড়ি, সিঙ্গল কামিজ, স্কার্ট, টপস ও ধুতি-কুর্তি। আর শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ধুতি ও পাঞ্জাবি আছে ছেলেদের জন্য।

রঙ বাংলাদেশ ক্রেতাদের কেনাকাটাকে সহজ আর সুলভ করতে পৌঁছে দিচ্ছে একেবারে দোরগোড়ায়। এজন্য রয়েছে ওয়েবসাইট হতে অনলাইন কেনাকাটা আর ক্যাশ অন ডেলিভারীর সুবিধা। এছাড়া আছে রঙ বাংলাদেশ-এর গিফট ভাউচার। উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে যেকোন উৎসব আর উপলক্ষ্যে। তাতে করে আপনার প্রিয়জন তার পছন্দ মতো সামগ্রী কিনে নিতে পারে ঐ গিফট ভাউচার দিয়ে রঙ বাংলাদেশ-এর যেকোন আউটলেট থেকে।

 

মজাদার হানি গার্লিক চিকেন রান্না করুন খুব সহজে

রেস্টুরেন্টে গেলে চিকেন চিলি, চিকেন মাশালার সাথে আরেকটি খাবার দেখতে পাওয়া যায়, তা হল হানি গার্লিক চিকেন। চাইনিজের এই আইটেমটি বেশ জনপ্রিয় চাইনিজপ্রেমীদের কাছে। চিকেন, রসুন এবং মধুর স্বাদযুক্ত খাবারটি খেতে কিন্তু দারুন। মজাদার এই খাবারটি খেতে এখন আর রেস্টুরেন্টে দৌড়াতে হবে না, আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন এই খাবারটি। কীভাবে? জেনে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ:

২ কোয়ার্টার মুরগির মাংস এবং ২টি মুরগির বুকের মাংস

২টি রসুন কুচি

১টি পেঁয়াজ কুচি

২ টেবিল চামচ মাখন

১ টেবিল চামচ ময়দা

১ টেবিল চামচ মধু

১ টেবিল চামচ সয়াসস

১ কাপ চিকেন স্টক

পার্সলি পাতা কুচি (ইচ্ছা)

লবণ

গোলমরিচের গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগি ভাল করে ধুয়ে নিন। মুরগির চামড়ার ভিতর রসুন কুচি ঢুকান।

২। তারপর মুরগির মাংসের উপর তেল, গোলমরিচের গুঁড়ো, লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার একটি প্যানে তেল গরম হয়ে আসলে মুরগির টুকরোটি দিয়ে দিন। বাদামী রং আসলে টুকরোগুলো নামিয়ে ফেলুন।

৪। মুরগির মাংস ভাজা তেলে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে ভাজুন।

৫। ভাজা পেঁয়াজ এবং রসুন নামিয়ে ফেলুন। এরপর প্যানে মাখন দিয়ে দিন।

৬। মাখন গলে আসলে এতে ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। মাখন, ময়দা ভাল করে মিশে গেলে এতে সয়াসস দিয়ে নাড়ুন।

৭। কিছুক্ষণ পর এতে মধু দিয়ে দিন। এরপর এত চিকেন স্টক দিয়ে দিন।

৮। ভাজা মুরগির মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৯। গ্রেভি ঘন আসলে ৩৫০ ডিগ্রী প্রি-হিট করা ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করে নিন।

 

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সঙ্গীতশিল্পী কোনাল

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সঙ্গীতশিল্পী কোনাল। পাত্র মনজুর কাদের জিয়া পেশায় একজন সাংবাদিক। তার সঙ্গেই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। কিছুটা হঠাত করেই ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের পর্বটা সেরে ফেলেছেন কোনাল। এমনটাই জানিয়েছেন ফেসবুকে।

তিনি বলেছেন, ‘পরিবারের চাপের কারণে আজ সন্ধ্যায় আমাকে বাসায় দেখতে এসেছিল পাত্র। আর কথা বলতে এসে বড় কাজটাই হয়ে গেল। বিয়ে হয়ে গেল। খুব ছোট করে একটা আকদ হয়ে গেল। তবে এক শীতের সন্ধ্যায় খুব জমকালো ভাবে বিয়ের আয়োজন করা হবে। যাই হোক বন্ধুকেই বিয়ে করেছি। বন্ধু মনজুর তুমি জনমের জন্য আমার হয়ে গেলে’।

 

 

‘এ পুরস্কার নারীদের জন‌্য এক স্বীকৃতি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ পুরস্কার আমাদের নারীদের জন‌্য এক স্বীকৃতি, যারা আমাদের পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।’

জাতিসংঘ সদর দফতরের ইউএন প্লাজায় বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ‌্যায় ‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণের পরে এ সব কথা বলেন তিনি।

‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারটি দেওয়া হয় ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে। আর ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দেয় গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম।

তিনি বলেন, এই পুরস্কারে আমি অত‌্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। ইউএন উইমেন ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামকে আমি ধন‌্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে নারীরাই যে ‘পরিবর্তনের দূত’, এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের পথ সব সময় সহজ ছিল না। কিন্তু সাহস আর ঐকান্তিক চেষ্টার মধ‌্য দিয়েই লক্ষ‌্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেই পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে নারীর অধিকার সবার সম্মান পাবে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম‌্য ও সহিংসতা যেখানে হবে ইতিহাস’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীর জন‌্য একটি টেকসই ভবিষ‌্যৎ গড়ে তোলা নারী-পুরুষ সকলের দায়িত্ব। মানব ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা পৌঁছেছি, যখন নারী-পুরুষের সমান অধিকার কেবল আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে’।

এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে সন্ত্রাসে মদদ বন্ধে করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ববাসীর সমর্থনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্ল্যেখ করে সমূলে উৎ​পাটন করার সংকল্পে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাও বলেন।

অনুষ্ঠানে ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লক্ষ্মী পুরি অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব‌্যের পর পুরস্কারজয়ী তিন নারীর জন‌্য মানপত্র পড়ে শোনান। ইউএন উইমেনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলা লামবো নুকা সমাপনী বক্তব‌্য দেন।

রিপাবলিক অব মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারি লুইস কোলেরো প্রেকা এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টিকও এ বছর শেখ হাসিনার সঙ্গে এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসীকল‌্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমূখ।