banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

কোরবানির পশু জবাই সংক্রান্ত কিছু মাসআলা

মাসআলা : নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা, কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। [মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪]

মাসআলা : জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে, অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। [রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪]

মাসআলা : কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া, কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে। [মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০]

মাসআলা : জবাইয়ের অস্ত্র, ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম। [বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩]

মাসআলা : পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা, জবাইয়ের পর পশু নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। [বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩]

মাসআলা : অন্য পশুর সামনে জবাই করা, এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।

লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

যে খাবারগুলো সবার খাওয়া উচিৎ

রোগের প্রকোপ কমানো ও দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বা প্রদাহরোধী খাবার খাওয়া প্রয়োজনীয়। সম্প্রতি সাইকোনিউরোইমিউনোলজি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি আর্টকেলে ড. জর্জ স্লেভিস প্রকাশ করেন যে, “আমেরিকাতে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুর  প্রধান কারণ হচ্ছে ইনফ্লামেশন”। প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিবেশগত বিষ এবং ক্রমবর্ধমান স্ট্রেস  লেভেলের জন্যই আমাদের শরীরের প্রদাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যারিজোনা সেন্টার ফর মেডিসিন এর মতে, “প্রত্যেকটি ক্রনিক ডিজিজই হচ্ছে ইনফ্লামেটরি ডিজিজ”। ইনফ্লামেশনকে সাইলেন্ট কিলার ও বলা যায়। সুখবর হচ্ছে কিছু খাবারের মাধ্যমে এই ইনফ্লামেশন বা প্রদাহকে কমানো যায়। আসুন তাহলে প্রদাহরোধী সে খাবারগুলো যা সবার খাওয়া উচিৎ সে বিষয়ে জেনে নিই।

১। বীট

প্রথমেই বীটের নাম দেখে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ বীট ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা প্রদাহ   কমাতে চমৎকার কাজ করে। বীট ফলে বেটালেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বীটের চমৎকার বর্ণের জন্য দায়ী। বীট ফল শুধু খাবারের প্লেটের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেনা, এটি পদ্ধতিগত প্রদাহ দ্বারা সৃষ্ট কোষের ক্ষতি মেরামত করার ক্ষেত্রেও বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।

২। আখরোট

আখরোটের গঠন অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মতোই। আসলে আখরোট মস্তিষ্কের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডেও সমৃদ্ধ থাকে। যারা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস ফ্যাটি ফিশ খাননা তাদের জন্য আখরোট হতে পারে আদর্শ। আখরোটে উচ্চমাত্রার ও অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়। এজন্যই আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন আখরোট।

৩। সবুজ শাক

আপনার খাওয়ার প্লেটে প্রতিদিন সবুজ শাক রাখার কারণ হচ্ছে সবুজ শাকে শক্তিশালী খনিজ উপাদান, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেভনয়েড থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং সার্বিক ইনফ্লামেশন কমায়। যদি আপনার সবুজ শাক খেতে ভালো না লাগে তাহলে শাক দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খান অথবা শসা, সেলেরি, পাতা কপি ও লেবু দিয়ে তৈরি মজাদার গ্রিন জুস খান।

৪। আনারস

আনারসের শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ আছে। আনারসে ব্রোমেলেইন থাকে যা হজমেও সাহায্য  করে। আনারসে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি থাকে যা জীবাণু ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। সকালে আনারসের স্মুদি পান করতে পারেন অথবা মধ্য দুপুরে স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন আনারস।

৫। ব্রোকলি

অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ডায়েটের জন্য চমৎকার ব্রোকলি। এতে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।  অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউজ হচ্ছে ব্রোকলি। এছাড়াও এতে ভিটামিন, ফ্লেভনয়েডস ও  ক্যারোটিনয়েড থাকে। এই সবগুলো উপাদান একত্রে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার

 

বাংলাদেশের সাথে ঘুরে আসুন শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ

সামগ্রিক কাজের মধ্যে আমাদের ব্যস্ত জীবনে বিনোদন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিনোদনের উৎস হিসেবে ভ্রমণ মানে শুধু কর্মব্যস্ততাকেই ছুটি দেওয়া নয় বরং এটি ভ্রমণকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে এবং শরীর ও মনকে করে চাঙ্গা। কিন্তু মাঝে মধ্যে ভ্রমণের আয়োজন ও খরচের কারণে ভ্রমণ সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিতে হয়। সেজন্যই ঝামেলাহীন ভ্রমণের জন্য অনেকগুলো ভ্রমণ প্যাকেজ বেছে নেওয়ার সুযোগ নিয়ে এসেছে ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ (টিবিবিডি)। টিবিবিডি দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সুযোগ।

বাংলাদেশের মতোই শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে রয়েছে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য এবং ভ্রমণের জায়গা। এ দুটি দেশের দর্শনীয় জায়গা এবং আতিথেয়তার যে অফার তা দেখে ভ্রমণপিপাসুরা নিশ্চয় আশ্চর্য হবেন।

শ্রীলঙ্কার জন্য ট্রাভেল বুকিং বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে পাঁচটি দারুণ প্যাকেজ, যাতে রয়েছে তিন দিন দুই রাত থেকে ছয় রাত সাত দিন পর্যন্ত অবস্থানের সুযোগ। প্যাকেজগুলোর মূল্য টুইন শেয়ার ভিত্তিতে প্রতিজন ভ্রমণকারীর জন্য। কলম্বো সিটি প্যাকেজে থাকছে দুই রাত তিন দিন থাকাসহ কলম্বো সিটি ঘুরে দেখার সুযোগ। ভ্রমণকারীদের পছন্দ মতো এই প্যাকেজের মূল্য ৫০,৩০০ টাকা থেকে ৫৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত। কলম্বো-হিক্কাদুয়া প্যাকেজে ভ্রমণকারীরা পাবেন চমৎকার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের সুযোগ। তিন রাত চার দিনের এই আকর্ষণীয় প্যাকজের মূল্য ৫৩,৬০০ টাকা থেকে ৫৯,৬০০ টাকা। কলম্বো-ক্যান্ডি মাউন্টেইন প্যাকেজে ভ্রমণকারীরা পাবেন শ্রীলঙ্কার পর্বতগুলো এবং সুমদ্র সৈকত ঘুরে দেখার দারুণ সুযোগ। তিন রাত চার দিনের এই প্যাকেজের মূল্য ৫৪,২০০ টাকা থেকে ৬০,৫০০ টাকা। ক্যান্ডি-নিউয়ারেলিয়া প্যাকেজে থাকছে ৫৭,৩০০ টাকা থেকে ৬৫,৮০০ টাকায় চার রাত পাঁচ দিন থাকাসহ এক সঙ্গে কলম্বো, ক্যান্ডি এবং নিউয়ারেলিয়া ঘুরে দেখার সুযোগ। সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হচ্ছে কলম্বো-ক্যান্ডি-নিউয়ারেলিয়া-বেনতোতা সৈকত প্যাকেজ। এতে থাকছে ৬৬,৮০০ টাকা থেকে ৮০,৫০০ টাকার মধ্যে ছয় রাত সাত দিন থাকাসহ অন্য সকল প্যাকেজের সাথে বিস্ময়কর বেনতোতা সৈকত ঘুরে দেখার সুযোগ। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে আরও রয়েছে পুরনো বৃটিশ ভবন এবং শ্রীলঙ্কার স্থাপত্য, দলহারা হাতির অভয়ারণ্য, সিলন চা জাদুঘর (প্যাকেজের অন্তভূক্ত নয়), টেম্পল অব টিথ, ক্যান্ডি লেক ও নৌকা ভ্রমণ এবং যুদ্ধ সমাধীক্ষেত্রে ভ্রমণের সুযোগ। বেনতোতা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণকারীরা উপভোগ করতে পারবেন রকেলিং এবং স্কুবা ডাইভিং এর সুযোগ।

এছাড়াও ভ্রমণকারীরা উপভোগ করতে পারবেন ডিনার ক্রুস, সী টার্টল কনজারভেশন প্রজেক্ট, জু পার্ক ট্যুর এবং বেনতোতা সৈকতে প্যারাগ্লইডিং, প্যারাগসাইলিং-এর সুযোগ। একজন সম্পূর্ণ ইংলিশ কথা বলা গাইডের সাথে টিবিবিডি দিচ্ছে কলম্বো-ক্যান্ডি সিনিক রোড ভ্রমণের প্রাইভেট ট্যুর, যাতে ভ্রমণকারীরা ইচ্ছা মতো যে কোনো স্থানে থামতে পারবেন এবং নিজেদের পছন্দের ইচ্ছাগুলোকে আবিস্কার করতে পারবেন। মিরিসা থেকে তিমি/ ডলফিন দেখা যায়।

মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্যও ট্রাভেল বিডি বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে দারুণ সব অফার। মালদ্বীপ ভ্রমণের অফারে ওয়াইড রেঞ্জ রিসোর্টসহ রয়েছে জেনারেল আইল্যান্ড রিসোর্ট যেমন, ফান আইল্যান্ড, প্যারাডাইস আইল্যান্ড, সান আইল্যান্ড, রয়েল আইল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ। এই অফারে আরও রয়েছে চেইন অব সেনতারা, ফুরাভেরি, সিনামন, ছায়া এবং অ্যাটমোসফেয়ার; বাংলাদেশে শুধুমাত্র টিবিবিডি এই আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে। এই ভ্রমণ প্যাকেজগুলোতে থাকছে ৪৬,৫০০ টাকা থেকে ১,৫০,০০০ টাকায় দুই রাত তিন দিন থেকে তিন রাত চার দিন পর্যন্ত ভ্রমণের সুযোগ। প্যাকেজগুলোর মূল্য টুইন শেয়ার ভিত্তিতে প্রতিজন ভ্রমণকারীর জন্য।

এই প্যাকেজগুলোতে থাকছে প্যাকেজের ওপর নির্ভর করে এক বেলা থেকে তিন বেলারও বেশি স্ন্যাক্স ও পানীয় পানের সুযোগ। এই প্যাকেজে রয়েছে সী প্লেনের মতো অবিস্মরণীয় ভ্রমণের সুযোগ যা আপনার জীবনে যোগ করবে অনন্য এক অভিজ্ঞতা। অথবা নন-মোটরাইজ্ড নৌকায় ভ্রমণের সুযোগ যাতে সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। ভ্রমণকারীরা মালদ্বীপের নীল পানিতে স্কুবা ডাইভিং অথবা রকেলিং করে পানির ভেতরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

যারা হানিমুন অথবা বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে চান তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা যেমন, কাস্টমাইজড বীচ ডিনার এবং প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফি। যারা আরও একটু বেশি রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেতে চান তাদের জন্য রয়েছে মাছ ধরা এবং সেই মাছ দিয়ে রাতের খাবারের ব্যবস্থা।

ভ্রমণকারীদের জন্য টিবিবিডি কিছু বিশেষ সুবিধা নিয়ে এসেছে। টিবিবিডি ভ্রমণকারীদের জন্য দিচ্ছে সর্বনিন্ম মূল্যের গ্যারান্টি। এতে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রয়েছে কাস্টমাইজড অফারসমূহ যাতে তারা তাদের গন্তব্য, কার্যক্রম এবং থাকার স্থানকে পছন্দ মতো বেছে নিতে পারবেন। যেসব ভ্রমণপিপাসু সীমিত বাজেটে ভ্রমণ করতে চান তারা টিবিবিডি-এর সাথে যোগাযোগ করুন এবং টিবিবিডি তাদের বাজেটের মধ্যেই প্রত্যাশিত ভ্রমণের চাহিদাগুলো পুরণ করবে। ভ্রমণকারীরা ভ্রমণের কিছু অংশ বাদ দিতে অথবা সংযুক্ত করতে পারবেন। ভ্রমণকালে টিবিবিডি টেলিফোন, ই-মেইল, ফেসবুক, স্কাইপ এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে ভ্রমণকারীর খোঁজ-খবর রাখবে। টিবিবিডি-এর লক্ষ্য হচ্ছে, খুবই সুলভ মূল্যে ভ্রমণপিপাসুদের একটি অবিস্মরণীয় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দেওয়া।

প্যাকেজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন- ০১৭০৯৬৪২৩০১, ০১৭০৯৬৪২৩০২, ০১৭০৯৬৪২৩০৩, ০১৭০৯৬৪২৩০৬, এবং ০১৭০৯৬৪২৩০৭ নম্বরে।

 

ক্যাটস আইয়ের ঈদের পোশাকে বিশেষ ছাড়

ক্যাটস আই স্টোরগুলোতে এসেছে পাঞ্জাবি, শার্ট, চিনো বটম, জিন্টস, পলো বা টি শার্টের ফরমাল ও ক্যাজুয়াল লাইন। ওভেন, নিট ও সিঙ্গেল জার্সি কাপড়ের এসব পোশাকে থাকছে স্লিম ফিট প্যাটার্ন ও ডিজাইনেও থাকছে সমকালীন ট্রেন্ড। মেয়েদের জন্য থাকছে সিম্পল প্যাটার্নের টিউনিক কুর্তি বা কামিজ। কো ব্র্যান্ড মুনসুন রেইনে থাকছে কাপড় ও কলার বৈচিত্র্যে ফিটিংস পাঞ্জাবি। ঈদের কেনাকাটায় বাড়তি স্বাধীনতা এনে দিতে ক্যাটস আই দিচ্ছে দুটি পণ্য কেনায় পরবর্তি পণ্যে ২০ ভাগ ছাড়ের সুযোগও থাকছে জাপান গার্ডেন সিটি, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান ২ ও যমুনা ফিউচার পার্ক আউটলেটে।

পাশাপাশি রাজধানীর এ্যালিফ্যান্ট রোডের ক্লিয়ারেন্স আউটলেটে সর্বোচ্চ শতকরা ৫০ ভাগ ছাড়ে ক্যাটস আই পণ্য কেনার এ সুবিধাতো থাকছেই। এছাড়াও ঘরে বসে নতুন পণ্য দেখতে ঢু মারুন ফেসবুক বা অনলাইনের www.catseye.com.bd ঠিকানায়।

 

ঈদে একসঙ্গে জাহিদ-মৌ

এবারের ঈদ উল আজহায় টেলিভিশন পর্দায় একটি মাত্র নাটকেই জাহিদ হাসান এবং সাদিয় ইসলাম মৌ দম্পতিকে দেখতে পাবেন দর্শকরা। পর্দায় বহুবার একসঙ্গে অভিনয় করলেও এবারের ঈদে একুশে টেলিভিশনের সাতদিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য আয়োজনের সাত পর্বের একক নাটক ‘নীলের বউ রাশি’তে দেখা যাবে এই দম্পতিকে।

মৌ ছাড়াও এই একক নাটকে জাহিদ হাসানের পাত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহরিন নিশা, ভাবনা, সারিকা, নাদিয়া, বন্যা মির্জা এবং তারিন। ইফফাত আরেফিন মাহমুদেরে রচনা এবং জাহিদ হাসানের পরিচালনায় সাত পর্বের একক নাটক ‘নীলের বউ রাশি’।

ঈদের দিন হতে ঈদের সপ্তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১১টা ২৫ মিনিটে একুশে টেলিভিশনে প্রচার হবে।

 

৬ ধাপে বাঁচুন বর্তমানে

আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় চিন্তাগ্রস্থ থাকে। আমরা অতীতের ঘটনা ভেবে দুঃখ পাই। ভবিষ্যতের চিন্তায় স্ট্রেসড হয়ে যাই। আবার বর্তমানে থেকেও আমরা বর্তমানে থাকি না অনেক সময়, থাকি অন্য জগতে। খুব ছোট্ট একটি উদাহরণ দিই। ধরুন, আপনি আপনার বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গেছেন। সবাই আনন্দ করছে। কিন্তু আপনি ভাবছেন, বাসায় কী হচ্ছে না হচ্ছে! আপনার বাচ্চাটা কি করছে, মা ঠিক মত বাসায় পৌছেছে কিনা, কাজের বুয়া রান্না করেছে কিনা ইত্যাদি নানান কিছু।
শুধু আপনি নন, আমরা সবাই কমবেশি এরকম। আমরা ঠিক যেই সময়ে যেখানে আছি সেই সময়টাকে উপভোগ করতে পারি না। আমরা নানান রকম চিন্তায় নিজেদের মগ্ন করে ফেলি। এভাবে আমরা হারাই এমন কিছু মূহুর্ত যা হতে পারত আমাদের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান।
৬টি পথ অবলম্বন করতে পারেন এজন্য-
পারফর্মেন্স ভাল করার জন্য সেটার কথা ভাবা বন্ধ করুন
ধরুন, আপনাকে স্টেজে তুলে দেওয়া হল, গান গাইতে। আপনার মনে হতে থাকলো, সবাই আপনার গান শুনে কি ভাববে! নিশ্চয়ই আপনাকে দেখা মাত্রই তারা আপনার সম্পর্কে নানান কথা বলতে থাকবে! এসব ভাবা বন্ধ করুন। কারণ নেতিবাচক ভাবনা আপনার পারফর্মেন্সকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
ভবিষ্যতের চিন্তা এড়াতে বর্তমানে ফোকাস করুন
ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত মানুষের অভাব নেই। এমন মানুষও অনেক আছেন যারা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন, কবে যেন অসুস্থ্য হয়ে পড়েন সেই সময়ের জন্য টাকা জমানো দরকার। বৃদ্ধ বয়সে যদি দেখার কেউ না থাকে তাহলে তখন কি হবে! আজ থেকেই সেই সময়ের সব খরচ গোছাতে শুরু করেন অনেকে। আমরা কতদিন বাচব, তাই তো জানি না। বর্তমানে ফোকাস করুন শুধু।
সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই বর্তমানকে উপভোগ করতে হবে
আপনি যদি একটি সাজানো ভবিষ্যত চান তাহলে আপনাকে আগে সাজাতে হবে বর্তমানকে। চিন্তা করে দেখুন, কাল আপনার পরীক্ষা। আপনার মনে পড়ছে, আগের পরীক্ষায় ফলাফল কেমন খারাপ হয়েছিল। কাল কি হবে এই ভেবে ভীষণ স্ট্রেস নিয়ে আপনার জ্বর চলে এল রাতের মাধ্যেই। কিভাবে আপনি ভাল পরীক্ষা দেবেন? তাই আগে কি হয়েছিল, পরে কি হতে পারে না ভেবে শ্রম দিন বর্তমানে।
মনোযোগ ফিরিয়ে আনুন
আপনি যখনই অন্য কিছু ভাবছেন নিজেকে সচেতনভাবে ফিরিয়ে আনুন বর্তমানে। মন খারাপ হওয়া, স্ট্রেস দেওয়া, দুশ্চিন্তা তৈরি করা বিষয়গুলো থেকে মনকে সরিয়ে আনুন। নিজের ভাল মূহুর্ত নিজে তৈরি করুন। কিভাবে? সহজ এবং মজার একটা উপায় হল, আপনার কলমটি আঙুলের উপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করুন। করছেন কিন্তু পারছেন না? চেষ্টা করে যান।
কিছুক্ষণ পর খেয়াল করুন সকল দুশ্চিন্তা থেকে এই সময়টা দূরে ছিলেন আপনি!
পালিয়ে না যেয়ে মোকাবেলা করুন
আমাদের মাঝে এত এত অতীতের ভাবনা রয়ে যায় কারণ আমরা অতীতের সব সমস্যা মিটিয়ে সামনে এগিয়ে যাই না। আমাদের অনেক হিসেবনিকেশ বাকি রয়ে যায়। আমরা অনেক কিছু সরাসরি মোকাবেলা না করে বরং পালিয়ে যাই, ভাবি এভাবেই বোধ হয় ঝামেলা এড়ানো সহজ হবে। কিন্তু আমাদের অবচেতন মন এগুলো ভুলে যায় না। সে ভীত হয়ে পড়ে আর নানান বিষয়ে সেগুলো মনে করিয়ে দেয়।
 
সবসময় নতুনকে লক্ষ্য করুন
এমন অনেক সময় হয় যে, আমরা হয়ত একটা বই পড়ছি, হঠাৎ খেয়াল করলাম আগের পৃষ্ঠায় কি লেখা ছিল মনে করতে পারছি না। একই রাস্তায় একটিউ আগেই ড্রাইভ করে গেছি, ফেরার পথে আর এক্সিট পয়েন্ট মনে করতে পারছি না। মনোবিজ্ঞান একে বলছে Mindlessness। এই সমস্যা কাটানোর সহজ উপায় হল, যে কোন নতুন জিনিস খেয়াল করুন। এই নতুন জিনিসই ক্লু হয়ে বা তথ্য হিসেবে সেভ হবে আপনার মেমোরিতে এবং আপনাকে বর্তমানে থাকতে সাহায্য করবে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার,

 

ঝটপট তৈরি করে ফেলুন মজাদার অনিয়ন সমুচা

বিকেলের নাস্তায় হোক অথবা হুটহাট আসা অতিথি অ্যাপায়নে সমুচা বেশ পরিচিত একটি নাস্তা। ঝামেলার কারণে অনেকেই এই খাবারটি তৈরি করতে চান না। পেঁয়াজ এবং চিড়া দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন মজাদার সমুচা। কীভাবে? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রেসিপিটি।

উপকরণ:

১ কাপ আটা

১/২ চা চামচ চাট মশলা

১ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো

ধনেপাতা কুচি

১/২ চা চামচ জিরা

৩টি কাঁচা মরিচ

১ কাপ ময়দা

তেল

১ কাপ পেঁয়াজ

১ কাপ চিড়া

লবণ

পানি

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে ময়দা, আটা, লবণ এবং তেল ভাল করে মিশিয়ে ডো তৈরি করে নিন। এই ডোটি ১০ মিনিট রেখে দিন।

২। আরেকটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, চিড়া, মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি এবং চাট মশলা একসাথে মিশিয়ে নিন।

৩। আরেকটি পাত্রে ময়দার সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

৪। এবার ডো থেকে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন। রুটির দুইপাশ হালকা করে সেঁকে নিন। খুব বেশি ভাজবেন না।

৫। এবার রুটিটি অর্ধেক করে কোন (ভিডিও অনুযায়ী) আকৃতি করে নিন। এর মধ্যে পেঁয়াজের মিশ্রণটি ভরে দিন।

৬। ত্রিভুজ আকৃতির মুখ ময়দা দিয়ে বন্ধ করে দিন।

৭। তেল গরম হলে সমুচাগুলো দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

৮। সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার অনিয়ন সমুচা।

 

বিয়ের আগে জেনে নিন ৭টি জরুরি তথ্য

সম্পর্ক স্থাপন করলেই হয় না। এর যত্ন নিতে হয়। তাই বিয়ের মাধ্যমে সম্পর্কের পরিণতি টানার আগে বেশ কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সামাজিক বিজ্ঞানের এ-সংক্রান্ত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য।
১. বিয়েতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে যদি ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তবে সম্পর্কে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কমে আসে। ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার গবেষণায় বলা হয়. যারা ১৮তেই বিয়ে করে ফেলেন তাদের ৮০ শতাংশেরই বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু বিয়ের জন্য ২৩ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বিচ্ছেদের ঘটনা ৩০ শতাংশে নেমে আসে।
২. বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় ভালোবাসার আদান-প্রদান এবং তার রেশ একবছর পর্যন্ত বিরাজ করে। চরম আকর্ষণ আর আকাঙ্ক্ষা এ সময় পর্যন্তই থাকে। এরপর থেকে তা কমে আসতে থাকে বলে জানান মনমাউথ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী গ্যারি ডাব্লিউ লিওয়ানডোস্কি জুনিয়র।
৩. অবশেষে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি আর একা নন। দুজন একসঙ্গে বসবাস শুরু করবেন। সেখানে অবশ্য আপনার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা থাকবে। কাজেই কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা হতেই পারে।
৪. সঙ্গী-সঙ্গিনীর ভালো খবরে যখন আপনি সত্যি সত্যিই উত্তেজিত পড়বেন, তখন বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যে দম্পতিরা প্রত্যেকের ভালো খবরটি উদযাপন করেন তারা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি সুখী হয়ে থাকেন।
৫. বন্ধুত্বের মাধ্যমে সবচেয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে উঠতে পারে। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক্সের গবেষণায় বলা হয়েছে, বিয়ে ও তৃপ্তিকর জীবনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতি জরুরি।
৬. দুজনের বয়স যত কম বিচ্ছেদের ঘটনা তত কম। ইমোরি ইউনিভার্সিটির গবেষণায় বলা হয়েছে, বয়সে ৫ বছরের পার্থক্য যাদের তাদের বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি থাকে। আর এ পার্থক্য ১০ বছর হলে সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশে লাফ দেয়।
৭. দুজনের সম্পর্কে অপমানবোধ ছোটখাটো ঝামেলার ইতি ঘটায় না। আর সম্পর্কে এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ৬০ শতাংশ আমেরিকান। কাজেই এসব বিষয়ে মন দিতে হবে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট

 

ইতিহাস গড়া নারী ফুটবলাররা লোকাল বাসে লাঞ্ছিত!

ঢাকা থেকে ধোবাউরাগামী বাস। থেমে থেমে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। আর এই লোকাল বাসেই বাড়ি ফিরছেন ইতিহাস গড়া বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৬ দলের কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা।

এএফসি দলের বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন তারা। অথচ দুই দিনের ব্যবধানেই চরম লাঞ্ছনার শিকার হন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা সোনার মেয়েরা।

এতো বড় অর্জনের পর মেয়েরা কলসিন্দুরে ফিরছে লোকাল বাসে করে। সঙ্গে নেই কোন অভিভাবক বা বাফুফের কেউ।

আর বাসে তাদের শুনতে হয়েছে বিভিন্ন লোকের অশ্লীল কটূক্তি। শুনতে হয়েছে গালিগালাজ। এছাড়াও ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের।

দেশের জন্য এতো কিছুর করার পর এই ছিল তাদের প্রাপ্তি!

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত কলসিন্দুরের মেয়েরা।

চলন্ত অবস্থায় তারা দেশের বেসরকারি চ্যানেল যমুনা টিভিকে এক নারী ফুটবলার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এত সুন্দর একটা রেজাল্ট করলাম আমরা।বাংলাদেশের জন্য খেললাম…কিন্তু এই (ঘটনার পর) যাত্রাটা বইতেছি তা খুব কষ্ট লাগতাছে।

এ ঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

লাঞ্ছনার শিকার হওয়া এক মেয়ের অভিভাবক বলেন, আমরা যখন মেয়েদের বাড়ি থেকে বিদায় দেই, তখন থেকে বাংলাদেশ সরকার বা ফেডারেশনের ওপরই থাকে। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে ফেডারেশনের কোনও প্রতিনিধি না থাকার জন্যই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় ভার্চুয়াল জগতে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনার ঝড়।
খুকু নাঈম নামের একজন লিখেছেন,দেশকে এত বড় গৌরব এনে দিলে কী হবে? তাদের অপরাধ তারা গরিব, তারা অসহায়। তাই তো অর্জনের পর সবার বাহবা আর খেলা শেষে নেই কোনও সম্মান!

শাওনা তালুকদার নামের একজন মন্তব্য করেন, বাফুফের কর্মকর্তারা কি ঘাস চিবাইতেছিলেন? তারা তাদের (মেয়েদের) জন্য একটা বাস রিজার্ভ করতে পারেন নাই?

আফরোজা হক রিক্তা নামের একজন মন্তব্য করেন, এমন দায়িত্বহীন কেন বাফুফে? এই হিরোইন নারী ফুটবলারদের জন্য একটা বাসের ব্যবস্থা করতে পারে না। এত টাকা কোথায় যায়?