banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

কোরবানি করার জন্য কেমন পশু উত্তম?

যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না।

মাসআলা : ২২. কুরবানীর উত্তম পশু, কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। [মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩]

মাসআলা : যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে। [কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০]

লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

কেন তিনি এত জনপ্রিয় ছিলেন সালমান শাহ?

১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর দিনটি ছিল শুক্রবার। সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীকে টেলিফোন করে বলা হলো তার ছেলের বাসায় যেতে। টেলিফোন পেয়ে নীলা চৌধুরী দ্রুত ছেলে সালমান শাহ’র বাসার দিকে রওনা হয়েছিলেন।

তবে সালমানের ইস্কাটনের বাসায় গিয়ে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পান নীলা চৌধুরী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়কের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো দেশ।

তার মৃত্যুর সংবাদ দর্শকদের মনে এতটাই দাগ কেটেছিল যে ২০ বছর পরেও অনেকে প্রিয় নায়ককে ভুলতে পারেনি।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নব্বই’র দশকের এই তুমুল জনপ্রিয় নায়কের ২০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করছে তার ভক্তরা। সালমানের মৃত্যুর দুই দশক পরেও তাকে নিয়ে দর্শকদের মাঝে আলোচনা থামেনি।

কিন্তু সালমান শাহ’র বিশেষত্ব কী ছিল? কেন তিনি এতোটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন?

চলচ্চিত্র বিশ্লেষক এবং বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জাকির হোসেন রাজু মনে করেন, সালমান শাহ যে সময়টিতে অভিনয়ে এসেছিলেন, তখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে পালাবদলের সময়।

১৯৯২ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন সালমান শাহ। জনপ্রিয় একটি হিন্দি সিনেমার অফিসিয়াল রিমেক ছিল ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’।

এ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই চলচ্চিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন সালমান। পর্দায় তার পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরন, অভিনয় দক্ষতা সবকিছু মিলিয়ে দর্শকের মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি এ নায়কের। বাংলাদেশের সিনেমায় তিনি ‘রোমান্টিক হিরো’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সালমান শাহকে নিয়ে ফেসবুকে অনেকে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরছেন। সাফিন জাহিদ ফেসবুকে লিখেছেন , ” আহ কী সেই নায়ক, কী তার অভিনয়, কী তার স্টাইল।”

সালমান শাহ-এর মৃত্যুর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ময়না তদন্তে বেরিয়ে আসে যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

কিন্তু তার পরিবার সেটি বিশ্বাস করতে পারেনি। পরিবারের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানেও বলা হয়েছিল যে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে মামলার কাজ সেখানেই থেমে যায়।

মাত্র চার বছরে ২৭টি সিনেমা করে ১৯৯০’র দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আলোড়ন তুলেছিলেন নায়ক সালমান শাহ। ২৭টি সিনেমার বেশিরভাগই ছিল আলোচিত এবং ব্যবসা সফল ছবি।

চলচ্চিত্র বিশ্লেষক মি: রাজু বলছিলেন, ১৯৭০ -৮০’র দশকের নায়কদের পরে চলচ্চিত্রে সালমানের আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল।

নায়ক রাজ্জাক, আলমগীর এবং ফারুকের পর নতুন একদল তরুণ নায়কের আবির্ভাব হয়েছিল ঢাকার চলচ্চিত্রে।

নব্বই’র দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যত নায়কের আবির্ভাব হয়েছিল তাদের মধ্যে সালমান শাহ সবচেয়ে বেশি প্রমিজিং ( প্রতিশ্রুতিশীল) ছিলেন বলে উল্লেখ করেন মি: রাজু।

তার বর্ণনায়, সালমান শাহ’র অভিনয়ের মধ্যে দর্শক একটা ভিন্নধারা খুঁজে পেয়েছিল।

অনেকে সালমান শাহ’র মধ্যে বলিউড নায়কদের ছায়া খুঁজে পেয়েছিল।

দর্শকদের বর্ণনাতে সে কথা পরিষ্কার। ফেসবুকে মাসউদুর রহমান লিখেছেন, ” সালমান শাহ। এমন স্মার্ট সুদর্শন নায়ক আগে দেখেনি ঢাকাইয়া সিনেমা।”

 

লিডারশীপ ডেভেলপ করার সহজ ৪ স্টেপ

লিডারশীপ হচ্ছে নিজের খেয়ে, অন্যকে দিয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আরো সোজা কথায় বললে, যাকে অন্যরা ফলো করে সে-ই লিডার। সেটা ভার্সিটির ক্লাব, ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন, কিংবা ট্যুরে বের হওয়া ফ্রেন্ডদের গ্রুপেও হতে পারে। তবে লিডারশীপ কোয়ালিফিকেশনের কথা শুনলেই বেশিরভাগ পোলাপান হাফ প্যান্ট খুলে দৌড় মেরে বাকি জীবন দুধ-ভাত হয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ লিডারশীপ ডেভেলপ করা খুবই খুবই সোজা। সিম্পল ৪ টা স্টেপ ফলো করলে যে কেউ লিডার হতে পারবে।

স্টেপ-১: বি এভেইলএবল: 

কম্পিউটারের খাঁচা, খেলা দেখার নেশা, বাথরুমের চিপা থেকে একটু সময় বের করতে হবে। ক্যাম্পাসে প্রায়ই কালচারাল ইভেন্ট, ক্যারিয়ার ক্লাব, ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম, ভলান্টিয়ার এক্টিভিটি হয়। এরকম একটা বা দুইটা ইভেন্টে যাবা।নির্ধারিত সময়ের একটু আগে গিয়ে কোনার মধ্যে লুকিয়ে না থেকে, অর্গানাইজাররা যেখানে ছোটাছুটি করতেছে তার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করবা। তেমন কিছু বলার বা করার দরকার নাই। জাস্ট দেখো, খেয়াল করো, অবজার্ভ করো। কেউ ভারি কিছু একা একা সরাইতে না পারলে একটু হেল্প করো। ব্যস, এই টুকুই। এর বেশি কিছু না।

স্টেপ-২: বি হেল্পফুল: 

অর্গানাইজাররা যখন দেখবে তুমি হেল্প করতেছ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে বুঝাই দিচ্ছ তুমি এভেইলএবল। তখন তারাই বলবে, রিসেপশনের যে থাকার কথা সে এখনো আসে নাই। তুমি কি ওই খানে একটু বসতে পারবা? কোন গেস্ট আসলে সামনের সারিতে এনে বসবা। বা এই খাবারের প্যাকেটগুলার সাথে একটা করে ড্রিংকস দিতে পারবা? তখন হাসি মুখে বলবা- অবশ্যই। এই “অবশ্যই” শব্দটা বলে তুমি একটা অর্গানাইজেশনের আনঅফিসিয়াল মেম্বার হয়ে গেছ। এইভাবে দুই-তিনটা ইভেন্টে হেল্প করলে, ওরাই তোমাকে পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি বা ফুড সেক্রেটারি বানায় দিবে। ব্যস, তোমার সিভিতে বড় বড় করে লেখার মতো একটা জিনিস পেয়ে গেলা। যারা রুমে বসে বসে গেইম অফ থ্রোন দেখতেছে তাদের চেয়ে এগিয়ে গেলা।

স্টেপ-৩: বি এ ফলোয়ার:

একটা অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত হলেই সেটার সাথে দিনরাত ২৪ ঘন্টা লেগে থাকা লাগে না। মাসে ৩-৪ ঘন্টা বা সেমিস্টারে ১০-১৫ ঘন্টা সময় দিলেই হয়। তবে তোমাকে যেসব দায়িত্ব দিবে সেগুলা সিনসিয়ারলি করবা। যেখানে যেতে বলবে সেখানে যাবা। পড়ালেখা ঠিক মতো করো বা না করো, এই কাজে কোন ফাঁকিবাজি করবা না। সিনিয়ররা যেসব ডিসিশন নিচ্ছে, সেগুলা খেয়াল করবা। বেশিরভাগ জিনিসই কমন সেন্স। তোমার কোন অভিমত থাকলে জানাবা। বি এ গুড ফলোয়ার। গুড লিসেনার। রিলায়েবল টিম মেম্বার। আর কিছু না।

স্টেপ-৪: বি এ লিডার: 

তুমি যখন থার্ড ইয়ারের শেষ দিকে যাবা, তখনই সিনিয়রদের বিদায় ঘন্টা বেজে উঠবে। তারা চাইবে তাদের প্রাণপ্রিয় অর্গানাইজেশনটা কোন ইফেক্টিভ এবং সিনসিয়ার পারসনের হাতে তুলে দিতে। তুমি যেহেতু এত দিন ধরে দায়িত্ব নিয়ে হেল্প করেছ। তোমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দিবে। তারপর থেকে তুমিই জুনিয়রদের কাজে লাগাবা। তুমিই ডিসিশন মেক করবা। মানে তুমিই লিডার হয়ে যাবা।

সো, লিডার হওয়ার জন্য হেল্প করার মেন্টালিটি নিয়ে এখন যারা লিড দিচ্ছে তাদের ফলো করতে থাকো। সময়ের আবর্তনে সুযোগ তোমার কাছে চলে আসবে। এতদিন সিনিয়ররা যা কিছু করতো সেগুলা কপি-পেষ্ট করলেই তোমার ভিতরে সাহস বেড়ে যাবে, ক্লাবের ভিশন ডেভেলপ হয়ে যাবে। কাকে দিয়ে কিভাবে কাজ করিয়ে নিতে হবে সেই বুদ্ধি গজাবে। হচ্ছে না, হচ্ছে না বলেও, শেষ মুহূর্তে স্পন্সর জোগাড় হয়ে যাবে। ঠেকায় পড়ে, পোস্টার ডিজাইন, ম্যাগাজিন প্রিন্ট, টি-শার্ট ডিজাইন শিখে ফেলবে। দশ-পনের জনের একটা টিম চালানোর দক্ষতার আবির্ভাব হয়ে যাবে। এভাবে কাজে নেমে পড়লে ঠিক সময়ে লিডারশীপ স্কিলও পয়দা হয়ে যাবে।

জীবনে সফল হওয়ার জন্য কনফিডেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কনফিডেন্স, পিপল ম্যানেজমেন্ট আর লিডারশীপ স্কিল ডেভেলপ করার জন্য ভার্সিটি লাইফ এবং ভার্সিটির অর্গানাইজেশনের চাইতে মামুলি জায়গা আর নাই। তাই যখন কোন টিমের সদস্য হবা তখন লিডার হওয়ার আগে ভালো টিম মেম্বার হও। কোন কিছু চাপিয়ে দেয়ার আগে, সেটা সবার সাথে ডিসকাস করে সবার ভিতর থেকে বের করে আনার চেষ্টা করো। অন্যের উপর কাজ চাপিয়ে না দিয়ে, সবাই মিলে দায়িত্ব ভাগ করে নাও। পজিটিভলি চিন্তা করো। আটকে গেলে, সিনিয়র বা স্যারদের পরামর্শ নিবে। যারা নতুন আসবে তাদেরকে কিভাবে কি করতে হবে বলে দিবে। এগুলাই লিডারশীপ। এগুলা করার জন্য ইচ্ছা আর চেষ্টাই যথেষ্ট।

 

সেইলরে ৫০ ভাগ ছাড়ে নতুন পোশাক

ঈদ মানেই তারুণ্যের জন্য চাই নতুনত্ব। সমকালীন ট্রেন্ড ও সৃষ্টিশীল ডিজাইনারদের ডিজাইন ও সূচিকর্মে সেইলর প্যাটার্ন ও ডিজাইনে ‘পরিবর্তন’ এনেছে। রেডি টু ওয়ার আউটফিটে থাকছে ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল আবহ। পোশাকের ঢং বা রং-ও এখন তাই তারুণ্যের চাহিদানুযায়ী উৎসবমুখী। ভ্যালু এডিশন হিসাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ওয়াশ, প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারির নকশার উপর। শার্ট, পলো এবং ট্রাউজারে অনুসরণ করা হয়ে বিশেষ কাট। তরুণীদের জন্য স্মুদি লেয়ারিং ফ্যাশন থাকছে এবারও।

সামার এবং ঈদ, যুগপৎ নতুন ডিজাইনের পোশাক এখন সেইলর আউটলেটে। সেইলর এর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট প্রধান রেজাউল কবির জানান, ‘তরুণীদের ফিউশনধর্মী কাপড় বেশি পছন্দ। কম বয়সী মেয়েরা সিঙ্গেল কামিজ, পালাজ্জো, ন্যারো শেপ সিগারেট প্যান্ট বা লেগিংস বা স্কার্ট পরছে লেয়ারিং করে। সালোয়ার-কামিজ না পরে অনেকে ধুতি-সালোয়ার, ট্রাউজারের সঙ্গে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের টপ। পাশাপাশি এবার ছেলেদের ফ্যাশন ট্রেন্ডে রঙ-বাহারি শার্ট ও প্যান্ট বাজারে এসেছে। চেক শার্টের বৈচিত্র্য পাওয়া যাবে এবার। গ্যাবার্ডিন প্যান্টের সঙ্গে ক্যাজুয়াল শার্টের জোড় ঈদ উৎসবে  ছেলেদের আরও স্মার্ট লুক দেবে। কলার এবং ডিজাইন ভেদে বৈচিত্র্য নিয়ে স্লিমফিট কাট এবারও এগিয়ে থাকবে তরুণদের কাছে। পাশাপাশি এনজাইম ওয়াশ বা কুল ডাই বা এসিড ওয়াশের পলোগুলোও ঈদ ফ্যাশনে ইন থাকবে। সঙ্গে লোফার বা ক্যাজুয়াল চামড়ার জুতো, বেল্ট পাল্টে দিতে পারে আউটলুক।’

সেইলর-এর সাশ্রয়ী দামের এসব ট্রেন্ডি এবং নতুন পোশাক উৎসব এবং গরমের স্ট্রিট ফ্যাশনকে করবে বর্ণিল। এছাড়াও ঈদের পোশাক বাজেট আরো সাশ্রয়ী করতে সেইলর দিচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ ছাড়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক ক্রয়ের স্বাধীনতা। চলতি এই মূল্যহ্রাসে আপনি জুতো থেকে জামা সবই কিনতে পারবেন আপনার পছন্দে ডিজাইন থেকে। ধানমন্ডি, উত্তরা, যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুর ও  পুলিশ প্লাজাসহ  সকল আউটলেটে ছাড়ের পাশাপাশি নিত্যনতুন সেইলর- প্রোডাক্ট এর খোঁজখবর পাবেন ফেসবুক sailor –(https://web.facebook.com/clothings.sailor/) এর অফিসিয়াল পেইজ-এ।

 

বর্তমান পৃথিবীর ক্ষমতাধর পাঁচ নারী

নারী কোমলমতি, নারী ছায়াদানকারী, স্নেহমমতায় ভরপুর। তবে এতকিছুর সাথে সাথে সাথে নারী ক্ষমতাধরও। ঘরের ছোট্ট রাজত্ব থেকে শুরু করে পৃথিবী- সবখানে ছড়িয়ে রয়েছে নারীর এই ক্ষমতার ছটা। আর ক্ষমতাধর এই নারীদের ভেতরেই আয় ও ক্ষমতার দিক দিয়ে সবচাইতে এগিয়ে থাকা ১০০ জনের তালিকা তৈরি করেছে সম্প্রতি ফোর্বস। চলুন দেখে আসি তাদেরই প্রথম পাঁচকে।

১. অ্যাঙ্গেলা মার্কেল

লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল গাত বছর ফোর্বসের ক্ষমতাধরদের তালিকায় ৫ নং স্থানে থাকলেও এ বছর তিনি উঠে আসেন পুতিনের পরেই। দ্বিতীয় অবস্থানটিতে। প্রথমদিকে একজন গবেষনা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করলেও রাজনীতিতে পা দিয়ে প্রথম নারী হিসেবে জার্মানির এই আসনটিকে আয়ত্ব করেন এই নারী। আর ২০০৫ সাল থেকে সফলভাবে নিজের কাজ চালিয়েও যাচ্ছেন তিনি। এ বছরের বেশকিছু কাজ, বিশেষ করে সিরিয়ার উদ‌্বাস্তু সমস্যা আর গ্রীসের অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে তার কার্যকরী দিক-নির্দেশনা ফোর্বসের চোখে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষমতাধর একজন হিসেবে তুলে ধরেছে তাকে।

২. জ্যানেট ইয়েলেন

বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যাক্তিদের তালিকায় তখনই ঢুকে পড়েছিলেন জ্যানেট যখন ২০১৪ সালে পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নাম লেখান তিনি। কাজের শুরু থেকেই নিরন্তর পরিশ্রম করে গিয়েছেন এই নারী। নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করে গিয়েছেন ফেডারেল রিজার্ভকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার। আর বর্তমানে যে অবস্থায় তিনি নিয়ে এসেছেন একে গত এক বছরের চেষ্টায় সেটা কিছুদিন আগেও মানুষ কেবল স্বপ্নেই দেখতো। পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকাতেও ৪ নং অবস্থানে আছেন জ্যানেট।

৩. টেইলর সুইফট

২৬ বছর বয়সেই বিশ্বের প্রতিটা মানুষকে নিজের জাদুকরী কন্ঠের আবেশে আবেশিত করে তোলা এই তরুণী ২০১৬র প্রথমভাব অব্দি আয় করে নিয়েছেন প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে ক্ষমতাধর নারীদের ভেতরে নিজেকে ৬৪ তম স্থানে ও ২০১৬ সালে আমেরিকান নাগরিকদের মধ্যে নিজের চেষ্টায় এতটা আসার জন্যে ফোর্বসের আরো দুটো তালিকায় জায়গা করে নেন সুইফট। আর এবার সমসাময়িক সব তারকার আয়ের সাথে টক্কর লাগিয়ে সবাইকে হারিয়ে দিয়ে সামনে চলে এলেন নিজের অভিজ্ঞতাগুলোকে পুঁজি করে গানের লাইন লিখে যাওয়া এই তারকা। তবে গানের জগত্ বাদেও কেডস, ডায়েট কোক আর অ্যাপলের সাথে কাজ করেন টেইলর।

৪. অ্যাডেল

হ্যালো! শব্দটি খুব পরিচিত কারণ প্রতিদিন আমরা সেটা ব্যবহার করি নানা কাজে। বিশেষ করে টেলিফোনের ওপারের ব্যাক্তিটির সাথে কথা বলতে। তবে গত বছর এই শব্দটিকে আরো একটু জনপ্রিয় করে তুলেছেন সঙ্গীতশিল্পী অ্যাডেল নিজের হ্যালো গানটির মাধ্যমে। পুরো নাম অ্যাডেল লরি ব্লু অ্যাটকিনস। গীতিকার ও গায়িকা অ্যাডেলের প্রথম অ্যালবাম ১৯ বের হয় ২০০৮ সালে। বেশকিছু সম্মাননা জিতে নেন তিনি তখন এই কাজের জন্যে। এরপর ২০১১ এর প্রথমদিকে মুক্তি পাওয়া তার পরবর্তী অ্যালবাম ২১ প্রচুর পুরষ্কার এনে দেয় এই শিল্পীকে। বিশেষ করে সেই পুরষ্কারগুলোর ভেতরে থাকা রেকর্ড তৈরি করা ছয়টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের কথা তো না বললেই নয়। সে বছরের অ্যালবাম অব দ্যা ইয়ার হিসেবে বিবেচিত হয় ২১। এমনকি এই অ্যালবামটির জন্যে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে জায়গা করে নেন তিনি। ২০১১-১২ সালে বিলবোর্ড তাকে বছরের সেরা শিল্পী হিসেবে নির্ধারণ করে। টাইম ম্যাগাজিনে ২০১২ সালের সবচাইতে প্রভাবশালীদের ভেতরে অন্যতম একজন হিসেবে তালিকায় স্থান করে নেন অ্যাডেল। আর ২০১৬? এবছরে নিজের হ্যালো অ্যালবামটির মাধ্যমে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রির রেকর্ড গড়ে ফোর্বসের সর্বাধিক আয়ের অধিকারী মানুষের তালিকার নবম অবস্থানে জায়গা করে নেন এই গায়িকা।

৫. হিলারি ক্লিনটন

বর্তমান সময়ে আর সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়ে যে নারীর নাম পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। এবারের আমেরিকর প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন হিলারি। আর সেই সুবাদেই তার নাম এখন সর্বত্র। ক্ষমতাধারী নারীদের তালিকাতেও তিনি এবার রয়েছেন এগিয়ে।

লিখেছেন-
সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
ফিচার রাইটার

 

ঝটপট খুব সহজে তৈরি করে নিন মজাদার চিকেন ড্রাম বাস্টার

চিকেন ফ্রাই, চিকেন ললিপপ, চিকেন উইংস বেশ জনপ্রিয় কিছু খাবার। রেস্টুরেন্টে গেলে সাধারণত এই খাবারগুলো অর্ডার করা হয়। চিকেনের আরেকটি খাবার হল চিকেন ড্রাম বাস্টার। বাচ্চাদের সাথে সাথে এই খাবারটি বড়রাও খেতে পছন্দ করে। টিফিনে হোক কিংবা বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার চিকেন ড্রাম বাস্টার।

উপকরণ:

৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস

১০০ গ্রাম মুরগির চর্বি

২ টেবিল চামচ ক্রিম

২ চা চামচ গোল মরিচে গুঁড়ো

লবণ

তেল

২ চা চামচ রসুন কুচি

১ চা চামচ শুকনো মরিচ

১ চা চামচ গরম মশলা

২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

মাখন

১/২ চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার

১ চা চামচ ময়দা

১ চা চামচ বেকিং সোডা

১টি ডিম

প্রণালী:

১। মুরগির বুকের মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর মুরগির টুকরো, মুরগির চর্বি একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

২। এবার মুরগির কিমার সাথে ক্রিম, গোল মরিচের গুঁড়ো, লবণ, শুকনো মরিচের গুঁড়ো, গরম মশলা, ধনেপাতা কুচি, লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার মুরগির মিশ্রণটি ছোট বলের মত করে কাঠির সাথে লাগিয়ে (ভিডিও অনুযায়ী) নিন।

৪। আরেকটি পাত্রে কর্ণ ফ্লাওয়ার, ময়দা, গোল মরিচের গুঁড়ো, বেকিং সোডা, লবণ ভাল করে মেশান। এর সাথে ডিম এবং পানি দিয়ে কিছুটা পাতলা মিশ্রণ করুন।

৫। এবার মুরগির কাঠিগুলো ময়দার মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবো তেলে দিয়ে দিন।

৬। বাদামী রং হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।

৭। ব্যস তৈরি হয়ে গেল চিকেন ড্রাম বাস্টার।