banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

১১ নারী পেলেন ‘অনন্যা’ সম্মাননা

স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১০টি বিভাগে ১১ জন নারীকে ‘অনন্যা শীর্ষদশ-২০১৫’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। নারী-বিষয়ক সাময়িকী পাক্ষিক অনন্যা এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ বছর পর্বতারোহণের জন্য ওয়াসফিয়া নাজরীন, প্রযুক্তি খাতে সোনিয়া কবির বশির, সাংগঠনিক দক্ষতায় লুভা নাহিদ চৌধুরী, উদ্যোক্তায় মালিহা এম কাদির, সাংবাদিকতায় সুপ্রীতি ধর, সমাজকর্মে সাহিদা আক্তার স্বর্ণা, শিক্ষায় উম্মে তানজিলা চৌধুরী মুনিয়া, চলচ্চিত্রে অপর্ণা ঘোষ ও সংগীতে অণিমা মুক্তা গোমেজ এই সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়া খেলাধুলায় অবদান রাখায় যৌথভাবে এ পুরস্কার পেয়েছেন গত বছর এসএ গেমসে ভারোত্তলনে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাবিয়া আক্তার ও সাঁতারে স্বর্ণপদক বিজয়ী মাহফুজা খাতুন শিলা।

১৯৯৩ সাল থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য নারীদের এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। গত ২২ বছরে ২১০ জন কৃতী নারী এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন সম্মাননা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘এই স্বীকৃতি নারীদের আরও অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করবে।’

চট্টগ্রামের দৃষ্টিহীন সমাজকর্মী উম্মে তানজিলা চৌধুরী মুনিয়া প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য এবার অনন্যা সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিবন্ধী নারীরা যে কতটা পিছিয়ে আছে সে কথা গণমাধ্যমে আসে না। আমি কৃতজ্ঞ, অনন্যার এই সম্মাননা আমার কাজকে আরও উৎসাহিত করবে।’

খেলাধুলায় যৌথভাবে সম্মাননা পাওয়া মাহফুজা খাতুন শিলা বলেন, ‘মেয়েদের যোগ্যতা থাকলে মেয়েদের কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? সমাজে বৈষম্যের শেষ নেই, তবু মেয়েরা এগিয়ে যাবেই।’

আগে মেয়েরা লোকসংগীত গাইতে গেলে বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হতের বলে জানান সংগীতে সম্মাননা পাওয়া অণিমা মুক্তা গোমেজ। এখন এ অবস্থার অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি জানালেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লোকসংগীত নিয়ে তিনি কাজ করতে চান।

নারীর চোখে বিশ্ব দেখার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮৮ সালে পাক্ষিক অনন্যা যাত্রা শুরু করে। অনন্যা শুধু বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্বের নারীর সক্ষমতা ও অগ্রগতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরে নারীর মানবিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলো।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবীর, নারীনেত্রী মাহফুজা খানম উপস্থিত ছিলেন।

 

ওয়াজিব কোরবানি না দিতে পারলে করণীয় কী?

মোরগ কুরবানী করা, কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। [খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০]

মাসআলা : কুরবানী করতে না পারলে, কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে। [বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫]

মাসআলা : মোরগ কুরবানী করা, কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। [খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০]

লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
গ্রন্থনা সম্পাদনা : মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল কাউসার

 

হাবিব ওয়াহিদের মন তিশার জন্য কতটা বেপরোয়া!

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। অন্যদিকে মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তবে হাবিব ওয়াহিদের মন তিশার জন্য কতটা বেপরোয়া! শিরোনাম পড়ে কি ভড়কে গেলেন? না বিষয়টি তেমন কিছু নয়। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে, অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়েছে হাবিব-তিশার রোমান্টিক রসায়ন ‘বেপরোয়া মন’।

চিত্রপরিচালক অনন্য মামুনের পরিচালনায় এই গানের ভিডিওতে জুটি বেঁধেছেন তারা! ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে একেবারে সিনেমাটিক ফর্মুলায়। তাই তো এর নির্দেশক ও কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন অনন্য মামুন আর ভিডিওতে হাবিবের বিপরীতে নায়িকা রূপে আছেন তিশা। দুজনার কসটিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন রামিম রাজ।

রোমান্টিক ধরনের এ গানটির শুটিং হয়েছে ১৩ আগস্ট, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। ঈদ উপলক্ষে লাইভ টেকনোলজির ব্যনারে প্রকাশ পেয়েছে ভিডিওটি। আর গানটির সুর-সংগীত-কণ্ঠ হাবিব নিজেই করেছেন। লিখেছেন হৃদ্ধি।

এদিকে চলতি মাসের প্রথম রাতে প্রকাশ পায় হাবিবের শেষ মিউজিক ভিডিও ‘মনের ঠিকানা’। যাতে হাবিবের বিপরীতে মডেল হন শার্লিনা হোসাইন। অন্যদিকে ইমরানের ‘বলতে চেয়ে মনে হয়’ গানে সর্বশেষ মডেল হয়েছিলেন তানজিন তিশা। সম্প্রতি এই গানটি ইউটিউবে ভিউয়ার্স এক কোটি ছাড়িয়েছে।

 

ভ্রমণ করুন বোরা বোরা আইল্যান্ডে

সমুদ্রের জল কতটা স্বচ্ছ হতে পারে? এতটা যে আপনার মনে হবে কোন জলই নেই? দূর থেকে একটা টলটলে টারকুইশ রঙ চোখে পড়বে আপনার, কিন্তু কাছে এলে দেখবেন কোন রঙ নেই। সমুদ্রের তল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মাঝে যে জলের একটা ব্যারিয়ার আছে সেটা যেন চোখেই পড়ে না।
ভেসে চলা বোটগুলো পানিতে ভাসছে নাকি শূন্যে? জলের অনুভব ছাড়া দৃশ্যত যেন কোন জল নেই। হ্যাঁ, এমন স্বচ্ছ জলও আছে পৃথিবীতে। দেখতে হলে চলে যান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বোরা বোরা অঞ্চলে। ফ্রান্সের প্লিনেসিয়ার লিউয়ার্ড আইল্যান্ডগুলোর অন্যতম এই বোরা বোরা। সম্প্রতি U.S. News দ্বারা “the best island in the world” হিসেবে এটি স্বীকৃতি পেয়েছে।
এটি যেন মর্ত্যের বুকে স্বর্গ। স্বর্গে পা ফেলে আপনি ভুলে যাবেন পার্থিব সকল চিন্তা। শুধু বিস্ময়ের অনুভূতি নিয়ে কেটে যাবে আপনার ভ্রমণের সময়টা। বোরা বোরাকে সম্পূর্ণ রূপে উপভোগ করতে করুন এই কাজগুলো-
১। হেলিকপ্টার ট্রিপ
একটি হেলিকপ্টারে করে সারা আইল্যান্ডটি ঘুরে দেখুন। উপভোগ করুন সমূদ্রের রঙ, বিস্তৃত সৈকত আর সবুজে ঢাকা পর্বত ওটেমানু। উপভোগ করুন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উভয়ই।
২। প্যারাসেইলিং
প্যারাসেইলিং করে সমূদ্রের টারকুইশ লাগুন দেখুন বার্ডস আই ভিউ থেকে। দেখুন একই পর্বত ওটেমানুকে। সাথে উপভোগ করুন সমূদ্রের প্রাণীদের জীবনাচরণ। স্বচ্ছ জলের নীচে দেখতে পাবেন কচ্ছপ, হাঙ্গর আর স্ট্রিংগ্রে।
৩। কাইট সার্ফিং
এটি প্যারাসেইলিং এবং উইন্ডসার্ফিং এর একটি সমন্বয়। এটি করতে হলে ছোট্ট একটা প্রশিক্ষণ নিতে হবে আপনাকে। তবে বেশ রোমাঞ্চকর হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আপনি থাকবেন সমুদ্রের একদম কাছাকাছি, কিন্তু উড়বেন শূন্যে!
৪। একুয়া বাইক
২ সিটের একটি বাইকে চড়ে একটি ভিন্নধর্মী রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে পারেন আপনি। অভিজ্ঞ একজন ড্রাইভার বাইক চালিয়ে আপনাকে নিয়ে নেমে যাবেন সমুদ্রের জলে। বাইক সহ ডুবন্ত অবস্থায় আপনি মাছেদের খাওয়াতে পারবেন। মজার না বিষয়টা?
৫। একুয়া সাফারি উইথ হেলমেট
সমুদ্রকে আরো কাছ থেকে একেবারে তলদেশে প্রবেশ করে উপভোগের সুযোগ এটি। স্নোরকেলিং এবং একটি নৌকা ভ্রমণ যুক্ত আছে এই প্যাকেজে। কোন অভিজ্ঞতার প্র্যোজন নেই। এপনি যদি ভাল সাঁতার না জানেন তাতেও কোন সমস্যা নেই। ১৫ ফুট গভীর পর্যন্ত হেটে চলে যেতে পারবেন আপনি, সাথে আপনার গাইড আপনাকে শোনাবেন মাছেসের গল্প, সমূদ্রের নানান কাহিনী।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

কেমন হবে ইন্টারভিউ অ্যাটিচিউড?

ইন্টারভিউ এর দিনটি কিন্তু খুবই স্পেশাল। একেবারে যেন ভাগ্য নির্ধারণের দিন। আর যে কোন দিন যেমন তেমন, কিন্তু ইন্টারভিউ এর দিন থাকা চাই ফিটফাট। পোশাকে শুধু নয়, প্রকাশভঙ্গিতে থাকা চাই স্মার্টনেস। ব্যক্তত্বে প্রকাশ পাওয়া চাই আত্মবিশ্বাস। তবেই যেন আসবে সফলতা। হ্যা, ইন্টারভিউ বোর্ডে যোগ্যতার সাথে সাথে এই অ্যাটিচিউড প্রকাশ করাও বিশেষ জরুরি। জেনে নিই আরও বিস্তারিত-
 
এক্সট্রোভার্ট অ্যাটিচিউড
ইন্টারভিউ বোর্ডে এক্সট্রোভার্ট ব্যক্তিত্বের মানুষেরা বেশী নজর কাড়ে। কারণ আপনি যদি ইন্ট্রোভার্ট হন তা থেকে মনে হতে পারে আপনি লাজুক, সহকর্মীর সাথে মানিয়ে চলতে আপনার সমস্যা হবে, ক্লায়েন্টের সাথে ডিলিংস এও পিছিয়ে পড়বেন আপনি। ইন্টারভিউয়াররা সবসময় এমন একজন মানুষকে তাদের কোম্পানির জন্য নির্বাচিত করতে চান যিনি দায়িত্ব সামলানোর জন্য শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় যোগ্য হবেন না, একই সাথে তিনি হবেন এক্সট্রোভার্ট।
স্মার্ট অ্যাটিচিউড 
স্মার্ট তো হতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আপনি যে অঞ্চলের মানুষই হন না কেন আপনার উচ্চারণ হতে হবে শুদ্ধ বাংলা। ইন্টারভিউ বোর্ডে অশুদ্ধ উচ্চারণ খুব বাজে ইম্প্রেশন তৈরি করে। আপনাকে পোশাকেও স্মার্ট হতে হবে। চুল আঁচড়ানো থেকে শুরু করে পায়ের জুতা পর্যন্ত ঝকঝকে হওয়া চাই। চোখে মুখে থাকা চাই বুদ্ধির ছাপ।
সিরিয়াস অ্যাটিচিউড
স্মার্ট হবেন, সাথে হবেন ক্লাসি। আপনি এই ইন্টারভিউতে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে চাকরিজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। আপনি যে আপনার ক্যারিয়ারের ব্যাপারে সিরিয়াস সেটা আপনার আচরণে প্রকাশ পাওয়া প্রয়োজন। চাকরিটা আপনার দরকার শুধু নয়, আপনার মাঝে আছে প্রফেশনের প্রতি নিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা, এই অ্যাটিচিউড নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে বোর্ডের সবাইকে।
ম্যানেজেবল অ্যাটিচিউড
ইন্টারভিউ বোর্ডে অনেক বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়। আপনার দায়িত্ব হল বিব্রত না হয়ে কৌশলে উত্তর দেওয়া। এই প্রশ্নগুলো করাই হয় যাতে পরীক্ষা করা যায় আপনি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি কতটা ম্যানেজ করতে পারেন। কারণ চাকরি জীবনে আপনাকে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। তাই ইন্টারভিউ বোর্ডেই প্রমাণ করে দিন আপনার সেই ক্ষমতা আছে। ধরে রাখুন আত্মবিশ্বাস।
 
ওবিডিয়েন্ট অ্যাটিচিউড
আত্মবিশ্বাসী হবেন, কিন্তু অনুগতও হতে হবে। আপনার কোম্পানি নিশ্চয়ই ঔদ্ধত্য পছন্দ করবে না আপনার মাঝে। তাই প্রতিটি পদক্ষেপে আনুগত্য প্রকাশ করুন। ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশের সময় অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করুন। বসার আগে অনুমতি নিন। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় বিনয়ের সাথে উত্তর দিন। ধন্যবাদ দিন। কোম্পানির প্রশংসা করুন। এই কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারলে আপনি খুশী হবেন সেটা প্রকাশ করুন। চাকরি আপনার নিশ্চিত।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

ছোট্ট ক্ষুধা মেটান চিকেন কিমা প্যাটিসে

ফাস্ট ফুড হিসেবে প্যাটিস বেশ পরিচিত। তবে তৈরি করা বেশ ঝামেলা বলে অনেকেই বাড়িতে তা তৈরি করতে চান না। আজ দেখে নিন এমন একটি রেসিপি যাতে ঝামেলা একেবারেই কম। আর এই প্যাটিস তৈরিতে মুরগীর মাংসের কিমার পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় সেদ্ধ আলু, ফলে প্যাটিস হয় নরম ও মুখরোচক। চলুন দেখে নিই একদম সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ
– ২৫০ গ্রাম মুরগীর মাংসের কিমা
– ৩টি বড় আলু, সেদ্ধ করা
– লবণ স্বাদমতো
– ২ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
– ভাজার জন্য তেল
– ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
– ১ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
– ১টি বড় পিঁয়াজ, মিহি কুচি করা
– ১ চা চামচ কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়ো
– ১ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
– ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
– ১ চা চামচ চাট মশলা
– দেড় টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
– পরিবেশনের জন্য চাটনি ও সস
প্রণালী
১) একটি বড় বাটিতে সেদ্ধ আলু চটকে নিন। এতে লবণ এবং কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে মাখিয়ে নিন।
২) ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে নিন একটি নন-স্টিক প্যানে। এতে রসুন কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে সাঁতলে নিন ১ মিনিট।
৩) পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ১ মিনিট সাঁতলে নিন। কিমা দিয়ে দিন। বেশি আঁচে ভাজুন ১-২ মিনিট।
৪) আঁচ কমিয়ে দিন। লবণ, মরিচ, গরম মশলা এবং ধনে দিয়ে ভালো করে মেশান। ওপরে অল্প করে পানি দিয়ে কম আঁচে রান্না করে নিন ৫ মিনিট বা কিমা সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত।
৫) কিমা রান্না হয়ে এলে চাট মশলা এবং ধনেপাতা কুচি দিন। মিশিয়ে ঠাণ্ডা হতে রাখুন একটি বাটিতে।
৬) হাতে অল্প করে তেল মেখে নিন। সমান ভাগে ভাগ করে নিন আলুর মিশ্রণ এবং কিমার মিশ্রণ।
৭) একভাগ আলুর মিশ্রণ নিন। এর মাঝে গর্ত করে একভাগ কিমার মিশ্রণ দিন। আলু দিয়ে ঢেকে প্যাটিসের আকৃতি দিন। এভাবে কয়েকটি প্যাটিস তৈরি করে নিন। প্যাটিসে অল্প করে কর্ন ফ্লাওয়ার ছিটিয়ে নিন।
৮) নন স্টিক তাওয়াতে অল্প করে তেল গরম করে নিন। মাঝারি আঁচে প্যাটিস ভেজে নিন। কিচেন পেপারে তেল ঝরিয়ে নিন।
গরম গরম পরিবেশন করুন চাটনি ও সসের সাথে।

 

জেনে নিন শাড়ি পরার ভিন্নরকম কিছু টিপস্

শাড়ি আর নারী! একে অপরকে ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। যতই মর্ডান ফ্যাশন থাকুক না কেন, শাড়িতে যে নারী অপরূপ সুন্দরী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শাড়ির ফ্যাশনেও বা কেন বাদ পড়বে আধুনিকতার ছোঁয়া? তাই শাড়ি পরার স্টাইলে আনুন কিছু নতুনত্ব। জেনে নিন কয়েকটি টিপস, তাতে সাধারণের মধ্যে আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা।

১.চটজলদি শাড়ির সাজে আনুন নতুনত্ব। শাড়ির আঁচলটি টাই আকারে জড়িয়ে নিন গলায়। দেখবেন, কেমন অসাধারণ সুন্দর দেখাবে আপনাকে।

২.একটু অন্যভাবে সাজতে, ব্লাউজের বদলে টি-শার্টের উপর শাড়ি পরতে পারেন।

৩.স্কার্ফের স্টাইলে জড়িয়ে নিন শাড়ির আঁচল।

৪.ঐতিহ্যে মোড়া স্লিভলেস ব্লাউজ ট্রাই করুন। আপনার সাজে নতুন ঝলক আনতে শাড়ির উপর লম্বা কোট মানাবে দারুণ।

৫.এক রঙা শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন প্রিন্টেড শাড়ি।

৬.শাড়ি ও স্নিকার্স একসঙ্গে! অনেকে তা কল্পনাও করতে পারেন না। তবে আপনি যে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী তা বোঝাতে শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন একজোড়া স্নিকার্স।