banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা যাবে কী?

অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে আমানত (আনুগত্য, ইবাদত, সম্পদ, গচ্ছিত দ্রব্য ইত্যাদি) এর নামে কসম করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়”। [সুনান আবু দাউদ; মিশকাত, হাদীস নং ৩৪২০]

আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যার নামে ইচ্ছা কসম করতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টির জন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা জায়েয নেই। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষের মুখেই নির্বিবাদে গায়রুল্লাহর নামে কসম উচ্চারিত হয়। কসম মূলতঃ এক প্রকার সম্মান, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ পাওয়ার যোগ্য নয়।

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কারো যদি শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে”। [সহীহ বুখার; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৩৪০৭]

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত আরেকটি হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে শিরক করল”। [সুনান আবু দাউদ; তিরমিযী, মিশকাত, হাদীস নং ৩৪১৯]

অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে আমানত (আনুগত্য, ইবাদত, সম্পদ, গচ্ছিত দ্রব্য ইত্যাদি) এর নামে কসম করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়”। [সুনান আবু দাউদ; মিশকাত, হাদীস নং ৩৪২০]

সুতরাং কাবা, আমানত, মর্যাদা, সাহায্য, অমুকের বরকত, অমুকের জীবন, নবীর মর্যাদা, অলীর মর্যাদা, পিতা-মাতা ও সন্তানের মাথা ইত্যাদি দিয়ে কসম খাওয়া নিষিদ্ধ। কেউ যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করে তবে তার কাফ্ফারা হলো ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ পাঠ করা। যেমন, সহীহ হাদীসে এসেছে, “যে ব্যক্তি শপথ করতে গিয়ে লাত ও উয্যার নামে শপথ করে বসে, সে যেন বলে, ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ”। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৩৪০৯]

উল্লিখিত অবৈধ শপথের ধাঁচে কিছু শিরক ও হারাম কথা কতিপয় মুসলিমের মুখে উচ্চারিত হতে শোনা যায়। যেমন, বলা হয় ‘আমি আল্লাহ ও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। ‘আল্লাহ আর আপনার ওপরই ভরসা’। ‘এটা আল্লাহ ও তোমার পক্ষ থেকে হয়েছে’। ‘আল্লাহ ও আপনি ছাড়া আমার আর কেউ নেই’। ‘আমার জন্য উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনি আছেন’। ‘আল্লাহ ও অমুক যদি না থাকত’। ‘‘আমি ইসলাম থেকে মুক্ত বা ইসলামের ধার ধারি না’। ‘হায় কালের চক্র, আমার সব শেষ করে দিল’। ‘এখন আমার দুঃসময় চলছে’। ‘এ সময়টা অলক্ষণে’। ‘সময় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, সময়কে গালি দিলে সময়ের স্রষ্টা আল্লাহকেই গালি দেওয়া হয় বলে হাদীসে কুদসীতে এসেছে। সুতরাং সময়কে গালি দেওয়া নিষিদ্ধ। অনুরূপভাবে প্রকৃতি যা চেয়েছে বলাও একই পর্যায়ভুক্ত।

অনুরূপভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের সাথে দাসত্ব বা দাস অর্থবোধক শব্দ ব্যবহারও এ পর্যায়ে পড়ে। যেমন আব্দুল মসীহ, আবদুর রাসূল, আবদুন নবী, আবদুল হুসাইন ইত্যাদি। আধুনিক কিছু শব্দ ও পরিভাষাও রয়েছে যা তাওহীদের পরিপন্থী। যেমন, ইসলামী সমাজতন্ত্র, ইসলামী গণতন্ত্র, জনগণের ইচ্ছাই আল্লাহর ইচ্ছা, দীন আল্লাহর আর দেশ সকল মানুষের, আরব্য জাতীয়তাবাদের নামে শপথ, বিপ্লবের নামে শপথ করে বলছি ইত্যাদি।

কোনো রাজা-বাদশাহকে ‘শাহানশাহ’ বা ‘রাজাধিরাজ’ বলাও হারাম। একইভাবে কোনো মানুষকে ‘কাযীউল কুযাত’ বা ‘বিচারকদের উপরস্থ বিচারক’ বলা যাবে না। অনুরূপভাবে কোনো কাফির বা মুনাফিকের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক ‘সাইয়িদ’ তথা ‘জনাব’ বা অন্য ভাষার অনুরূপ কোনো শব্দ ব্যবহার করাও সিদ্ধ নয়। আফসোস, অনুশোচনা ও বিরাগ প্রকাশের জন্য ‘যদি’ ব্যবহার করে বলা (যেমন এটা বলা যে, ‘যদি এটা করতাম তাহলে ওটা হত না’), কারণ, এমন কথা বললে শয়তানের খপ্পরে পড়ে যেতে হয়। অনুরূপ ‘হে আল্লাহ! তুমি চাইলে আমাকে ক্ষমা করো’ এ জাতীয় কথা বলাও বৈধ নয়। [বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, মুজামুল মানাহিল লাফযিয়্যাহ, শাইখ বকর আবদুল্লাহ আবু যায়েদ]

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদক : মু. সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
গ্রন্থনায় : ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
সৌজন্যে : ইসলামহাউজ

 

চাকরির সিভি থেকে দূরে রাখুন এই শব্দগুলো

বর্তমান যুগে নিজের জীবনমান উন্নত করতে চাইলে দরকার পড়ে একটি ভালো চাকরির। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পূর্বশর্ত হচ্ছে সিভি বা কারিকুলাম ভিটা। প্রথমেই কোন চাকরিপ্রার্থীকে সরাসরি দেখে বা তার কথা শুনে চাকরিদাতা কোন ধারণা করেন না। এক্ষেত্রে সবচাইতে আগে চাকরিদাতা যেটি দেখেন সেটা হল চাকরইপ্রার্থীর সিভি। এর ওপরই নির্ভর করে কেউ ইন্টারভিউয়ের ডাক পাবেন নাকি পাবেননা। তাই একটি ভালো চাকরিকে হাতের নাগালে আনতে চাইলে আপনার অবশ্যই মনোযোগ দেওয়া উচিত আপনার সিভির ওপরে। তবে একটি ভালো সিভির অধিকারী হওয়ার পরেও অনেক সময় চাকরি পেতে ব্যর্থ হতে পারেন আপনি একটি ছোট্ট ভুলের জন্যে। আর সেটি হচ্ছে সিভিতে ভুল শব্দের ব্যবহার। জানতে চান শব্দগুলো কী কী?

১. কঠোর পরিশ্রমী (Hardworking)

সিভিতে অনেকেই নিজেকে হার্ডওয়ার্কিং বা কঠোর পরিশ্রমী বলে উল্লেখ করে থাকেন। তবে এটি কেবল আপনার সিভির পৃষ্ঠা ভরানো আর চাকরিদাতাদের সময় নষ্ট ছাড়া আর কোন কাজেই আসেনা। চাকরিদাতাকে যখন আপনি এটাই বোঝাতে চান যে আপনি কঠোর পরিশ্রমী তখন কথায় নয়, বরং কাজে সেটা করে দেখান। এই যেমন- পড়াশোনার পাশাপাশি একটা চাকরি করা বা এ রকমের কিছু। এতে করে আপনি না বললেও তারা এমনিতেই বুঝে নেবে আপনি ঠিক কতটা পরিশ্রমী।

২. বেতন আলোচনাযোগ্য (Salary negotiable)

স্যালারি নেগোশিয়েবল বা এ রকমের কোন কথা যদি আপনি আপনার সিভিতেলিখে থাকেন তাহলে চাকরিদাতার কাছে এটাই মনে হবে যে আপনার নিজেকে তুলে ধরার আর কিছু ছিলনা বিধায় পৃষ্ঠা ভরাতে এমন কিছু লিখেছেন আপনি। এছাড়াও নীচে রেফারেন্স দেওয়া হল বা এ রকমের কথাগুলোর ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য। বেতনের ব্যাপারে আপনার মাথায় অবশ্যই একটি সংখ্যা থাকবে। তবে সেটা সিভিতে নয়, আলোচনা করুন ইন্টারভিউয়ে।

৩. দায়ী (Responsible for)

প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই আপনি কাজ করেন কারণ আপনাকে সেই কাজটি করতে দেওয়া হয়েছে। তাই রেসপনসিবল ফরের মতন শব্দ সিভিতে উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন। ব্যবহার করুন লেড (Led), ম্যানেজড (Managed) ধরণের শব্দগুলো। এতে করে আপনাকে কী কাজ দেওয়া হয়েছিল সেটা নয়, চাকরিদাতা জানতে পারবেন যে আপনি সেই কাজটি কতটা দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন।

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

ফিচার রাইটার

 

গরমে প্রাণ জুড়াবে ঠান্ডা ঠান্ডা ফালুদা

গরমে ঠান্ডা যে খাবারগুলো খাওয়া হয়, তার মধ্যে ফালুদা অন্যতম। রেস্টুরেন্টে গেলে অনেকেই এই খাবারটি অর্ডার করে থাকেন। বরফ, আইসক্রিম জেলটিনের সম্বনয়ে ফালুদা খেতে দারুন লাগে। মজাদার এই খাবারটি আপনি চাইলে এখন ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে না খুব বেশি উপাদানের। আসুন তাহলে ফালুদা তৈরির সহজ রেসিপিটি জেনে নিই।

উপকরণ:

২-৩ টেবিল চামচ সিরাপ

১ চা চামচ সাবুদানা

১ কাপ নুডলস

২ কাপ দুধ

আইসক্রিম

স্ট্রবেরী জেলি

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি প্যানে দুধ জ্বাল দিন। জ্বাল দেওয়ার সময় বার বার নাড়তে থাকুন, যাতে দুধ প্যানের নিচে না লেগে যায়।

২। যখন দুধ ফুটে আসবে তখন এতে চিনি দিয়ে দিন।

৩। এরপর এটি ৩-৪ মিনিট জ্বাল দিন।

৪। চুলা থেকে দুধ নামিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘন্টা।

৫। ঠান্ডা দুধের সাথে রোজ সিরাপ অথবা রুহ আফজা মেশান।

৬। নুডলস সিদ্ধ করে আলদা করে রাখুন।

৭। এবার পরিবেশন গ্লাসে প্রথমে সাগুদানা, তারপর নুডলস, জেলেটিন দিয়ে দিন।

৮। এতে সিরাপ মেশানো দুধ ঢেলে দিন।

৯। সবশেষে আইসক্রিমের টুকরো, পেস্তা বাদাম কুচি, কাঠা বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফালুদা।

 

যেভাবে শপিংয়ে কোয়ালিটি বুঝে নেবেন!

শপিংয়ের নাম শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। শপিংয়ের ক্রেজ নারীদেরই বেশি। এমন কোনও নারী নেই, কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন না। পুরুষরাও যে একেবারে এই লিস্ট থেকে বাইরে, তাও নয়। শপিং প্রেমীদের কেনাকাটা করতে কোনও কারণ লাগে না। সময় পেলেই কারণে অকারণে ঢু মারেন শপিং মলে। কিন্তু শুধু কেনাকাটা করলে হবে কী? পোশাকের কোয়ালিটিও যাচাই  করে দেখা দরকার। এই আসল-নকলের যুগে কোনটা ভালো কোনটা নয়, মানে পোশাকের কোয়ালিটি বুঝে নিন এইভাবে –

১) ফিটিংস : সাধারণ দোকান থেকে কোনও পোশাক কিনুন আর কোনও ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনুন। দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা খুব ভালো বুঝতে পারবেন। ব্র্যান্ডেড ও কোয়ালিটি পোশাক সবসময় খুব ভালো ফিট করে। শরীরের গড়ন অনুযায়ী হয়। উলটো দিকে সাধারণ দোকানের পোশাকের ফিটিংস কখনই ভালো হয় না।

২) মেটেরিয়াল : সবচেয়ে ভালো সুতি, উল ও সিল্কের পোশাক। এইসব ফ্যাব্রিকের পোশাক পরেও যেমন আরাম, তেমনই অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

৩) সেলাই : আলগা সেলাই মানেই, অল্পেতেই খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই পোশাক কেনার আগে ভালো করে তার সেলাই দেখে নিন। নয়তো কিনে আনার পরই দেখলেই সেলাই খুলে বিচ্ছিরি অবস্থা!

৪) ডিজাইন : পোশাকের ডিজাইন যাই হোক না কেন, তাতে সামঞ্জস্য থাকা মাস্ট। যেখানে সেখানে অহেতুক বোতাম, পকেটযুক্ত পোশাক একেবারেই বেমানান। পোশাক কেনার আগে এগুলো দেখে নিন।

সবশেষে পোশাক কেনার আগে, সামান্য ঘষলেই বুঝবেই তা কতটা ভালো। সামান্য ঘষাঘষিতেই যদি পোশাক খুঁজতে বিগড়ে যায়, সেটা হতে পারে খারাপ মেটিরিয়ালের। একবার পরার পরই পুরনো দেখাবে। তাই পোশাক কেনার আগে কোয়ালিটি বুঝে নেওয়া মাস্ট। আরে বাবা, শপিং করে মন খুশ হয়ে যায় ঠিকই। তা বলে কি নকল থেকে সাবধান থাকবেন না?

 

সন্তানের সুশিক্ষার দায়িত্ব পরিবারের

ট্রেন্ডটা অল্প দিনের হলেও আমরা বেশ কিছু বিষয়ে খুবই অভ্যস্ত। আর তা হল, ট্যাব বা মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখিয়ে, গান শুনিয়ে বা গেম খেলতে দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো এবং ব্যস্ত রাখা। অথচ এতে শিশুটির অসম্ভব ক্ষতি হচ্ছে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে। অথচ সন্তানের সুশিক্ষার দায়িত্ব নির্ভর করে পরিবারের ওপর।

বাবা-মা শিশুকে সময় দিলে, তার সঙ্গে গল্প করলে, বিনোদনের মধ্যে থাকলে যে বন্ধন গড়ে ওঠে, ফোন বা ট্যাবে ব্যস্ত রাখলে সেটা কখনই সম্ভব নয়। এতে করে ছোটবেলা থেকেই সে একা একা খেলা, কথা বলা, চিন্তা-ভাবনা করা শুরু করে। কোনো ঘটনা ঘটলেও তা বাবা-মায়ের কাছে না বলে চেপে রাখার অভ্যাস হয়ে যায় তার। তারপর ধীরে ধীরে একটা সময় অসামাজিক হয়ে পড়ে, তারপর মা-বাবা, পরিবারের কাছ থেকে দূরে সরে যায় সন্তানটি।

এসব দিকভ্রান্ত সন্তানদের কাছে স্কুল-কলেজের বন্ধু-বান্ধবই হয়ে ওঠে সব। অথবা পরবর্তীতে অন্য কোনো ব্যক্তি তাকে একটু স্নেহ, ভালোবাসা দিলে, ভালো কথা বললে, তার কথা শুনতে চাইলে, সেই ব্যক্তির জন্য জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত হয়ে ওঠে ছেলেমেয়েরা। এমনকি সেই ব্যক্তির কথায় মানুষ খুন করতেও দ্বিধা করে না।

অনেক বাবা মা তাদের ছোট্ট সন্তানের জন্য ট্যাব কিনে দেন। অথচ এই সোনালী দিনগুলো হাস্যোজ্জ্বল রাখার দায়িত্ব বাবা মায়ের। সন্তানের এই বয়সটা বাবা-মায়ের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার। এই বয়সে বাবা মা সন্তানের মনে জাগিয়ে রাখবেন নীতি নৈতিকতার আদর্শ চর্চা। সঠিক জীবন যাপনের পথ বেছে দেবেন।

উঠতি বয়স সব সময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করে। বাবা-মা বাদে অন্য কারো মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে কোনো সন্তান যদি এসব চ্যালেঞ্জের সুযোগ পায়, সামাজিক অঘটন ঘটানোর উপকরণ পায় তবে বেশিই আগ্রহ বোধ করে। বাবা-মা টের পাওয়ার আগেই হয়তো সন্তানটি মিশে যায় অন্ধকার জগতে। বড় কোনো ঘটনা ঘটার পর পরিবারের তখন কিছুই করার থাকে না। আর তাইতো শিশুরা আবেগহীন, অসামাজিক হয়ে ওঠার আগে তার মধ্যে যে আবেগ জাগিয়ে তুলতে পারেন একমাত্র মা-বাবাই।