banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ভালো বাবা-মায়ের সন্তান নষ্ট-খারাপ হয় কেন?

মোটা কথা, কাউকে ধিক্কার দেয়া এবং কারও পাপের কারণে তাকে লজ্জা দেয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার ছিলো। এই কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সা.-এর হাদিস মনে এসে গেলো— কোনো ব্যক্তি কাউকে যদি তার পাপের কারণে লজ্জা দেয়, তবে মৃত্যুর পূর্বে নিজেই সেই পাপে সে জড়িয়ে পড়বে। নবি করিম সা. বলেছেন— কারও বিপদে খুশি হলে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন রাখবেন না।

ইসমাঈল সাহেব যদিও আলেম ছিলেন না, কিন্তু অত্যন্ত ধর্মভীরু, তাহাজ্জুদগোজার ছিলেন এবং নিয়মিত জামাতে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে নামাজ আদায়ে সচেষ্ট ছিলেন। তার সর্বমোট ছয়টি সন্তান ছিলো। ইন্তেকালের পূর্বে তিনি যে পরিমাণে কষ্টকর অস্থিরতা ও যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন, তা ছিলো কেবল সন্তানদের জন্যে প্রচ- দুশ্চিন্তা। তার তিনটি সন্তানের বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু ছেলেরা ছিলো এখনও অবিবাহিত। এদের মধ্যে দুটি ছোটো ছেলে তাদের জন্যে দুর্নামের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। তারা উল্টাসিধা ও ভবঘুরের মতো হয়ে গিয়েছিলো এবং পুরো মহল্লা ও এলাকার অধিবাসীরা তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলো। দ্বিতীয় ছেলেটি সীমাহীন দুর্নামের অধিকারী হয়ে গিয়েছিলো।

এই সন্তানদের বাবা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন— হে আল্লাহ, আমার মনে পড়ছে না, আমি জীবনে এমন কী পাপ করেছি, যার কারণে আমাকে আজ এমন দুর্দিন দেখতে হচ্ছে। তার সমবয়সীরাও বলছিলো যে, তিনি ছেলেবেলা থেকেই সজ্জন ও ভালো মানুষ ছিলেন। সবসময় হারাম-হালাল বাছবিচার করে চলতেন। কখনো মাদক, ব্যভিচার ও জুয়াবাজির ধারেকাছেও ভেড়েন নি। একদিকে এমনই ছিলো তার ইতিবাচক অবস্থা, আর অন্যদিকে তার সন্তানদের নেতিবাচক পরিস্থিতি। এই কঠিন প্যাঁচের গেড়ো খুলছিলো না। কয়েকজন ব্যক্তি তার ব্যাপারে গভীর পর্যবেক্ষণ করলেন। এ ক্ষেত্রে সমকালীন এক বুজুর্গ সাহায্যে এগিয়ে এলেন এবং বিষয়টি শীঘ্রই বোঝা গেলো। তার বুজুর্গ সঙ্গীর বক্তব্য ছিলো— যৌবনকালে মসজিদে যাওয়ার সময় যখন দুষ্ট ছেলেরা তার সামনে পড়তো, তাদের তিনি ধিক্কার দিতেন যে, তোদের কোন বদমাশ বাবা জন্ম দিয়েছে রে? তোদের বাবা কি হারাম রোজগার করে আর সেগুলো তোদের খাওয়ায়, যার কারণে তোদের এই দুরবস্থা হয়েছে?

স্বজনদের কারও কোনো নেতিবাচক, অপছন্দনীয় ও অবিশাসযোগ্য কথা যদি কানে আসতো, তবে তিনি সবার সামনে মন্তব্য করতেন যে, ইতরদের সন্তান ইতরই হয়ে থাকে। এই ছেলেদের বাবাও যুবক থাকতে এমন কোনো কাজ করে থাকবে। এ জন্যেই তার ছেলেদের এই অবস্থা হয়েছে।

মোটা কথা, কাউকে ধিক্কার দেয়া এবং কারও পাপের কারণে তাকে লজ্জা দেয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার ছিলো। এই কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সা.-এর হাদিস মনে এসে গেলো— কোনো ব্যক্তি কাউকে যদি তার পাপের কারণে লজ্জা দেয়, তবে মৃত্যুর পূর্বে নিজেই সেই পাপে সে জড়িয়ে পড়বে। নবি করিম সা. বলেছেন— কারও বিপদে খুশি হলে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ গোপন রাখবেন না।

আমাদের এই কথাটি বেশ ভালো করে বুঝে নেয়া উচিত যে, সন্তানদের এই মন্দ পরিণতি যুবক বয়সে তার মন্দভাষণ ও অন্যদের ধিক্কার দেয়ার ফল হতে পারে। তার সেই বুজুর্গ বন্ধু এটাও বলেন— নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত কঠোর আচরণ করতেন। তাদের কোনো অযাচিত কাজ তিনি কিছুতেই সহ্য করতেন না। ধমকাতেন, মারতেন এবং ক্ষুদ্ধ হয়ে কখনো সখনো তাদের ইবলিস, শয়তান, অভিশপ্ত ও প্রত্যাখ্যাত ইত্যাদিও বরতেন। হতে পারে, তা তক্ষুণি খোদার কাছে মঞ্জুর হয়ে গেছে। এ জন্যেই হয়তোবা আল্লাহ তায়ালা তার সন্তানদের শয়তানের বৈশিষ্ট্যধারী বানিয়ে দিয়েছেন। কেননা, সন্তানদের ব্যাপারে মা-বাবার দোয়া যেভাবে দ্রুত কবুল হয়, একইভাবে বাবা-মার বদ দোয়াও সন্তানদের বেলায় দ্রুত কার্যকর হয়ে দেখা দেয়। তাই কখনো মনের ভুলেও, রাগে ও উত্তেজিত হয়েও নিজের সন্তানদের ধমকানোর ক্ষেত্রে গলদ নামে ডাকা উচিত নয়। এমনও হতে পারে সেটাই কবুল হওয়ার সময় এবং তার প্রভাব প্রকাশ পেয়ে গেলো।

তিনি যদি তার সন্তানদের ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর নির্দেশিত নীতিমালা পালন ও দোয়া-প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের সন্তানদের প্রতিপালন করতেন এবং অন্য কারও সন্তানকে খারাপ না বলতেন, সম্ভবত তাহলে এমন দুর্দিন তাকে দেখতে হতো না। আল্লাহর কাচে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত— হে আল্লাহ, আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন, যারা আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা বয়ে আনে এবং আমাদের খোদাভীরুদের নেতা বানান।

সূত্র : বিখরে মোতি, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ১১০১

লেখক : মাওলানা ইউনুস পালনপুরি রহ.
অনুবাদ : মাওলানা মনযূরুল হক

 

নামাজে ইচ্ছাপূর্বক ইমামের আগে রুকু-সিজদাহ করলে কী হয়?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একটু বুড়িয়ে যান এবং তাঁর নড়াচড়ায় মন্থরতা দেখা দেয়, তখন তিনি তাঁর পিছনের মুক্তাদীদের এ বলে সতর্ক করে দেন যে, “হে লোকেরা! আমার দেহ ভারী হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা রুকু-সাজদায় আমার আগে চলে যেও না”। [বায়হাকী; সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১৭২৫]

যে কোনো কাজে তাড়াহুড়া করা মানুষের জন্মগত স্বভাব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, “মানুষ খুব দ্রুততা প্রিয়।” [বনী ইসরাঈল, আয়াত: ১১]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ধীরস্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে”। [তিরমিযী; মিশকাত, হাদীস নং ৫০৫৫; সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১৭৯৫]

জামাআতের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ডানে-বামে অনেক মুসল্লী ইমামের রুকু-সাজদায় যাওয়ার আগেই রুকু-সাজদায় চলে যাচ্ছে। এমনকি লক্ষ্য করলে নিজের মধ্যেও এ প্রবণতা দেখা যায়। উঠা-বসার তাকবীরগুলোতে তো এটা হরহামেশাই হতে দেখা যায়। এমনকি অনেকে ইমামের আগে সালামও ফিরিয়ে ফেলে। বিষয়টি অনেকের নিকটই গুরুত্ব পায় না। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এজন্য কঠোর শাস্তির হুমকি শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাবধান! যে ব্যক্তি ইমামের আগে মাথা তোলে তার কি ভয় হয় না যে, আল্লাহ তার মাথাটা গাধার মাথায় রূপান্তরিত করতে পারেন”? [সহীহ বুখারী; মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ১১৪১]

একজন মুসল্লীকে যখন ধীরে সুস্থে সালাতে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং তাড়াতাড়ি বা দ্রুত পায়ে নিষেধ করা হয়েছে । [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৬; মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১০৯০০৬]

তখন স্বীয় সালাত যে ধীরে-সুস্থে আদায় করতে হবে তাতে আর সন্দেহ কি? আবার কিছু লোকের নিকট ইমামের আগে গমন ও পিছনে পড়ে থাকার বিষয়টি তালগোল পাকিয়ে যায়। তাই মুজতাহিদগণ এজন্য একটি সুন্দর নিয়ম উল্লেখ করেছেন। তা হলো, ইমাম যখন তাকবীর শেষ করবেন মুক্তাদী তখন নড়াচড়া শুরু করবে। ইমাম ‘আল্লাহু আকবার এর ‘র’ বর্ণ উচ্চারণ করা মাত্রই মুক্তাদী রুকু-সাজদাহয় যাওয়ার জন্য মাথা নীচু করা শুরু করবে। অনুরূপভাবে রুকু থেকে মাথা তোলার সময় ইমামের ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’-এর ‘হ’ বর্ণ উচ্চারণ শেষ হলে মুক্তাদী মাথা তুলবে। এর আগেও করবে না, পরেও না। এভাবে সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে।

সাহাবীগণ যাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগে চলে না যান সে বিষয়ে খুব সতর্ক ও সচেষ্ট থাকতেন। বারা ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে সালাত আদায় করতেন। যখন তিনি রুকু থেকে মাথা তুলতেন তখন আমি এমন একজনকেও দেখি নি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কপাল মাটিতে রাখার আগে তার পিঠ বাঁকা করেছে। তিনি সাজদায় গিয়ে সারলে তারা তখন সাজদায় লুটিয়ে পড়তেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭৪]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একটু বুড়িয়ে যান এবং তাঁর নড়াচড়ায় মন্থরতা দেখা দেয়, তখন তিনি তাঁর পিছনের মুক্তাদীদের এ বলে সতর্ক করে দেন যে, “হে লোকেরা! আমার দেহ ভারী হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা রুকু-সাজদায় আমার আগে চলে যেও না”। [বায়হাকী; সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১৭২৫]

অপরদিকে ইমামকেও সালাতের তাকবীরে সুন্নাত মোতাবেক আমল করা জরুরি। এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন শুরুতে তাকবীর বলতেন। তারপর যখন রুকুতে যেতেন তখন তাকবীর বলতেন। তারপর বলতেন, ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ যখন রুকু থেকে পিঠ সোজা করতেন। তারপর দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন, ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন সালেহ তার উস্তাদ লাইস থেকে বর্ণনা করেন, ‘ওয়ালাকাল হামদ’। অতঃপর যখন সাজদায় যেতেন তখন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন সাজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন তখন তাকবীর বলতেন, তারপর যখন (দ্বিতীয়) সিজদায় যেতেন তখন তাকবীর বলতেন, সাজদাহ থেকে মাথা তুলতে তাকবীর বলতেন। এভাবে সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকবীর বলতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক শেষে দাঁড়ানোর সময়ও তাকবীর বলতেন”। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৭৯৯]

সুতরাং এভাবে ইমাম যখন সালাতে উঠা-বসার সঙ্গে তার তাকবীরকে সমন্বিত করে একই সাথে আদায় করবেন এবং মুক্তাদীগণও উল্লিখিত নিয়ম মেনে চলবে তখন সবারই জামা‘আতের বিধান ঠিক হয়ে যাবে।

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদক : মু. সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
গ্রন্থনায় : ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
সৌজন্যে : ইসলামহাউজ

 

ভ্রমণে চলুন পর্তুগাল

সমুদ্রবিলাসী মানুষের মন বার বার ছুটে যায় সমুদ্রের নীল জলের দিকে। প্রশান্তির হাতছানি দিয়ে ডাকে সমূদ্র, যে বিশ্রাম চায় তাকে দেয় শীতল আবেশ, যে রোমাঞ্চ চায় তার জন্য আছে অবাধ বিস্ময়ের ভান্ডার সমূদ্র তলদেশে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের স্বচ্ছ জল হোক আর হোক বেলিজের নীল গহবর সমূদ্রের সব নীল এক নয়, সব উপত্যকায় তার ঢেউ একই ভাবে আচড়ে পড়ে না। সমূদ্রের স্বভাবের এই অনন্যতাই মানুষকে টানে, আগ্রহী করে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন বিচ থেকে তাকে দেখার জন্য।
পর্তুগাল বিখ্যাত চমৎকার বিচগুলোর জন্য। একই সাথে একে আনন্দময় করেছে উষ্ণ আবহাওয়া, সমুদ্রের জলের গরম স্পর্শ। আসুন জেনে নিই আর কী কী অপেক্ষা করছে পর্তুগালে-
Praia da Rocha
চমৎকার আকার আর অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য্যের জন্য এই বিচটি পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। পোরটামাও শহরের দক্ষিণ দিকে এর অবস্থান। বিস্তৃত সাদা বালুকা বেলা আর অসাধারণ পাথুরে ক্লিফ এই বিচকে দিয়েছে অনন্য বিশেষত্ত্ব। হোটেল্গুলো থেকেই উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের ঢেউ, নীল জলরাশির অপূর্ব খেলা। ক্লিফগুলোতেও ঘুরে বেড়াতে পারবেন আপনি, সিড়ির মত ব্যবস্থা করা আহে সেখানে। আটলান্টিক মহাসাগরের ভিউ আরও নিবিড়ভাবে পেতে যেতে পারেন ১৭ শতকের Fortaleza de Santa Catarina তে।
Silves
পোরটামাও এর উত্তর-পূর্বে এর অবস্থান। শহরটি ছিল আলগ্রেভের মরিশ রাজধানী যতদিন পর্যন্ত না ক্রিশ্চিয়ান শক্তি একে দখল করে নেয়। শহরটি স্বাধীনতা হারায় ১২৪৯ সালে। আরাডে নদীর কাছে এই শহরটি আপনাকে শুধু অনন্য সৌন্দর্য্যের সাথেই মিলিত করবে না একই সাথে আপনার সামনে তুলে ধরবে মানবসভ্যতার অমূল্য ইতিহাস। Castelo dos Mouros নামের পর্বতচূড়ার ক্যাসল্টি নির্মিত হয়েছে লাল লাইমস্টোন দিয়ে। সিল্ভেসে গেলে অবশ্যই দেখে আসবেন এটি। কারণ হাজার বছর আগে কেমন ছিল পর্তুগাল তার পরিচয় পাবেন আপনি এখানে। এছাড়াও এই পর্বত থেকে গ্রামের প্যানারমিক ভিউ এক অবিস্মরণীয় সোউন্দর্য্যের সাথে সাক্ষাৎ, এই অভিজ্ঞতা মিস করবেন না যেন।
Albufeira
দক্ষিণ পর্তুগালের আরেকটি মরিশ শহর এটি। ১৩ শতকে দখল হয়ে যায় ক্রিশ্চিয়ান শক্তির দ্বারা। অনেকদিন পর্যন্ত এর নামই কেউ জানতো না। আলবুফেরিয়াকে সবাই যখন প্রায় ভুলেই গেছে তখন ১৯৬০ সালে আবার একে নতুন রূপে তুলে ধরা হয়। শহরটি অসাধারণ একটি বিচের অধিকারী। পর্যটকদের আগমণে আবার জেগে ওঠে শহরটি। প্রাচীন শহরটি, এর ঐতিহ্য, নিদর্শন এক্সপ্লোর করা একটি অভিনব অভিজ্ঞতা। Avenida Francisco Sá Carneiro এলাকাটি পরিচিত “The Strip” নামে। মাছ ধরা, স্কুভা ডাইভিং, বারে ঘুরে বেড়ানো সব মিলিয়ে রোমাঞ্চ এবং একই সাথে বিশ্রাম দুই ক্ষেত্রেই চমৎকার শহরটি।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

নতুন ট্রেন্ড এখন পোর্ট্রেট মেহেদি!

এই উপমহাদেশে বিয়ের ক্ষেত্রে মেহেদি অনেক জনপ্রিয় একটি প্রথা। বিয়ের আগে মেহেদি তাই অবশ্যই চাই। যদিও মেহেদী একটি অবাঙালি রীতি। তবে এখন ব্যাপারটা বদলে গেছে। বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে চারদিকে মেহেদি পরার খুব ধুম। দু’হাতে ও পায়ে মেহেদিতে ফুটে ওঠে নানা ডিজাইন ও কারুকার্য। মেহোদর বিভিন্ন ডিজাইন রয়েছে। তবে পোর্ট্রেট মেহেন্দি এখন নতুন ফ্যাশন। এখন হাতে আর শুধুমাত্র হবু বরের নামই নয়, ছবিও ফুটে উঠবে।

আপনিও চাইলে মনের মানুষটি ছবি নিজের হাতে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।

কেনো পোর্ট্রেট মেহেদি 

১) অসাধারণ সুন্দর দেখায়। হাতের সৌন্দর্যটাই দ্বিগুণ বেড়ে যায় পোর্ট্রেট মেহেদিতে।

২) মেহোদর এই কারুকার্য খুব নিখুঁত। এনে দেয় বিশেষ আকর্ষণ।

৩) জীবনসঙ্গীর নাম বা তাঁর ছবি অনেকেই ট্যাটু করিয়ে থাকেন। তবে সে বড্ড যন্ত্রণার ব্যাপার। পোর্ট্রেট মেহোদর মনের সেই ইচ্ছা বিনা জ্বালা যন্ত্রণায় পূর্ণ হবে এই পোর্ট্রেট মেহোদ স্টাইলে।

৪) মনের মানুষটি সবসময় মনে তো থাকেই। তার উপর যদি হাতের মুঠোয় সেই মানুষটার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে, তবে তো সোনায় সোহাগা!

তাই আর দেরি কেন! মেয়েরা তো এমনিতেই বিভিন্ন ডিজাইনের মেহেদি দিয়ে হাত পা সাজান। এবার তাহলে শুরু হোক নতুন একটি ট্রেন্ড। যেখানে মনের মানুষের ছবিও শোভা পাবে হাতে।

সূত্র: ইনাদুইন্ডিয়া

 

এই ৭টি কৌশল কর্মক্ষেত্রে আপনাকে করে তুলবে আত্মবিশ্বাসী

চাকরিতে সাফল্যা অর্জন করতে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার বিকল্প নেই। কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনাকে আত্নবিশ্বাসী হতেই হবে। এই আত্নবিশ্বাস আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে। কিন্তু অনেকেই তার কাজ, কাজের ক্ষেত্র নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। এই হীনমন্যতা কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠুন দারুন কিছু কৌশলে।

১। নেতিবাচকতা দূর করুন এবং ইতিবাচকতা নিয়ে আসুন

নিজের ভিতরে রাখা নেতিবাচকতা দূর করে দিন। “আমি এটা পারবো না”, “আমাকে দিয়ে হবে না” নিজের সম্পর্কে এইরকম নেতিবাচক কথা বলা বন্ধ করুন। এর পরিবর্তে নিজেকে বলুন “ আমি অব্যশই পারব” “আমিই পারবো”। হয়তো বর্তমান সময় ভাল যাচ্ছে না, তবুও নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখুন। এই ইতিবাচক মনোভাব আপনার আত্ন বিশ্বাস ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

২। জ্ঞানের পরিধি বাড়ান

বিশ্বে প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু ঘটছে। সাম্প্রতিক বিশ্ব, নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানুন। এটি আপনার আত্নবিশ্বাসের বৃদ্ধি করে অন্যের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।

৩। কাজের নতুন পদ্ধতিগুলো শিখে নিন

বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তন পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হয়ছে। কাজের নতুন পদ্ধতিগুলো শিখে নিন। দেখুন একজন সফল মানুষ কীভাবে কাজ করে। এবং শিখে নিন তার কাজের ধরণটি। এটি আপনার কাজের দক্ষতা বাড়ানোর সাথে সাথে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।

৪। নিজের শক্তির উপর বিশ্বাস করুন

সব সময় নিজের শক্তিকে গুরুত্ব দিন, দুর্বলতাকে নয়। আপনার ভাল কাজটির কথা মাথায় রাখুন। পরের কাজটি আরোও ভাল করার চেষ্টা করুন। একসময় দেখবেন আপনার কাজে কোন ভুল থাকছে না। আপানার প্রতিটা কাজ হচ্ছে একদম নির্ভুল।

৫। নিজেই কাজের পরিবেশ তৈরি করুন

চাকরি থেকে আপনি যা চাচ্ছেন তা নাও পেতে পারেন। তাই বলে চাকরি ছেড়ে দেওয়া সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যা খুঁজে বের করে তা সমাধান করুন। আপনি যেমন পরিবেশন চান, তেমন পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন।

৬। পুনরাবৃত্তি করুন

কথায় আছে অনুশীলন সাফল্যের চাবিকাঠি। কোনো কাজে একবার ব্যর্থ হলে আবার করুন। একবার ভুল হলে পরের বার ভুল ঠিক করে আবার করুন। বার বার করতে করতে কাজটি থেকে সাফল্য আসার সাথে সাথে আপনি কাজটিতে দক্ষ হয়ে উঠবেন।

৭। সাফল্যের দিকে নজর রাখুন

যতক্ষণ না ভাল কিছু করছেন ততক্ষণ নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে না। কর্মক্ষেত্রে আপনার সাফল্যময় কাজগুলোকে মনে রাখুন। সফলতা এবং ব্যর্থতা মুদ্রার এইপিঠ ওপিঠ। সফল হতে হলে আপনাকে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে হবে। তাই বলে ভেঙ্গে পড়া যাবে না। সফল কাজগুলোকে মনে করুন।

লিখেছেন
নিগার আলম
ফিচার রাইটার

 

মজাদার আমেরিকান চপস্যুয়ে তৈরি করুন ঘরেই

রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভিনদেশি যে খাবারগুলো অর্ডার করা হয়, তার মধ্যে আমেরিকান চপস্যুয়ে অন্যতম। ভাজা নুডলসের সাথে সবজি মাংস এবং ডিমের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। ঘরে অনেকেই খাবারটি তৈরি করলেও পারফেক্ট রেস্টুরেন্টের মত তৈরি হয় না। এইবার তাহলে পারফেক্ট রেস্টুরেন্ট মত আমেরিকান চপস্যুয়ে তৈরির রেসিপিটি জেনে নিন।

উপকরণ:

৩০০ গ্রাম সিদ্ধ নুডলস

৪০০ গ্রাম হাড় ছাড়া মুরগির মাংস

২/৩ কোয়া রসুন কুচি

১ চা চামচ আদা কুচি

১টি পেঁয়াজ কুচি

বাঁধাকপি লম্বা করে কাটা

১ টি গাজর লম্বা করে কাটা

১ টি ক্যাপসিকাম লম্বা করে কাটা

৪/৫ টা বরবটি লম্বা করে কাটা

৬/৭ টা পালং শাক পাতা

১/২ চা চামচ সাদা গোলমরিচের গুঁড়া

১/২ চা চামচ চিনি

৪ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ

১ কাপ চিকেন স্টক

২ টেবিল চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার

প্রণালী:

১। প্রথমে নুডলস সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার সময় এক চামচ তেল দিয়ে নিন, এতে নুডলসগুলো একে অপরের সাথে লেগে যাবে না।

২। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে আস্তে আস্তে করে নুডলসগুলো দিয়ে দিন।

৩। আরেকটি প্যানে ডিম পোচ করে ফেলুন।

৪। ডিম পোচ হয়ে গেলে অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে এর মধ্যে রসুন কুচি, আদা কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন।

৫। তারপর এতে মুরগির মাংস দিয়ে দিন। আবার কিছুক্ষন ভাজুন।

৬। এরপর বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, বরবটি, পালং শাক পাতা দিয়ে দিন। ভাল করে ভাজুন।

৭। এবার এতে লবণ, সাদা গোল মরিচের গুঁড়া, চিনি, টমেটো কেচাপ দিয়ে ভালভাবে নাড়ুন।

৮। এরপর এতে চিকেন স্টক দিয়ে দিন। আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। সিদ্ধ হয়ে এলে এতে কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন।

৯। এবার একটি ডিশে প্রথমে ভাজা নুডলস তার উপর রান্নার করা মাংস এবং সবশেষে ডিম পোচ দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আমেরিকান চপস্যুয়ে।