banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নিঃসন্তান হওয়া কি পাপ?

নিঃসন্তান হওয়া নেপথ্যে মানুষের কোনো হাত নেই। তবে হ্যা যদি কেউ ইচ্ছা করে সন্তান গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। তবে সে এই সন্তান গ্রহণ না করার জন্য গুনাহগার হবে। আল্লাহ মহানের তাকদিরের ফয়সালা মোতাবেক নিঃসন্তান হওয়া পাপ নয় কিন্তু নিজেদের ইচ্ছা মতো সন্তান গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকে নিঃসন্তান থাকা পাপ- মহাপাপ।

মানুষকে সন্তান-সন্তুতি দানকারী একমাত্র আল্লাহ মহান। মানুষের কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই যে সে ইচ্ছা স্বাধীন মতো সন্তান গ্রহণ করবে আবার ইচ্ছা স্বাধীন মতো সন্তান গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। অথচ কন্যা বা পুত্র সন্তান জন্মদানে মানুষের কিছুই করার থাকে না।

পুত্র বা কন্যাশিশু হয়ে থাকে মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। তাই তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন- ‘যাকে ইচ্ছা দেন কন্যা সন্তান/ করেন ইচ্ছা হলে পুত্র প্রদান। আবার যখন এমন ইচ্ছা তাঁর হয়/ পুত্র ও কন্যা দেন একত্রে উভয়। যাকে ইচ্ছা তিনি বন্ধ্যা করান/ সর্বজ্ঞ নিশ্চয়ই এক মহাশক্তিমান’।। (কাব্যানুবাদ : শুরা-৪৯, ৫০)

নিঃসন্তান হওয়া নেপথ্যে মানুষের কোনো হাত নেই। তবে হ্যা যদি কেউ ইচ্ছা করে সন্তান গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। তবে সে এই সন্তান গ্রহণ না করার জন্য গুনাহগার হবে। আল্লাহ মহানের তাকদিরের ফয়সালা মোতাবেক নিঃসন্তান হওয়া পাপ নয় কিন্তু নিজেদের ইচ্ছা মতো সন্তান গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকে নিঃসন্তান থাকা পাপ- মহাপাপ।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

আবারও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক ফারুকী

প্রথমবারের মত একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে গত বছরের শেষ দিকে ‘অ্যাপসা’র মত বিশাল আয়োজনে বিচারক ও সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন দেশের মেধাবী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বছর পেরুতেই আবারও ভিনদেশে বাংলাদেশের সিনেমা নির্মাতা হিসেবে গৌরবের খবর বয়ে নিয়ে এলেন তিনি। আর এবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ‘ইস্ট এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০১৬’-এর বিচারক হিসেবে!

আগামি ২৩ জুন থেকে দশ দিনব্যাপী (৩ জুলাই পর্যন্ত) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী ইস্ট এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভাল।আর এই ফেস্টিভালে প্রথমবারের মত বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন দেশের মেধাবী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই ফেস্টিভালে ‘ফিচার ফিল্ম’ বিভাগের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

তবে এমন দাপুটে ফিল্ম ফেস্টিভালে বিচারকের দায়িত্ব পেলেও সেখানে উপস্থিত হতে পারছেন না ফারুকী। তার আগামি সিনেমা ‘ডুব’-এর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে ব্যস্ত থাকায় জুন অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাজ্যের সেই চলচ্চিত্র উৎসবে স্বশরীরে যেতে পারছেন না তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলামেইল২৪ডটকম’কে জানান,‘ফিজিক্যালি আমি আমার আগামি সিনেমা ‘ডুব’-এর জন্য যেতে পারছি না। কিন্তু ফেস্টিভালের আয়োজক যারা আছেন তারা আমাকে চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়া যে সিনেমাগুলো আছে সেগুলো ইন্টারনেটে দেখার একটি লিঙ্ক দিয়ে দিবেন। সেগুলো আমি তাদের দেয়া অনলাইন লিঙ্ক থেকে দেখে ফেস্টিভালে ‘ফিচার ফিল্ম’ জুরিবোর্ডের আর যারা আছেন তাদের সাথে আলোচনা করে স্কোরিং করবো। মানে আমি স্বশরীরে ফেস্টিভালে উপস্থিত থাকছি না ঠিকই, কিন্তু জুরি হিসেবে যে কাজটা তা আমি এখান থেকেই করছি।’

বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই নির্মাতা জানান,‘ডুব-এ আছি। আর কোনো ব্যস্ততা নেই আপাতত। তবে নতুন বিজ্ঞাপন চিত্রের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি’।

আসছে ঈদে টিভির জন্য কোনো নতুন চমক থাকছে কিনা জানতে চাইলে ফারুকী বলেন, গত প্রায় দশ বছর ধরে ঈদে টিভির জন্য কোনো কাজ করছি না। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

‘ইস্ট এন্ড ফিল্ম ফেস্টিভাল’-এ ফিচার ফিল্মের পাঁচ বিচারকের মধ্যে বাংলাদেশের নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ছাড়াও আছেন টার্কিশ মেধাবী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা টোলগা কারলিক, আমেরিকান জনপ্রিয় অভিনেতা রন পার্লম্যান, অভিনেতা ও প্রযোজক কালিম আফতাব এবং ব্রিটিশ নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা সারাহ গেব্রন।

 

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রথম সন্তান ছেলে হওয়া ভালো নাকি মেয়ে?

আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল, হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে)আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”(কানযুল উম্মাহ ১৬:৬১১)

প্রথম সন্তান ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন ইসলামের দৃষ্টিতে এর মাঝে কোনো পার্থক্য বা মর্যাদাগত কোনো কম-বেশি নেই। কারণ ইসলাম কন্যা শিশু ও ছেলে শিশু উভয়কেই সমান দুষ্টিতে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কারো প্রথম সন্তান কন্যা হলে তার জন্য হাদিস শরিফে বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ রয়েছে।

(১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করনে, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করল,অতঃপর সে ঐ কন্যাকে কস্ঠ্ও দেয়নি,তার উপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রধান্য দেয়নি,তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।(মুসনাদে আহমদ ১;২২৩)

(২) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,যে ব্যাক্তি দ”টি মেয়েকে বয়ঃপ্রাপ্ত হ্ওয়া পর্যন্ত লালন পালন করল সে কিয়ামতের দিন এরূপ অবস্থায় উঠবে যে আমি আর সে এরকম মিলিত অবস্থায় থাকব,এই বলে তিনি স্বীয় আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে দেখালেন।(মুসলিম শরীফ)

(৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, “কন্যা সন্তান হল উত্তম সন্তান। কেননা,তারা হচ্চে অধিক গুনের অধিকারিনী বিনম্র ও মিস্ঠভাষী।

এছাড়া তারা পিতা-মাতার সেবা -শুশ্রষার জন্য সদাসর্বদা প্রস্তুত থাকে এবং তারা মায়া মমতাকারীনী,স্নেহময়ী,বিনয়ী ও বরকতময়ী।”(ফিরদাউস ৪;২৫৫)

আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল, হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে)আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”(কানযুল উম্মাহ ১৬:৬১১)

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

৬ টি ভিন্ন অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া

আজকের দিনে অনলাইন ব্যবসা উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিভিন্ন রকম ব্যবসা রোজ চালু হচ্ছে অনলাইনে। কেউ ফেসবুক পেজে, কেউ বড় পরিসরে ওয়েবসাইটে ব্যবসা করছেন। সব ব্যবসা কি লাভজনক হচ্ছে? একই রকম ব্যবসা যখন আরও দশজন করছে তখন সেই একই ধরণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে কীভাবে নজরে আসবেন? তার চেয়ে আপনার বুদ্ধিটি যদি হয় একটু আলাদা কিন্তু মানুষের কাজে আসবে এরকম? আসুন ব্যবসার ভিন্ন ভিন্ন কিছু আইডিয়ার সাথে পরিচিত হই।
১। ওয়েব ডিজাইনিং
আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন এবং HTML সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে ওয়েব ডিজাইন করার কাজটিকে ব্যবসা হিসেবে নিতে পারেন। এখন এমন অনেকে অনলাইনে ব্যবসা করছেন যারা অচীরেই ওয়েবসাইট খুলতে আগ্রহী। যাদের ওয়েবসাইট আছে, তাদেরও অনেকের সাইট অনেক দূর্বল ডিজাইনের কারণে আকর্ষণিয় হচ্ছে না। এই বাজারটি ধরতে পারেন কিনা দেখুন।
 
২। রিজিউম লেখা
চাকরি সন্ধানী একজন ব্যক্তির প্রথম প্রয়োজন ভাল একটি রিজিউম এর। আইডিয়াটি হয়ত অদ্ভুত লাগছে আপনার। কিন্তু একটি ভাল, আকর্ষণীয় রিজিউম কিন্তু সবাই লিখতে পারে না। নীলক্ষেতের ফটোকপির দোকানে রিজিউম লেখায় এমন কত বেকার যুবক-যুবতী। যাদের দিয়ে লেখায় তাদের নিজেদের শিক্ষার দৌড় আর কতটুকু? আপনি একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ হয়ে যদি এটিকে পেশা হিসেবে নেন কেমন হবে ভেবে দেখুন তো!
৩। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনেক পেইজে বা সাইটে প্রডাক্টের নীচে আমরা কাস্টমারের কমেন্ট দেখি। কমেন্ট পড়ে ক্রেতা আরও আগ্রহী হয়। একজন ক্রেতা যখন পণ্য সম্পর্কে আরেকজন ক্রেতার ইতিবাচক বক্তব্য পড়েন তখন পণ্যটির যাথার্থতার আর কোন সার্টিফিকেট লাগে না। এমন অনেক সাইট আছে যারা পজেটিভ কমেন্টের জন্য টাকা দেয়। এমন সাইট খুঁজে বের করতে পারেন। কোন পেইজ বা সাইট ছাড়াই আয় হবে আপনার।
৪। নিউট্রিশন কোচ
এই পেশাটি একটু জটিল। এরকম একটি ব্যবসায় আপনাকে মানুষের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সঙ্ক্রান্ত তথ্যের জন্য অর্থের বিনিময়ে পরামর্শ দিতে পারেন। আপনি নিজে যদি নিউট্রিশনিস্ট নাও হন, একজন দক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন। এমন অনেক জিম ইন্সট্রাক্টর এবং প্রশিক্ষক আছেন যারা পার্ট টাইম হিসেবে এই কাজটি করতে রাজী হবেন। সাথে সাজসজ্জার পরামর্শ যদি যোগ করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই!
৫। ই-বুক লেখা
অনেক লেখক আছেন যারা বই লেখেন কিন্তু প্রকাশকরা তাদের বই প্রকাশ করছেন না বলে থেমে আছেন। মানুষ কিন্তু এখন কাগজের বই এর বাইরে অনলাইনে বই পড়তে আগ্রহী হচ্ছে। অনলাইনে খুবই কম খরচে ই-বুক হিসেবে নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারেন। নিজের মেধাকে প্রকাশিত করে পরিচিতি বাড়াতে পারেন সহজেই।
 
৬। টেকনিকাল এসিস্ট্যান্ট
অনেক ছোটখাট অনলাইন কোম্পানি আছে যাদের অনেক টেকনিক্যাল সমস্যা থাকে এবং প্রয়োজনে অন্যদের ফোন করে সাহায্য নিতে হয় তাদের। এটিকে ব্যবসা হিসেবে নিতে পারেন আপনি। টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান হওয়া সহজ কাজ নয়। আগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে আপনাকে। বড় বড় সাইটগুলো এজন্য আলাদেভাবে লোক নিয়োগ করেন। স্বাধীন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনি স্বল্প ব্যয়ে এই কাজটি করতে শুরু করলে অনেক ব্যবসায়ী আপনার ক্লায়েন্ট হয়ে যাবে দেখবেন।
ব্যবসা তো সবাই করে। ব্যবসার সমস্যা নিয়ে ব্যবসা করা কিন্তু আজকের সময়ের প্রয়োজন। একজন সফল ব্যবসায়ী হোক বা নতুন উদ্যোক্তা তাদের সবারই সাহায্যের প্রয়োজন হয়। আপনি হতে পারেন সেই সাহায্যকারী।
লিখেছেন
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার

 

সুস্বাদু মোলায়েম ম্যাংগো আইসক্রিম

গরমের দিনে নানা অজুহাতে ঠাণ্ডা খাওয়ার বাহানা। আর তাইতো আইসক্রিমটাও খুব প্রিয় হয়ে ওঠে সবার কাছে। কিন্তু সুস্বাদু আইসক্রিম খেতে দোকানের ওপরই নির্ভর করতে হয়। অথচ এই মধুমাসে আমের স্বাদে আপনিও বানিয়ে নিতে পারেন সুস্বাদু মোলায়েম ম্যাংগো আইসক্রিম। পরিবারের সদস্যদের তৃপ্তির হাসি ছড়াতেও সাহায্য করবে ম্যাংগো আইসক্রিম। তাই ঝটপট শিখে নিন ম্যাংগো আইসক্রিম বাবানোর সহজ উপায়।

যা যা লাগবে

গুড়া দুধ ২ কাপ, পানি আড়াই কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল-চামচ, চিনি ১ কাপ, ক্রিম ১ টিন, জেলাটিন গোলানো ১ টেবিল-চামচ, তরল গ্লুকোজ ১ চা-চামচ, পাকা আমের রস ১ কাপ, ২টি ডিমের সাদা অংশ।

যেভাবে করবেন

গুড়া দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। মিশ্রণ প্যানে ঢেলে কিছুক্ষণ জ্বালিয়ে ঘন করে নিন। গরম অবস্থায় তরল গ্লুকোজ মেলাতে হবে। ঠাণ্ডা হয়ে এলে জেলাটিন মেশাতে হবে। তারপর ক্রিম ও আমের রস দিয়ে আবার ভালো করে মিশিয়ে ডিপে জমাতে হবে তিন ঘণ্টা। এরপর আবারও ব্লেন্ড করে জমাতে হবে। ২ ঘণ্টা পর পর বের করে ডিমের সাদা অংশ ও চিনির পরিমাণ দেখে ব্লেন্ড করে জমাতে হবে। তারপর ইচ্ছামতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

কাপড়ের দাগ দূর করুন নিমিষে

পছন্দের কাপড়ে দাগ পড়ে গেলে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আর যদি দাগটি তোলা না যায় তবে খারাপ লাগাটা বেড়ে যায় অনেক বেশি। কারণ দাগ লাগার পরে তা আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। অথচ এই দাগ তোলার সহজ পদ্ধতি জানা থাকলে দাগ দূর হবে নিমিষে। তাই জেনে নিতে পারেন কাপড় থেকে বিভিন্ন রকমের দাগ তোলার সহজ কিছু পদ্ধতি।

চা-কফির দাগ

প্রথমে কাপড়টি মিনিট দশেক পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় ধোয়ার সাবান বা লিক্যুইড ডিটারজেন্ট বা ডিজারজেন্টের সঙ্গে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পেস্টটি কাপড়ের দাগের ওপর কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। হালকা শুকিয়ে গেলে কাপড়টি গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে নিমিষেই।

তেলের দাগ

কাপড়ে খাবার পড়ে তেলের দাগ হয়ে গেলে দাগের জায়গাটিতে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। ওই অংশটির ঠিক নিচের দিকে একটি ব্লটিং পেপার রাখুন। এবার আরও কিছুটা পাউডার নিয়ে দাগের জায়গাটিতে ভালো করে ঘষে লাগান। এতে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে। বাকি হলদে ভাব তোলার জন্য ডিটারজেন্ট পানিতে ঘন করে গুলে নিয়ে দাগের ওপর মাখিয়ে কাপড়টা রোদে শুকাতে দিন। কিছু সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দাগ উঠে যাবে ।

চকলেটের দাগ

কাপড়ে যদি চকলেট লেগে থাকে তা যতোটা সম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। এরপর ডিটারজেন্ট মেশানো গরম পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। যদি এরপরও কাপড়ে বাদামী দাগ থেকে যায় তাহলে পানিতে সামান্য স্যানিটাইজার মিশিয়ে আরও খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানি দিয়েই কাপড় ধুয়ে নিন।

মরিচার দাগ

সাদা কাপড়ে লোহার মরিচার দাগ লেগে গেলে বিচ্ছিরি দেখায়। এই দাগ তোলার জন্য প্রথমে ভিনেগার ও লবণের পেস্ট তৈরি করুন। তারপর দাগ লাগা অংশে পেস্ট লাগিয়ে রোদে রাখুন অথবা গরম পানি স্টিলের বাটিতে নিয়ে তাপ দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

ঘামের দাগ

আধা মগ পানিতে ৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি কাপড়ের ঘামের দাগের অংশে ভালো করে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ পরে ঘষে দাগ তুলে ফেলন। তারপর আবার ১ ঘণ্টা এভাবেই কাপড়টি রেখে দিন। এরপর সাধারণ নিয়মে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে ঘামের দাগ একেবারেই থাকবে না।

পানের পিক

জামা কাপড় থেকে পানের পিকের দাগ তুলতে দাগের তলায় এক টুকরা পুরানো কাপড় রেখে আলু দিয়ে দাগের জায়গাটি ঘষে নিন, দাগ সহজে উঠে যাবে ।

 

আত্মরক্ষার্থে মার্শাল শিখছে কুষ্টিয়ার ছাত্রীরা

এবার ইভটিজিং, যৌন হয়রানীসহ নানা সামাজিক নিপীড়ন থেকে বাঁচতে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। পাশাপাশি এসব সামাজিক ব্যাধি রুখতে তারা শ্রেণি কক্ষে বিশেষ পাঠ গ্রহণ করছে।

এই প্রশিক্ষণ নিয়ে মেয়েদের মনোবল আর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। এতে খুশি অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা মানসিক সমর্থন দিচ্ছে এই ছাত্রীদের। একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই উদ্যোগে সহায়তা দিচ্ছে।

ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, ধর্ষণসহ পদে পদে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমাদের সমাজের নারীদের। নতুন নতুন আইন, প্রশাসনের তৎপরতা কোনো কিছুই যেন রুখতে পারছে না এই সামাজিক ব্যাধিকে। এমন প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিজেদের রক্ষায় মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যালয় চত্বরে নিয়মিত এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে।

এই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শ্রেণি কক্ষে বিশেষ পাঠ্য পুস্তক পড়ানোর মাধ্যমে ছাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতনসহ নানা  সামাজিক নিপীড়ন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। এতে নিজেদের সামাজিক মর্যাদা ও আত্মসম্মান রক্ষায় আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বেড়েছে।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর-লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বিলকিস বানু জানায়, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তার মনোবল বেড়েছে। আগে স্কুলে যাতায়াতের সময় সে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকতো। এখন সেই শঙ্কা বা ভয় আর নেই।

একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী আরজিনা খাতুন বলেন, ‘আগে নিজেকে খুব দুর্বল মনে হতো। তাই নিজেকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখতাম। তবে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন আমার ভেতরে এক আত্মবিশ্বাস জন্মেছে।’

মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন শেখ বলেন, ‘আগে মেয়ে স্কুলে গেলে ভয়ে ভয়ে থাকতাম। মেয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরবে তো ? এমন আশঙ্কা বুকে বাজতো সব সময়। তবে মেয়ে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নেয়ায় এখন সেই ভয় অনেকটায় কেটে গেছে।’

পাহাড়পুর-লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিহাদ আলী খান জানান, এই উদ্যোগ সব স্কুল গ্রহণ করলে নারী নির্যাতন বিশেষ করে স্কুলগামী মেয়েদের ওপর নিপীড়ন অনেকটা কমবে। এতে স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতির হারও বাড়বে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নামের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা ছাত্রীদের এই প্রশিক্ষণ ও পাঠদানে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য দিচ্ছে। সংস্থাটির জেলা সমন্বয়কারী হাসান ইকবাল রাসেল জানান, মেয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে অবাধে ও নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে তাদের যাতে কম বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে না হয় সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

 

মহাসড়ক থেকে কর্মস্থল, কোথাও নিরাপদ নয় নারী

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ঘরে-বাইরে নারীদের জীবন ক্রমে আরো ‘ঝুকিপূর্ণ’ হয়ে উঠছে। মহাসড়ক থেকে কর্মস্থল কোথাও নারীরা আজ নিরাপদ নয়।

শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে শহীদ তাজুল মিলনায়তনে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোনো সমাজ ও দেশ নিজেদের সভ্য বলে দাবি করতে পারে না, টেকসই কোনো উন্নয়নও সম্ভব নয়। বস্তুত, নারীমুক্তি ছাড়া সামাজিক মুক্তি নেই।

কাউন্সিল অধিবেশনে তারা আরো বলেন, গত আড়াই দশক ধরে নারী নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলেও বাস্তবে পুরুষতন্ত্রের জোয়াল থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেননি। সে কারণে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, গুম, পাচারসহ নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না; এখন পর্যন্ত নারীর সম-অধিকার বিরোধী রীতি-নীতি ও আইন-কানুন বিদ্যমান, নারীকে অমর্যাদাকরভাবে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সমান কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রে নারীরা এখনও সমান মজুরি পাচ্ছে না।

বক্তারা আরো বলেন, ‘সংবিধানে নারী-পুরুষের ক্ষমতার কথা বলা হলেও বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান ধারণ, অভিভাবকত্ব ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার এখনও নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।’

পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীর অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, মজুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে এবং নারী মুক্তির লড়াই এগিয়ে নিতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

সংগঠনের আহ্বায়ক বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম মোর্চার নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শম্পা বসু, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সদস্য সচিব আবু হাসান টিপু, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল, খেতমজুর ইউনিয়নের আকবর খান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফায়জুর রহমান মনির, পাদুকা শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। অধিবেশন পরিচালনা করেন স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা।