banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ভ্রমন পিপাসুদের জন্য কম খরচে ভ্রমনের কৌশল

মানুষ যতটাই খরুচে হোক না কেন, জীবনের কিছু সময়ে কোন না কোনভাবে সে কিছু না কিছু টাকা বাঁচাতে চায়-ই। বিশেষ করে ভ্রমণে গেলে তো কোন কথাই নেই। অনেকে তো ইচ্ছে করেই অন্যকে তাক লাগিয়ে দিতে কম খরচে ঘুরে আসতে চান বাইরে। কেউ আবার চাইলেও যেতে পারেননা হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকার অভাবে। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, যদি আপনি চান কম খরচে বাইরে বেশ ভালোভাবে ঘুরে আসতে তাহলে জেনে নিন এই ছোট্ট কিছু টিপস!

১. কম খরচের প্লেনে উঠুন
আপনার যাতায়াতের মাধ্যম যদি হয় বিমান তাহলে প্রথমেই খোঁজ নিন কম খরুচে বা বাজেট বিমানগুলোর দিকে। ভাবছেন সেগুলোর মান খুব বেশি খারাপ? তা কিন্তু নয়! কম খরচেই ওরা আপনাকে খাবার, ব্যাগ রাখার সুবিধা এবং আরামদায়ক ভ্রমণ- সবটাই দেবে। আর বাঁচিয়ে দেবে বড় একটা খরচের হাত থেকে!

২. বিনা খরচে থাকুন
বর্তমান যুগ হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। আর তাই যুগের সুবিধাকে পুরোটা বুঝে নিয়ে নিজের নেটওয়ার্ক বাড়ান আর হোটেলে না থেকে স্থানীয় ও আপনাকে কিছুদিনের জন্যে মেহমান হিসেবে পেতে ইচ্ছুক মানুষের খোঁজ নিন। এতে করে হয়ে যাবে খরচ এড়ানো, সেই সাথে হবে আরো বেশি করে সেই দেশের সংস্কৃতির কাছে পৌঁছানোও। ভাবছেন কি করে এমনটা করেন? অনেক অনেক সাইট আছে নেটে। সেগুলোতে খোঁজ নিন আপনার গন্তব্যস্তলে এমন কেউ আছে কিনা। আর এজন্যে আপনার জন্য উপকারী হতে পারে- বি ওয়েলকাম, কোচসার্ফিং, হাউজসিট ম্যাচ, হাউজ কেয়ারারস, ট্রাস্টেড হাউজসিটারসের মতন সাইটগুলো।

৩. সহজ পরিকল্পনা করুন
ভ্রমনের ক্ষেত্রে সবাই চান দু-একদিনের ভেতরেই গন্তব্যের দেশটিকে পুরোপুরি দেখে নেওয়ার। ফলে অতিরিক্ত স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলেন পুরোটাতে, খরচ করে ফেলেন বেশি, শক্তি আর সময়ের অপচয় করেন এবং মূলত কোনরকম সৌন্দর্যই উপভোগ করতে পারেননা শেষ অব্দি। আর তাই বাছুন কোন কোন জায়গাগুলো খুব ভালো করে সহজে দেখা যায়। কম ঘুরুন। কিন্তু উপভোগ করুন যেখানে ঘুরছেন সেখানটাকেই!

৪. ভাগ করে নেওয়া
খরচ ভাগ করে নিন। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। আর কিছু না হোক, বিশেষ করে আপনার ভ্রমণের জায়গাটিতে যাওয়ার খরচ ভাগ করে দেওয়ার মানুষ খুঁজতে! এভাবে অনেকটা খরচ বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। কোথায় পাবেন সাইটগুলো? কেন? নেটে! তবে আপনার সুইধার জন্যে এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো। খরচ ভাগ করে নিতে চাইলে আপনি ঢুঁ মারতে পারেন এয়ার বি এন বি, লাইক অ্যা লোকাল, স্পটেড বাই লোকালসের মতন জায়গাগুলোতে।

৫. ট্যুরিস্ট কার্ড
লন্ডন, প্যারিস কিংবা নিউ ইয়র্কের মতন স্থানে ঘুরে আসতে গেলে আপনি নিয়ে নিতে পারেন একটি ট্যুরিস্ট কার্ড। এমনিতে যা খরচ হবে তার অনেকটাই কমিয়ে দেবে এই কার্ড আর আপনাকে সুযোগ করে দেবে অনেক জায়গা দেখার!

৬. দলে ঘুরুন
একা একা না ঘুরতে গিয়ে বরং একটা দলের সঙ্গ নিন। একা একা কতটাই বা আর দেখা যায়? অনেক জিনিসের সৌন্দর্যও মাঝে মাঝে ফিকে হয়ে আসে সেটা বিনিময় করার সুযোগ না থাকলে। আর তাই দলে ভিড়ে যান! দলবেঁধে ঘোরার মজাটা যেমন পাবেন আপনি এখানে, ঠিক তার সাথে সাথে কমে যাবে ভ্রমণের অনেকটা খরচও!

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
তথ্যসুত্র: দেশে বিদেশে ডটকম।

 

পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা !

ভালভাবে শুরু করা মানে অর্ধেক এগিয়ে যাওয়া কথাটি আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার শুরুটাও ভালভাবে করতে হবে। কিন্তু ভালভাবে শুরুর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা নয়। প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কিছুটা সময় নেয়া যেতে পারে।

প্রস্তুতি গ্রহণকে কাজের অংশ ধরা হলে এটাকে শুরু মনে করা যায়। আমি মনে করি এক্ষেত্রে ভাল শুরুর অপেক্ষা না করে আজই শুরু, এ মুহুর্ত থেকেই শুরু করতে হবে। অনেক মুসলমান বলেন আগামীকাল ফজর নামাজ থেকে নিয়মিত নামাজ পড়ব। কিন্তু সেটা আগামীকাল। নামাজ নিয়মিত পড়ার সিদ্ধান্ত নিলে আগামীকাল ফজরের জন্য অপেক্ষা না করে আজ মাগরিব, এশা থেকেই শুরু করতে হবে।টেলিভিশন সাংবাদিকতায় এখন তরুণরা দলে দলে অংশগ্রহন করছে এবং সাফল্য পাচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে প্রচুর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং ঝুকি নিয়ে কাজ করত। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যারা আছেন তারা আরো বেশি একাগ্রতা ও ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন। হঠাৎ করে যারা টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু করবেন তাদের পরিশ্রম, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, ঝুকি যেমন বেশি তেমনি সাফল্য পেতে একটু সময় লাগতে পারে।লক্ষ্য করুন, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যেমন সফল তেমনি অনেক সাংবাদিকরা সংবাদ উপস্থাপনায় সফল। সেজন্য টেলিভিশন সাংবাদিকতায় জড়িত হওয়ার পূর্বে প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করা ভাল। সাংবাদিকতা শুরুর জন্য প্রিন্ট মিডিয়ায় রয়েছে প্রচুর সুযোগ। প্রিন্ট মিডিয়াকে সাংবাদিকতার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বলতে পারেন।প্রিন্ট মিডিয়া থেকে যারা টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু করবেন তারা টেলিভিশন সাংবাদিকতার কিছু টেকনিক্যাল বিষয় জেনে নিয়েই যে কোন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ শুরু করতে পারেন। দেশে এখন ২৫টির অধিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন সম্প্রচার অব্যাহত রেখেছে এবং চ্যানেলের সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য টেলিভিশন সাংবাদিকতায় প্রচুর সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যে কোন টেলিভিশন চ্যানেলে রিপোর্টার, শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করার জন্য আজই আবেদন করুন এবং সাক্ষাৎকার দিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে যান।

এক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ যেন মনে করে টেলিভিশন সাংবাদিকতা সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে এবং আপনি কাজটি পারবেন। সেজন্য আপনার কিছু প্রস্তুতি থাকা দরকার। রাজধানীতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান একমাস বা তিন মাসব্যাপী টেলিভিশন সাংবাদিকতা, সংবাদপাঠ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। আপনি এসব প্রতিষ্ঠানে একটি কোর্স করতে পারেন। এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন (এজাহিকাফ) ১ দিনের টেলিভিশন সাংবাদিকতা ও সংবাদপাঠ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

এ কর্মশালায় অংশ নিয়ে আপনি কিছু ধারণা লাভ করতে পারবেন। সরকারী পর্যায়ে নিমকো ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। বেসরকারিভাবে বিসিডিজেসী, বিজেম, জবস এ ওয়ান, যাত্রীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত টেলিভিশন সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে আসছে। সংবাদ পাঠ বিষয়টি এখন পুরোপুরি সংবাদ উপস্থাপনা।

বর্তমানে সংবাদ উপস্থাপনা অনেক আধুনিক এবং উন্নত। সংবাদ উপস্থাপনার জন্য আপনাকে শুদ্ধ উচ্চারণ জানতে হবে এবং বাচন ভঙ্গি সুন্দর করতে হবে। শুদ্ধ উচ্চারণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসটি কেন্দ্রিক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন ৩ মাসব্যাপী কোর্স পরিচালনা করে। এর মধ্যে কন্ঠশীলন, স্বরশীলন, সংবৃতা, আবৃত্তিশীলনসহ বেশ কিছু সংগঠনের তিন মাসব্যাপী কোর্সে অংশগ্রহণ করলে আপনি শুদ্ধ উচ্চারণ রপ্ত করতে পারবেন।

শুদ্ধ উচ্চারণ রপ্ত করার পাশাপাশি টিভি চ্যানেলের সংবাদ উপস্থাপনা মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন। এরপর কোন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপনার জন্য আবেদন করুন। যথাসময়ে সাক্ষাৎকার দিন এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করুন।

লায়ন সালাম মাহমুদ
লেখকঃ- সভাপতি, টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব)।

লাইক দিয়ে পেইজের সাথে থাকুন ও আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করুন পেইজে। এবং এ বিষয় সম্পর্কে অন্যদের জানাতে পোষ্টটি শেয়ার করতে পারেন……

 

মায়েদের যত সেরা উপদেশ

ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে থাকে মায়েরা। এর মধ্যে কিছু কিছু উপদেশ সন্তানের জন্য হয়ে থাকে চিরস্মরণীয়। মায়েদের পক্ষ থেকে সন্তানের পাওয়া এমন কিছু চিরন্তন উপদেশ জানার জন্য প্রশ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন-উত্তর ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘কিওরার’ কাছে। ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন এর উত্তর।

কিওরার এক ব্যবহারকারী সদ্য আইন ব্যবসা শুরু করা অ্যান্থনি জনসন জানিয়েছেন, তার মায়ের পক্ষ থেকে তার জন্য সেরা উপদেশ হচ্ছে, ‘সাধারণত্বের মধ্যেই অসাধারণদের অবস্থান।’ তার মা তাকে শিখিয়েছেন, একজন মানুষ নিজে তার নিজের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, অন্যরাও তার কাছে ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্থনি জানান, এ শিক্ষাটি শিশুদের জন্য খুবই মূল্যবান। এতে তারা অপরের সাথে সমঝোতা করে চলতে শেখে। অন্যের সাথে সবকিছু ভাগাভাগি করে এবং তাদের সাথে জীবন যাপন করতে শেখে।

শ্যানন হলম্যান নামের একজন জানিয়েছেন, তার মা-বাবা তাকে ছোটবেলা থেকেই জ্ঞানার্জন করতে শিখিয়েছেন। তার প্রতি তার মায়ের সেরা উপদেশ হচ্ছে, ‘যাও, সবকিছু অনুসন্ধান করে দেখো’। তিনি লিখেছেন, তিনি সৌভাগ্যবান যে এক সেট বিশ্বকোষ কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ তার পরিবারের ছিল। এই বিশ্বকোষটি পড়ে তিনি বুঝতে পেরেছেন, পৃথিবীর সবকিছুই একজন মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব না। কিওরাতে তিনি লিখেছেন, ১৯৮৩ সালের ওই বিশ্বকোষটি তার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম ছিল না। এটি তাকে শিখিয়েছে, সব বিষয়ে প্রশ্ন করা সহজ, তবে সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না।

স্টিফেন বার্দাবাস নামের আরেকজন জানিয়েছেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন, তার মা তাকে উপদেশ দিতো, ‘যদি তুমি একজন ব্যক্তি ভালো কি মন্দ- তা খুঁজে বের করতে চাও তবে তুমি দেখবে তারা কেরানি, ওয়েটার অথবা সেবাদানের কাজে নিয়োজিত অন্য ব্যক্তি, যারা নিজের পক্ষে অন্যের সাথে বাদানুবাদ করতে পারে না তাদের সাথে কেমন আচরণ করে।’

বার্দাবাস তার মায়ের এ উপদেশের ব্যাপারে লিখেছেন, ‘তিনি শত ভাগ সঠিক ছিলেন। আর আমিও কখনো তার এ উপদেশ ভুলে যাইনি। এর মাধ্যমে খুব সহজেই মানুষ চেনা যায়।’

চিত্রনাট্যকার কেন মিয়ামোতো লিখেছেন, তার পরিবারের সব সদস্য একে অপরকে খুবই ভালেবাসে। তাদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং কখনো কখনো তারা বিতর্কেও লিপ্ত হয়। তবে এর মাঝেও তার পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি হচ্ছেন তার মা।

কয়েক বছর আগে মিয়ামোতো তার বাবা ও ভাইয়ের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়। এতে মিয়ামোতোই সঠিক অবস্থানে ছিলেন। এ সময় তার মা তাকে বলেন, ‘তুমি কি সঠিক অবস্থানে থাকতে চাও? নাকি, সবার সাথে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে চাও?’ তখন তিনি বুঝতে পারলেন, সব সময় সঠিক থাকতে গেলে কোনো সম্পর্কই টিকে থাকতে পারে না। আর এটিই ছিল তার জীবনে মায়ের পক্ষ থেকে সেরা উপদেশ।

 

ছবির ঘরে নতুন অতিথি

অভিনেত্রী ফারজানা ছবির ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। আবারো মা হয়েছেন তিনি। গত ১ মে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে দ্বিতীয় পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন ছবি। মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।

পারিবারিকভাবে ২০১৪ সালে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষক তন্ময় সরকারকে বিয়ে করেন ফারজানা ছবি। বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো মা হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এই দম্পতির প্রথম সন্তানের নাম অভিরূপ।

নতুন খবর হলো আবারো মা হয়েছে ছবি।  গত ১ মে দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে দ্বিতীয় পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

 

সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া মোড়ে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার আরোহী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মা শাহেদা খাতুন (৪৫) ও মেয়ে সালমা খাতুন (১৭)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার চুপরিয়া গ্রামে। দুর্ঘটনায় অটোরিকশার আরও তিনজন আরোহী আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের ফাতেমা খাতুন (৩৫), ঝাউডাঙা গ্রামের আমেনা খাতুন (৩৫) ও রনি সরদার (১৮)। তাঁরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, যাত্রীদের নিয়ে অটোরিকশাটি ঝাউডাঙা গ্রাম থেকে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিল। ছয়ঘড়িয়া মোড়ে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মা ও মেয়ে নিহত হন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখের ভাষ্য, লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাসের চালককে ধরা যায়নি। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অটোরিকশার চালক রয়েছেন কি না, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

 

পুরস্কার পাচ্ছেন রত্নগর্ভা ৩৪ মা

রাঙামাটি জেলা সদর থেকে ১৪৬ কিলোমিটার উত্তর ভারতীয় সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এক জনপদ উগলছড়ি। অর্থনৈতিক অনগ্রসর ওই এলাকার প্রান্তিক নারী প্রভাবতী চাকমা। বিয়ের পর জন্ম দেন একে একে তিনটি কন্যা সন্তান। এ কারণেও তাকে সইতে হয়েছে বঞ্চণা। সন্তানদের মানুষ করা নিয়ে পড়েন প্রবল বাধা-বিপত্তিতে। তারপরেও তিন সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছেন তিনি। তারা এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ প্রতিষ্ঠিত। এসব হয়েছে প্রভাবতী চাকমার প্রবল ইচ্ছাশক্তি, শ্রম ও ভালোবাসার কারণে। এই মা তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাচ্ছেন ‘আজাদ প্রোডাক্টস অ্যাওয়ার্ড : রত্নগর্ভা মা-২০১৫’।

শুধু এই একজনা মা-ই নয় সমাজে তাদের সন্তানদের সুশিক্ষিত এবং আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার নিপুণ স্থপতি, সত্য ও সুন্দরের প্রতীক হিসেবে আরও সফল ৩৩ মাকে দেয়া হচ্ছে আজাদ প্রোডাক্টস প্রবর্তিত ‘রত্নগর্ভা মা পুরস্কার-২০১৫’। তার মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৫ এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে ৯ জন পাচ্ছেন পুরস্কার। একজন বাবাকে দেয়া হচ্ছে ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল অ্যাওয়ার্ড’। এবার এ পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত নাট্যভিনেতা-নিদের্শক ড. ইনামুল হক।

আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ. চৌধুরী সেন্টারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। সভাপতিত্ব করবেন আজাদ প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৫ পুরস্কৃত মা হচ্ছেন লুৎফুন নাহার বেগম, আমেনা বেগম, জামিলা আক্তার, হোসনে আরা বেগম জ্যোৎস্না, হোসনে আরা বেগম, সুফিয়া খানম, রেহানা সামাদ, সুলতানা রোকেয়া আখতার, জাহান-আরা বেগম, নূরে আলম মর্ত্তুজা বেগম, মঞ্জু রানী, শিখা বড়ূয়া, যোসপিন কোড়াইয়া, সৈয়দ শাহান আরা, সালিমা খাতুন, খুরশীদ জাহান, খোরশেদ আরা বেগম, লতিফা বেগম, মাকছুদা বেগম,  আনোয়ার বেগম, হাসিনা বানু, মায়মুনা বেগম ও ইউ কে এম ফরিদা বেগম।

বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ৯ জন। তারা হলেন, মঞ্জু আরা, কামরুন নিসা দুলাল, অধ্যক্ষ তহুরা আক্তার খাতুন, শিরিন হক, সুলতানা রাজিয়া (নাছিমা), জিন্নাতুন নেসা, রেজিয়া বেগম, আফরোজা বেগম ও সেতারা বেগম।

শনিবার আজাদ সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজাদ প্রোডাক্টসের কর্ণধার আবুল কালাম আজাদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।

 

লিচুতে নতুন ভাইরাস

লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই ভাইরাসের কারণে ১০ বছরের নীচে কোনো ওই লিচু খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তবে পশ্চিমঙ্গের মালদার পাঁচটি ব্লকে উৎপাদিত লিচুতেই শুধু এ ভাইরাস পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালের লিচু খেয়ে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয় পশ্চিমবঙ্গের ৭২ শিশু। তাদের মধ্যে ৩৪ শিশুরই মৃত্যু হয়। তখনই মৃত ও আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল পুনে ও অস্ট্রেলিয়ার একটি পরীক্ষাগারে। সেই সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল জেলায় উৎপাদিৎ লিচুও।

আর সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। রিপোর্টে মালদার লিচুতে নতুন ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে চলতি মওসুমে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য অফিস। ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে একটি বৈঠকও হয়েছে।

জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলীপকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, অসুস্থ শিশুদের পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, এই ভাইরাস আক্রান্ত লিচু খেলেই ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের শরীরে শর্করার মাত্রা দ্রুতহারে কমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বমি, খিঁচুনি, জ্বর, মাথাব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরো জানান, শিশুদের কখনই খালি পেটে রাখা যাবে না। তারা যাতে খালি পেটে লিচু না খায় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মালদা জেলার ৫টি ব্লকসহ বিহারের মুজফ্ফরপুরেও গত বছর লিচু খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যে এলাকাগুলোতে এ ঘটনা ঘটেছিল সেগুলোর ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, আর্সেনিকের প্রভাবেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি।

তবে কীভাবে এই ভাইরাস থেকে লিচুকে রক্ষা করা যাবে, তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।