banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নারী উদ্যোক্তা ইফফাত ই ফারিয়ার সফলতার পেছনের গল্প

সাধারন মানুষের অসাধারন হয়ে ওঠার পেছনে একটা গল্প থাকে। সেই গল্পের বাঁকে বাঁকে থাকে সংগ্রাম। স্বাধীনচেতা মানুষেরা একটু বেশীই সংগ্রামী হয়। যেখানে সম্ভব নয় সেখানেই তারা বিজয়ের নিশান ওড়ান। কিন্তু সেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে যখন একজন নারী তখন তার পথটা বোধহয় আরও বেশী সংগ্রামের হয়। তেমনই একজন ইফফাত ই ফারিয়া (রঙ)।

নিজে কিছু করবে তেমনটাই ইচ্ছে ছোট থেকে। কিন্তু সেটা ঠিক কি তা নির্দিষ্ট না থাকলেও করতে হবে এতটুকু জানতেন। সারাদিন ফেসবুকিং করতে করতে হটাৎ করে ই-কমার্সের ব্যপারে ঘাটাঘাটি শুরু হয়। যতই জানার পরিধি বাড়তে থাকে ততই এ ব্যবসায়ের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।

অন্যের কাছে নিজের পোশাক আশাকের প্রশংসা আর ভাল রান্না জানাটাকেই কাজে লাগাতে চাইলেন। এক দিনে ২টা পেজ খুলেন অনলাইনে। একটা ছিলো Pastels, আরেকটি Cookies, cupcakes & cardio. পোশাক আর ডেজার্ট দুটি ভিন্ন আইটেম  নিয়ে। আর এর পরবর্তীতে ভাললাগা আর সৃজনশীলতার জায়গা থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করছেন পোশাক নিয়ে।

সফলতার দেখা পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু তার পেছনে যে বাধা পেরিয়েছেন তা সত্যিই প্রেরণাদায়ক। প্রথম শুরুটা বাসা থেকেই। পুঁজি মাত্র ৬০০০ টাকা। পেজ খুলেই বেশ কিছু পোশাক আর খাবারের ছবি পেইজে আপলোড দেন। বুঝতে চেষ্টা করেন মানুষ কি চায়। দিন দিন তার পেইজে রেসপন্স বাড়তে থাকে। সেই সাথে জানান দেয় তার গ্রহন যোগ্যতা। পরিধি বাড়াতে একজন লোক আর কাজের জন্য একটি রুমও ভাড়া নেন।

কিন্তু যার মননে আরও বড় কিছু সে কিভাবে একটা রুমের মধ্যে আটকে থাকবে। তার ব্যবসা দিন দিন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল তাতে সে সময়ে খুব প্রয়োজন অনুভব করছিলেন একটি শোরুমের। কিন্তু সার্মথ্য যা ছিল তাতে কোন মতেই সম্ভব ছিল না। পরিবার থেকে একমাত্র বাবা ছাড়া আর তেমন কারোও কোনো ধরনের সহায়তা পাননি।  বাবার সহায়তায় ট্রেড লাইসেন্স সহ সরকারি পারমিট নিয়ে হোম বেজড শোরুম দিলেন। সেই সাথে বন্ধু তানভীর অরণ্য, জিহাদ কবি, রাহা চৌধুরি, সারোয়াত বারি, মুবাসসির সাকিব এবং জয় আচার্য হাতে হাতে রাখলেন তার ব্যবসায়ে। দেখতে না দেখতে ব্যবসা পেল নতুন মাত্রা।

শুরু  হল প্যাস্টেলস শোরুমের চমক। দেশের গন্ডি পেরিয়ে পাকিস্তান, ভারত, চায়না, থাইল্যান্ড থেকে পোশাক আমদানি। সেই সাথে দেশের বাজারের পাশাপাশি ইসলামাবাদেও প্যাস্টেলস শোরুমের যাত্রা। সাজানো গোছানো ফ্যাক্টরিতে মেশিন আর কর্মী সংখ্যা বর্তমানে আট। কেউ করে কারচুপি, কেউ এম্ব্রয়ডারি, কেউ নকশীকাঁথা। সেই সাথে মাপ মতো কাটা এবং সেলাইয়ের জন্য আছে আলাদা মানুষ। প্যাস্টেলস এর জনপ্রিয়তার নেপথ্যে রয়েছে আপনার পছন্দমত বিয়ের পোশাক সহ যেকোন পোশাক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সল্প মূল্যে তৈরী করে দেওয়ার সুনাম।

যাত্রা পথের এই বাকেঁ সুনাম অজর্নের মধ্যেও  বিকৃত মনের মানুষের দ্বারা হ্যাক হয় তার ৬৫০০০ ফলোয়ারের ফেসবুক পেইজ। মুহুর্তেই থমকে যায় তার অনলাইন ব্যবসার গতি। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্রী সে নন। আর তাই পেইজ ফেরত আনার চেষ্টা না করে অদৃশ্যমান এ বিশাল ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পেইজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে পরমুহুর্ত থেকেই। অফলাইনে ভাল পরিচিতি আর সুনামের কারনে অনলাইনের ধাক্কাটা সেভাবে বুঝতে না পারলেও মেধা দিয়ে হারানো বাজার ফিরে পেতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও সল্প সময়ে তার এ অর্জন সত্যিই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।

সংগ্রামী এ নারী উদ্যোক্তা বর্তমানে পড়াশুনা করছেন ইউনিভারসিটি অফ মেলবোর্ন, ফাউন্ডেশন ইয়ার, কেমিকৌশল বিভাগে। অনলাইন আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি বলছিলেন আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি, ফ্যাশান ডিজাইনিং এ আমার কোনো জ্ঞান নাই। যেটা ভাল্লাগে করি, বানিয়ে দেখি সবাই পছন্দ করছে।

নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের কি করা উচিত জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে। খুব সাচ্ছন্দেই বলে যাচ্ছিলেন নতুনদের জন্য পরামর্শ দেওয়ার তেমন কিছু নাই। শুধু মন যেটা চায় সেটাই মস্তিস্ক দিয়ে উদ্ধার করে সেই কাজটি করে ফেলতে  হবে।

মাসুদুর রহমান মাসুদ

 

গরমের আরাম ভিন্ন স্বাদের মিল্কশেক

গরমে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন হাত বাড়াই গ্লাস ভর্তি ঠাণ্ডা পানির দিকে। ক্লান্ত শরীরে আরেকটু ফুর্তির আমেজ আনতে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মিল্কশেকের তুলনা হয় না। নিজের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিতে পারেন গরমে আরামদায়ক এই পানীয়। তীব্র গরমে তাদের তৃপ্তিভরা হাসি দেখতে পছন্দের মিল্কশেকই সেরা। মন জুড়ানো স্বাদে আর রূপ বাহারে আপনার হাতেই তৈরি হবে মিল্কশেক। এই গরমে অতিথি আপ্যায়নেও দারুণ উপযোগী এই পানীয়। তাই আসুন শিখে নেয়া যাক ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কয়েক পদের মিল্কশেক প্রস্তুত প্রণালী।

আপেল মিল্কশেক- যা যা লাগবে

আপেল খোসাসহ টুকরো ৪ কাপ, দুধ ১ লিটার, কয়েক টুকরো কাজুবাদাম, কয়েক টুকরো দারুচিনি গুঁড়া, প্রয়োজনমতো বরফ ও চিনি।

যেভাবে করবেন

প্রয়োজনমতো চিনি দিয়ে টুকরো আপেলকে ব্লেন্ড করে নিন। এবার জ্বাল দিয়ে রাখা অর্ধেক পরিমাণ দুধ আপেলের মিশ্রণে দিয়ে আবার একটু ব্লেন্ড করতে হবে। সবশেষে বাকি অর্ধেক দুধ ঢেলে দিয়ে আবারও নেড়ে নিন। এবার গ্লাসে ঢেলে ২ থেকে ৩টি বরফের টুকরোসহ প্রয়োজনমত মিশ্রণটি নিন। এবার একটু দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। শেষে বাদাম এবং কাজুবাদামের টুকরোগুলো দিয়ে সুন্দরভাবে তা পরিবেশন করুন।

কলা ও চকলেট মিল্কশেক- যা যা লাগবে

চকলেট সিরাপ ১ থেকে ২ কাপ, কলা মাঝারি ২টি, ঘনদুধ ৪ কাপ, চিনি প্রয়োজনমতো, আইসক্রিম ১ কাপ।

যেভাবে করবেন

ছোট ছোট টুকরা করে কলা কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে নিন। এবার দুধ এবং চকলেট সিরাপ ঢেলে দিন। আপনি চাইলে প্রয়োজনমতো চিনি এবং আইসক্রিম যোগ করতে পারেন। উপকরণগুলো পুরো মিশে যাওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে থাকুন। এবার গ্লাসে ঢেলে মিল্কশেকেও ওপর চকলেট সিরাপ এবং আইসক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ম্যাংগো মিল্ক শেক-যা যা লাগবে

ঘনদুধ ২ কাপ, চিনি ৪ চা চামচ, বরফ ১ কাপ, পাকা আম কুচি আধা কাপ, ম্যাংগো আইসস্ক্রিম ২ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন

বারফ বাদে সব উপকরণ এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে বরফ গুলোকে আলাদা ভেঙে মিশিয়ে দিন। চাইলে একসঙ্গে ব্লেন্ডও করতে পারেন। আম ছোট করে কেটে গ্লাসভর্তি মিল্কশেকের উপরে ছড়িয়ে সাজাতে পারেন। ব্যস হয়ে গেল সুস্বাদু ঠাণ্ডা ম্যাংগো মিল্ক শেক।

স্ট্রবেরি মিল্ক শেক-যা যা লাগবে

দুধ ২ কাপ, চিনি ৪ চা চামচ, বরফ ১ কাপ, স্ট্রবেরি ফ্লেভার ১ ফোঁটা, স্ট্রবেরি আইসস্ক্রিম ২ টেবিল চামচ, স্ট্রবেরি ৪ টি।

যেভাবে করবেন

সবগুলো উপকরণ এক সঙ্গে ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। পরিবেশনের আগে বরফ গুলোকে আলাদা ভেঙে দিতে পারেন। গ্লাসের উপরে কোনায় স্ট্রবেরি স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন স্ট্রবেরি মিল্ক শেক।

 

অভাব মোকাবেলায় কৃষিকাজে নারী

একটা সময় যে নারীরা ব্যস্ত থাকতো শুধু গৃহের কাজ নিয়ে, বাড়ির বাইরে যেতে দ্বিধা করতো, সেসব নারী এখন পুরুষদের পাশাপাশি কাজ করছে মাঠে-ময়দানে। অভাব মোকাবেলা করে ঘরে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে অবদান রাখছে সমানভাবে। সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই সিলেটের খাদিম চা বাগানের বাসিন্দা এবং চা শ্রমিক। সারা বছর তারা চা পাতা তোলে। কিন্তু চা পাতা সংগ্রহ করেও পরিবারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সংসারের আয় বাড়াতে আজ তারা কৃষি কাজে পুরুষের সঙ্গে মাঠে এসেছে।

কৃষি কাজ করছে এমন কয়েকজন জানান, সারা দিন চা পাতা তুলে মাত্র ৬৯ টাকা পান। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা ধান কাটলে তারা পুরুষদের মতো ৩০০ টাকা মজুরি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন। তাই চা বাগান থেকে তারা ধান কাটতে এসেছেন।

সরেজমিন খাদিম এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নারীরা পুরুষের সঙ্গে ধান কাটছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কাস্তে হাতে ধান কাটছেন। আবার কেউ কেউ আটিবাধা কাটা ধান মাথায় করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন।

ধান কাটতে আসা খাদিম চা বাগানের বাসিন্দা রূপা রানী বলেন, বাগানে এখন কাজ কম। বৃষ্টি হয়েছে। মাত্র নতুন পাতা গজাচ্ছে। তাই আমি ধান কাটতে এসেছি।

তিনি বলেন, চা পাতা উত্তোলন করলে মাত্র ৬৯ টাকা মিলে। কিন্তু ধান কাটলে ৩০০ টাকা মজুরি মিলে। অভাবের সংসারে বাড়তি টাকা পেলে কিছু দিন আরাম করে থাকা যায়।

অনু রানী নামের আরেক চা শ্রমিক জানান, তিনি প্রতি বছরই খাদিমপাড়া এলাকায় ধান কাটতে আসেন। জামাল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে ধান রোপন ও ধান কাটার এখানে কাজ মেলে।

তিনি জানান, একটু বাড়তি রোজগারের আশায় তারা বাগানের বাহিরে এসে কৃষি কাজ করেন। এই কাজ করতে কোনো সমস্যা হয় কি না জানতে চাইলে অনু বলেন, প্রথমে কিছু সমস্যা হতো। কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই ধান কাটতে বা রোপন করতে কোনো সমস্যা হয় না।

অনু ও রূপার সঙ্গে কথা বলার পর কথা হয় তাদেরকে নিয়ে আসা জামালের সঙ্গে। তিনি জানান, নিজেও কৃষি কাজ করে সংসার চালান। প্রতি বছর তিনি ধান কাটা ও রোপনের সময় একটি টিম নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যান।

জামাল জানান, অতীতে কৃষি কাজের জন্য শ্রমিকের অভাব হতো না। কিন্তু এখন কৃষি কাজের শ্রমিক মিলে না। তাই তিনি বিগত কয়েক বছর থেকে খাদিম চা বাগান থেকে চা শ্রমিক এনে ধান কাটান এবং রোপন করেন। বিনিময়ে নারী চা শ্রমিকদের তিনি রোজ ৩০০ টাকা করে দিতে হয়।

তিনি নারী শ্রমিকদের প্রসংশা করে বলেন, ‘চা বাগানের নারীরা খুবই পরিশ্রম করতে পারে। তারা পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃষি জমিতে কাজ করছে। তাই তাদের পুরুষদের রোজ যত টাকা (মজুরি) দিতে হয় নারীদেরও তত টাকা দিতে হয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চা শ্রমিকরা এখন আর বাগানের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা চা পাতা উত্তোলনের পাশাপাশি ইট ভাঙ্গার কাজ, মাটি কাটার কাজ, ধানের চারা রোপণ, জমি পরিচর্যা, সার-কীটনাশক ছিটানো, ধান কাটা, মাড়াই এসব কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চা শিল্পের ইতিহাস ১৫০ বছরের। সিলেটে চা বাগান তৈরির শুরুর দিকে উন্নত জীবনযাপনের আশা নিয়ে জন্মভিটা ছেড়ে চা বাগানে কাজ করতে আসে দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের অভাবী মানুষ। কিন্তু কাজে এসে তাদের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যায়। তারা ফিরতে চায় নিজ দেশে। এ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নির্বিচারে হাজার হাজার চা শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে। ১৯২১ সালের ২০ মের সেই রক্তাক্ত পরিণতিতে চা শ্রমিকদের দেশে ফেরার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।

 

৮০ বছরের প্রথা ভেঙে মসজিদে যাচ্ছেন নারীরা

ভারতের কেরলা রাজ্যের এক ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন মসজিদে প্রথমবারের মত প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন স্থানীয় মুসলিম নারীরা। গত ৮০ বছরের পুরনো অনিন্দ্য সুন্দর এই মজিদটিতে এতদিন ধরে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে।

অপরূপ সুন্দর ‘তাজহাথানগাদি জুমা মসজিদটি’ কেরলার কোত্তায়াম এলাকায় অবস্থিত। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ৮০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের এই উপাসনালয়ে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন। তবে মাত্র একদিনের জন্য। আগামী ৯ মে রোববার সেখানকার নারীরা এই সুযোগ পাবেন। ওই দিন তারা কেবল মসজিদের স্থাপত্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। তারা এই সুন্নী মসজিদে নামাজ আদায় কিংবা অন্য কোনো ধরনের ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে পারবেন না।

এ সম্পর্কে মসজিদের ইমাম মৌলবী সিরাজউদ্দীন হাসান এনডিটিভি’কে বলেছেন, ‘এই মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের নিয়ম নেই। গত ৮০ বছর  ধরে প্রথাটি পালিত হয়ে আসছে। আমরা এটি ভাঙতে পারি না। প্রাচীন মসজিদের অপরূপ শৈলী উপভোগ করতে প্রতিদিন বিশ্বের নানা স্থান থেকে অসংখ্য পর্যটক এসে থাকে। ভারতের মুসলিম নারীরাও এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়। আমরা তাদের দাবি মেনে নিয়েছি এবং নারীদের জন্য একটি দিন নির্ধারন করেছি। যাতে তারা ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে এর স্থাপত্য শৈলী উপভোগ করতে পারে।’

মসজিদ কমিটির এই সিদ্ধান্তে দারুণ খুশী কেরলার মুসলিম নারীরা। ১৯ বছরের মেহরিন আমেনা নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেছেন,‘আমরা প্রথম মসজিদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারছি। আমার বিশ্বাস একদিন আমি পুরুষদের মত এই মসজিদে নামাজ আদায়েরও সুযোগ পাব।’ অনেক দিনের সংগ্রামের পর এটুকু সুযোগ পেল কেরলার মুসলিম নারীরা।