banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

নারীবিদ্বেষীদের প্রতি হিলারির জবাব

রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বনামে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বদের পোশাক-আশাক নিয়ে অভিনয়শিল্পী বা সঙ্গীতশিল্পীদের পোশাক, সাজসজ্জার মতই মাতামাতি হয়ে থাকে পাশ্চিমা দেশগুলোতে। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনের নারী তারকাদের ক্ষেত্রে তাদের পোশাক, সাজসজ্জা নিয়ে মাতামাতিটা বাড়াবাড়ি, ক্ষেত্রবিশেষে সমালোচনাতেই রূপ নেয় বেশি। ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীদের, কাজের মূল্যায়ন তার পোশাক আশােকর সমালোচনার ভিড়ে হারিয়ে যায় যেন।
তবে নিজের নতুন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা প্রম ছবিতে এসব সমালোচনার জবাব দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।প্রম ছবিতে একসঙ্গে লাল, সাদা ও নীল রঙয়ের (যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার রং) প্যান্ট-স্যুট পরিহিতা ছবি দিয়ে যেন বলতে চাইলেন, “ফ্যাশন নিয়ে মন্তব্য করা শুধু যারা ফ্যাশন নিয়ে কাজ করে তাদেরই দখলে নয়, রাজনীতিবিদরাও ফ্যাশনেবল হতে পারে”। হিলারির পোশাক নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করা হয় যে, তার পোশাকগুলো ঠিক ‘নারীসুলভ’ না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিনড়ব
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জনপ্রিয় টক শোগুলোতেও তার পোশাক নিয়ে সরাসরি কৌতুক করা হয়ে থাকে প্রায়ই। এমনকি ফ্যাশন বিশ্লেষক টিমগান এমনও মন্তব্য করেছেন যে, হিলারির পোশাক দেখে মনে হয় তিনি তার লিঙ্গপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত। হিলারি পুরুষদের মধ্যে নিজেকে স্বতন্ত্র করে তোলার চেয়ে বরং তাদের মধ্যে মিশে যেতে চান বলেই এধরনের পোশাক পড়েন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। সাবেক ফার্স্ট লেডি, পরবর্তীতে সিনেটর এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে কাজ করা
হিলারির সব অর্জনই যেন তুচ্ছ তার সাজপোশাকের কাছে! শুধু হিলারি নয়, বর্তমান ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সাজপোশাক নিয়েও আলোচনা সমালোচনা কম হয় না মার্কিন মিডিয়াতে। সাজপোশাক নিয়ে আলোচনায় বিভিনড়ব বিষয়ে তাদের বক্তব্য, কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানগুলো অনেকাংশেই আলোচনার আড়ালে চলে যায়। এমনকি অভিনয়শিল্পী বা সঙ্গীতশিল্পীদের ক্ষেত্রেও এধরনের বৈষম্য হরদম করা হয়ে থাকে মিডিয়াগুলো।
কোন অনুষ্ঠানের শুরুতে লাল গালিচায় সাক্ষাতকারে ‘অভিনেতাদের’ সাধারণত প্রশড়ব করা হয় তাদের পরবর্তী সিনেমা বা টেলিভিশন সিরিজে অভিনীত চরিত্রগুলো নিয়ে। আর ‘অভিনেত্রীদের’ প্রতি মূলত প্রশড়ব থাকে তাদের সাজপোশাক নিয়েই, তাদের অভিনয় বা সঙ্গীত বিষয়ক কোন প্রশড়ব করাই হয় না এক রকমের। এছাড়া মিডিয়ার তৈরি করে দেয়া ফ্যাশন সংজ্ঞার মধ্যে সামাজিক বৈষম্যগুলো আরো প্রকটভাবেই ফুটে ওঠে। তবে হিলারি ক্লিনটন তার ইনস্টাগ্রাম ছবির মাধ্যমে নিজের অভিরুচি আর বুদ্ধিমত্তার
সঙ্গেই মিডিয়ার তৈরি করে দেয়া ভাষাতেই মিডিয়াকে ঘায়েল করেছেন বলে মনে করছেন তার ভক্তরা।

 

ওজন কমে ঘরের কাজেও

বাড়ির কাজে আপনার সাহায্যকারী যদি এক দিন না আসেন, তাহলে সেদিন মাথায় হাত পড়ে যায়। কীভাবে করবেন এত কাজ? তা নিয়ে বেশ ঝামেলাই হয় বটে। আবার ধরুন, শরীরচর্চা বা হাঁটার জন্য বাড়তি সময় বের করা কষ্টকর আমাদের জন্য। এই দুই সমস্যার সমাধান হলো বাড়িতে কিছু কাজ নিজেই করে ফেলা। একদিকে ঘরের কাজগুলো করা হবে, অন্যদিকে ঝেড়ে ফেলা হবে শরীরের বাড়তি ওজনটুকু। তা না হলে শরীরে বাড়তে থাকে ক্যালরির পরিমাণ। ফলে ওবেসিটি, শ্বাসকষ্ট, পায়ে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। একটু পরিশ্রম করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন পরামর্শ দেন পারসোনা হেলথের প্রধান প্রশিক্ষক ফারজানা খানম।
ঘর ঝাড়ু দেওয়া, ঘর মোছা, জানালা পরিষ্কার করা, থালাবাসন ধোয়া শরীরের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম। এই কাজগুলো করতে গেলে শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করে থাকে। ফলে খুব দ্রুতই শরীর থেকে ঝরে যায় বাড়তি ক্যালরি। ঘরের কোনো কাজে কতটুকু ক্যালরি ব্যয় হচ্ছে, তারও একটা হিসাব জানালেন ফারজানা।
তিনি বলেন, প্রতিদিন থালাবাসন পরিষ্কার করলে ৮৫ ক্যালরি, কাপড় ইস্ত্রিতে ৭০ ক্যালরি, ঝুল ঝাড়ায় ৫০ ক্যালরি, বাথরুম পরিষ্কার করলে ২০০ ক্যালরি, কাপড় পরিষ্কার করলে ৬৮ ক্যালরি খরচ হয়। খুব দ্রুত ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমাতে চাইলে ঘর মোছা সবচেয়ে কাজে দেয়। তবে পেটে চাপ দিয়ে মুছতে হবে ঘর। আর এভাবেই পুড়বে ১১৯ ক্যালরি। যাদের পিঠের দিকে মাংস বেশি তাঁদের জন্য ঝুল ঝাড়া হলো আদর্শ কাজ। এতে খুব দ্রুতই কমবে পিঠের মেদ।
অনেকে এটা জানেন না যে রান্না করলে ওজন কমে। রান্নাঘরের গরম বাষ্প আর তাপের কারণে আধ ঘণ্টা রান্না করলে পুড়বে ১০৮ ক্যালরি। শরীর থেকে কতটুকু ক্যালরি পুড়ল সে হিসাবটা ঘরে বসে করতে পারেন। এ জন্য শরীরের বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) অনুপাতটা বের করে নিন। বিএমআই যদি ১৮.৫ থেকে ২৪.৯-এর মধ্যে থাকে তাহলে আপনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণভাবে ফিট রয়েছেন। বিএমআই যদি এর চেয়ে কম হয় তাহলে আপনি আন্ডারওয়েট। আবার যাদের বিএমআই ২৫.০২ থেকে ২৯.৯-এর মধ্যে থাকে তাহলে ওজনটা অতিরিক্ত হলেও সেটা ওবেসিটি নয়। তবে এই মাত্রাটা ছাড়িয়ে গেলেই ওবেসিটির তালিকায় ঢুকে পড়ছেন আপনি। তাই বয়সটা ১৬-এর কোটায় পা দেওয়ার পর থেকেই যদি ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে জটিল সব রোগ। আর এ জন্য শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

সূত্র : প্রথমআলো

 

ইসলামী চরিত্রের মৌলিক বিষয়সমূহ

মুসলমানদের ১৫ টি প্রশংসনীয় চারিত্রিক গুণাবলী

১ সত্যবাদিতা:

আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের যে সকল ইসলামী চরিত্রের নির্দেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম হচ্ছে সত্যবাদিতার চরিত্র। আল্লাহ তাআলা বলেন,

“হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা সত্যবাদীদের সাথী হও।” সূরা আত-তাওবাহ : ১১৯
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“তোমরা সততা অবলম্বন গ্রহণ কর, কেননা সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায় আর পূণ্য জান্নাতের পথ দেখায়, একজন লোক সর্বদা সত্য বলতে থাকে এবং সত্যবাদিতার প্রতি অনুরাগী হয়, ফলে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।” মুসলিম

২ আমানতদারিতা :

মুসলমানদের সে সব ইসলামী চরিত্র অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার একটি হচ্ছে আমানতসমূহ তার অধিকারীদের নিকট আদায় করে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের নিকট আদায় করে দিতে।” সূরা আন নিসা : ৫৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট আল আমীন উপাধি লাভ করেছিলেন, তারা তাঁর নিকট তাদের সম্পদ আমানত রাখত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার অনুসারীদের মুশরিকরা কঠোর ভাবে নির্যাতন শুরু করার পর যখন আল্লাহ তাকে মক্কা হতে মদীনা হিজরত করার অনুমতি দিলেন তিনি আমানতের মালসমূহ তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা না করে হিজরত করেননি। অথচ যারা আমানত রেখেছিল তারা সকলেই ছিল কাফের। কিন্তু ইসলাম তো আমানত তার অধিকারীদের নিকট ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে যদিও তার অধিকারীরা কাফের হয়।

৩ অঙ্গীকার পূর্ণ করা:

ইসলামী মহান চরিত্রের অন্যতম হচ্ছে অঙ্গীকার পূর্ণ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর, কেননা অঙ্গীকার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসিত হবে।” সূরা ইসরা : ৩৪
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিশ্রতি ভঙ্গকরা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

৪ বিনয় :

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে একজন মুসলমান তার অপর মুসলিম ভাইদের সাথে বিনয়ী আচরণ করবে। সে ধনী হোক বা গরীব। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“তুমি তোমার পার্শ্বদেশ মুমিনদের জন্য অবনত করে দাও।” সূরা আল হিজর : ৮৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“আল্লাহ তাআলা আমার নিকট ওহী করেছেন যে, ‘তোমরা বিনয়ী হও যাতে একজন অপরজনের উপর অহংকার না করে। একজন অপর জনের উপর সীমালংঘন না করে।” -মুসলিম।

৫ মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার:

মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার উত্তম চরিত্রের অন্যতম। আর এটা তাদের অধিকার মহান হওয়ার কারণে, যে অধিকার স্থান হল আল্লাহর হকের পরে।আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
‘আর আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না, এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” [সূরা আন-নিসা : ৩৫ আয়াত]
আল্লাহ তাআলা তাদের আনুগত্য, তাদের প্রতি দয়া ও বিনয় এবং তাদের জন্য দু’আ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“তাদের উভয়ের জন্য দয়ার সাথে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, হে আমার রব! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে আমাকে তারা লালন-পালন করেছেন।” [ সূরা আল ইসরা : ২৪ ]
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল,
‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার উত্তম আচরণ পাওয়ার সবচেয়ে বেশী অধিকারী ব্যক্তি কে ? তিনি বললেন, ‘তোমার মা।’ অত:পর জিজ্ঞেস করল তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমার মা।’ অতঃপর জিজ্ঞেস করল তার পর কে? উত্তর দিলেন, ‘তোমার পিতা।’ [বুখারী ও মুসলিম]
মাতা-পিতার প্রতি এ সদ্ব্যবহার ও দয়া অনুগ্রহ অতিরিক্ত বা পূর্ণতা দানকারী বিষয় নয় বরং তা হচ্ছে সকল মানুষের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফরযে আইন।

৬ আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখা :

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। আর তারা হচ্ছে নিকটাত্মীয়গণ যেমন, চাচা, মামা, ফুফা, খালা, ভাই, বোন প্রমূখ।
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ওয়াজিব, আর তা ছিন্ন করা জান্নাত হতে বঞ্চিত ও অভিশাপের কারণ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“ যদি তোমরা ক্ষমতা পাও, তাহলে কি তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? তারা তো ঐ সব লোক যাদের প্রতি আল্লাহ অভিশাপ করেছেন। এতে তিনি তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টি অন্ধ করে দিয়েছেন।” [সূরা মুহাম্মাদ : ২২-২৩]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশ্তে প্রবেশ করবে না।” [বুখারী ও মুসলিম]

৭ প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার:
 প্রতিবেশীর প্রতি সুন্দরতম ব্যবহার হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম। প্রতিবেশী হচ্ছে সে সব লোক যারা আপনার বাড়ীর আশে পাশে বসবাস করে। যে আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী সে সুন্দর ব্যবহার ও অনুগ্রহের সবচেয়ে বেশী হকদার। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর, নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকীন নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতিও।” [সূরা আন-নিসা : ৩৬]
এতে আল্লাহ নিকটতম ও দূরবর্তী প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার করতে ওসিয়ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
‘জিবরীল আমাকে প্রতিবেশীর ব্যাপারে ওসিয়ত করতেছিল এমনকি আমি ধারণা করেনিলাম যে, প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকার বানিয়ে দেয়া হবে।’ [বুখারী ও মুসলিম]
অর্থাৎ আমি মনে করেছিলাম যে ওয়ারিশদের সাথে প্রতিবেশীর জন্য মিরাসের একটি অংশ নির্ধারিত করে দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু যর রা. কে লক্ষ্য করে বলেন,
‘হে আবু যর! যখন তুমি তরকারী পাক কর তখন পানি বেশি করে দাও, আর তোমার প্রতিবেশীদের অঙ্গীকার পূরণ কর।” [ মুসলিম]
প্রতিবেশীর পার্শ্বাবস্থানের হক রয়েছে যদিও সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি অবিশ্বাসী বা কাফের হয়।

৮ মেহমানের আতিথেয়তা:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মেহমানের আতিথেয়তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।” [বুখারী ও মুসলিম]

৯ সাধারণভাবে দান ও বদান্যতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম দিক হচ্ছে দান ও বদান্যতা। আল্লাহ তাআলা ইনসাফ, বদান্যতা ও দান কারীদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে অতঃপর যা খরচ করেছে তা থেকে কারো প্রতি অনুগ্রহ ও কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য করে না, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাও করবে না।” [সূরা আল বাকারাহ : ২৬২]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
‘যার নিকট অতিরিক্ত বাহন থাকে সে যেন যার বাহন নেই তাকে তা ব্যবহার করতে দেয়। যার নিকট অতিরিক্ত পাথেয় বা রসদ রয়েছে সে যেন যার রসদ নেই তাকে তা দিয়ে সাহায্য করে।” [মুসলিম]

১০ ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা:

ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয়। অনুরূপভাবে মানুষদের ক্ষমা করা, দুর্ব্যবহারকারীকে ছেড়ে দেয়া ওজর পেশকারীর ওজর গ্রহণ করা বা মেনে নেয়াও অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“আর যে ধৈর্য্য ধারণ করল এবং ক্ষমা করল, নিশ্চয়ই এটা কাজের দৃঢ়তার অন্তর্ভূক্ত।” [সূরা আশ শুরা : ৪৩]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
‘তারা যেন ক্ষমা করে দেয় এবং উদারতা দেখায়, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দেয়া কি তোমরা পছন্দ কর না?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “দান খয়রাতে সম্পদ কমে যায় না। আল্লাহ পাক ক্ষমার দ্বারা বান্দার মার্যাদাই বৃদ্ধি করে দেন। যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তার সম্মানই বৃদ্ধি করে দেন।” [মুসলিম ] তিনি আরো বলেন, “দয়া কর, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে। ক্ষমা করে দাও তোমাদেরও ক্ষমা করে দেয়া হবে।” [আহমাদ]

১১। মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন:

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন করে দেয়া, এটা একটি মহান চরিত্র যা ভালবাসা সৌহার্দ প্রসার ও মানুষের পারষ্পারিক সহযোগিতার প্রাণের দিকে নিয়ে যায়।আল্লাহ তাআলা বলেন:
“তাদের অধিকাংশ শলাপরামর্শের মধ্যে কল্যাণ নেই। কেবল মাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সাদকাহ, সৎকর্ম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এসব করে অচিরেই আমরা তাকে মহা প্রতিদান প্রদান করব।” [সূরা আন নিসা : ১১৪]

১২। লজ্জা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম আরেকটি চরিত্র হচ্ছে লজ্জা। এটা এমন একটি চরিত্র যা পরিপূর্ণতা ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের দিকে আহবান করে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হতে বারণ করে। লজ্জা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। ফলে মুসলমান লজ্জা করে যে, আল্লাহ তাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখবে। অনুরূপভাবে মানুষের থেকে এবং নিজের থেকেও সে লজ্জা করে। লজ্জা অন্তরে ঈমান থাকার প্রমাণ বহন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
‘লজ্জা ঈমানের বিশেষ অংশ।’ [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসে না।” [বুখারী ও মুসলিম]

১৩। দয়া ও করুণা:


ইসলামী চরিত্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হচ্ছে দয়া বা করুণা। এ চরিত্রটি অনেক মানুষের অন্তর হতে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে তাদের অন্তর পাথরের মত অথবা এর চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আর প্রকৃত মু’মিন হচ্ছে দয়াময়, পরোপকারী, গভীর অনুভূতি সম্পন্ন উজ্জল অনুগ্রহের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
“অত:পর সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় যারা ঈমান এনেছে পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য্য ও করুণার উপদেশ দিয়েছে। তারা হচ্ছে দক্ষিণ পন্থার অনুসারী।” [সূরা আল-বালাদ : ১৭- ১৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“মুমিনদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, করুণা, অনুকম্পার উপমা হচ্ছে একটি শরীরের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় গোটা শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।” [মুসলিম]

১৪। ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা:


ন্যায় পরায়ণতা ইসলামী চরিত্রের আরেকটি অংশ। এ চরিত্র আত্মার প্রশান্তি সৃষ্টি করে। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বিমোচনের দিকে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ইহসান ও নিকটাত্মীয়দের দান করতে নির্দেশ দেন।” [সূরা আল নাহাল : ৯০]
আল্লাহ তাআলা বলেন :
“ইনসাফ কর, এটা তাক্বওয়ার অতীব নিকটবর্তী।” [সূরা আল মায়িদা : ৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরের উপর বসবে। তারা হল সে সব লোক, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে এবং যে দায়িত্বই পেয়েছে তাতে ইনসাফ করে।”

১৫। চারিত্রিক পবিত্রতা:

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চারিত্রিক পবিত্রতা। এ চরিত্র মানুষের সম্মান সংরক্ষণ এবং বংশে সংমিশ্রন না হওয়ার দিকে পৌঁছে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“যাদের বিবাহের সামর্থ নেই, তারা যেন চারিত্রিক পবিত্রতা গ্রহণ করে। যতক্ষণ না আল্লাহ তার অনুগ্রহে তাকে সম্পদশালী করেন।” [ সুরা আন নূর-৩৩ ]
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন,
“তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমাদের কেউ কথা বলে সে যেন মিথ্যা না বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন যেন খেয়ানত না করে। যখন প্রতিশ্র“তি দেয় তা যেন ভঙ্গ না করে। তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত কর। তোমাদের হস্তদ্বয় সংযত কর। তোমাদের লজ্জাস্থান হেজাফত কর।” [ হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন এবং হাদীসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন
ইসলামের এ সব চরিত্রে এমন কিছু নেই যা ঘৃণা করা যায়। বরং এসব এমন সম্মান যোগ্য মহৎ চারিত্রাবলী যা প্রত্যেক নিষ্কলুষ স্বভাবের অধিকারীর সমর্থন লাভ করে। মুসলমানগণ যদি এ মহৎ চরিত্র ধারণ করত তাহলে সর্বস্থান থেকে তাদের নিকট মানুষ আগমন করত এবং দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে তারা প্রবেশ করত যেভাবে প্রথম যুগের মুসলমানদের লেন-দেন ও চরিত্রের কারণে সে সময়ের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল।

– See more at: http://womenexpress.net/shahidrxbd/religion-and-research/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a7%a7%e0%a7%ab-%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b6%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a6%a8/#sthash.lXISwVEl.dpuf

 

আইসিএবি এর প্রথম নারী সভাপতি

পারভীন  মাহমুদ এফ সিএ : চার্টাড একাউন্ট্যান্ট এবং উন্নয়নকর্মী

পারভীন মহমুদ এফ সি এ, চট্টগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার তিন বোন এক ভাই। তার বাবা নিয়ামতপুর, নওগাঁর মরহুম মোঃ লুৎফুর রহমান, আয়কর উপদেষ্টা হিসাবে চট্টগ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। তার মা শামসুন্নাহার রহমান পরাণ, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা “ঘাসফুল” এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চট্টগ্রামে সমাজসেবা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৮ সালে ঘাসফুল চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে সরকারী রেজিষ্ট্রেশন লাভ করে এবং চট্টগ্রামের প্রথম রেজিষ্টার্ড এনজিও হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মা সমাজ সেবী শামসুন্নাহার রহমান পরাণ তাঁর কর্ম প্রেরনার উৎস। পারভীন মাহমুদের স্বামী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সাথে বিয়ের পর তিনি কিছুকাল যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। তাদের দুটি সন্তান। তাদের ছেলে শামস মাহমুদ, যুক্তরাজ্যে আইনে মাষ্টার করেছে এবং মেয়ে জেরীন মাহমুদ হোসেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিপিএ করেছে। অবসরে তিনি দেশ ভ্রমন, ছবি আঁকা ও বাগান করতে  পছন্দ করেন।

পারভীন মাহমুদ এফ সি এ, The Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) এর প্রথম  মহিলা কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচিত হন (২০০৭-২০০৯)। ২০০৮ সালে প্রথম মহিলা  ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি (২০১০-২০১৩) কাউন্সিল মেম্বার পূনরায় নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে ICAB এর প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই বছরে South Asian Federation of Accountants (SAFA) বোর্ডে তিনিই প্রথম মহিলা বোর্ড সদস্য। SAFA, SAARC এর শীর্ষ এক্যাউন্টিং প্রফেশনাল বডি’র সংগঠন। তিনি (২০০৭-২০০৮) সালে কমিটি ফর জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট এবং (২০০৯-২০১৩) সালে ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলোজীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি Acnabin & Co. চার্টাড একাউন্ট্যান্টস এর পাটর্নার ছিলেন। পারভীন মাহমুদ যুক্তরাজ্যের মিড-হাটর্স কলেজ, ওয়েলিন গার্ডেন সিটি, হার্টফোর্ডশ্যায়ার থেকে “ও” এবং “এ” লেভেল পাশ করেন। তিনি সিএ পড়ার উদ্দেশ্যে বর্তমান হার্টফোর্ডশ্যায়ার ইউনির্ভাসিটি, হ্যাটফিন্ড থেকে একাউন্টেন্সী ফাউন্ডেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। এস.এফ. আহমেদ এন্ড কোম্পানী, চার্টাড একাউন্ট্যান্টস ফার্ম, ঢাকা থেকে আর্টিকেলশীপ করেন এবং ১৯৯১ সালের চার্টাড একাউন্ট্যান্ট হন। তার কন্যাও ICAB এর মেম্বার। এ পর্যন্ত ICAB তে তারাই প্রথম মা ও মেয়ে একই সাথে মেম্বার। তিনি এবং ডা: জাভেদ সিদ্দিকী ম্যানচেষ্টার বিজনেস স্কুল, যুক্তরাজ্য একটি জরিপ পরিচালনা করেন এবং ৮ই মার্চ ২০১৪ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে “Cracking the glass ceiling: An exploration of gender equity in the Chartered Accountancy Profession in Bangladesh” শীর্ষক সমীক্ষা রিপোর্টটি আইসিএবিতে উপস্থাপন করেন।

পারভীন মাহমুদ ব্র্যাক এ তার কর্ম জীবন শুরু করেন। তিনি CIDA এর প্রজেক্ট এ কর্মরত ছিলেন এবং Action AID International Bangladesh (AAIB) এর ফাইন্যান্সিয়াল কন্ট্রোলার ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ প্রদানকারী শীর্ষ সংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে (PKSF) যোগদান করেন এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট সামাজিক ব্যবসা বিকাশে সহায়তা প্রদান করছে। তিনি SME ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পর্ষদ সদস্য এবং বর্তমানে সাধারন পর্ষদ সদস্য। তিনি ক্ষুদ্র ও  মাঝারী শিল্প উন্নয়নের জন্য  গঠিত জাতীয় পরামর্শক প্যানেলে সদস্য এবং SME Women’s Forum এর সভাপতি ছিলেন। তিনি মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (MRA) এর প্রতিষ্ঠা লগ্নে টেকনিক্যাল কমিটি সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মাধ্যমে টেকশই উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমাতায়নে তার দীর্ঘ  অভিজ্ঞতা  রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে সহায়তার জন্য ২০০৬ সালে তিনি নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন থেকে “কোম রোকেয়া শাইনিং পারসনালিটি এ্যাওয়ার্ড” লাভ করেন।

বেগম মাহমুদ গ্রামীণ ফোন লিঃ, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লি:, ইউসেপ- বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, মাইডাস এবং ব্র্যাক ইন্টান্যাশনাল এর পর্ষদ সদস্য। তিনি ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোফাইন্যান্স এর সাধারন পর্ষদ সদস্য। তিনি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসেপ- বাংলাদেশ, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, ব্র্যাক এবং ব্র্যাক ইন্টান্যাশনাল এর অডিট কমিটির সদস্য। তিনি জনতা ব্যাংক লি:, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদ সদস্য ছিলেন। তিনি ইউসেপ বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ও এসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ছিলেন।

যোগাযোগ :

ই-মেইল : parveen@gtctrust.com, parveenmahmud55@gmail.com

লেখক : পারভীন  মাহমুদ

 

অনলাইন শপে আইফোন কিনে পেলো তালা

অনলাইন ই-কমার্স সাইটগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণা। ক্লাসিফায়েড সাইটগুলোতে এ প্রতারণার হার সবচে বেশি। তেমনি একটি ঘটনা ঘটল মালয়েশিয়ান এক ফোন ক্রেতার ভাগ্যে। অনলাইন রিটেইলার ১১ স্ট্রিটের মাধ্যমে অন্য তৃতীয় পক্ষ থেকে তিনি কিনেছিলেন একটি আইফোন ৬ এস। যার মেমোরি ছিল ১৬ জিবি। ক্রেতার নাম অ্যালানস এনজি।   তিনি যে ফোনটি কিনেছিলেন তার দাম ছিল ৭৩৬ ডলার সমমূল্যের। সাধারণ মূল্যের চেয়ে তিনি পেয়েছিলেন ৫০ ডলার ডিসকাউন্ট। নতুন আইফোন কেনার উত্তেজনা ছিল এনজির মধ্যে। যদিও যেদিন ফোনটি হাতে পাওয়ার কথা ছিল তার একদিন পরে পেলেন। কিন্তু তার উত্তেজনা পরিণত হল শোকে। তিনি ফোনটির প্যাকেটটি খুললেন এবং যা দেখলেন তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তিনি।   অ্যালানস এনজি যে ফোনটি কিনতে চেয়েছিলেন সে ফোনটির রঙ ছিল উজ্জ্বল সোনালী। কিন্তু প্যাকেট খুলে তিনি ফোনের বদলে পেলেন একটি স্বস্তা মানের তালা। তিনি বিস্ময়ে হতভম্ব হয়ে পড়লেন। তবে তিনি দমে যান নি। ব্যবহার করলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। নিজের ওয়ালে পোস্ট করলেন ছবি সহ ঘটনাটি। ২৪ ঘন্টার আগেই তা দৃষ্টি গোচর হয় ১১ স্ট্রিটের কর্মকর্তার।   সুসংবাদ হল এনজি শিগগিরই এই পণ্যের একটি বদলি পণ্য পাচ্ছেন তার হাতে। ১১ স্ট্রিটের কার্যপ্রণালি অনুসারে, বিক্রেতা ততক্ষণ পর্যন্ত টাকা পাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রেতা পণ্য কিনে সন্তুষ্ট হওয়ার ছাড়পত্র দেবে।   তবে পুলিশ এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে।   সূত্রঃ TipsRound.Com