banner

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

যা যা আসছে এবার ঈদের ঢাকাই সিনেমা হল গুলোতে

ঈদে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে,নতুন মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা। প্রতি ঈদেই তাই মুক্তি পেয়ে থাকে বেশ কিছু নতুন সিনেমা। যদিও বিগত কয়েক বছরে এই মুক্তি পাওয়া সিনেমা গুলোর সংখ্যা আগের চেয়ে কমে এসেছে।

মোট চারটি ছবি মুক্তি প্রতিক্ষিত এবারের ঈদে। যার মধ্যে দু’টি ছবিতে আছেন হালের ব্যস্ত চিত্রনায়ক শাকিব খান। আর তার বিপরীতে এবারও দেখা যাবে অপু বিশ্বাসকে। গত কয়েক বছরের ধরে এমনই ধারাবাহিকতা চলছে। তবে জুটি হিসেবে দর্শক জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল তারা। তাই প্রযোজকদের অন্তত হল পাওয়ার চিন্তাটা করতে হয় না। কারণ ঈদে সারাদেশে অর্ধেকেরও বেশি হল শাকিবের দখলে। আর হল মালিকরাও সন্তুষ্ট।

শাহিন সুমন পরিচালিত ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবিটি এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবিটিতেই জুটি হিসেবে থাকছেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের দ্বিতীয় ছবিটিতে তার বিপরীতে থাকছেন পরীমনি। পরীর নামের সাথে বিতর্ক জড়িয়ে থাকলেও ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম নায়িকা এখন তিনি। প্রায় সারাবছরই ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা। তবে ঈদে শাকিবের সাথে জুটি বেধে দর্শকদের মাঝে কতটা সাড়া ফেলতে পারবেন তা এখন অপেক্ষা।

‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ শিরোনামে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন এস এ হক অলিক। ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন তিনি। নতুন ছবির ব্যবসা প্রসঙ্গে অলিক বলেন, ‘এবার রোমান্টিক ছবি নির্মাণ করেছি। আর এবার যেহেতু চারটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাই ব্যবসাটাও তো ভাগ হয়ে যাবে। তবুও আমি আশাবাদী। আর গত কয়েক বছর ধরেই শাকিবের প্রতি একটা নির্ভযোগ্যতা সবার তৈরি হয়েছে।’

নায়িকা নির্ভর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকদিন ধরেই ছিল না। শাবনুর, পূর্ণিমা ও মৌসুমীর সময়ের পর দর্শক নায়িকা দেখে হলে যান গুটিকয়েক মাত্র। কিন্তু চলচ্চিত্রের এই সময়ে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী আসার পর সেই সঙ্কটটা অনেকটা পূরণ হয়েছে। যদিও জাজ মাল্টিমিডিয়ার নিজস্ব হলগুলোতেই মুক্তি পায় ছবিগুলো। তবে জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। জাজের বাইরেও তাকে নিয়ে ছবি করতে প্রস্তুত অনেক প্রযোজক। মাহীর প্রতি ইন্ডাস্ট্রির এই নির্ভরশীলতার ইতিবাচক দিকটা এখন পরিস্কার। এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মাহীর ‘অগ্নি ২’ ছবিটি। ‘অগ্নি’ ছবির সাফল্যের পর সিক্যুয়াল নির্মাণ হয়েছে যৌথ প্রযোজনায়। ওপার বাংলার ওম ও আশীষ বিদ্যার্থী অভিনয় করেছেন ছবিটিতে। ছবিটি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহী বলেন, ‘নতুন এক অভিজ্ঞতা আমার জন্য ‘অগ্নি ২’ ছবিটি। চলচ্চিত্রের আরও একটা অধ্যায় শেষ করলাম। আশাবাদী ছবিটি নিয়ে, কারণ ‘অগ্নি’ ছবিটি থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি বলেই এর সিক্যুয়াল করা।’
Mahi-Large20150509185644
‘অগ্নি ২’ ছবিটি এরইমধ্যে ২০০টি হল দখল করেছে। এবার জাজের নির্দিষ্ট হল ছাড়াও মুক্তি পাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস’সহ বেশ কয়েকটি বাইরের হলে। ছবিটি প্রসঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল উইং ও মার্কেটিং কনসালটেন্ট রোমিম রায়হান বলেন, ‘ছবিটি ঈদে দেশে মুক্তি পাবে এবং দেশের বাইরে ঈদের পরেই একসাথে মুক্তি দেয়া হবে। বাইরের দেশগুলোতে সেন্সরের কাজ চলছে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে এতগুলো দেশে বাংলা ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এতে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিতে আরও একধাপ এগুচ্ছি আমরা।’
ঈদে চার নম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ‘পদ্ম পাতার জল’। তন্ময় তানসেন পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ইমন ও বিদ্যা সিনহা মীম। নির্ভরযোগ্য কাস্টিং ছাড়া ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি থেকে বিরত থাকেন অনেকে। ঈদের পরেই হল বুকিং চলে অনেক ছবির। ‘পদ্ম পাতার জল’ ছবির নায়ক ইমন বড়পর্দায় অনেকদিন। তবে এখনও তার অবস্থান নড়বড়ে। অন্যদিকে মীম সম্প্রতি বড়পর্দায় নিয়মিত হলেও তার অবস্থানটাও নির্ভযোগ্য নয়। তাই এবারে ব্যবসার দৌড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে আয়ের হিসেবটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মুক্তির কয়েকদিন পর পর্যন্ত। তবে প্রত্যাশার বিষয়টি চলচ্চিত্রের প্রচারণা। কিছুদিন আগেই ছবিটি উপলক্ষে এক পার্টিতে যোগ দেন দেশের জনপ্রিয় মুখগুলো। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনুর। তাই এই ছবিটি নিয়ে আশার কথাও কম না।
 download

এবার চলচ্চিত্র মুক্তির তালিকায় নেই ঢালিউডের আলোচিত অনেকেই। যার মধ্যে রয়েছেন আরিফিন শুভ, জায়েদ খান, বাপ্পিসহ অনেকে। তবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সবার হতাশার জাগাটা হল সঙ্কট নিয়ে। দেশে প্রায় ৩২০টি হল। যার সংখ্যা প্রতিনিয়তই কমছে। এরমধ্যে চাইলেও অনেক ছবি মুক্তি দিতে পারছেন না প্রযোজকরা। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতির জন্য তাই এখন জরুরি হল বাড়ানো। পাশাপাশি বর্তমান হলগুলোর পরিবেশ উন্নয়ন। হল না থাকলে দেশের চলচ্চিত্রের নিকট ভবিষ্যত্ নিয়ে যতই আশাবাদী মন্তব্য প্রকাশ পাক, সেগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা উচিত। পাশাপাশি পেশাদার প্রযোজকের অভাবে ভুগছে এখন এফডিসি। তাই হলের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজন এখন পেশাদার প্রযোজক।

 

এবার ঈদে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ গুলোর নানা আয়োজন

সাদাকালো
11401419_906586569387636_1057436663860270696_n
কিউবিজম শিল্পের সৃজনকৃত শিল্পের ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এবারের ঈদ আয়োজন। কিউবিজমের বিভিন্ন মোটিফ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট এবং মগ। এই ঈদ আয়োজন নিয়ে সাদাকালোর একটি প্রদর্শনী চলছে গ্যালারি টুয়েন্টি ওয়ানে (৭৫১, সাত-মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা)।
মায়াসির
10600670_960237600687975_6146221799778212849_n
মায়াসির ঈদ কালেকশন ২০১৫ মাহিন খাঁনের নতুন স্টাইলে গাঁথা। আন্তর্জাতিক ভিন্নধর্মী প্যাটার্ন, ফ্যাশন, রঙ ও নকশার সাজে সাজিয়েছে আকর্ষণীয় ঈদের সংগ্রহ। এ কাট, অ্যাঙ্গেল কাট, উঁচু-নিচু কাট, ভায়েজ কাট দিয়ে, তার সাথে নিখুঁত হাতের এমব্রয়ডারি ও প্রিন্টের এক অনন্য সমন্বয় ঘটিয়েছেন মাহিন খাঁন তার নিজস্ব ডিজাইনে।
উৎসবমুখী এ আয়োজনে থাকছে ছোট ও বড় মেয়েদের থ্রিপিস, টপস্, সিঙ্গেল কামিজ, বিভিন্ন সিল্কের নকশিকাঁথা শাড়ি ও ছেলেদের পাঞ্জাবি, এছাড়াও থাকছে সেন্ডেল, ব্যাগ এবং রুপার তৈরি গহনা। পাওয়া যাবে মায়াসিরের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখায়।
ক্যাটস আই
11403489_10153046515270983_6777429313989168475_n
উৎসবের রঙে তারুণ্যের উচ্ছলতা পোশাকের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে ক্যাটস আই। এবার ঈদে সিম্পল প্যাটার্ন ভেরিয়েশনে থাকছে মেনজ ও ওমেন কালেকশন। রঙকে প্রাধান্য দিয়ে ফেস্টিভ-কেন্দ্রিক ভ্যালু এডিশন থাকছে পোশাকে। গতানুগতিক প্যাটার্ন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আনা হয়েছে স্মার্ট অ্যান্ড ট্রেন্ডি লুক। ডিজাইনেও থাকছে বৈচিত্র্য। পাশাপাশি আউটগোয়িং নারীদের জন্য আছে গাউন কামিজ বা ম্যাক্সি টিউনিক এলিগেন্ট আউটফিট। এছাড়া কো ব্র্যান্ড মুনসুন রেইনে থাকছে শুধুই পুরুষদের জন্য ঈদ-উপযোগী ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্টিং ও স্যুটিং।
ইয়েলো 
11667387_10153028367033716_446357205597472100_n
নন্দিত ফ্যাশন হাউজ ইয়েলো এবার ঈদে এনেছে তাদের বাহারী এবং এক্সক্লুসিভ কিছু কালেকশন। লিলিয়েন এবং সুতি মূলত এই দুই রকমের কাপড়ের পর ভিত্তি করেই বানানো হয়েছে বেশিরভাগ ড্রেস তবে এছাড়াও রয়েছে শিফন,জর্জেট সহ আরো নানান কালেকশন।
কে ক্র্যাফট
দেশের প্রধান প্রত্যেকটি তাঁত অঞ্চলে এবং প্রায় প্রতিটি কারুশিল্প এলাকায় কে ক্র্যাফট কর্মীবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রম, ডিজাইন স্টুডিওর মেধা-মনন এবং ক্রেতাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে কে ক্র্যাফট বিশ বা একুশ বছর ধরে এগিয়ে চলছে। প্রতিটি কে ক্র্যাফট আউটলেটে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, সিঙ্গল কামিজ, লেডিস কুর্তা, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, শর্ট-পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি, সেমি লং পাঞ্জাবি, সেমি ফিটিং লং পাঞ্জাবি, সেমি ফিটিং শর্ট-পাঞ্জাবি, জেন্টস কুর্তা, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের যাবতীয় পোশাকসহ নানা উপহার সামগ্রী ও ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ পৌঁছে গেছে। নানা রং বিন্যাস, অলংকরণ ও নিরীক্ষায় ঈদ পোশাকের কালেকশন সাজিয়েছে কে ক্র্যাফট। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ্স, লং-কুর্তার সাথে রয়েছে ম্যাচিং গহনা, স্যান্ডেল ও ব্যাগ।
বাসন্তী
তাজমহল রোডের ফ্যাশন হাউস বাসন্তী বরাবরের মতো এবারের ঈদে সবার জন্য এনেছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাক। পোশাকগুলোর মধ্যে আছে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের ফতুয়া ও টি-শার্ট। রং, ডিজাইন, কাটিংয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এসব পোশাকে কাজ করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, ব্লক, ইয়ক, কারচুপি, চুমকিসহ বিভিন্ন মোটিফে। সুতি, তাঁত, সিল্ক ও চিকেন, জামদানি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এসব পোশাকে।
লিটল চ্যাম্পস
ঈদ কিংবা উত্সব পার্বণে বড়দের পোশাক খুব অনায়াসেই যেকোনো শোরুম থেকে কেনা যায়। কিন্তু পরিবারের ছোট্ট সোনামণির পোশাক কিনতে বাবা-মাকে সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা যায়। আর তাই তো বাবা-মায়ের সেই উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্তি দিতে ‘লিটল চ্যাম্পস’ নিয়ে এসেছে শিশুদের জন্য পোশাকের এক্সক্লুসিভ সব কালেকশন। ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের সঙ্গে মিল রেখেই হাউসটিতে রয়েছে বাচ্চাদের টপস, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, স্কার্ট, লেগিংস, জিন্স, প্যান্ট-শার্ট থেকে শুরু করে হরেক রকমের জুতা। নগরীর ওয়ারি ও সাভার নিউমার্কেটে রয়েছে লিটল চ্যাম্পসের দুটো শোরুম।
রিচম্যান-লুবনান
11143465_376142035920369_7957727426610651453_n
সম্প্রতি বরিশালের কেন্দ্রস্থল বিবির পুকুর পাড় ফাতেমা সেন্টারের নিচতলায় খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস রিচম্যান-লুবনানের শোরুম উদ্বোধন করেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুনেসা আফরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় মডেল নোবেল, কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুনাইদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হক খান, পরিচালক নাইমুল হক খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বাংলার মেলা
10414851_826354844115568_8917230365026251427_n 11692542_826354890782230_2522548411827623956_n
ঈদ উপলক্ষে বাংলার মেলা সবার জন্য তৈরি করেছে নানা ডিজাইনের পোশাক। অর্গানজা সিল্ক, অ্যান্ডি, হাফসিল্ক, অ্যান্ডি কটন ব্লেন্ড ও টাঙ্গাইল শাড়ি থাকছে এবারের শাড়ির কালেকশনে। সালোয়ার-কামিজে এবার থাকছে সবচেয়ে বেশি ডিজাইন ও রঙের ভেরিয়েশন। বাচ্চাদের জন্যও থাকছে নানা ডিজাইন ও রঙের পোশাক।
নিপুণ
ঈদকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে সবাই। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। প্রকৃতির পরিবর্তন, গরমের তীব্রতা সাথে বর্ষার মৌসুম। তাই ক্রেতাদের উপযোগী পোষাকে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউস ‘নিপুণ’। আর তাই ক্রেতাদের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দের কথা চিন্তা করে নিপুণের প্রোডাক্ট লাইনে ফেব্রিক্স হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি, লিনেন, জয়সিল্ক ও তাঁত কটন। ঈদ আয়োজনে পোশাকে থাকছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তী, সিঙ্গেল পিস, ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া। আর এই ঈদে বাচ্চাদের পোশাকে নিপুণ সেজেছে ভিন্ন সাজে।
শৈল্পিক
10423762_969377879749441_6902525707851924323_n
আসছে ঈদ উপলক্ষে শৈল্পিক এনেছে নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট ও টি-শার্ট। উত্সবের পোশাককে জমকালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আধুনিক মোটিফেরও সমন্বয় করা হয়েছে। অ্যারাবিক ক্যালিওগ্রাফিক, ফোক মোটিফ, জিওমেট্রিক্যাল ও ফ্লাওয়ার মোটিফসহ নানা ধরনের মোটিফের ছোঁয়া পাওয়া যাবে শৈল্পিকের সবগুলো পোশাকে।
ঈদ উপলক্ষে ভাসাভি’র ফ্যাশন শো
vasavi-tradition-fashion
প্রতিবছর দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউস ভাসাভি ঈদ উত্সবকে সামনে রেখে আয়োজন করে ঈদ ফ্যাশন শো। এবারও দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিজাত ফ্যাশন হাউজ ভাসাভি ফ্যাশনস বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ট্রেডিশনাল শাড়ির এক বিশাল সম্ভার নিয়ে আয়োজন করে ‘এক্সিবিশন অব ট্র্যাডিশনাল শাড়িজ অ্যান্ড ঈদ কালেকশনস’-এর লাইভ ফ্যাশন শো। সম্প্রতি গুলশানে ভাসাভির নিজস্ব শোরুমে ইমন, ফারাহ্ রুমা, নাদিয়া, ইমি, হিরা, ওরিনসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় মডেলদের অংশগ্রহণে এ মনোজ্ঞ ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। দেশের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সঙ্গীতাঙ্গনের তারকা শিল্পীদের উপস্থিতিতে ভাসাভি ঈদ ফ্যাশন শোর উদ্বোধন করেন ভাসাভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল জামান।
সূত্র- ইত্তেফাক।

 

কিশোরী ফেলানী হত্যাকান্ডের আসামী কে আবারো নির্দোষ ঘোষনা আদালতের!

বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আবার নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অভিযুক্ত সদস্য অমিয় ঘোষ। বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) প্রথমে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। পুনর্বিবেচনার পরও তাঁরা সেই রায়ই বহাল রেখেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের সোনারি ক্যাম্পে আদালত বসে। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করে কোর্ট মার্শালের সমতুল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত এই রায় দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার খবরে জানানো হয়, বিএসএফের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কথা ঘোষণা করেনি। বিএসএফের মহাপরিচালক এই রায় অনুমোদন করবেন। ফেলানীর পরিবার এই রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
বিএসএফের পাঁচ সদস্যের নিজস্ব আদালতের প্রধান ছিলেন বিএসএফ আধিকারিক সি পি ত্রিবেদী। পাঁচজন সদস্য মূল মামলার শুনানিতে বিচারক ছিলেন।

২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জিএসএফসি ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু করতে প্রায় এক বছর লেগেছিল। তিনবার পুনর্বিবেচনার কাজ স্থগিতও করা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়া
ফেলানী হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন বলেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, যে বিচারকেরা প্রথম মামলাটা শুনেছেন, তাঁরাই আবার পুনর্বিবেচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাঁরা অন্য কোনো রায় দিতেন, তাহলে তাঁদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত। আগের রায় তাহলে ভুল ছিল বলে প্রমাণিত হতো। তাই আগের রায়ই তাঁরা বহাল রাখলেন।

সূত্র- প্রথম আলো।

আব্রাহাম লিংকন বলেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীই নিয়ে নিল। এই দায় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতেরও।

বিবিসি বাংলার খবরে জানা যায়, রায়ের পর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে সরব ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মাসুমের প্রধান কিরীটী রায় বিবিসিকে বলেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কী রায় দেওয়া হবে। এটা লোক দেখানো বিচার হলো। পরবর্তী সময়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে মাসুম চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা
সকাল সাতটার দিকে রায়ের খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা। তিনি বলেন, ‘ভাইজান, বুক ভরা আশা নিয়াছিলাম মাইয়া হত্যার বিচার পামু। কাছ থাইকা অমিয় ঘোষ গুলি কইরা মাইডারে মারলো। হেই আসামি কেমনে খালাস পায়। আল্লা বিচার করব।’ ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম শোকে স্তব্ধ। তিনি বলেন, ‘কিছুই ভালা লাগতাছে না ভাই। খুব আশা ছিল ন্যায়বিচার পামু। আমি আবার আপিল করুম।’

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কিশোরী ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দেশে ফেরার সময় অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে। কাঁটাতারের ওপর দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। পরে অমিয় ঘোষ ফেলানীকে গুলি করার কথা স্বীকার করেন। ওই হত্যার বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে পরিচালিত বিএসএফের একটি বিশেষ আদালত ‘নির্দোষ’ হিসেবে সাব্যস্ত করেন অমিয় ঘোষকে। ফেলানী হত্যার রায় অনুমোদনের জন্য বিএসএফের মহাপরিচালক (বিশেষ-পূর্ব) বি ডি শর্মার কাছে পাঠানো হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে রিভিশনাল ট্রায়ালের (পুনর্বিচার) নির্দেশ দেন।