banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: May 2025

 

যা যা আসছে এবার ঈদের ঢাকাই সিনেমা হল গুলোতে

ঈদে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে,নতুন মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমা। প্রতি ঈদেই তাই মুক্তি পেয়ে থাকে বেশ কিছু নতুন সিনেমা। যদিও বিগত কয়েক বছরে এই মুক্তি পাওয়া সিনেমা গুলোর সংখ্যা আগের চেয়ে কমে এসেছে।

মোট চারটি ছবি মুক্তি প্রতিক্ষিত এবারের ঈদে। যার মধ্যে দু’টি ছবিতে আছেন হালের ব্যস্ত চিত্রনায়ক শাকিব খান। আর তার বিপরীতে এবারও দেখা যাবে অপু বিশ্বাসকে। গত কয়েক বছরের ধরে এমনই ধারাবাহিকতা চলছে। তবে জুটি হিসেবে দর্শক জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল তারা। তাই প্রযোজকদের অন্তত হল পাওয়ার চিন্তাটা করতে হয় না। কারণ ঈদে সারাদেশে অর্ধেকেরও বেশি হল শাকিবের দখলে। আর হল মালিকরাও সন্তুষ্ট।

শাহিন সুমন পরিচালিত ‘লাভ ম্যারেজ’ ছবিটি এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবিটিতেই জুটি হিসেবে থাকছেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের দ্বিতীয় ছবিটিতে তার বিপরীতে থাকছেন পরীমনি। পরীর নামের সাথে বিতর্ক জড়িয়ে থাকলেও ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম নায়িকা এখন তিনি। প্রায় সারাবছরই ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা। তবে ঈদে শাকিবের সাথে জুটি বেধে দর্শকদের মাঝে কতটা সাড়া ফেলতে পারবেন তা এখন অপেক্ষা।

‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ শিরোনামে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন এস এ হক অলিক। ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন তিনি। নতুন ছবির ব্যবসা প্রসঙ্গে অলিক বলেন, ‘এবার রোমান্টিক ছবি নির্মাণ করেছি। আর এবার যেহেতু চারটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাই ব্যবসাটাও তো ভাগ হয়ে যাবে। তবুও আমি আশাবাদী। আর গত কয়েক বছর ধরেই শাকিবের প্রতি একটা নির্ভযোগ্যতা সবার তৈরি হয়েছে।’

নায়িকা নির্ভর চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকদিন ধরেই ছিল না। শাবনুর, পূর্ণিমা ও মৌসুমীর সময়ের পর দর্শক নায়িকা দেখে হলে যান গুটিকয়েক মাত্র। কিন্তু চলচ্চিত্রের এই সময়ে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী আসার পর সেই সঙ্কটটা অনেকটা পূরণ হয়েছে। যদিও জাজ মাল্টিমিডিয়ার নিজস্ব হলগুলোতেই মুক্তি পায় ছবিগুলো। তবে জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। জাজের বাইরেও তাকে নিয়ে ছবি করতে প্রস্তুত অনেক প্রযোজক। মাহীর প্রতি ইন্ডাস্ট্রির এই নির্ভরশীলতার ইতিবাচক দিকটা এখন পরিস্কার। এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মাহীর ‘অগ্নি ২’ ছবিটি। ‘অগ্নি’ ছবির সাফল্যের পর সিক্যুয়াল নির্মাণ হয়েছে যৌথ প্রযোজনায়। ওপার বাংলার ওম ও আশীষ বিদ্যার্থী অভিনয় করেছেন ছবিটিতে। ছবিটি প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহী বলেন, ‘নতুন এক অভিজ্ঞতা আমার জন্য ‘অগ্নি ২’ ছবিটি। চলচ্চিত্রের আরও একটা অধ্যায় শেষ করলাম। আশাবাদী ছবিটি নিয়ে, কারণ ‘অগ্নি’ ছবিটি থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি বলেই এর সিক্যুয়াল করা।’
Mahi-Large20150509185644
‘অগ্নি ২’ ছবিটি এরইমধ্যে ২০০টি হল দখল করেছে। এবার জাজের নির্দিষ্ট হল ছাড়াও মুক্তি পাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস’সহ বেশ কয়েকটি বাইরের হলে। ছবিটি প্রসঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল উইং ও মার্কেটিং কনসালটেন্ট রোমিম রায়হান বলেন, ‘ছবিটি ঈদে দেশে মুক্তি পাবে এবং দেশের বাইরে ঈদের পরেই একসাথে মুক্তি দেয়া হবে। বাইরের দেশগুলোতে সেন্সরের কাজ চলছে। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে এতগুলো দেশে বাংলা ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এতে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিতে আরও একধাপ এগুচ্ছি আমরা।’
ঈদে চার নম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ‘পদ্ম পাতার জল’। তন্ময় তানসেন পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ইমন ও বিদ্যা সিনহা মীম। নির্ভরযোগ্য কাস্টিং ছাড়া ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি থেকে বিরত থাকেন অনেকে। ঈদের পরেই হল বুকিং চলে অনেক ছবির। ‘পদ্ম পাতার জল’ ছবির নায়ক ইমন বড়পর্দায় অনেকদিন। তবে এখনও তার অবস্থান নড়বড়ে। অন্যদিকে মীম সম্প্রতি বড়পর্দায় নিয়মিত হলেও তার অবস্থানটাও নির্ভযোগ্য নয়। তাই এবারে ব্যবসার দৌড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে আয়ের হিসেবটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মুক্তির কয়েকদিন পর পর্যন্ত। তবে প্রত্যাশার বিষয়টি চলচ্চিত্রের প্রচারণা। কিছুদিন আগেই ছবিটি উপলক্ষে এক পার্টিতে যোগ দেন দেশের জনপ্রিয় মুখগুলো। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনুর। তাই এই ছবিটি নিয়ে আশার কথাও কম না।
 download

এবার চলচ্চিত্র মুক্তির তালিকায় নেই ঢালিউডের আলোচিত অনেকেই। যার মধ্যে রয়েছেন আরিফিন শুভ, জায়েদ খান, বাপ্পিসহ অনেকে। তবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সবার হতাশার জাগাটা হল সঙ্কট নিয়ে। দেশে প্রায় ৩২০টি হল। যার সংখ্যা প্রতিনিয়তই কমছে। এরমধ্যে চাইলেও অনেক ছবি মুক্তি দিতে পারছেন না প্রযোজকরা। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতির জন্য তাই এখন জরুরি হল বাড়ানো। পাশাপাশি বর্তমান হলগুলোর পরিবেশ উন্নয়ন। হল না থাকলে দেশের চলচ্চিত্রের নিকট ভবিষ্যত্ নিয়ে যতই আশাবাদী মন্তব্য প্রকাশ পাক, সেগুলো স্বপ্নই থেকে যাবে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা উচিত। পাশাপাশি পেশাদার প্রযোজকের অভাবে ভুগছে এখন এফডিসি। তাই হলের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজন এখন পেশাদার প্রযোজক।

 

এবার ঈদে দেশীয় ফ্যাশন হাউজ গুলোর নানা আয়োজন

সাদাকালো
11401419_906586569387636_1057436663860270696_n
কিউবিজম শিল্পের সৃজনকৃত শিল্পের ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এবারের ঈদ আয়োজন। কিউবিজমের বিভিন্ন মোটিফ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট এবং মগ। এই ঈদ আয়োজন নিয়ে সাদাকালোর একটি প্রদর্শনী চলছে গ্যালারি টুয়েন্টি ওয়ানে (৭৫১, সাত-মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা)।
মায়াসির
10600670_960237600687975_6146221799778212849_n
মায়াসির ঈদ কালেকশন ২০১৫ মাহিন খাঁনের নতুন স্টাইলে গাঁথা। আন্তর্জাতিক ভিন্নধর্মী প্যাটার্ন, ফ্যাশন, রঙ ও নকশার সাজে সাজিয়েছে আকর্ষণীয় ঈদের সংগ্রহ। এ কাট, অ্যাঙ্গেল কাট, উঁচু-নিচু কাট, ভায়েজ কাট দিয়ে, তার সাথে নিখুঁত হাতের এমব্রয়ডারি ও প্রিন্টের এক অনন্য সমন্বয় ঘটিয়েছেন মাহিন খাঁন তার নিজস্ব ডিজাইনে।
উৎসবমুখী এ আয়োজনে থাকছে ছোট ও বড় মেয়েদের থ্রিপিস, টপস্, সিঙ্গেল কামিজ, বিভিন্ন সিল্কের নকশিকাঁথা শাড়ি ও ছেলেদের পাঞ্জাবি, এছাড়াও থাকছে সেন্ডেল, ব্যাগ এবং রুপার তৈরি গহনা। পাওয়া যাবে মায়াসিরের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখায়।
ক্যাটস আই
11403489_10153046515270983_6777429313989168475_n
উৎসবের রঙে তারুণ্যের উচ্ছলতা পোশাকের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে ক্যাটস আই। এবার ঈদে সিম্পল প্যাটার্ন ভেরিয়েশনে থাকছে মেনজ ও ওমেন কালেকশন। রঙকে প্রাধান্য দিয়ে ফেস্টিভ-কেন্দ্রিক ভ্যালু এডিশন থাকছে পোশাকে। গতানুগতিক প্যাটার্ন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আনা হয়েছে স্মার্ট অ্যান্ড ট্রেন্ডি লুক। ডিজাইনেও থাকছে বৈচিত্র্য। পাশাপাশি আউটগোয়িং নারীদের জন্য আছে গাউন কামিজ বা ম্যাক্সি টিউনিক এলিগেন্ট আউটফিট। এছাড়া কো ব্র্যান্ড মুনসুন রেইনে থাকছে শুধুই পুরুষদের জন্য ঈদ-উপযোগী ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্টিং ও স্যুটিং।
ইয়েলো 
11667387_10153028367033716_446357205597472100_n
নন্দিত ফ্যাশন হাউজ ইয়েলো এবার ঈদে এনেছে তাদের বাহারী এবং এক্সক্লুসিভ কিছু কালেকশন। লিলিয়েন এবং সুতি মূলত এই দুই রকমের কাপড়ের পর ভিত্তি করেই বানানো হয়েছে বেশিরভাগ ড্রেস তবে এছাড়াও রয়েছে শিফন,জর্জেট সহ আরো নানান কালেকশন।
কে ক্র্যাফট
দেশের প্রধান প্রত্যেকটি তাঁত অঞ্চলে এবং প্রায় প্রতিটি কারুশিল্প এলাকায় কে ক্র্যাফট কর্মীবাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রম, ডিজাইন স্টুডিওর মেধা-মনন এবং ক্রেতাদের ভালোবাসা ও সমর্থনে কে ক্র্যাফট বিশ বা একুশ বছর ধরে এগিয়ে চলছে। প্রতিটি কে ক্র্যাফট আউটলেটে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, সিঙ্গল কামিজ, লেডিস কুর্তা, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, শর্ট-পাঞ্জাবি, লং পাঞ্জাবি, সেমি লং পাঞ্জাবি, সেমি ফিটিং লং পাঞ্জাবি, সেমি ফিটিং শর্ট-পাঞ্জাবি, জেন্টস কুর্তা, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের যাবতীয় পোশাকসহ নানা উপহার সামগ্রী ও ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ পৌঁছে গেছে। নানা রং বিন্যাস, অলংকরণ ও নিরীক্ষায় ঈদ পোশাকের কালেকশন সাজিয়েছে কে ক্র্যাফট। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপ্স, লং-কুর্তার সাথে রয়েছে ম্যাচিং গহনা, স্যান্ডেল ও ব্যাগ।
বাসন্তী
তাজমহল রোডের ফ্যাশন হাউস বাসন্তী বরাবরের মতো এবারের ঈদে সবার জন্য এনেছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাক। পোশাকগুলোর মধ্যে আছে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের ফতুয়া ও টি-শার্ট। রং, ডিজাইন, কাটিংয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এসব পোশাকে কাজ করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, ব্লক, ইয়ক, কারচুপি, চুমকিসহ বিভিন্ন মোটিফে। সুতি, তাঁত, সিল্ক ও চিকেন, জামদানি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে এসব পোশাকে।
লিটল চ্যাম্পস
ঈদ কিংবা উত্সব পার্বণে বড়দের পোশাক খুব অনায়াসেই যেকোনো শোরুম থেকে কেনা যায়। কিন্তু পরিবারের ছোট্ট সোনামণির পোশাক কিনতে বাবা-মাকে সবসময়ই উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা যায়। আর তাই তো বাবা-মায়ের সেই উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্তি দিতে ‘লিটল চ্যাম্পস’ নিয়ে এসেছে শিশুদের জন্য পোশাকের এক্সক্লুসিভ সব কালেকশন। ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনের সঙ্গে মিল রেখেই হাউসটিতে রয়েছে বাচ্চাদের টপস, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, স্কার্ট, লেগিংস, জিন্স, প্যান্ট-শার্ট থেকে শুরু করে হরেক রকমের জুতা। নগরীর ওয়ারি ও সাভার নিউমার্কেটে রয়েছে লিটল চ্যাম্পসের দুটো শোরুম।
রিচম্যান-লুবনান
11143465_376142035920369_7957727426610651453_n
সম্প্রতি বরিশালের কেন্দ্রস্থল বিবির পুকুর পাড় ফাতেমা সেন্টারের নিচতলায় খ্যাতনামা ফ্যাশন হাউস রিচম্যান-লুবনানের শোরুম উদ্বোধন করেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুনেসা আফরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় মডেল নোবেল, কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুনাইদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হক খান, পরিচালক নাইমুল হক খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বাংলার মেলা
10414851_826354844115568_8917230365026251427_n 11692542_826354890782230_2522548411827623956_n
ঈদ উপলক্ষে বাংলার মেলা সবার জন্য তৈরি করেছে নানা ডিজাইনের পোশাক। অর্গানজা সিল্ক, অ্যান্ডি, হাফসিল্ক, অ্যান্ডি কটন ব্লেন্ড ও টাঙ্গাইল শাড়ি থাকছে এবারের শাড়ির কালেকশনে। সালোয়ার-কামিজে এবার থাকছে সবচেয়ে বেশি ডিজাইন ও রঙের ভেরিয়েশন। বাচ্চাদের জন্যও থাকছে নানা ডিজাইন ও রঙের পোশাক।
নিপুণ
ঈদকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে সবাই। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। প্রকৃতির পরিবর্তন, গরমের তীব্রতা সাথে বর্ষার মৌসুম। তাই ক্রেতাদের উপযোগী পোষাকে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় ফ্যাশন হাউস ‘নিপুণ’। আর তাই ক্রেতাদের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দের কথা চিন্তা করে নিপুণের প্রোডাক্ট লাইনে ফেব্রিক্স হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি, লিনেন, জয়সিল্ক ও তাঁত কটন। ঈদ আয়োজনে পোশাকে থাকছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তী, সিঙ্গেল পিস, ছেলেদের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া। আর এই ঈদে বাচ্চাদের পোশাকে নিপুণ সেজেছে ভিন্ন সাজে।
শৈল্পিক
10423762_969377879749441_6902525707851924323_n
আসছে ঈদ উপলক্ষে শৈল্পিক এনেছে নতুন ডিজাইনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট ও টি-শার্ট। উত্সবের পোশাককে জমকালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আধুনিক মোটিফেরও সমন্বয় করা হয়েছে। অ্যারাবিক ক্যালিওগ্রাফিক, ফোক মোটিফ, জিওমেট্রিক্যাল ও ফ্লাওয়ার মোটিফসহ নানা ধরনের মোটিফের ছোঁয়া পাওয়া যাবে শৈল্পিকের সবগুলো পোশাকে।
ঈদ উপলক্ষে ভাসাভি’র ফ্যাশন শো
vasavi-tradition-fashion
প্রতিবছর দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউস ভাসাভি ঈদ উত্সবকে সামনে রেখে আয়োজন করে ঈদ ফ্যাশন শো। এবারও দেশের শীর্ষস্থানীয় অভিজাত ফ্যাশন হাউজ ভাসাভি ফ্যাশনস বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের ট্রেডিশনাল শাড়ির এক বিশাল সম্ভার নিয়ে আয়োজন করে ‘এক্সিবিশন অব ট্র্যাডিশনাল শাড়িজ অ্যান্ড ঈদ কালেকশনস’-এর লাইভ ফ্যাশন শো। সম্প্রতি গুলশানে ভাসাভির নিজস্ব শোরুমে ইমন, ফারাহ্ রুমা, নাদিয়া, ইমি, হিরা, ওরিনসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় মডেলদের অংশগ্রহণে এ মনোজ্ঞ ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। দেশের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সঙ্গীতাঙ্গনের তারকা শিল্পীদের উপস্থিতিতে ভাসাভি ঈদ ফ্যাশন শোর উদ্বোধন করেন ভাসাভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল জামান।
সূত্র- ইত্তেফাক।

 

কিশোরী ফেলানী হত্যাকান্ডের আসামী কে আবারো নির্দোষ ঘোষনা আদালতের!

বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আবার নির্দোষ বলে বিবেচিত হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) অভিযুক্ত সদস্য অমিয় ঘোষ। বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) প্রথমে অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। পুনর্বিবেচনার পরও তাঁরা সেই রায়ই বহাল রেখেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের সোনারি ক্যাম্পে আদালত বসে। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করে কোর্ট মার্শালের সমতুল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত এই রায় দিয়েছেন। বিবিসি বাংলার খবরে জানানো হয়, বিএসএফের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কথা ঘোষণা করেনি। বিএসএফের মহাপরিচালক এই রায় অনুমোদন করবেন। ফেলানীর পরিবার এই রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
বিএসএফের পাঁচ সদস্যের নিজস্ব আদালতের প্রধান ছিলেন বিএসএফ আধিকারিক সি পি ত্রিবেদী। পাঁচজন সদস্য মূল মামলার শুনানিতে বিচারক ছিলেন।

২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জিএসএফসি ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেন। সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক। পুনর্বিবেচনার কাজ শুরু করতে প্রায় এক বছর লেগেছিল। তিনবার পুনর্বিবেচনার কাজ স্থগিতও করা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়া
ফেলানী হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন বলেন, তাঁদের আশঙ্কা ছিল, যে বিচারকেরা প্রথম মামলাটা শুনেছেন, তাঁরাই আবার পুনর্বিবেচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাঁরা অন্য কোনো রায় দিতেন, তাহলে তাঁদের প্রথমে দেওয়া রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেত। আগের রায় তাহলে ভুল ছিল বলে প্রমাণিত হতো। তাই আগের রায়ই তাঁরা বহাল রাখলেন।

সূত্র- প্রথম আলো।

আব্রাহাম লিংকন বলেন, বিএসএফের মতো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীর একজন সদস্যের অপকর্মের দায় গোটা বাহিনীই নিয়ে নিল। এই দায় রাষ্ট্র হিসেবে ভারতেরও।

বিবিসি বাংলার খবরে জানা যায়, রায়ের পর সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানো নিয়ে সরব ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মাসুমের প্রধান কিরীটী রায় বিবিসিকে বলেন, বিএসএফের আদালতে আগেই স্থির করা ছিল যে কী রায় দেওয়া হবে। এটা লোক দেখানো বিচার হলো। পরবর্তী সময়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে মাসুম চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।
কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা
সকাল সাতটার দিকে রায়ের খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর মা। তিনি বলেন, ‘ভাইজান, বুক ভরা আশা নিয়াছিলাম মাইয়া হত্যার বিচার পামু। কাছ থাইকা অমিয় ঘোষ গুলি কইরা মাইডারে মারলো। হেই আসামি কেমনে খালাস পায়। আল্লা বিচার করব।’ ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম শোকে স্তব্ধ। তিনি বলেন, ‘কিছুই ভালা লাগতাছে না ভাই। খুব আশা ছিল ন্যায়বিচার পামু। আমি আবার আপিল করুম।’

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কিশোরী ফেলানী খাতুন ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারত থেকে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। দেশে ফেরার সময় অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ান অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে ফেলানীকে। কাঁটাতারের ওপর দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। পরে অমিয় ঘোষ ফেলানীকে গুলি করার কথা স্বীকার করেন। ওই হত্যার বিচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে পরিচালিত বিএসএফের একটি বিশেষ আদালত ‘নির্দোষ’ হিসেবে সাব্যস্ত করেন অমিয় ঘোষকে। ফেলানী হত্যার রায় অনুমোদনের জন্য বিএসএফের মহাপরিচালক (বিশেষ-পূর্ব) বি ডি শর্মার কাছে পাঠানো হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে রিভিশনাল ট্রায়ালের (পুনর্বিচার) নির্দেশ দেন।

 

ঈদে এসেছে শিশুদের বাহারী পোষাকের সমাহার

শিশুদের কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন ও বুটিক হাউসগুলোর আয়োজনের কমতি নেই। দুই থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের জন্য থাকছে সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট-টপস, ফতুয়া, থ্রিপিস ও টি-শার্ট। আর ছেলেদের জন্য ফতুয়া, প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শর্ট পাঞ্জাবি ইত্যাদি। মেয়েশিশুদের পোশাকে নকশা ও কাটিংয়ে রয়েছে বিশেষ ভিন্নতা। অ্যালাইন কাট, হাতাকাটা পোশাক ছাড়াও ঘটি হাতার ফ্রক ও টপসের সংগ্রহ বেড়েছে। কামিজের লেইসের ওপর বিশেষ ডিজাইন থাকছে। অধিকাংশ পোশাকই হাতা ছাড়া বা ছোট হাতার। কাপড়ের ক্যানভাসে থাকছে নানা রঙের আঁকিবুঁকি।

যে পুতুলটি নিয়ে খেলে, সেই ‘বার্বি ডলে’র গোলাপি ঝালরের পোশাকটি যেমন আছে, তেমনি আছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র টম অ্যান্ড জেরি, ব্যাটম্যান, সুপারম্যানের মতো পোশাকে সাজার সুযোগ। এ প্রসঙ্গে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘শিশুদের পোশাকের মোটিফ হিসেবে এলোমেলো নকশার বদলে চল বেড়েছে সাদাসিধে নকশার। বর্ণমালা কিংবা মজার সব ছবির ব্লকপ্রিন্টও আছে। তবে সুপার হিরো সিরিজের নানা কমিক ক্লাসিক্যাল চরিত্রগুলোও আছে ছোটদের পোশাকের ক্যানভাসে।’

10930068_10152921350495983_3097823985294016110_n 11181915_10152929369030983_1978034405776980301_n 11210519_10152908307275983_1124628282777824779_n

এই ঈদে বিশেষ মনোযোগ পাচ্ছে আবহাওয়ার বিষয়টি। বর্ষার বৃষ্টি হানা দিলেও গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্রাধান্য পাচ্ছে সুতি পোশাক। পাশাপাশি কিছু পোশাকে জর্জেট ও নেটের ব্যবহারও দেখা গেছে। ফ্যাশন হাউস ফড়িংয়ের ডিজাইনার মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘শিশুদের ক্ষেত্রে আরামের জন্য মনোযোগ দিচ্ছি সুতিতে। পাশাপাশি নজর রাখছি রঙে। কন্ট্রাস্ট কালার খুব চলবে শিশুদের এবারের ঈদ পোশাকে।’

1743592_450581961782651_8692982919775709943_n 11138100_450581291782718_991035887211225226_n

পরিবারের সবাই মিলে এক পোশাকে ঈদ উদ্‌যাপনেরও সুযোগ রেখেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। বড়দের পোশাকের ডিজাইন ঠিক রেখে শুধু মাপ কমিয়ে বানানো হয়েছে শিশুদের পোশাক। বিশেষ করে মেয়েদের শাড়ি আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে দেখা মিলল এই ধারার। ফ্যাশন হাউস রিচম্যানের পরিচালক মনিরুল হক খান জানালেন, ‘বড়দের মতো ছোটদের জন্যও একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি থাকছে, কেবল কমেছে পরিমাপ।’

পোশাকে প্রিন্টের অনেক রকম কাজ থাকছে। স্ক্রিনপ্রিন্টে নানা মোটিফের অলংকরণ যোগ হয়েছে। গরমের কারণে ভারী ডিজাইন করা হয়নি। হাতের কাজ, কারচুপি, কম্পিউটার এমব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, রিবনের নকশাই কমবেশি রয়েছে। প্রজাপতির ডানা, কাপড়ের ফুল, টুনটুনি পাখি, সবই দেখা গেছে মোটিফ হিসেবে। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে থ্রিপিসই বেশি চলছে বলে জানালেন ডিজাইনার মাহবুবুর রহমান মাসুম ‘মেয়েশিশুদের থ্রিপিসে এবারের ট্রেন্ড লং প্যাটার্ন। আগে কাপড়ের মাঝামাঝি শেড থাকত। এবার শেডের বদলে থাকছে স্ট্রেইটকাট।’

ছেলেদের শার্টে প্রাধান্য পাচ্ছে হাফ হাতা ও হাতা ছাড়া কাট। শার্টের মধ্যে চেকেরই প্রাধান্য। লং প্যান্টের বদলে কোয়ার্টার। সাদার পাশাপাশি রঙিন পাঞ্জাবি বেশ পছন্দ ছেলেশিশুদের। বিভিন্ন রঙের পাঞ্জাবির হাতা ও বুকে থাকছে কারুকাজের ছোঁয়া। বসানো হয়েছে পুঁতি। সুতি কাপড়ের বাইরে কারুকাজ করা সিল্কের পাঞ্জাবিও দেখা গেছে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে দেখা গেল বড়দের পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে শিশুদের পাঞ্জাবি তৈরি করেছে। পাঞ্জাবির সঙ্গে আছে চুড়িদার পায়জামা, আলিগড়ি, কাবলি পায়জামাসহ নানা ধরনের প্যান্ট। বড়দের মতো এসব পাঞ্জাবির কলার ও হাতায় মেশিন এমব্রয়ডারির কাজ থাকছে।

10959312_10152571015506555_1593120823705727136_n

স্টুডিও এমদাদের ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘অন্যান্য উৎসবের মতো ঈদের পোশাকেও রঙের যথেষ্ট ব্যবহার দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ডিজাইনের সঙ্গে মিলিয়ে রং ব্যবহার হয়।’ ডুয়েটঅ্যাড ঐতিহ্যের কর্ণধার অনুপ কুমার পাল জানান, বর্ষা ও গরমের কথা মাথায় রেখে পোশাকে সব ধরনের উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়েছে। কাপড়ে ব্যবহার করা হয়েছে আকাশি, গাঢ় নীল, লাল, কমলা, জলপাই, হলুদ, বাদামি, ম্যাজেন্টা, নীল, গোলাপি, টিয়া, সবুজ, কালো ইত্যাদি রং। কোথাও শুধু সাদা কাপড়ের অর্ধ ভাগজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রং। আবার দু-তিনটি রঙের মিশেলে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রংবৈচিত্র্য।

সূত্র-কালের কন্ঠ।

মজাদার হরেক রকমের হালিম

রমজানে ইফতারের নানা আয়োজনের মাঝে হালিম অন্যতম একটি নাম। আমাদের দেশে বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী ঢাকায় ইফতারে হালিমের চাহিদা অনেক। আর তাই আমাদের রন্ধনশিল্পীরাও তৈরী করছেন নানান রকমের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু হালিম।

আজকে আমরা দেখবো মিসেস নাজমা হুদার তৈরী কয়েক রকমের হালিম তৈরীর প্রণালী।

মাখন পনির হালিম

11666035_919088561491439_5567090117782597566_n

উপকরণ: পনির ২ লিটার দুধের, কাজুবাদাম আধা কাপ, মাখন ৫০ গ্রাম, তেল আধা কাপ, হালিম মিক্স ১ কাপ (পানিতে ভেজানো), পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, বেরেস্তা (সোনালি রং) ৪ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ টিন, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, দই ২ টেবিল চামচ, হালিম মিক্স ২ কাপ (সেদ্ধ করা), হালিম মসলা ১ চা-চামচ, কাসুরি মেথি ১ টেবিল চামচ, টমেটোকুচি ১ কাপ, আদা-রসুনকুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: প্যানে মাখন দিয়ে আদা, রসুনকুচি দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ একটু সেদ্ধ হয়ে এলে টমেটোকুচি ও কাজুবাদাম দিয়ে ভেজে নিন। এটি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পনির ছোট ছোট করে টুকরা করে সামান্য বাগার দিয়ে একটু ভেজে নিন। এবার পাত্রে তেল দিয়ে ব্লেন্ড করা মসলা ঢেলে তার মধ্যে কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়া ও হালিম মসলা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিন। সেদ্ধ করা হালিম মিক্স দিয়ে দিন। হালিম হয়ে এলে ভাজা পনির ও কিছু কাজু দিয়ে ক্রিম ও বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন। নামানোর আগে মাখনে কাসুরি মেথি দিয়ে হালিমের মধ্যে ঢেলে দিন। ইচ্ছে করলে একটু চিনি দেওয়া যায়।

 

মুরগি-সবজি হালিম
11709401_919088548158107_373879807945525972_n
উপকরণ: :
মুরগির মাংস ১ কাপ (কিউব কাট),গাজর আধা কাপ,আলু আধা কাপ,মটরশুঁটি আধা কাপ,হালিম মিক্স ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, মালাই ২ টেবিল চামচ,
আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হালিম মসলা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪-৫টি,
ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা ১ মুঠ, তেল আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি: :
সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি পাত্রে ঘি দিয়ে মুরগিতে একটু লবণ মাখিয়ে ভেজে উঠিয়ে নিন। একই পাত্রে সবজিগুলো হালকা করে ভেজে নিন। তেলে পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে একে একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার হালিম মিক্স দিয়ে কষিয়ে সেদ্ধ হওয়ার জন্য পানি দিন। হয়ে গেলে মালাই, বেরেস্তা, চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে দমে রাখুন। একটু পর নামিয়ে পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। 

চিকেন তন্দুরী হালিম 
2331a3fc48f97210ff6c349d6723977a-14
উপকরণ: মুরগির মাংস ১৬ টুকরা, হালিম মিক্স ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা আধা কাপ, তন্দুরি মসলা ২ চা-চামচ, হালিম মসলা ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, টকদই ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: সব মসলা থেকে অর্ধেক দিয়ে মুরগি মাখিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শিকে অথবা তাওয়াতে অল্প তেল দিয়ে পোড়া পোড়া করে সেঁকে নিন।
হালিম মিক্স পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এবার হলুদ, মরিচের গুঁড়া, আদাবাটা, রসুনবাটা, টকদই ও হালিম মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মুরগি দিয়ে কষিয়ে ২ কাপ পানি দিন। মুরগি সেদ্ধ হলে হালিম মিক্স দিন। প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে নিন।

 

মাথা ব্যাথার নানা কারণ

মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের মতো ডিজিটাল যন্ত্র একটানা ব্যবহার করলে মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যার সমাধানে কথা বলেছেন নিউইয়র্কের এক স্নায়ুবিদ।
কখনো কখনো একটানা কম্পিউটার ব্যবহারে মাথার ভেতর দপদপে বা চিনচিনে ব্যথা শুরু হয় পরে আবার তা চলেও যায়। কিন্তু এই সামান্য মাথাব্যথাও অনেক সময় তীব্র যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। একে মাইগ্রেনও বলে। মাইগ্রেনের সমস্যায় যদি কোনো চিকিৎসা নেওয়া না হয় তবে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত মাইগ্রেনের যন্ত্রণা হতে পারে।
কতবার এবং কতক্ষণ মাইগ্রেন স্থায়ী হচ্ছে সে বিবেচনা করেই চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। অবশ্য এই মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা পুরোপুরি নির্মূল করার চিকিৎসা নেই। কারণ এটি প্যাথো-ফিজিওলজির বিষয়। এটি ঠিক কী কারণে হয় তা পুরোপুরি এখনো বুঝতে পারেননি গবেষকেরা। কিন্তু মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এনেই এর চিকিৎসা করা যায়। এ জন্য অবশ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলে গত জুন মাসটি মাইগ্রেন সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করেছে। এ মাস উপলক্ষে ম্যাশেবলের প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. অড্রে হালপার্নের পরামর্শ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে কীভাবে আমাদের মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন হচ্ছে তা নিয়ে কথা বলেছেন এই স্নায়ুবিদ।
ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকা
মোবাইল, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের মতো স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকলে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ শতাংশ মার্কিনিরা দিনে ছয় ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের যে প্রদাহ হয় তাতে মাথা ব্যথা হতে পারে। ড. হালপার্নের পরামর্শ হচ্ছে, হিপটোনাইজ করে রাখে যে ডিভাইসগুলো তা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নিতে হবে। কিংবা এক নাগাড়ে আধা ঘণ্টার বেশি ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকা যাবে না। এ ছাড়া অ্যান্টি-গ্লো স্ক্রিন প্রটেক্টরও কেনা যেতে পারে।
ঘাড়ে টান লাগা
ড. হালপার্ন বলেন, ফোনের দিকে ঘাড় নিচু করে চেয়ে থাকা বা এক নাগাড়ে ডেস্কে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করায় ঘাড়ে টান লাগতে পারে এবং মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। ঘাড়ের এই টান লাগার সঙ্গে মাইগ্রেনের সম্পর্কের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। কাজের ক্ষেত্রে যাতে ঝুঁকে বসে কাজ করতে না হয় বা কম্পিউটার স্ক্রিনের সঙ্গে যেন বসা ঠিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক উচ্চতায় বসা, চেয়ারের উচ্চতা ঠিক ও কম্পিউটার স্ক্রিনের উচ্চতা ঠিকঠাক রাখলে ঘাড়ে টান লাগে কম।
মোবাইল যন্ত্রণা
সব কিছুতেই এখন মোবাইল বাগড়া দেবে, বিষয়টি এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে। ড. হালপার্ন বলেন, এখন ভারচুয়ালি কাজ বা চাপ সৃষ্টিকারী বিষয় থেকে দূরে থাকা আর সম্ভব নয়।
তাঁর মতে, মানসিকভাবে যদি বিরতি না নেওয়া হয় তবে আমাদের মনের ওপর চাপ বাড়তে তাকে। এর ফলেও মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে। তাঁর পরামর্শ হচ্ছে, যেহেতু রাত আটটার পরেই ফোন বন্ধ করে মানসিক শান্তি খুঁজে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাই অন্য কোনো উপায়ে চাপ কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন কাজে আসতে পারে।
উজ্জ্বল আলো
যদি ঘুমানোর আগে ফোনের দিকে তাকানোর অভ্যাস গড়ে ওঠে তবে ঘুম চক্র নষ্ট হবে। এতে দিনের বেলায় কাজের সময় বেশি ক্লান্ত ও চাপ মনে হবে। রাতে কোনো উজ্জ্বল আলো ঘুম নষ্ট করলে তা থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ড. হালপার্ন বলেন, আমাদের শরীর ঘুমানোর সময় বিশ্রামে যেতে চায়, উদ্দীপক কোনো উজ্জ্বল আলো চায় না। এর সঙ্গে চোখের প্রদাহের পরিষ্কার কোনো সম্পর্ক আছে। ল্যাপটপ চার্জ হওয়ার সময় যে সামান্য আলো দেখা যায় সেটি কিংবা রাতে টিভি চালিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলেও সহজে ঘুম আসতে চাইবে না। স্নায়ুবিদ হালপার্ন মনে করেন, ঘুমানোর ঘরে কোনো ইলেকট্রনিকসের জিনিস থাকা ঠিক নয়। আমাদের পুরো ঘর অন্ধকার করে ঘুমানো উচিত।

সূত্র-প্রথম আলো।

 

অন্যদের কথায় মন দিলে নিজের লক্ষ্যের দিকে যাওয়া যায় না- হাসিনা নেওয়াজ

আজকে যাকে নিয়ে যার শুরু এবং সফলতা নিয়ে কথা হবে তিনি আমাদের মাঝে অনেক গুলো পরিচয়ে পরিচিত। একাধারে গৃহিনী,মা,স্ত্রী এবং সফল ব্যবসায়ী। সমাজে নিজ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত একজন সফল নারী। তখন সত্তরের দশকে বাঙ্গালী সমাজে কোন নারী নিজ উদ্যোগে কিছু করার ব্যাপারে,নিজের আলাদা একটা পরিচয় দাঁড় করানোর ব্যাপারে অতোটা ভাবতেন না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো কেউ না কেউ থাকে,যারা কি না সাধারনের ভীড় থেকে তৈরী করেন নিজের অসাধারন পরিচয়। তেমনই একজন আমাদের অত্যন্ত প্রিয় মুখ,গর্বিত হাসির অধিকারিণী মিসেস হাসিনা নেওয়াজ।

মিসেস নেওয়াজের শুরুটা ছিল ১৯৭৬ সালে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পড়াশোনা শেষে সবাই ধরেই নিয়েছিল গৃহিণীই হবেন তিনি। মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করার জন্য যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেই চাকরির সুযোগ মিলত তাঁর। এমফিল করার সুযোগও ছিল। বাংলা একাডেমিতে চাকরির সুযোগ ছিল। সেসব কিছুই করলেন না তিনি। হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে কিছু করতে চাইছিলাম। প্রচলিত চাকরির ধারণাকে ছাপিয়ে নিজের ব্যবসা বা উদ্যোগের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল তখন।’ চাকরির চেয়ে হাসিনা নেওয়াজের অবশ্য ভাবনা ছিল বড় কিছু করা। ঢাকায় স্বামী আর কন্যাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটানোর সব সুযোগই ছিল তাঁর। সব একপাশে রেখে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি লেখা শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন দূতাবাস থেকে ঠিকানা জোগাড় করে বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানির জন্য লিখতেন। চিঠি লিখতে লিখতে একসময় একটা সুযোগ পেয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী রপ্তানির বুদ্ধি দেয়। সহপাঠী হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর খোঁজও দেয়। অনেক দৌড়াদৌড়ি আর পরিশ্রমের পরে সেই ভদ্রলোক হাসিনা নেওয়াজের কাছ থেকে কচ্ছপ, ইলিশ মাছ, কাঁকড়া নেওয়া শুরু করেন। বাবার অনুপ্রেরণা আর স্বামী শাহনেওয়াজ তালুকদারের উৎসাহে ধীরে ধীরে শুরু করেন অন্য ব্যবসা।

11146283_450243981811067_2870035727694325137_n

১৯৮২ সালে শুরু করেন অর্কিড প্রিন্টার্স। হাসিনার ভাষ্যে, ‘ব্যবসায় প্রচুর প্রতিবন্ধকতা থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। অনেকেই অনেক কথা বলতেন, কিন্তু আমার একটা ব্যাপারেই মনোযোগ ছিল; আর তা কাজ আর কাজ।’ বাবা আবদুল হাসিব চৌধুরীর ব্যবসা দেখেই ছোটবেলা থেকে নিজে কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন হাসিনা। তিনি জানান, ‘আমার বাবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েও চাকরি করেননি, ব্যবসা করেছেন। আমিও বাবার মতো কিছু করতে চেষ্টা করেছি।’
১৯৮২ সালে শুরু করা মুদ্রণ ব্যবসাকে সময় আর শ্রম দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পথে নামলে অনেক কথা শুনতে হয়। অন্যদের কথায় মন দিলে নিজের লক্ষ্যের দিকে যাওয়া যায় না। সমাজের প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, কিন্তু নিজের জ্ঞান আর বুদ্ধি দিয়ে সব পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে।’ এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যয়ী হাসিনা নেওয়াজ।

11103023_1408111039507852_5894643267663730164_n

মিসেস হাসিনা নেওয়াজ বর্তমানে ঢাকার একটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান অর্কিড প্রিন্টার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেই সাথে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। এ ছাড়া তিনি ডেইলি স্টার-ডিএইচএল ‘আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস’ পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৫ সালে। ২০১৩ সালে পেরুর রাজধানী লিমাতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ইউএনআইডিওর এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মিনিস্ট্রিয়াল সাউথ সাউথ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন তিনি।

অপরাজিতাবিডি পরিবারের পক্ষ থেকে মিসেস হাসিনা নেওয়াজের জন্য রইলো অনেক অনেক সফলতা ও শুভ কামনা।

 

জাতীয় কবি পৌত্রীকে সম্মাননা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নজরুল-প্রমীলার কলকাতানিবাসী পৌত্রী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিন্দিতা কাজীকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

11013102_431723750322807_8227905856558728736_n

 

নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। সম্মাননা জ্ঞাপক বক্তব্য প্রদান করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপাচার্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অনিন্দিতা কাজীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

অনিন্দিতা কাজী তার বক্তব্যে পারিবারিক স্মৃতিচারণ করে দাদু নজরুলের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবন-সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দাদু বিদ্রোহের চেয়েও বেশি ভালোবাসা লালন করতেন। বাংলাদেশে নজরুল চর্চার নানা দিকের কথা উল্লেখ করে বর্তমানে তরুণ শিল্পীরা নজরুলশিক্ষার প্রতি যে আগ্রহী হয়ে উঠছে, সেটি একটি শুভ লক্ষণ বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মান প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।