banner

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 135 বার পঠিত

২০১৩’র আলোচিত নারী

ক্যালেন্ডারের পাতায় শেষ হলো ২০১৩। । ২০১৩ বিদায়ের প্রাক্কালে আমরা ফিরে দেখি বছরটি ছিল জাতীয়ভাবে নানা বিষয় নিয়ে আলোচিত দেশের প্রথম নারী স্পিকার ইতিহাসে নাম লেখিয়ে আলোচিত হন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাজনৈতিক কারণে সারা বছর জুড়েই আলোচনায় ছিলেন আমাদের দুই নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। আরো যারা এ বছর আলোচনায় নারী সমাজে প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের নিয়ে এই প্রতিবেদন-

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
Shirin+Sharmin+Chowdhury+2বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পীকার নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে তিনি শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়নে এটা দারুণ একটি দৃষ্টান্ত। নবম সংসদে সংসদের নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা স্পীকার এবং সংসদের উপনেতা সবাই ছিলেন নারী। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে তিনি এই দায়িত্ব পেলেন। তাঁর আগে এতো কম বয়সে বাংলাদেশের সংসদের কর্তৃত্ব আর কেউ পাননি।
নাজমুন আরা সুলতানা
najmunএবছর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ইতিহাসে প্রথম নারী বিচারপতি হলেন। হাইকোর্টেও তিনিই প্রথম নারী বিচারপতি। তার কর্মজীবন শুরু আইনজীবী হিসেবে ১৯৭২ সালে। নানা প্রতিবন্ধকতা ও ব্যঙ্গ কথা শুনে, প্রতিকূল পথ অতিক্রম করে আসতে হয়েছে এ পর্যন্ত। তার ইচ্ছা, দূরদর্শিতা ও সাহসিকতাই তাকে আজকের এ অবস্থানে এনেছে। তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল যে তিনি যেন আইনজীবী হন। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি এ পথে এগিয়ে যান। মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার প্রদানে, সঠিক বিচারকার্য সম্পাদনে তার বিচারক হবার স্বপ্ন পূরণেও তিনি সক্ষম হন। জীবনসঙ্গী কাজী নুরুল হকের কাছ থেকে তার কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে সবসময় উত্সাহ পেয়ে এসেছেন। তার অবস্থান এদেশের বহু নারীকে এগিয়ে যাবার সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।
মাহফুজা আক্তার
mahfuja aktarএ বছর বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন তিনি। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তথ্যকল্যানী মাহফুজা আক্তার। জার্মানিতে ডয়াচে ভেলে আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন। এসময় তিনি তথ্যকলানী হিসেবে কিভাবে গ্রামের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যান, গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে তাদের সেবা করেন তাই বলেন। তার সাহায্যের মধ্যে দিয়ে গ্রামের সবাই কিভাবে উপকৃত হচ্ছেন তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যেমন প্রেসার মাপা, জ্বর-ঠান্ডা-কাশির চিকিত্সা থেকে শুরু করে, মোবাইল সারানো, গর্ভাবস্থায় নানা পরামর্শ, শিক্ষাক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করা, নারীদের মুক্তচিন্তার বিকাশ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই গ্রামবাসীরা আমাদের কাছে পায়। আমরা তাদের নানা উপকারের চেষ্টা করি। তাই তারাও আমাদের আপন করে নেন।
নাজমা আক্তার
nazma aktaবার্লিন থেকে ‘বর্ষসেরা নারী নেত্রী’-র পুরস্কার নিলেন নাজমা আক্তার৷ তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা বাংলাদেশের এই নারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার পক্ষেই আবেগ সামলানো খুব কঠিন ছিল৷
ওয়াসফিয়া নাজরীন
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ী দ্বিতীয় বাংলাদেশী নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে ইউরোপের সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এলব্রুস জয় করেন। তিনি গত বছর এভারেস্টে ছাড়াও আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো এবং দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ আনকানগুয়া জয় করেন। তিনি গত বছর বলেছিলেন যে তার স্বপ্ন পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়। এ পর্যন্ত তিনি চারটি শৃঙ্গ জয় করেছেন। তিনি প্রমাণ করলেন, ইচ্ছা থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। বাংলাদেশের নারীরা যে কোন ক্

Facebook Comments