অবশেষে বাগদানটা সেরেই ফেললেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। পাত্র সুপার মডেল কৃষাণ ব্রজ। রোববার বাগদানের মধ্য দিয়েই তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বাগদানে শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকসহ টালিগঞ্জের তারকা অভিনয়শিল্পী নির্মাতারা উপস্থিত ছিলেন। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েটা সেরে হানিমুনে ইউরোপ উড়াল দেবেন এ দম্পতি।
কৃষাণের সঙ্গে শ্রাবন্তীর পরিচয়টা অভিনয়ের সুবাদেই। সাক্ষাৎ হয়েছিল মুম্বাইয়ে, একটি বিজ্ঞাপনে জুটি বেঁধে কাজের সুবাদে। প্রেম জমতেও দেরি হয়নি। বেশ কিছুদিন আগে কৃষাণের সঙ্গে ফেসবুকে ছবিও পোস্ট করে শ্রাবন্তীই দুজনের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
এটি শ্রাবন্তীর দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৩ সালেই প্রথম বিয়ে করেন পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে। তখন অবশ্য রাজীব সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন ইন্ডাস্ট্রিতে। শ্রাবন্তীর বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। বিয়ের পরই সিনেমার জগৎ থেকে সরে আসেন শ্রাবন্তী।
পাঁচ বছর পর শ্রাবন্তী রবি কিনাগির ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবি দিয়ে আবারো অভিনয়ে ফিরেন। তখন থেকেই শ্রাবন্তী এবং রাজীবের ডিভোর্স নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর কানাঘুষো শোনা যায়। অনেকে বলেন, দেবের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বন্ধুত্ব নিয়েই নাকি দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রাজীবও নাকি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
শ্রাবন্তীর ডিভোর্সের পরই ব্যবসায়ী বিক্রম শর্মার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে শ্রাবন্তী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বিক্রমের সঙ্গে তার সম্পর্ক বন্ধুত্বের এবং তাকে বিয়ে করা নিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন না। সত্যিই বলেছিলেন শ্রাবন্তী। কারণ কৃষ্ণকে নিয়েই তিনি বেশ আছেন। বয়ফ্রেন্ডের নামে নিজের হাতে ট্যাটুও করিয়েছেন শ্রাবন্তী। আবার কৃষ্ণর হাতেও রয়েছে শ্রাবন্তীর নাম লেখা।
শ্রাবন্তীর প্রথম ছবি স্বপন সাহার ‘মায়ের বাঁধন’ মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। সেই ছবিতে হেভিওয়েট নায়ক-নায়িকা ছিলেন প্রসেনজিৎ, শতাব্দী রায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী। আর প্রথম সবচেয়ে হিট ২০০৩ সালের ‘চ্যাম্পিয়ন’। রবি কিনাগির এই ছবিটি ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’র বাংলা সংস্করণ। নায়ক ছিলেন জিৎ। এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে শ্রাবন্তী-শাকিবের বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজিত সিনেমা ‘শিকারি’।