banner

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 281 বার পঠিত

 

ভারতে দুই বছর কারাভোগ শেষে ফিরলেন ১৭ বাংলাদেশি নারী

ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে দুই বছর কারাভোগ করে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭ বাংলাদেশি নারী।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তাদেরকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রাত ৮টার দিকে থানা থেকে দুইটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য ওই ১৭ জনকে যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যায়।

ফেরত আসা নারীরা হলেন- বাগেরহাট জেলার আব্দুর রশিদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন, মুজিবুর রহমানের মেয়ে তানিয়া খাতুন, যশোরের আব্দুল লতিফের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, কাশেম আলী খার মেয়ে আফরোজা খাতুন, মুক্ত ফকিরের মেয়ে সনিয়া বেগম, নড়াইলের শওকত শেখের মেয়ে খাদিজা খাতুন, পারভেজ মোল্লার মেয়ে পলি খাতুন, তরফু মোল্লার মেয়ে বিউটি খাতুন, তোতা মোল্লার মেয়ে রুনা বেগম, বখতিয়ার রহমানের মেয়ে রুমানা খাতুন, সালমান মোল্লার মেয়ে সেফালি বেগম, আমির আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুন, চাঁদপুরের সফিক মোল্লার মেয়ে রুমা বেগম, চুয়াডাঙ্গার মহিন আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন, পটুয়াখালীর নাসির সিকদারের মেয়ে নাসরিন বেগম, সুনামগঞ্জের মোকারম আলীর মেয়ে শিল্পী বেগম ও খুলনার ছলেমান হোসাইন এর মেয়ে আসমা খাতুন।
তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর এর মধ্যে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, এই নারীরা পাসপোর্ট ছাড়াই বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতের পুনে শহরে গিয়ে কাজ করার সময় সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর আদালতের মাধ্যেমে তারা জেল হাজতে যায়। পরে ভারতের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব নারীরা সীমান্তের অবৈধ পথে দালালদের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আসায় ভারত যায়। এরপর তারা সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে দুদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে রবিবার তারা দেশে ফেরেন। থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে জাস্টিস কেয়ার ও যশোর রাইটস নামে দুটি এনজিওর হাতে তুলে দেয়া হবে।

যশোর রাইটস এর এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর আব্দুল মুহিত জানান, থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই নারীদের যশোর নেয়া হবে। পরে যোগাযোগ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Facebook Comments