banner

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 367 বার পঠিত

পড়শীর বাজিমাত

1484110_10151932147094962_205620818_nকণ্ঠশিল্পী পড়শী।  কণ্ঠগুণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে চলছেন তিনি। বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা, রেকর্ডসংখ্যক সাড়ে তিন লাখ ভক্ত নিয়ে ফেসবুক পেজে ভেরিফায়েড হওয়া ও প্রকাশিত অ্যালবামের জনপ্রিয়তার বিচারে ২০১৩ সালের সেরা তারকার তকমাটি লাভ করেছেন তিনি। তাই তাকে নিয়ে বর্ষশেষ সংখ্যার বিশেষ এ আয়োজন।

 

আনলাকি থার্টিনকে লাকি থার্টিনে পরিণত করলেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শী। ২০১৩ সালে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন তিনি। বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা, রেকর্ডসংখ্যক সাড়ে তিন লাখ ভক্ত (বর্তমানে ছয় লাখ) নিয়ে ফেসবুক পেজে ভেরিফায়েড হওয়া ও প্রকাশিত অ্যালবামের জনপ্রিয়তার বিচারে ২০১৩ সালের বর্ষসেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় তাকে।

 

চলতি বছর পড়শী নিজের অ্যালবামে হিন্দি গান স্থান দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য তাকে বেশ সমালোচনারও মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে কেউ কেউ বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখেছেন। এদিকে ভারতের বিভিন্ন নৈসর্গিক লোকেশানে নির্মিত মিউজিক ভিডিওটি নিয়েও পড়শী অপ্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছেন। সেই সঙ্গে টিভি লাইভ শো, কনসার্ট ও সর্বাধিক ছবিতে প্লেব্যাক করেও চমক সৃষ্টি করেছেন তিনি।

 

দিন দিন পড়শীর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার ব্যস্ততাও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকেও তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বর্তমানে পড়শীর ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা ছয় লাখ। এ বিবেচনায় তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী তারকা হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করা যায়।

 

খুদে গানরাজ থেকে উঠে আসা পড়শী কৈশোর থেকেই গান গেয়ে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। তার পুরো নাম সাবরিনা এহসান পড়শী। বর্তমানে তিনি ইন্টারে পড়ছেন। ২০০৮ সালে চ্যানেল আইয়ের খুদে গানরাজ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালের রোজার ঈদে স্বনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনায় আসেন। এ অ্যালবামের ‘তোমারই পরশ’ ও ‘লজ্জা’ গান দুটি সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর তার দ্বিতীয় একক ‘পড়শী-টু’ প্রকাশিত হয়। এ অ্যালবামটিও শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে। সর্বশেষ চলতি বছর প্রকাশিত হয় তার তৃতীয় অ্যালবাম ‘পড়শী-থ্রি’। এ অ্যালবামটিও শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বাংলা গানের পাশাপাশি এতে স্থান পেয়েছে ‘খোদা তুজছে দোয়া হে এ/মেরি কিসমাত তু লিখ এইসে’ শিরোনামে একটি হিন্দি গান। এর কথা লিখেছেন মুম্বাইয়ের গীতিকার জোনায়েদ ওয়াসি। গানটির সুর-সঙ্গীত করেছেন ইমরান। অ্যালবাম প্রকাশের পর পরই এ গানটি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অনেক ধরনের কথা ওঠে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক বাকবিত-ার যুদ্ধের ফাঁকে গানটি শ্রোতাদের হৃদয়ে ভালো করেই ঠাঁই করে নেয়। ফেসবুক ভক্তদের অনুরোধে খুব শিগগিরই পড়শী গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করতে যাচ্ছেন।

 

পড়শী প্রতিদিন সকালেই হারমোনিয়ামে গানের রেওয়াজ করতে বসে পড়েন। ছোটবেলায় নানুর উৎসাহে গানের রেওয়াজ করা শুরু করেন তিনি। সেই থেকেই ছোট্ট পড়শী নানুর কাছে কখনো নাচ শেখা, কবিতা আবৃত্তি, আবার কখনো অঁকাঅঁকি শেখার সুযোগটা পেয়েছিলেন। নানু তার আদরের নাতনিকে গানের সিডি, আর্ট পেপার, কবিতার বই দেয়া থেকে শুরু করে নাচের স্কুলেও ভর্তি করিয়ে দেন। নাচের স্কুলে ভর্তির পর বোঝা গেল, শুধু নাচে নয়; গানেও পড়শীর স্বর্ণকণ্ঠ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পড়শী চ্যানেল আইয়ের ‘খুদে গানরাজ’-এ অংশ নিয়ে সবার স্বপ্ন পূরণ করেন।

 

বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে পড়শী বলেন, ‘বর্তমানে আমার রুটিনগুলো কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই সব কিছু গুলিয়ে ফেলছি। আগে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতাম। গানের রেওয়াজ শেষে পড়াশোনায় মন দিতাম। এরপর স্কুলে যেতাম। বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করতাম। আর ছুটির দিনগুলোয় বিভিন্ন স্টেজ শো কিংবা কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। তবে ইদানীং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কলেজ বন্ধ থাকছে। শোর সংখ্যাও কমে গেছে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে আর ইচ্ছা হয় না। আজকাল অধিকাংশ সময় ঘরের মধ্যেই কাটাতে হচ্ছে।’

 

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির বিষয়ে পড়শী বলেন, ‘আমার নামে অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও ফ্যান পেজ আছে। এগুলোর ফলে আমার ভক্ত-শ্রোতারা প্রতারিত হচ্ছিলেন। এ ছাড়া সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে নানা ধরনের বাজে কথাও ছড়ানো হচ্ছিল। সেসব বন্ধ করতে কিছু দিন আগে আমি ফেসবুকে ভিডিওবার্তাও প্রকাশ করি। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভেরিফায়েড পেজের স্বীকৃতি দেয়ার ফলে এখন থেকে ভক্তরা খুব সহজেই আমার ফ্যান পেজটি চিনতে পারবেন। ফলে ভুয়া অ্যাকাউন্ট দ্বারা আর বিভ্রান্ত হবেন না। এ জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’

 

দেখতে দেখতে আরেকটি বছর পার হয়ে যাচ্ছে। এ বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতা আগামী বছরও ধরে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পড়শী।

 

-প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

 

Facebook Comments