banner

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 159 বার পঠিত

 

নারীর রমজান প্রস্তুতি যেমন হওয়া উচিত

আবার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্মিলিত পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন ধরনের সমস্যা। বউয়ের চাকরি-বাকরি করাকে এখনও অনেক পরিবারে সাধুবাদ জানানো হয় না। তাই চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপের কথা মাথায় রেখে এ মাসে ঘর ও অফিসের কাজকে সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে।

জীবনে যে কোনো কাজে সফলতার জন্য প্রয়োজন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ। সর্বপ্রথম প্রস্তুতি নিতে হয় মানসিক, অর্থাৎ নিয়ত পোক্ত করা। নিয়ত পোক্ত না হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজেও অবহেলা চলে আসে। এমন মহিমান্বিত মাসে অবহেলা মানে কতটা ক্ষতিকর, সচেতন মুসলমান মাত্রই তা বুঝতে পারে। তাই ইবাদতের এ মাসে নারীদের বাহ্যিক অতিরিক্ত কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। এখানে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১. পরিবারের সদস্যদের রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বোঝানো এবং আমলের প্রতি উৎসাহিত করা।
২. রমজান আসার আগেই ঘরদোর ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে নেওয়া। সোফার কাভার, জানালা-দরজার পর্দা ইত্যাদি ধুয়ে পরিপাটি করে রাখা। রমজানের জন্য ভারি কোনো কাজ ফেলে না রাখা। যাতে এসব করতে গিয়ে দুর্বলতা পেয়ে না বসে, আমলে কোনো ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে।
৩. সংযমের এ মাসে প্রত্যেক গৃহিণীর উচিত সংসারের অতিরিক্ত খরচ কমানো, যা দরকার নেই তা বর্জন করা।
৪. ছোলা, চিনি, তেল, খেজুর, বেসন, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো বাজারসদাই যথাসম্ভব আগেই কিনে সংরক্ষণ করা। এতে রমজানে জিনিসপত্রের আকাশচুম্বী দামও এড়ানো যাবে আবার বাজারের ঝামেলাও কমবে।
৫. কোনো অবস্থাতেই ঈদের কেনাকাটা রমজানের জন্য ফেলে রাখা ঠিক হবে না। এতে ইবাদতে বিশাল বিঘœ ঘটে।
৬. রোজার দিনগুলো কীভাবে পার করবে তার একটা খসড়া তৈরি করা। অর্থাৎ দিনের কোন সময়টাতে কোরআন তেলাওয়াত করবে, কোন সময়টাতে নফল নামাজ পড়বে এবং জিকির আজকার ও দোয়ায় কোন সময়টা কতটুকু ব্যয় করবেÑ এসব কিছু রুটিন করে রাখা উচিত। এমনকি ঘুমের সময়টুকুও নির্ধারণ করা উচিত।

চাকরিজীবী নারীর পরিকল্পনা : চাকরিজীবী নারীদের রোজার মাসে অফিসের পাশাপাশি অন্য সকল কাজ চালিয়ে যাবার লক্ষ্যে অবশ্যই আগে থেকে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা একান্ত কাম্য। কেননা একজন নারীকে যখন মা হিসেবে সন্তানের ঈদের নানা চাহিদা পূরণ, পরিবারের সকলের জন্য রোজার সেহেরি, ইফতারির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি চাকরি চালিয়ে যেতে হয়- তখন তা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আবার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে সম্মিলিত পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভিন্ন ধরনের সমস্যা। বউয়ের চাকরি-বাকরি করাকে এখনও অনেক পরিবারে সাধুবাদ জানানো হয় না। তাই চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপের কথা মাথায় রেখে এ মাসে ঘর ও অফিসের কাজকে সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে।

ফয়জুল আল আমীন

Facebook Comments